সোভিয়েত ইউনিয়ন
সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মারা গেছেন
সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মঙ্গলবার মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গর্বাচেভ মারা গেছেন।’ এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং মস্কোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফাউল টুইটারে বলেছেন, ‘ইতিহাসের গতিপথকে ইতিবাচক দিক দিয়ে পরিবর্তন করেছেন এমন একজন ব্যক্তির কথা ভাবা কঠিন। গর্বাচেভ একজন আদর্শবাদী ছিলেন যিনি ধারণা এবং ব্যক্তিদের শক্তিতে বিশ্বাস করতেন। তার থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।’
গর্বাচেভ ৫৪ বছর বয়সে ১৯৮৫ সালে ক্ষমতায় আসেন এবং দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান নেতা নিযুক্ত হন।
১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিজমের পতন হলে গর্ভাচেভ দেশটির প্রথম এবং একমাত্র প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ১৯৯১ সালের ২৫ ডিসেম্বার সোভিয়েতের ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তির দিন তিনি পদত্যাগ করেন। গর্বাচভের পদত্যাগের মধ্য দিয়েই বিশ্বে চার দশক ধরে চলা স্নায়ুদ্ধের সমাপ্তি হয়।
তিনি ‘পেরেস্ত্রোইকা’ ও ‘গ্লাসনস্ত’ নীতির প্রবর্তক ছিলেন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর গর্বাচেভ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, ইউএসএসআরকে একত্রে রাখার চেষ্টা করার জন্য ব্যাপক শক্তি ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করেননি। কারণ এতে তিনি পারমাণবিক দেশে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশ অস্ত্রে ভারাক্রান্ত ছিল এবং এটি অবিলম্বে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিত।’
পড়ুন: বিশ্বের নিঃসঙ্গতম ‘গর্তের মানুষ’ এর মৃত্যু
শিয়া নেতার রাজনীতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা, বাগদাদে সংঘর্ষে নিহত ১৫
পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
রাশিয়া সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ নিয়ে সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ এই দুটি দেশের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে স্পর্শকাতর অধ্যায়, যার প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বে। ১৯৯১ সালে বিশাল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর ও বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি সহ বিভিন্ন অঙ্গনে স্বতন্ত্র অবস্থানে বহাল আছে রাশিয়া। এছাড়া দেশটির সভ্যতা ও সংস্কৃতির উত্তরোত্তর ক্রমবিকাশে সমগ্র ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশের উপর এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। সেই সূত্রে এই নিবন্ধটিতে রাশিয়ার বিস্ময়কর কিছু তথ্যের দিকে আলোকপাত করা হয়েছে।
রাশিয়ার ১০টি বিস্ময়কর তথ্য
পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলপথ
ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে মস্কো ও সুদূর পূর্ব রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরাসরি পাড়ি দিয়েছে ৯,২৫৯ কিলোমিটার রেলপথ। উরাল পর্বতমালা, সাইবেরিয়ার বার্চ বনও বৈকাল হ্রদ অতিক্রম করতে এই যাত্রাটি সময় নেয় ছয় দিন।
পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ
ভূমির আয়তনের দিক থেকে রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। রাশিয়ার মোট ভূমির ক্ষেত্রফল ৬৬ লাখ এক হাজার ৬৭০ বর্গ মাইল, যা পৃথিবীর মোট ভূমির শতকরা ১১ ভাগের সমান। এত বড় দেশ হওয়াতে এখানে বৃক্ষের আধিক্য দেখা যায়। পৃথিবীর শতকরা ২০ ভাগ গাছ আছে শুধু এই রাশিয়াতেই। সংখ্যার দিক থেকে তা প্রায় ৬৪০ বিলিয়নের সমান।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য
পৃথিবীর গভীরতম হ্রদ
সাইবেরিয়ায় অবস্থিত বৈকাল হ্রদ বিশ্বের বৃহত্তম মিঠা পানির হ্রদ। শুধু এই একটি হ্রদ গোটা বিশ্বের মিঠা পানির শতকরা ২৩ ভাগ ধারণ করে।
বাংলাদেশের জীবাশ্ম জ্বালানি নিজেদের উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের জীবাশ্ম জ্বালানি নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।