২ কৃষক
গাইবান্ধায় বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
গাইবান্ধায় পৃথক স্থানে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে শিপন মিয়া ও ফুলমিয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সাঘাটা ও সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গড়দীঘি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা দুইটি ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে কৃষকসহ ২ জনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, শিপন মিয়া গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বেলতৈল গ্রামে ধানকাটার কাজ করছিলেন। এমন সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অন্যদিকে গড়দীঘি গ্রামে ধান কাটার সময় ফুলমিয়া বজ্রপাতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
বজ্রপাতে তিন জেলায় ৫ জনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পৃথক বজ্রপাতে মালেক নুর ও আব্দুন নুর নামে ২ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
নিহতরা হলেন, উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মৃত উকিল আলীর ছেলে মালেক নুর ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুন নুর।
স্থানীয়রা জানান, পাকা ধান মাড়াই করার সময় হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড়ের সঙ্গে বিকট শব্দে বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে মালেক নুর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রায় একই সময়ে কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুন নুর হাওর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতের কবলে পরে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
কুলঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেন ও ভাটিপাড়া ইউপি সদস্য এমদাদ চৌধুরী মিন্টু পৃথক বজ্রপাতে নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বজ্রপাতে নিহতের খবর পেয়েছি।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
নওগাঁর ধামইরহাটে অগভীর নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার দুপুর একটার দিকে ধামইরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড জয়জয়পুর গ্রামের পূর্ব মাঠ চুনপুকুরায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই কৃষক হলেন- জয়জয়পুর গ্রামের মোতাব্বের হোসেন মনা এবং একই গ্রামের কৃষি শ্রমিক সামছুন মুরমু।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, জয়জয়পুর গ্রামের কৃষক দুলাল হোসেন তার জমিতে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কাছে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার নামে একটি শ্যালো টিউবওয়েল (এসটিডব্লিউ) বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ওই টিউবওয়েলে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে যান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্যরা। সংযোগটি প্রদানের সময় কৃষক দুলাল হোসেন, তার ছেলে মোতাব্বের হোসেন মনা, আব্দুল্লাহ আল রাফি ও কৃষি শ্রমিক সামছুন মুরমু টিউবওয়েলের ঘরের টিনের ছাউনি মেরামতের জন্য চালার ওপর কাজ করছিলেন।
ওই মুহূর্তে তাদের অজান্তেই আকস্মিক বিদ্যুতের তারে সংযোগ দেয় পল্লী বিদ্যুতের সদস্যরা। এ সময় চালার ওপর থাকা কয়কজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোতাব্বের হোসেন মনা এবং সামছুন মুরমুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া আহত মনার বাবা দুলাল হোসেন ও তার ছোট ভাই রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ধামইরহাট জোনের উপমহাব্যবস্থাপক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুলাল হোসেনের নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। দুলাল হোসেনের নলকূপ ঘরের টিনের ছাউনির কাজ শেষ হলে সংযোগ দেওয়ার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ বিদ্যুৎ পোলের কাছে বিকট শব্দে নলকূপে বিদ্যুৎ লাইনে সংযোগ চলে আসে। এতে এ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, আমি পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ছাত্রলীগ কর্মীর