ফ্যাসিস্ট
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
‘ফ্যাসিস্ট ও অপসারিত প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জায়গা না দিতে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে—আর কখনও এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আমরা দেশের রাজনীতিতে জায়গা দিতে দেব না। আমরা আরও শপথ করব, কারও কাছে মাথানত করব না। নিজেদের শক্তিতে আমরা একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ব।’
রবিবার (৩ আগস্ট) জুলাই-আগস্ট মাসব্যাপী গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শাহবাগের সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ছাত্রসমাজ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, সরকার দেশে বিভাজন ও অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার মিত্ররা, যারা এখন প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা বাংলাদেশকে হুমকি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তারা নানাভাবে দেশের ভেতরেও অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে হলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও বৈজ্ঞানিক চিন্তা গড়ে তুলতে হবে। প্রজ্ঞা ছাড়া আমরা এগোতে পারব না। দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে শিক্ষা ও বিজ্ঞানের পথে হাঁটতে হবে।’
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার পথে রয়েছি।’
ফখরুল জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—আগামী সাধারণ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সেই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। তার আগেই তারা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায় আছে।’
পড়ুন: এনসিপি: ‘মেরুদণ্ডহীন’ ইসি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট
ফখরুল বলেন, বিএনপির লক্ষ্য হলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন পূরণ করা। ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ব।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘শত শত ছাত্র, সাধারণ মানুষ ও শ্রমিক ন্যায়ভিত্তিক, বাসযোগ্য ও সুশাসনসম্পন্ন একটি দেশ গড়ার আশায় জীবন দিয়েছেন।’
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে বিএনপি ৩১টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি নতুন সূর্য উদিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন আশা ও শুরু এনেছে। আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে—দেশজুড়ে গ্রেপ্তার, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত আমাদের ঐক্য ও শক্তির বহিঃপ্রকাশ। আমরা এই মুহূর্ত উদযাপন করছি, একইসঙ্গে আমরা স্মরণ করছি সেই ভাইদের, যারা এক বছর আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’
১২৩ দিন আগে
ফ্যাসিস্ট ও জঙ্গিবাদের সবকিছু উপড়ে ফেলতে হবে: ডিআইজি রেজাউল
ফ্যাসিস্ট ও জঙ্গিবাদের সবকিছুর উপড়ে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সকল অপরাধী রয়েছে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে জুলাই শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ফরিদপুর পুলিশ লাইনে বিশেষ কল্যাণ সভা ও জুলাই আন্দোলনের নিহতদের স্মরণে এক সভায় এ কথা বলেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশের ঢাকা বিভাগের এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যদি কোনো অপরাধ পরিলক্ষিত হয়, তাহলে পুলিশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘কোনো রকম অর্থনৈতিক অনিয়ম–দুর্নীতি—এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না,’ যোগ করেন তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আপনারা (পুলিশ) জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন। থানায় যেন কোনো সেবাগ্রহীতা এসে ভোগান্তির শিকার না হন ‘
‘আমি শুনতে চাই না, কোনো সেবাগ্রহীতা থানায় এসে হয়রানির শিকার হয়েছেন। সকল মানুষের প্রতি সম্মানসহকারে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলায় যেন কোনো অবনতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ‘
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নির্যাতনের অধিকাংশ ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার প্রমাণ মেলেনি: পুলিশ সদর দপ্তর
পুলিশ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমরা নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সমস্ত অপরাধী সদস্য রয়েছে, তার সঙ্গে যদি কোনো সম্পর্কের গন্ধ পাই—কাউকে আমি ছাড় দেব না।এই ফরিদপুরে যারা সন্ত্রাসী, গডফাদার, চাঁদাবাজ—তাদের কোনো ছাড় দেওয়া চলবে না।’
এর পরে তিনি জুলাই চব্বিশে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপহারসামগ্রী তুলে দেন এবং পুলিশের মাল্টিপারপাস হল উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আজম, সদর পুলিশ সার্কেলের আজমির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৪৩ দিন আগে
ফ্যাসিস্টরা ইতিহাসের করুণ পাঠ থেকে শিক্ষা নেয় না: জামায়াত আমির
