সুষ্ঠু নির্বাচন
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি, ফলাফলও সবার মেনে নেওয়া উচিত: মৌনির সাতৌরি
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং এর ফলাফল সবাইকে সম্মান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতৌরি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ সফর শেষ করার আগে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সাতৌরি বলেন, ‘অবশ্যই আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে হতে হবে এবং নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। বাংলাদেশে নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতার জন্য এই শর্ত অপরিহার্য।’
‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচন কেবল একটি ধাপ মাত্র। সব রাজনৈতিক অংশীদাররা যেন ঐকমত্য তৈরি হওয়া সংস্কারগুলোকে সমর্থন করে। সেইসঙ্গে সেগুলোর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইসাবেল উইসেলার-লিমা (ইপিপি, লুক্সেমবার্গ), আরকাদিউস মুলারচিক (ইসিআর, পোল্যান্ড), উরমাস পায়েত (রিনিউ ইউরোপ, এস্তোনিয়া) এবং ক্যাটারিনা ভিয়েরা (গ্রিনস/ইএফএ, নেদারল্যান্ডস)।
৭৬ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: মুফতি রেজাউল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিগত দিনে যারা দেশ পরিচালনা করেছে, তাদের শাসন আমরা দেখেছি। আমরা আমাদের সন্তানের লাশ দেখতে চাই না। ইতোমধ্যে সামনে কী হবে, তা আমরা অনুমান করতে পারছি। চাঁদার জন্য পাথর মেরে মানুষ হত্যা, লাশের ওপর নৃত্য করতে দেখেছি। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মারামারি করতেও দেখেছি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। সুতরাং পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানো যাবে না।
পড়ুন: আইন পরিবর্তন হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে: সিইসি
শরীয়তপুর জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ তারেক জামিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আবরারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজিজুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি এস এম আহসান হাবিব।
১০০ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে বড় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিরাপদ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ১২তম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে পুলিশে ১৫ হাজার ৮৫১ জন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিজিবিতে ৪ হাজার ৪৬৯ জন, আনসারে ৫ হাজার ৫৫১ জন, কারা অধিদপ্তরে ১ হাজার ৫৫৮ জন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে ২০৮ জন নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়োগের মধ্যে কিছু নতুন পদ, কিছু আবার শূন্যপদের বিপরীতে। পুলিশের ক্ষেত্রে কনস্টেবল ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদে, আর আনসার ও বিজিবিতে সমমানের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১৫ আগস্ট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া নির্দেশনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা ছিলো— যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা।’
পড়ুন: মব জাস্টিস কমাতে কাজ করছি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সম্প্রতি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৮ জন কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল থেকে ৬০ দিন বা তার বেশি সময় অনুপস্থিত থাকা ডেজারশন অপরাধ। সে অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং তা অব্যাহত থাকবে।
হয়রানিমূলক মামলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ কেউ যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন। তবে যে দোষী, সে কোনো অবস্থাতেই ছাড় পাবে না। নির্দোষ কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হলে আপনারা মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ সময় তিনি সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।
১০৮ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আদায় করে ছাড়ব: রংপুরে ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কারগুলো আদায় করে ছাড়ব। সুষ্ঠু নির্বাচনও ইনশাআল্লাহ আদায় করে ছাড়ব।’
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনসহ ৪ দফা দাবিতে রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না।ভোটকেন্দ্রে কোনো মাস্তানতন্ত্র চলতে দেওয়া হবে না, কালো টাকার কোনো খেলা সহ্য করা হবে না।’ মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মব কালচার চলছে। কিন্তু এসব সহিংসতায় জামায়াতের কোনো কর্মী জড়িত নয়। ১৯৭২ সাল থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে। জামায়াত সবসময় মব রাজনীতির বিরুদ্ধে।’
পড়ুন: মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আর সেই পরিবেশ তৈরির জন্যই আমরা মৌলিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নিজেদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনা, এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বহু ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা শুনতে পাচ্ছি, বহু ধরনের কথা ময়দানে শুনতে পাচ্ছি। বহু ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আলামত বুঝতে পারছি। আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেই- এই শেখ হাসিনা, তার হাতে সকল বাহিনী ছিল। দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল, জায়গায় জায়গায় নিজের লোক বসিয়েছিল। মান্তানদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল। কিন্তু যখন জনগণের জাগরণ, জনগণের বিস্ফোরণ হয়েছে, তখন তাকে কেউ রক্ষা করতে পারেনি।
জামায়াতপ্রধান বলেন, যেই জনগণ এতো মূল্য দিয়ে একটা পরিবর্তন এনেছে, সেই জনগণ আরেকটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেবে না ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি ফ্যাসিবাদবিরোধী এই লড়াই ততদিন চলবে, যতদিন দেশে ফ্যাসিবাদের সামান্য চিহ্নও থাকবে। ফ্যাসিবাদেকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই কেউ থামাতে পারবে না।
পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
জনসভার প্রধান বক্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি আজ মুক্তভাবে কথা বলতে পারছি। কিছুদিন আগেও আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবে, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানত না। আজকে আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লাখো জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পরানো হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হয়ে ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। তবে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
জনসভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শহিদ আবু সাঈদের বাবা ও বড়ভাই রমজান আলীসহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগরের আমির এটিএম আজম খান।
জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম।
১৫৩ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে অপরাধবোধ করব: অধ্যাপক ইউনূস
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে অপরাধবোধ করবেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জোর দিয়ে বলেছেন, তারা এখন যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সাহস পেয়েছি। আমরা যদি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারি—তবে আমিও অপরাধবোধ করব।’
