জোবাইদা
বাবার কবর জিয়ারত জোবাইদার, মাকে নিলেন বাসায়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার বাবার কবরে ফাতেহা পাঠ করেছে। পরে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার অসুস্থ মাকে বাড়িতে নিয়ে যান তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান বুধবার (৭ মে) বিকালে জোবাইদা তার শাশুড়ি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ ত্যাগ করেন। প্রথমে তিনি তার বাবা ও প্রাক্তন নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করতে বনানী সামরিক কবরস্থানে যান।
তিনি সেখানে নারীদের জন্য নির্ধারিত নামাজঘরে আসরের নামাজ আদায় করেন এবং তারপর তার বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করেন।
রুমন জানান, জোবাইদার সঙ্গে তার দেবর প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও ছিলেন।
তিনি বলেন, কবর জিয়ারতের পর জোবাইদা ধানমন্ডির স্কয়ার হাসপাতালে যান। হাসপাতালিটিতে তার মা ইকবাল মান্দ বানু ১ মে থেকে চিকিৎসাধীন।
রুমন বলেন, সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা তার মাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর জোবাইদা তাকে ধানমন্ডিতে তাদের বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’-এ নিয়ে যান।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মে) ডা. জোবাইদা লন্ডন থেকে বাড়ি ফেরার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার অসুস্থ মাকে দেখতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে যান। জোবাইদার উপস্থিতি মা ও মেয়ের মধ্যে এক আবেগঘন পুনর্মিলন তৈরি করে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন জোবাইদা রহমান
তিনি প্রায় আড়াই ঘণ্টা হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন এবং পরে ফিরোজায় ফিরে আসার আগে মাহবুব ভবনে কিছুক্ষণ অবস্থান করেছিলেন।
সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছেন। কয়েক বছর আগে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের একটি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এর আগে লন্ডনে ১৭ বছরের নির্বাসন শেষ করে জোবাইদা মঙ্গলবার খালেদা জিয়া ও শামিলা রহমানের সঙ্গে দেশে ফেরেন।
তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা এবং তাদের মেয়ে জাইমা রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন।
২১১ দিন আগে
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
তবে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
অভিযোগ গঠনের পর গত ১৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ২ আগস্ট
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ২৬ জুন হাইকোর্ট মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনও খারিজ করেন হাইকোর্ট।
তারা দু’জনই পলাতক থাকায় আদালত রিট আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তা খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
ওই বছরেই জুবাইদার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুলটি খারিজ করে তাকে আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
৮৫৫ দিন আগে