অতীতের ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারেরা ইতিহাসের করুণ পাঠ পড়লেও শিক্ষা নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘অতীতে এরকম স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট যারা ছিল— তাদের নাম বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে অঙ্কিত হয়ে আছে। একই পরিণতি সবার বরণ করতে হয়েছে। কিন্ত ইতিহাসের দুর্ভাগ্যজনক শিক্ষা হচ্ছে— ইতিহাসের করুণ পাঠ পড়ে, কিন্ত সেখান থেকে শিক্ষা নেয় না।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের শহীদদের নিয়ে স্মারকের উদ্বোধন করেন ডা. শফিকুর রহমান।
এছাড়াও একযোগে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রামে জুলাই শহীদদের নিয়ে রচিত স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় যখন তারা থাকেন, তখন তারা সদর্পে অনেক দাম্ভিকতা প্রদর্শন করে। আল্লাহ তায়ালা এসব দাম্ভিকদের ছাড় দেন— ছেড়ে দেন না।
তিনি বলেন, যে জাতি তার বীরদের ও জ্ঞানীদের সম্মান করতে জানে না, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই জাতিকে সম্মানিত করেন না। আমাদের জাতির ইতিহাস বিস্মৃতির ও বিকৃতির ইতিহাস। এই ইতিহাস অনেক সময় রচনা হয়েছে বহু বছর পরে। ইতিহাসের জায়গা থেকে ইতিহাসকে সরিয়ে দিলে সেটা আর ইতিহাস থাকে না।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কিছু ইতিহাস মানুষের জন্য হয় বিষাদের, কিছু হয় আনন্দের, আর কিছু হয় গৌরবের। জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে যারা জীবন দেন, অতীতেও এরকম যারা দিয়েছেন, ৪৭, ৫২ সর্বশেষ ২০২৪ যারা জীবন দিয়েছেন— তারা গৌরবের। শহীদ পরিবারগুলোর জন্য এটি কান্নার ইতিহাস, আর দেশবাসীর জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার ইতিহাস।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত এরকম একটি আয়োজন আমরা কিংবা কোনো বিরোধী দল কখনো কল্পনাও করেনি। এমনকি সমাজের যারা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকে সভ্য সমাজের প্রতিনিধি বলা হয়— তারাও সাহস করেনি।
জামায়াত আমির বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে সত্যিকার অর্থে একা জামায়াতে ইসলামী নয়, মুক্তিকামী সকল মানুষ ছিলেন মজলুম। এদেশের আপামর ওলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী-সমর্থক— এমনকি সাধারণ জনতাও।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরাও ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত ছিলেন না। ওই সময় তাদেরকেও জীবন দিতে হয়েছে— কারাগারে যেতে হয়েছে, রিমান্ডের নামে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। বিদেশে বসে যারা দেশের মুক্তির জন্য কলম যুদ্ধ চালিয়েছিলেন, দেশে তাদের আপনজনকে হেনস্তা করা হয়েছে। জেলে ভরা হয়েছে, নারীদেরকেও ক্ষমা করা হয়নি। এদের রুচি কত নিম্নস্তরের ছিল এখান থেকে উপলব্ধি করা যায়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সেই শ্বাসরুদ্ধকর বন্দিদশার অবস্থা থেকে জাতি মুক্তির জন্য যারা নিজেদের পবিত্র জীবনটি বিলিয়ে দিয়ে আমাদেরকে এমন একটি পরিবেশ করে দিলো আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন: শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে জামায়াত: ডা. শফিক
জামায়াত আমির বলেন, দেশ আমাদের সকলের। দেশের পাহাড়াদারির দায়িত্ব সকল নাগরিকের। এ কাজ কিছু লোক করে, আর কিছু লোক নাগরিকদের শান্তি কেড়ে নেওয়ার অপকর্মে লিপ্ত হয়। অপকর্মে যারা করে তারা এটাকে পেশা হিসেবে বিবেচনা করে। এক সময় তারা এটিকে অধিকারের মতো মনে করে। বাকী জনগণকে তারা তাদের প্রজা মনে করে। নিজেরা রাজা হয়ে বসেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অনুভব করেছে— দায়িত্বশীল দল হিসেবে জামায়াতের কিছু কর্তব্য আছে। আমারাও এই আন্দোলনে শরীক ছিলাম। এই আন্দোলনের মাধ্যমে গোটা জাতি যেমন মুক্তি পেয়েছে, এদেশের সবচেয়ে নির্যাতিত দল হিসেবে কৃতজ্ঞতাও আদায় করার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, আমরা শহীদ পরিবারগুলোর কাছে গিয়েছি। নিজেরদেরকে প্রশান্তি দিতে, সান্তনা দিতে। দোয়া করতে যাইনি দোয়া নিতে গিয়েছি। কারণ তারা বড়িই সৌভাগ্যবান। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে জাতির জন্য আল্লাহর কাছে উপহার দিয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, স্মারক প্রস্তুতে জনগণ স্বতঃস্ফুর্ত সহযোগিতা করেছে। স্মারকের কাজ পরিপূর্ণ করতে পারি নাই। প্রক্রিয়া চলমান। শহীদ পরিবার, আহতরা বিভিন্নভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এই সময়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে কিছু জিনিস নিয়ে অন্তত তাদের সামনে আসা দরকার। এজন্য অসমাপ্ত রেখেই স্মারকের প্রাথমিক পর্বটি প্রকাশ করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য পাঠক ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করেন জামায়াতপ্রধান।
যাদের নাম এখনো আসেনি তাদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহায়তা আহ্বান জানান তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দিলে অনলাইনের মাধ্যমে এই ইতিহাসকে বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হবে এবং পৃথিবীর প্রধান সকল ভাষায় স্মারক প্রকাশ করা হবে। যাতে বিশ্ববাসী আমাদের বীরদের সম্পর্কে জানতে পারে। কৃতিত্ব ও গৌরবগাঁথা তাদেরও যেন অনুপ্রাণিত করতে পারে।
