মিহির
কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি ২: তুলসী চরিত্রে ফের ছোট পর্দায় স্মৃতি ইরানি
গত ২৯শে জুলাই, ২০২৫ মুক্তি পেলো নন্দিত হিন্দি সিরিয়াল ‘কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি’-এর দ্বিতীয় কিস্তি। কমেডি ঘরানার ধারাবাহিকটি প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিলো ২০০০ সালে। সেই থেকে ছোট পর্দায় একটানা দীর্ঘ ৮ বছরের রাজত্ব এই অপেরা সোপের। গল্প, চরিত্র, সংলাপ, ও সঙ্গীত; প্রতিটি ক্ষেত্রে সিরিজটির ছিলো স্বতন্ত্র পরিচিতি। এত বছর বাদে সোনালী দিনের সেই চরিত্রগুলোকে আবারও প্রাণবন্ত হতে দেখে নস্টালজিয়ায় ভাসছেন ভক্তরা। চলুন, সিরিজের পুরনো তারকাদের দলে নতুন নাট্যশিল্পী আর নির্মাণের নেপথ্যে থাকা নামগুলোর ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
নেপথ্যের কলাকুশলী ও অভিনয়শিল্পীরা
পরিবার কেন্দ্রিক ধারাবাহিকটি তৈরি করেছেন একতা কাপুর। প্রথম কিস্তির মতো এটিও নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বালাজী টেলিফিল্মসের ব্যানারেই তিনি তৈরি করেছেন। প্রযোজনা টিমে সাথে ছিলেন মা শোভা কাপুর। রচনায় ছিলেন রাজেশ জোশী, অনন্তিকা সাহির এবং ধীরাজ সার্না। পরিচালনা করেছেন মুজাম্মিল দেশাই এবং খাজা মুঘল।
‘কিউঙ্কি সাস ভি কাভি বহু থি’ থিম সং-এ এবারও শোনা গেছে প্রিয়া ভট্টাচার্যের সেই চিরচেনা কণ্ঠ।
শ্রেষ্ঠাংশে ‘তুলসী’ নিয়ে আবারও হাজির হয়েছেন স্মৃতি ইরানি। তার সাথে মিহির হিসেবে যথারীতি রয়েছেন অমর উপাধ্যায়। নতুন মুখগুলোর মধ্যে রয়েছেন শাগুন শর্মা, রোহিত সুচান্তি এবং আমান গান্ধী।
আরো পড়ুন: রণবীর কাপুর-যশের রামায়ন হতে যাচ্ছে ভারতীয় ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র
প্রথম পর্বের প্রিমিয়ার হয় স্টার প্লাস চ্যানেলে। পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জিওহটস্টারেও শোটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
পুরনো আবহে নতুন কলরব
শুরুতে স্নিগ্ধ সুরের পটভূমিতে সম্ভাষণ জানায় গণপতি মূর্তি। এই আধ্যাত্মিকতার রেশ ধরে একে একে উদ্ভাসিত হতে থাকে ভারতের প্রসিদ্ধ সব মন্দিরগুলো।
গল্পের চরিত্রগুলোকে স্বাগত জানানো শুরু হয় ভিরানী পরিবারের ঐশ্বর্যমন্ডিত পরিবর্তন দিয়ে। ভিরানীরা এখন আগের থেকে আরও বেশি ধন-দৌলত, প্রভাব ও প্রতিপত্তির অধিকারী। বিলাসিতায় কোনও ঘাটতি না থাকলেও কিছু জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে শূন্যতা। প্রিয় চরিত্রগুলোর একজন, বাড়ির মাতামহ বা মারা গেছেন। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত সুধা শিবপুরী।
মূখ্য চরিত্রগুলোর একজন তুলসীর শাশুড়ি সাবিতাও গত হয়েছেন। এই ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আপারা মেহতা। অবশ্য তার উপস্থিতি একেবারে ম্লান হয়ে যায় নি। তুলসীর ৩৮তম বিবাহবার্ষিকীতে এক মর্মস্পর্শী মুহূর্তের অবতারণা ঘটে। সেখানে তুলসী দেখে যে তার শাশুড়ি মা তাকে আশীর্বাদ করছেন। সেই চির চেনা লাল বিন্দি এবং সুর্মা দেওয়া চোখ রাঙিয়ে মজার ছলে বকে দিচ্ছেন তাকে। যেন শাশুড়ির অবর্তমানে বেজায় সুখে থাকার জন্য বউকে ভর্ৎসনা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫-এ ৩৫ লক্ষাধিক পেইড ভিউ: বাংলাদেশের ওটিটি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন রেকর্ড
