চোখ
ভোলায় যুবকের হাত-পা ভেঙে চোখ তুলে ফেলল গ্রামবাসী
ভোলায় সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রির অভিযোগে মো. হাসান নামের এক যুবককে পিটুনি দিয়ে, হাত-পা ভেঙে, দুই চোখ খুঁচিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দেউলা ইউনিয়নের ঝিটকা বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হাসান একই গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মো. রতন মাঝির ছেলে।
রতন মাঝি বলেন, ‘দুদিন আগে হাসানের সঙ্গে এলাকার রুবেলের মারামারি হয়। এর জেরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে হাসানকে ঝিটকা বাজারের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ২০-২৫ জন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে, ছুরি দিয়ে চোখ খুঁচে দেয়।’
আরও পড়ুন: আসনবিহিন টিকিট কেটে ‘বসে যাওয়ার অপরাধে’ বৃদ্ধকে মারধর: ট্রেনের কর্মকর্তা বরখাস্ত
হাসানের বাবা আরও বলেন, ‘পরে গ্রাম-পুলিশ ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
হাসানের দাবি— ‘তিনি নির্দোষ। পূর্ব শত্রুতার জেরে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী, মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করা হয়।’
ভোলার বোরহানউদ্দিনের দেউলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম-পুলিশ আব্দুল মান্নান চৌকিদার বলেন, ‘হাসান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসহ চলাফেরার জন্য পরিচিত।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে হাসান এলাকায় ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেন। পথচারী এবং অটোরিকশা থামিয়ে টাকা আদায় করতেন। সম্প্রতি এক অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসীরা শুক্রবার রাতে হাসানকে ধরে গণধোলাই দেয়। তার হা-তপা ভেঙে, চোখ খুঁচে দেয়, যাতে আর এ ধরনের কাজ করতে না পারেন। তাকে মারধরের এক পর্যায়ে মারা গেছেন ভেবে রাস্তার পাশে রেখে যাওয়া হয় তাকে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে গ্রাম-পুলিশকে নিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা নিরুপম সরকার বলেন, ‘ছুরি দিয়ে হাসানের চোখ খুঁচে দেওয়া হয়েছে। তার হাত ও পায়ের অবস্থাও ছিল গুরুতর।’
আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয়দের মারধরের শিকার বাংলাদেশি, হাসপাতালে ভর্তি
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনও কেউ থানায় মামলা করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘তবে হাসান চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হিসাবে অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় দুটি মামলা রয়েছে,’ বলেন ওসি।
২৪৪ দিন আগে
ধর্ষণের শিকার চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে: প্রেস উইং
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সোমবার (১০ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাফিজ উদ্দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হিটু শেখ আটক
উপপ্রেস সচিব আজাদ আরও জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষায় ‘কমার লেবেল ৩ থেকে ৫’ এ উন্নীত হয়েছে। সিএমএইচএস হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আজ সকালে প্রথমবারের মতো শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে। শ্বাসরোধের অপচেষ্টার কারণে অক্সিজেন লেভেল কমে মস্তিষ্কে পানি জমেছে। যা এখনও অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল তা অপসারণ করা গেছে। হয়তো দু-একদিনের মধ্যে শিশুটির স্বাস্থ্যের আরও কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেন।
রবিবার দিবাগত রাতে মাগুরা আদালতে অভিযুক্তদের রিমান্ড শুনানি হয়। বিচারক আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুলী গ্রামের ভুক্তভোগীর বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ(৫০), বড় বোনের শ্বাশুরী জায়েদা খাতুন এবং তাদের দুই ছেলে সজিব ও রাতুল শেখ।
২৭০ দিন আগে
পাওনা টাকা চাওয়ায় চোখ উপড়ে ফারুককে হত্যা: র্যাব
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশ থেকে ফারুক নামে এক ব্যক্তির চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুরের টঙ্গী, লক্ষীপুরের রায়পুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ১৪৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
আটকরা হলেন- মো. নিজাম উদ্দিন (৩৬), মো. সোহাগ (৩৮), জহিরুল ইসলাম (৪৮), রনি হোসেন (২৩) ও বাদশা (২৩)।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নিজাম ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাউন্টার ম্যানেজার, আর ফারুক কাউন্টারম্যান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: সারা দেশে র্যাবের ৭০০ টহল দল মোতায়েন
তাদের দুজনের কর্মস্থল টঙ্গী এলাকায়। নিজামের কাছে ফারুক টাকা পেতেন। ফারুক পাওনা টাকা চাইলে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এই বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নিজাম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ফারুককে কাউন্টারে ডেকে আনেন নিজাম। এরপর নিজাম ও তার চার সহযোগী ফারুককে মারধর করেন। মারধরের পর ফারুককে ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি খালি বাসে উঠিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবারও এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা জব্দ, আটক ৩: র্যাব
তিনি বলেন, একপর্যায়ে সোহাগ ও রনি ফারুকের হাত-পা চেপে ধরেন। বাদশা ফারুকের বাম চোখ উপড়ে ফেলেন। পরে ফারুকের লাশ বাসে করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশে রঘুরামপুর এলাকার নির্জন স্থানে ফেলা হয়।
জড়িতরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব
৬৯২ দিন আগে
ফরিদপুরে নির্মাণ শ্রমিকের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় এক নির্মাণ শ্রমিকের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নিহত নির্মাণ শ্রমিকের নাম মিজান শেখ (২৫)। তিনি রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত গ্রামের আহমেদ শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২ আগস্ট) থেকে মিজানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রূপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে রুপাপাত গ্রামের বাসিন্দা নিমাই কুলুর মেহগনি বাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) কবির আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে খানায় এনেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান চোখ উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, নিহতের স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বুধবার থেকে মিজানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় লিখিত বা মৌখিকভাবে কিছুই জানায়নি।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসিয়া নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নাটোরে যুবকের লাশ উদ্ধার
৮৫৪ দিন আগে