তিনি বলেন, আবু সাঈদের শাহাদাত ছিল এই আন্দোলনের বিশাল একটি টার্নিং পয়েন্ট। নিভৃত পল্লীর ছেলে ছিল সে। তার আশেপাশে তার মতো শিক্ষিত আরেকজন সদস্য নাই। সেই ছেলেটাই দুনিয়ায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল। খোলা বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে ডানা মেলে বলেছিল- বুকের ভিতর অনেক ঝড় বুক পেতেছি গুলি কর। তার পথ ধরে বাকী শহীদরা বলেছিল আবু সাঈদ আমার ভাই। আমরাও তার মতো শাহাদাতের সিঁড়িতে পা রাখতে চাই— এটাই হয়েছে।
রাজনৈতিক দল ও সকল অংশীজনের কাছে অনুরোধ রেখে জামায়াত আমির বলেন, তারা (শহীদরা) বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চেয়েছিল। একটি মানবিক সুন্দর বাংলাদেশ চেয়েছিল। দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ চেয়েছিল। এখন দায়িত্ব আমাদের ঘাড়ে। তাদের রক্তের দিকে একটু তাকান। জীবন দেওয়া সেই তরতাজা শিশু-কিশোর-যুবক ও নারী-পুরুষের দিকে তাকান। বিপ্লবের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অপকর্ম মেহেরবানি করে কেউ করবেন না। যদি করেন শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে, তাদের রক্তকে অপমান করা হবে। আর জীবিত শহীদ যারা— পঙ্গু হয়ে আছেন তারা ভীষণ কষ্ট পাবেন। তারা অভিশাপ দেবেন। মজলুম দেশবাসী অভিশাপ দেবে। সুতরাং, সকল অংশীজনের কাছে আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব, এমন কোনো কাজে আমরা জড়াবো না, যে কাজ করলে সকলের অভিশাপ আমাদের উপরে পড়বে।
আরও পড়ুন: ধর্ম নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে: জামায়াত আমির
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, যে কাজটিতে জামায়াত হাত দিয়েছে, এটি জামায়াতের একার সম্পত্তি নয়— এটি জাতীয় সম্পত্তি। এটা একার দায়িত্বও নয়, সকলের দায়িত্ব। সরকার ও আরও যারা অংশীজন আছেন, তাদেরও দায়িত্ব। আমরা এই কাজের কোনো ক্রেডিট (কৃতিত্ব) নিতে চাই না। আমরা শুধু নৈতিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের চেয়ে আরও সুন্দর করে, আরও নিখুঁতভাবে করার জন্য আরও সংস্থা, সংগঠন ও অংশীজন এগিয়ে আসুক। তাহলেই আমাদের এই ভূমিকা নেওয়াটা সার্থক হবে। সেক্ষেত্রে জামায়াত সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও জানান জামায়াত আমির।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পররওয়ার।
এতে আরও বক্তব্য দেন সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকমল বড়ুয়া, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ও কবি আব্দুল হাই শিকদার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম, জাগপার সহসভাপতি প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান, ১২ দলের মুখপাত্র সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এক পরিবারের হাতে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ পয়দা হয়েছিল: জামায়াত সেক্রেটারি
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ পরিবারেরর সদস্য, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন ও সাইফুল ইসলাম খান মিলন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।
৩০২ দিন আগে
জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার যারা চায় না তারাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যাকারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের কথা না বলে যারা তাকে ও তার দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কথা বলে, আমরা মনে করি তারাও ফ্যাসিস্টদের দোসর।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকারী খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে সহায়তার চেক বিতরণকালে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
সারজিস বলেন, যে নবজাতক শিশু জন্ম নেওয়ার আগেই বাবাকে হারালো, তাকে আমরা কি জবাব দেব? আমরা সহজে সব ভুলে যাই। ১৬ বছর ভুলে যাই, গুম খুন হত্যা ভুলে যাই। কিন্তু এদেশের ছাত্র সমাজ এবার আর ভুল করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকল হত্যার বিচার নিয়েই ঘরে ফিরব। আর কোন ফ্যাসিস্টকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না।’
শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগে মোট শহীদ হওয়া ৩১৪ জনের মধ্যে ৭৯ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তার চেক দেওয়া হয়।
শহীদ পরিবারের অনেকে ঢাকায় নিবন্ধন করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সকল শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন এবং সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ২৪৫ জনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে: সারজিস
৩৭৭ দিন আগে
পরাজিত ফ্যাসিস্টরা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে: রিজভী