পুরো পরিবারটি এখন আগের থেকে বেশ ছোট। কেননা হেমন্ত এবং গৌতম শান্তি নিকেতন ছেড়ে চলে গেছেন। দুজনেরই হয়েছে আলাদা আলাদা সংসার। নতুন প্রজন্ম হয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পরী, অঙ্গদ, আর ঋত্বিক।
তুলসীর স্বামী মিহির এখন একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী। তার প্রতিটি সকাল শুরু হয় কানে ব্লুটুথ আর স্ত্রীর হাতে বানানো প্রোটিন শেক-এ চুমুক দিয়ে।
কালেশ ওরফে গায়ত্রী চাচি এখনও তার পুরনো অভিযোগ নিয়ে পড়ে আছেন। কমলিকা গুহ ঠাকুর্তা অভিনীত এই চরিত্রটির তুলসী-মিহির দম্পতির উপর ভীষণ রাগ। তার অভিযোগ- তারা পরিবারের সবাইকে নির্বাসনে পাঠিয়ে আধুনিক সীতা আর রামের মতো এই পরিবারটাকে শাসন করে চলেছে।
শেষাংশ
একতা কাপুরের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি 2’ (দ্বিতীয় কিস্তি) বর্তমানে ভক্তদের অপার নস্টালজিয়ার কারণ। তুলসী চরিত্রে স্মৃতি ইরানির প্রত্যাবর্তন সোনালী যুগের নাট্য আবহকে মনে করিয়ে দিচ্ছে নাট্যপ্রেমিদের। এই মুগ্ধতাকে আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে অপরিবর্তিত থাকা থিম সং। পুরনো তারকাদের দলে নতুন মুখগুলো পুরনো আবহে নতুন গল্পের পথ বাতলে দিচ্ছে। এটি কেবল নতুনত্বের হাতছানি নয়, একই সাথে সিরিজের স্বকীয়তা অটুট থাকার প্রচ্ছন্ন প্রেক্ষাপট।
আরো পড়ুন: হৃদরোগে ওউন্ড ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এ কে রাতুলের মৃত্যু
১২৬ দিন আগে
ওই ছেলে হিমুকে রেখে কবে পালিয়ে যেত: হিমুর প্রেমিক প্রসঙ্গে মিহির
সম্প্রতি মারা গিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। তার মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনেক রহস্য। এরই মধ্যে তার প্রেমিক জিয়াউদ্দিন রাফিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার এই তারকার মৃত্যু নিয়ে কথা বললেন তার মেকআপ আর্টিস্ট মিহির।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে আলোচিত মিহির নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন। ১৫ মিনিটের সেই লাইভে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানান।
মিহির বলেন, ‘ফেসবুকে আমাকে নিয়ে ঝড় তুলছে কিছু মানুষ। আমি হেন, আমি তেন, আমি ড্রাগ ডিলার। তারপর পুলিশ আমাকে রিমান্ডে নেয় না কেন?’
আরও পড়ুন: মায়ের পাশে সমাহিত হবেন হিমু
তিনি বলেন, ‘আপনারা যে এটা লিখেছেন আপনারা কি জানেন আমি এই তিন দিন কোথায় ছিলাম? আমি হিমুকে বাসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি, যখন ডাক্তার ঘোষণা দিয়েছে যে হিমু মৃত, সঙ্গে সঙ্গে হিমুর বয়ফ্রেন্ড দুটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারপর হিমুর খালারা আসছে, আমরা থানায় গিয়েছি, স্টেটমেন্ট দিয়েছি। তখন থেকে আমি কালকে (শনিবার) পর্যন্ত থানায় বসা ছিলাম। শনিবার সকালে ওসি আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পুরান ঢাকা পাঠাইছেন। ওখানে গিয়ে আমি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সাক্ষী দিই। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে বলেছেন যে ঠিক আছে আপনি এখন যেতে পারেন। এসআই সাব্বির ভাই বলল আপনার আর কোনো কাজ নেই আপনি যেতে পারেন। এই তিন দিন ধরে আমাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে, নজরবন্দিতে রাখা হয়েছে। আমার ফোন টেপ করা হয়েছে। আমাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে। হাজার হাজার প্রশ্ন করা হয়েছে।’
