বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন
দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি বিএফইউজের
দ্রুত নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের সভায় এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন খায়রুল বাশার, একেএম মহসিন, বাছির জামাল, শহীদুল ইসলাম, এরফানুল হক নাহিদ, আবু বকর, শাহীন হাসনাত।
আরও উপস্থিত ছিলেন, মোদাব্বের হোসেন, অপর্ণা রায়, খুরশীদ আলম, হামিদুল হক মানিক, আবু হানিফ, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, কাজী বিপ্লব হাসান, সাখাওয়াত হোসেন মানিক।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে এডিটরস গিল্ড ও বিএফইউজের নিন্দা
সভায় সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন বন্ধ; সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক খুনের বিচার; সাংবাদিক সুরক্ষা আইন; ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিল; গণমাধ্যমের ওপর থেকে সব ধরনের চাপ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ; সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার; গণমাধ্যমের বকেয়া সরকারি বিজ্ঞাপন বিল পরিশোধের উদ্যোগ এবং গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া সভার এক সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার তীব্র নিন্দা এবং গণহত্যা বন্ধের দাবি জানানো হয়।
এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের কমিটি বাতিল করে সিনিয়র সাংবাদিক বদিউল আলমকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আবু সিদ্দিক ওসমানী, হাসানুর রশিদ, এম আর মাহবুব ও মোহাম্মদ হাশিম।
২৩৭ দিন আগে
সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা বিএফইউজে’র
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
অবলিম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার বিএনপির ডাকা সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালাতে গেলে সেই দৃশ্য ধারণ করেন সাংবাদিকরা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা। তারা হামলে পড়েন সাংবাদিকদের ওপর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট শেখ নাসির। তার ওপর হামলা করে বিএনপি কর্মীরা। রাজারবাগ এলাকায় একুশে টেলিভিশনের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাঙচুর করে জামায়াত-বিএনপির কর্মী। এসময় আহত হন একুশে টিভির সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপার্সন আরিফুর রহমান। নাইটিঙ্গেল মোড়ে ভাঙচুর করা হয় যমুনা টেলিভিশনের একটি গাড়ি।
আরও পড়ুন: সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি বিএফইউজে’র
এতে আরও বলা হয়, এছাড়া আরামবাগ মোড়ে নটরডেম কলেজের সামনে বিএনপির কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস। তিনি জানিয়েছেন যুবদল কর্মীরা তাকে মারধর করে ক্যামেরা নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের পোস্টার-ফেস্টুনে রাস্তার মাঝে আগুন দেওয়ার ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালায়। নয়াপল্টন সংলগ্ন নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি কর্মীদের হাতে আহত হয়েছেন সময় টিভির সাংবাদিক মারুফ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক রাফসান জানি। প্রাণ বাঁচাতে তিনি সেগুনবাগিচার দিকে দৌঁড় দিলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে রাফসান রাস্তায় পড়ে যান। এসময় তার মাথা ও সারা শরীরে বেদমভাবে আঘাত করা হয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা যাতে কোনো ছাড় না পায় তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএফইউজে নেতারা।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজধানীতে সহিংসতার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএনপি কর্মীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। আহত পাঁচ সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা এবং ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের
বিএফইউজে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
৭৬৯ দিন আগে