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সঙ্গী-সাথী ফেলে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দেবে। তারা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে এক চক্ষুসেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় জুলাই গণআন্দোলনে চক্ষু হারানো, চক্ষু ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের চক্ষু সেবার উদ্দেশ্যে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিনামূল্যে এই চক্ষুসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
আরও পড়ুন: মুজিবের ছবি অপসারণ নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রিজভী
রিজভী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তারা নূর হোসেন দিবসে ঢাকা শহর নাকি উথাল-পাতাল করে দেবে। ওইদিন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কয়েকটি মিছিল করেছে; ওদের মতো তো মোড়ে মোড়ে বন্দুক নিয়ে পাহারা দেয়নি। তারপরও তো ওদের কোথাও দেখা যায়নি। কই যুবলীগ? কই ছাত্রলীগ? কারণ শেখ হাসিনা তাদের লুটপাটের জন্য তৈরি করেছিলেন।’
‘ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের বলেছিলেন- তোরা যত পারিস লুটপাট কর, কিন্তু বিএনপিকে বের হতে দিবি না; বের হলেই হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়বি। এটাই ছিল শেখ হাসিনার নীতি। এর পরিণাম হয় ভয়াবহ, তা-ই হয়েছে; সঙ্গী-সাথী ফেলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো একজন রক্তপিপাসুর এই দেশে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের আর কোনো সুযোগ নেই। আপনি শিশুদের রক্ত পান করা একজন রক্তপিপাসু নারী। আপনি যে পাপ করেছেন, যে হত্যালীলা চালিয়েছেন, এর জন্য হয় আল্লাহর কাছে মাফ চান, না হলে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত হয়ে থাকবেন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শুধু নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে জিম্মি করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এখন জনগণের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছে, সেই চুক্তিগুলো অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশ করুক। তিনি (শেখ হাসিনা) দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন, তার প্রমাণ তো আমরা দেখতে পাই।’
ভারতের আদানির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি ছিল অত্যন্ত অসম চুক্তি, অত্যন্ত অন্যায় চুক্তি। আদানির কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ কেনা হয়, সেটা এক ইউনিটের দাম ১২ টাকা। পৃথিবীর কোথাও এত দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হয় না। তিনি (শেখ হাসিনা) আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে- তাকে যদি কখনো পালাতে হয়, তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সঙ্গে কোনো চুক্তি করেননি। না হলে আদানি কেন হুমকি দেবে?’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কোনো দেশপ্রেম ছিল না। তার ছিল ভারতপ্রেম। ওই একটাই প্রেম ছিল শেখ হাসিনার। কারণ তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সুতরাং তার প্রেম কার সঙ্গে ছিল এইটা জনগণ জানত এবং বুঝত।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে মার্কেটগুলো এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের কাছে, বাজারগুলো এখনও তাদের সিন্ডিকেটের কাছে- আপনারা কী তাদের একজন লোককেও ধরেছেন? একটা লোককেও গ্রেপ্তার করেছেন? আপনারা শুল্ক কমিয়েছেন, তারপরও তো পেঁয়াজের দাম কমে না, তারপরও তো আলুর দাম কমে না, চিনির দাম কমে না, আটার দাম কমে না, সয়াবিন তেলের দাম কমে না। কারণ এগুলো ইমপোর্ট করতে হয়। এই বিষয়গুলি আপনারা যদি না দেখেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দেবে। ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে তারা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
৩৮৬ দিন আগে
নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর নেতিবাচক আলোচনার কারণে ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে মাথা উঁচু করছে।
তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় লক্ষণীয় হলো- বিভিন্ন নেতিবাচক বক্তব্য ও আলোচনার কারণে ফ্যাসিস্টরা আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু গণমাধ্যম এটা প্রচার করছে, যা কোনোভাবেই মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শনিবার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট মিলনায়তনে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
তিনি গণমাধ্যমকে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। ‘এই প্রবণতা রোধে তরুণদের একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান ফখরুল।’
