প্রচারণা
হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন। নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার নাই, অন্য কেউ আসুক।’
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে কাশীপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে, আমি জানি। আমার জন্য একটাই দোয়া করবেন, আপনাদের ভালোবাসার প্রতিদান যাতে দিতে পারি। মা-বোনেরা আমাকে যেভাবে আজ আদর করেছে, আমি ভুলব না। আমি কখনো ভোট চাই না। কারণে আপনি আমার থেকে কম বুঝেন না। আমি নাটক করতে পারি না, আমি ভন্ডামি করি না। রাজনীতিকে আমি ইবাদত হিসেবে দেখি।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা ফতুল্লা অঞ্চলে ৬৫০ কোটি টাকার রাস্তা করেছি। ২৬০০শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চবটী-মুন্সিগঞ্জ সড়ক হচ্ছে, ১৩০০শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ চলমান আছে হয়তো জুন মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ১২-১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ আমরা শেষ করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে নামেনি ৬ জাপা প্রার্থী
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে ভোট চাই না, কেন? কারণ আপনি ঠিক করবেন আপনি কি চান। সিদ্ধান্ত আপনার।’
তিনি আরও বলেন ‘যত বড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না। আগামী ৭ তারিখে নির্বাচন হবেই। তারা আমাদের মানচিত্রে আঘাত করেছে। সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো দেশ বানাতে না চাইলে ভোট দিতে আইসেন। ভোট আমাকে দিয়েন না, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়েন; তবে ভোটটা দিয়েন।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘তাদের কোনো সুযোগ দিয়েন না। এবারের ভোটটা দেওয়া আপনাদের খুব দরকার। বিএনপি-টিএনপি কিচ্ছু থাকবে না, ছুড়ে ফেলে দিবে। লন্ডন থেকে বসে হুকুম দেয় বাসে আগুন দিতে, ওরা বলে জ্বি ভাইয়া।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর আমার প্রথম কাজ মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি; এগুলো বন্ধ করব। আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন, কেন করবেন এগুলো? কারণ আমি আল্লাহকে খুশি করে মরতে চাই।’
কাশীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির আলম ফাতুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কার্মীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনে প্রতীক পেয়েই জোর প্রচারণায় ১৩ প্রার্থী
চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা জোর প্রচারণায় নেমেছেন।
নির্বাচনী আচরণ মেনে ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন তারা। প্রথম দিনেই নির্ধারিত সময়ে মাইকিং শুরু করেছেন তারা। প্রচারণার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা শহরের সড়কে সড়কে প্রার্থীরা টাঙানো শুরু করেছেন পোস্টার।
প্রতীক পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা—১ আসনে ৬ জন ও চুয়াডাঙ্গা—২ আসনে ৭ জন প্রার্থী। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা—১ ও ২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনলেন যারা
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই শুরু হয়েছে আনুষ্ঠিানিক প্রচার—প্রচারণা। চুয়াডাঙ্গা শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা পোস্টার লিফলেট বিতরণ শুরু করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা—১ আসনে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন যারা-
আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন পেয়েছেন ‘নৌকা প্রতীক’, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ—কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছেন ‘ঈগল’, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আইনজীবী সোহরাব হোসেন পেয়েছেন ‘লাঙ্গল’, এনপিপি মনোনীত ইদ্রিস চৌধুরী পেয়েছেন ‘আম’, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ উপ—কমিটির সদস্য রাজ্জাক খান পেয়েছেন ‘ফ্রিজ’ প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমান পেয়েছেন ‘ট্রাক’ প্রতীক।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৪টি আসনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
পশ্চিমা প্রচারণা সত্ত্বেও মস্কো ঢাকার পরীক্ষিত বন্ধু: রাশিয়ান দূতাবাস
রাশিয়া বলেছে, পশ্চিমাদের ‘বাংলাদেশিদের চোখে তাদের দেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা’ সফল হবে না।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রুশ দূতাবাস বলেছে, ‘রাশিয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য, সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু ছিল ও থাকবে।’
দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশি ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্রে প্রকাশিত ১৪ জন কূটনৈতিক মিশনের প্রধানের সই করা একটি প্রতিবেদন তাদের চোখে পড়েছে।
প্রতিবেদনটিতে কোনো শক্ত প্রমাণ ছাড়াই রাশিয়াকে ‘আগ্রাসন’, ‘আক্রমণ’ ও ‘ইউক্রেনে অবৈধ যুদ্ধ’ চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যা বিশ্ববাজারে ইউক্রেনীয় শস্যের সরবরাহের চেইনের ব্যাঘাত ঘটায় এবং ফলে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে।
রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে, পশ্চিমা কূটনীতিকদের কাছ থেকে এটি শোনা আরও উদ্ভট যে ‘রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণে ইউক্রেনীয় কৃষি খাতের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হবে’। এটি বিষয়গুলোকে উল্টোভাবে উপস্থাপনের আরেকটি প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য ‘আত্মসচেতনমূলক নয়’: মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
দূতাবাস বলেছে, বলকান ও পরে পারস্য উপসাগরে ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের ফলে শুধুমাত্র বোমা হামলার স্থানেই নয়, হাজার হাজার কিলোমিটার দূরেও বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষিত হয়েছে।
তারা জানায়, নিজেদের স্বার্থে অন্য দেশগুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ব আধিপত্যের দাবিগুলো সুরক্ষিত করা এবং নিজেদের কল্যাণ, সামরিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যের উচ্চ পর্যায় বজায় রাখার স্বার্থে নেওয়া পশ্চিমা নীতির আরেকটি উদাহরণ এটি।
দূতাবাস জানিয়েছে, ‘আমরা লক্ষ্য করি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ঢাকা সফরের দিনে ১৪ জন পশ্চিমা কূটনীতিকের ‘সম্মিলিত কাজ’ প্রকাশিত হয়েছিল। তার প্রতিপক্ষ ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় তিনি বিস্তৃত মন্তব্য করেছেন। স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন (এসএমও) শুরু করার কারণ, ইউক্রেনের আশেপাশের এবং বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিশেষ অভিযান শেষ করার শর্ত প্রভৃতি বিষয় বিস্তৃতভাবে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে সম্পর্ককে 'কৌশলগত' পর্যায়ে নিতে চায় ঢাকা-প্যারিস
নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮৪ ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি সই
ঘূর্ণিঝড় মোখা: জেলেদের ফিরিয়ে আনতে ভোলায় কোস্টগার্ডের প্রচারণা
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত থেকে রক্ষা পেতে গভীর সাগর ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করতে যাওয়া ভোলার জেলেদের নিরাপদে বাড়ি ফিরে আনার জন্য মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলার কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল থেকে ভোলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসময় তারা জেলেদের সকর্ত করতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে সকর্ত করেন।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
অপরদিকে, ভোলার মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলেরাও নদীতে মাছ শিকার করছে। তবে সমুদ্রগামী অনেক জেলে আবহাওয়ার সংবাদ শুনে ঘাটে ফিরে এসেছে। তবে অনেকে এখনো সাগরে রয়েছে।
বিভিন্ন মাছ ঘাটে নদী ও সাগরে থাকা জেলেদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। যাতে করে গভীর সমুদ্রে থাকা জেলেরা নিরাপদে ফিরে আসতে পারে।
এছাড়াও জেলেরা যারা সাগরে বা দূরবর্তী স্থানে রয়েছে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে ঘাটের আড়ৎদার ও পরিবারে মাধ্যমে খবর পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা শুনে আতঙ্কে রয়েছে উপকূলের মানুষ। ইতোমধ্যে জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে শুরু করেছেন।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট মেহেদী হাসান গণমাধ্যমে জানান, গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মাছ ধরার ট্রলার যারা ভিএফএস রেডিও সেট ব্যবহার করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তারা অলরেডি উপকূলে ফিরে আসছে। আর যাদের কাছে ভিএফএস রেডিও নেই তাদের ক্ষেত্রে মাছঘাট ও মৎস্য মালিক সমিতির মাধ্যমে বার্তাটি পৌঁছানো হয়েছে।
তারাও তীরে ফেরত আসছে বলে মালিক সমিতি নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও প্রতিটি মাছঘাটে কোস্টগার্ড সদস্য মাইকিং করছে।
ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানান, সমুদ্রগামী জেলেদের তীরে ফিরিয়ে আনতে কোস্টগার্ড ও সিপিপি সদস্যদের মাধ্যমে প্রতিটি ঘাটে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ জেলে তীরে ফিরে এসেছে। বাকীরাও দ্রুত চলে আসবে।
অপরদিকে নতুন করে যাতে কোনো জেলে সাগরে যেতে না পারে সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: ঝড়ে চরে আটকে পড়া ২২ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড
সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা, চলছে বিরামহীন প্রচারণা
দীর্ঘ ১০ বছর পর বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাই জনসভাকে ঘিরে চলছে পক্ষকালব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি। আগামী ৪ ডিসেম্বর নগরীর ঐতিহাসিক রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এ জনসভা।
শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে এখন বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করতে নেতাকর্মীরা ব্যস্ত ব্যানার-পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগাতে। জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জনসভা সফল করতে দিন-রাত নগর থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে। নৌকার আদলে ১৬০ ফুট দীর্ঘ মঞ্চটি তৈরির কাজ চলছে। মঞ্চের মাঝখানের ৪০-৮০ ফুটের মধ্যে ২০০ অতিথি বসবেন। মঞ্চের উচ্চতা হবে সাত ফুট। ১৫ নভেম্বর থেকে ভেন্যু তৈরির কাজ শুরু হয়। জনসভার জন্য ঢাকা থেকে আসছে দেড়শ মাইক। মূলমঞ্চ ছাড়াও জনসভাস্থলের আশপাশে বসানো হচ্ছে সাতটি বড় পর্দা। এসব পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের বক্তব্য।