প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের কথা উল্লেখ্য করে মিহিরি বলেন, ‘তাজিন আপা মরছে আমি ছিলাম, হিমু মরছে আমি ছিলাম এ বিষয়টি আপনাদের ভাবিয়ে তুলছে। এই পাঁচ বছরের ব্যবধানে দু’জন মানুষ মরছে আমি ছিলাম। এরা আমার নিকট আত্মীয় ছিল, ফ্যামিলি মেম্বারের মতো।’
তিনি বলেন, ‘তাজিন আপা আমাকে বলত মুন্নার সঙ্গে আমার যখন বিয়ে হইছে তোর মতন ছেলে হইত আমার। তাজিন আপা আমাকে নিজের ছেলের মতো সম্বোধন করত। তাজিন আপার বাসায় ছিলাম বলে আমি আপাকে নিয়ে হাসপাতালে গেছি। চিকিৎসা করাইছি। চিকিৎসা করতে গিয়ে উনি তিন-চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা পরে মারা গেছেন। আর না হলে তো তাজিন আপা স্ট্রোক করে বাসায় মরে পড়ে থাকত। সাতদিন ধরে দরজা বন্ধ থাকত পরে লাশ বের করতে হইত। আপনারা খবর পাইতেন। আমি ছিলাম বলে এরকম কিছু হয়নি। এটা কেউ বলে না যে, তুই ছিলি বলে আমরা তাজিন আপারে ফ্রেশ তরতাজা দাফন করতে পারছি।’
হিমুর প্রেমিকের প্রসঙ্গ টেনে মিহির বলেন, ‘আমি না থাকলে হিমুর বয়ফ্রেন্ড তাকে ঘরের ভেতর ঝুলাইয়া রাইখা দরজা বন্ধ কইরা পালাইয়া যাইত। এটা কি হতো না? এটা তো কেউ বলেন না যে, তুই ছিলি বলে হিমুকে আমরা বের করে আনতে পারছি বা ওকে ধরতে পারছে পুলিশ। হিমুর বয়ফ্রেন্ড ইন্ডিয়ান। না হলে তো ওই ছেলে হিমুকে রেখে কবে পালাইয়া যাইত। ঠান্ডা মাথায় পলাইয়া যাইত। আমি ভালো করছি এটা কেউ বলে না। সব খারাপ করছি, আমি রাবন। আমাকে পারলে ফাঁসি দিয়ে দেন। আপনারা একটা মানুষ আছেন, কেউ আছেন যে আমার পাশে দাঁড়াবেন। আমার খোঁজ নিয়েছেন। আমি কেমনে আছি, আমার মানসিক যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি মানুষ না। আমার কষ্ট হচ্ছে না হিমু আমার বোনের মতো, মরে গেছে, আমার কি ভেতরে সুখ লাগতেছে, আমার ভালো লাগতেছে। আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলার জন্য সকলে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।’
আরও পড়ুন: সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না: অমিতাভ রেজা
মিহির বলেন, ‘হিমু মরছে আমি ছিলাম। এখন আমি করছি না ওই ছেলে করছে সেটা তো ওই ছেলে নিজেই স্বীকার করছে। তারপরও কেন আপনাদের ভেতর এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব যে মিহির ছিল। মিহির ছিল বলেই তো ফ্রেশ হিমুরে বের করে হাসপাতালে নিয়ে আসছে। আমি উপকার করছি এই জন্য আমাকে সকলে মিলে ফাঁসি দিয়ে দেন। আমার কেউ নেই তো, কোনো বড় লেভের মানুষ নেই যে আমাকে সাপোর্ট দেবে, ব্যাকআপ দেবে। আমি মনে করতাম মিডিয়া আমার ফ্যামিলি, আমি কাজ করি, সবাই আমার পরিবার, আমি যখন যেখানে কাজ পাই তাদের জন্য মন থেকে কাজ করি। এমনকি অতিরিক্ত কাজও করে দেই। তাদের যে কাজ আমার করার না এগুলোও আমি করি শুটিংয়ের সেটে। আমি সেটে সবাইকে আপন করার চেষ্টা করি। সবাইকে ভালো করে সার্ভিস দেই। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি এত বছরের সার্ভিসে। আমার ভুলটা কোথায় একজন বের হন, একজন গাইড করেন আমাকে। তা না খালি আমাকে নিয়ে বড় বড় কথা আর বদনাম করবেন, করেন। আমি যদি কোনো ধরনের খারাপ কাজ করতাম তাহলে ভয়ে পালাইয়া যাইতাম। আমার ভেতরে ভয় লাগে না। আমার ভেতরে ঘেন্না লাগছে, ভেতরে কষ্ট হচ্ছে। আপনাদের জন্য মায়া হচ্ছে যে, আপনারা এতটা নেগেটিভ যে আপনারা মানুষকে নিয়ে ভাবতে পারেন না। মানুষের সাহায্য করতে পারেন না।’
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র
৭৬০ দিন আগে