ফখরুল বলেন, জাতির সামনে যে সংকট রয়েছে তা সমাধানের একমাত্র পন্থা হচ্ছে ধৈর্য। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, একটি কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আজ যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন জাতি হাতছাড়া না করে। ‘এই সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। আমি এই বিষয়টির ওপর জোর দিতে চাই।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ছাত্র-রাজনীতিবিদসহ সব মহল সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, 'গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের সৃষ্ট জঞ্জাল পরিষ্কার করে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে এই প্রত্যাশা থেকেই আমরা তাদের এ দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা তরুণদের আকাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’
ফখরুল বলেন, আমরা বারবার নির্বাচন নিয়ে কথা বলছি। কারণ, আমরা বিশ্বাস করেন জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার উদ্যোগ সফল হতে পারে না। ‘এ ধরনের অংশগ্রহণ কেবল নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, সংসদকে কার্যকর করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও চর্চা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের সময় তরুণরা যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার জন্য রক্তসহ এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা বাস্তবায়ন করা এখন রাজনীতিবিদদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি।
সাকি আরও বলেন, দেশকে গণতন্ত্রের সঠিক পথে রাখতে এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
৩৯১ দিন আগে
পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে এবং ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন রুখে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না এবং এটি চিরতরে নির্মূল করা হবে বলে প্রত্যাশা করছে জাতি।’
আগামীতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ায় ডা. শাহাদাতকে বিএনপি ও শীর্ষ দুই নেতার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি দাবি করেন, চসিক নির্বাচনে ড. শাহাদাত জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে সেই বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
নির্বাচনে কারচুপির ফলাফল পাল্টে দিয়ে ড. শাহাদাতকে যথাযোগ্য বিজয়ী ঘোষণা করায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফখরুল।
আদালতের রায় মেনে নিয়ে ডা. শাহাদাতকে দায়িত্ব দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এর আগে রবিবার সকালে চসিকের মেয়র হিসেবে শপথ নেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তাকে শপথ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শপথ গ্রহণের পর ডা. শাহাদাত ফখরুলসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে গত ১ অক্টোবর চসিক নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ড. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খায়রুল আমিন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী প্রাথমিকভাবে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয় এবং বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
তবে গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ড. শাহাদাতকে বিজয়ী ঘোষণা করে ওই রাতেই গেজেট প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
৩৯৭ দিন আগে
ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোই তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সংগ্রাম করেছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা।’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে অনেক বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং অনেকে গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি চালিয়ে কৃষকদল কর্মী সজিব হোসেনকে হত্যা করে, অনেকে আহত হয়। ‘আন্দোলনই এই সরকারকে অপসারণের একমাত্র উপায়। এই সরকারকে অবশ্যই উৎখাত করতে হবে।’
গত ১৮ জুলাই জেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে সজিবের পরিবারের সদস্য ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে লক্ষ্মীপুর শাখা বিএনপি।
আরও পড়ুন: ভয়-প্রতিহিংসা থেকে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ থাকবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সজিবসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জীবন উৎসর্গ বৃথা যাবে না। ‘আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে এবং গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
দেশের জনগণ তাদের দলের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা বিশ্বাস করে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণ অবশ্যই গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি নিহত কৃষকদল কর্মী এবং লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে আহত ও দৃষ্টিশক্তি হারানো পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, বিএনপি সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সজিবের পরিবার ও আহত দলীয় নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা দেয় দলটি।
আরও পড়ুন: সময় ও একাত্তর টিভির টকশোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
আ.লীগ চাপে বিনয়ী হওয়ার ভান করছে: ফখরুল
৮৪৭ দিন আগে