আরও পড়ুন: পঞ্চম দফা পৌর নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক শনিবার
এছাড়াও মঞ্চের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও নারীদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ১০ লাখ মানুষ এ সমোবেশে জড়ো হবেন বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
নগরীর প্রেসপাড়া খ্যাত আন্দরকিল্লাস্থ বিভিন্ন ছাপা খানায় ঘুরে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে চলছে শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেট তৈরির ধুম। এদিকে নগরীর সড়কে সড়কে শোভা পাচ্ছে হরেক রকমের ব্যানার-পোস্টার। যেখানে স্থান পাচ্ছে বিভিন্ন রকমের শুভেচ্ছা বার্তা। এছাড়া জনসভার স্থানে চলছে তুমুল প্রস্তুতি। প্রতিদিনই চলছে সভা-সমাবেশ মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা ধরণের প্রচার প্রচারণা। নগরীর ২০টি স্পটে চলছে টানা মাইকিং।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভা সফলে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
এছাড়া ২৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগর জুড়ে ঘোড়াগাড়ি ও ট্রাক নিয়ে ব্যাতিক্রমী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জনসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে পলোগ্রাউন্ডের জনসভার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক এমপি এবং নেতারা নিজ নিজ এলাকা থেকে লোকজন আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ থেকে প্রচুর লোকজন আসবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনসভায় আসবেন। ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। মাঠের বাইরে আরও ১০ দশ গুণ লোকের সমাগম হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের গৌরবময় ভূমিকা আছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের কাঁধে নিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও হয়তো চট্টগ্রামবাসীকে নিরাশ করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানাতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগমনকে ঘিরে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ উপক্ষে নগরীকে সাজিয়ে তুলতে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। নতুন করে রঙ করা হয়েছে নগরীর প্রধান ও বড় দুই ফ্লাইওভার, নগরীর প্রতিটি সড়ক ডিভাইডার, সরকদ্বীপসমূহ নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ আপামর জনগণের সংগঠন। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। সুতরাং ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে শুধু আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসবেন তা নয়। প্রিয় নেত্রীকে দেখতে চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই চলে আসবে। আর এতে পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাপিয়ে আশেপাশের এলাকাও জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১০ বছর পর একই মাঠে আবারও ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এ জনসভা সফল করতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ বুধবার, আওয়ামী লীগের হুঁশিয়ারি
নির্বাচনী প্রচারণার পিকআপ ভ্যান থেকে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণা মিছিলের পিকআপ ভ্যান থেকে পড়ে দুই্ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের মনারখিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো ঠেকারহাট হাজী আহম্মদ উল্ল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মেহেরাজ উদ্দিন (১২) ও উদয় সাধুরহাট ইকরা প্রি-ক্যাডেট একাডেমির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. সম্রাট (১১) ।
আহত দক্ষিণ জগৎপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে মো. রাসেল (২০) এবং মো. সেলিমের ছেলে মো. জয়নালকে (২১) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকাল থেকে পিকআপ ভ্যানে করে উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন বাবলুর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে মেহেরাজ ও সম্রাট সহ স্থানীয় আট থেকে ১০ জন স্কুল ছাত্র। এক পর্যায়ে চলন্ত পিকআপ ভ্যানের পিছনের ঢালাটি আকস্মিক খুলে যায়। এতে কয়েকজন পিকআপ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় মেহেরাজ পিকআপের চাকায় পিস্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। আহতদের প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে সম্রাট মারা যায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন বাবলু দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় নয়, তবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র্যালিতে অংশ নেয়া একটি পিকআপের ড্রাইভার হঠাৎ হার্ড ব্রেক করলে পিকআপ ভ্যানের ঢালা খুলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করে নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পড়ুন: পাবনায় নির্বাচনী সংঘর্ষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত, আহত ২৫
ঢাকা সিটি নির্বাচন: আজ শেষ হচ্ছে প্রচারণা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের প্রচারণা বৃহস্পতিবার রাতে শেষ হচ্ছে।