রবিবার (২৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দুটি পৃথক বৈঠকের পর প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য উদ্ধৃত করে এসব কথা বলেন।
রবিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সকল প্রচেষ্টা চলছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যের কারণে দেশ এক বিরাট সংকটের মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
মান্না বলেন, ‘এর জন্য প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বাস করেন যে, সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস সচিব আলম আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি এই পদে থাকা পর্যন্ত দেশের স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে—এমন কিছু হতে দেবেন না।
রাজনৈতিক ঐকমত্যের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের অবশ্যই বিভাজন দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতারা প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন এবং তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
নির্বাচনী রোডম্যাপ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তিনি আগামী বছরের ৩০ জুন পার করবেন না। ‘আপনাদের তার উপর আস্থা রাখতে হবে।’ বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি তিনি এক কথার মানুষ।’
এর আগে, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ এবং মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ রাজনৈতিক নেতাদের একটি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাজনৈতিক নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জুসহ অন্যান্যরা এতে যোগ দেন।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ তিনজন উপদেষ্টাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে, মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমেদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নুরুল হক নূর, মাওলানা মুসা বিন ইজহার এবং মুফতি মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন রাজী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উত্তেজনা: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল
এরআগে গতকাল শনিবার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা পৃথকভাবে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
অধ্যাপক ইউনূস শনিবার পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জোর দিয়ে বলেন যে সরকার আগামী বছরের জুনের পরে এগোবে না।
শনিবারের বৈঠকের পর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস তার কথায় অটল। তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় দিয়েছিলেন। তিনি এর বাইরে যাবেন না।’ পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে জানান তিনি।
আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করার সময় একই কথা জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বারবার এই ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত কথা উল্লেখ করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে, প্রধান উপদেষ্টা তার কথা রাখবেন।
আরও চাপ দেওয়া হলে, আলম বলেন যে ৩০ জুন একটি নির্দিষ্ট তারিখ এবং প্রধান উপদেষ্টা এর বাইরে যাবেন না।
আলম বলেন, রাজনৈতিক নেতারা তার (প্রধান উপদেষ্টার) নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং শনিবার তিনটি বৈঠকই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৩ দিন আগে
ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের (এএনএফআরইএল) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।’
আরও পড়ুন: বাধা দূর করে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদলে ছিলেন, নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, প্রচারাভিযান ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্ডু অ্যাবেইরাথনা, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
এএনএফআরইএল হলো নাগরিক সমাজের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক যা এশিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়নে নিবেদিত, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈঠকে, এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে নাগরিক সমাজের-নেতৃত্বাধীন স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাঠামো পুনর্গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতার যাচ্ছেন ৪ নারী ক্রীড়াবিদ
প্রতিনিধিদলটি অংশীজন ম্যাপিং এবং চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা জোরদার এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা করে।
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
২২৯ দিন আগে
জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ: তারেক
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি জয়লাভ করবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ।
তিনি বলেন, ‘এখন প্রয়োজন সর্বত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। একইসঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা—যাতে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সুখ ও দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নেতা-কর্মীদের দায়িত্বশীল ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংসসহ খাদের কিনারায় ফেলে গেছে। এখন সবাই মিলে দেশকে টেনে তুলতে হবে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসাসহ সকল উন্নয়নের জন্য হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না, একইসঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল।‘
আরও পড়ুন: রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির কয়েক লাখ মানুষের নামে গায়েবি মামলা হয়েছে। বিএনপির হাজারও নেতাকর্মীকে খুন ও গুম করা হয়েছে। ২৪’র জুলাই-আগষ্টে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। কয়েক হাজার আহত হয়েছেন। এদের রক্তকে মূল্য দিতে হবে।
২৮৩ দিন আগে
যোগ্য ইসির অধীনে জাতীয় ঐক্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান গণফোরামের
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শক্তিশালী ও যোগ্য নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে গণফোরাম।
শনিবার গণফোরামের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণফোরামের সমন্বয়কারী দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসিন মন্টু।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আজকের সরকার জনগণের সরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা সরকারকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করব।’
আরও পড়ুন: গণফোরামের দুই পক্ষ এক হচ্ছে
মন্টু বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। আমরা সংবিধান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচার বিভাগ নিয়ে আলোচনা করেছি।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবশ্যই সিন্ডিকেট নির্মূল করতে হবে। আমাদের জাতীয় ঐক্য রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দলের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং চলমান সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে দ্রুত আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
সংস্কার কাজ শেষ না করে নির্বাচন হলে পরিস্থিতি আগের মতোই থাকবে বলে মনে করেন তারা।
মন্টু বলেন, ‘আমরা চাই খুব দ্রুত নির্বাচন হোক। কিন্তু আমরা কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করে দিইনি। নির্বাচনের আগে আমরা রাম হিসেবে কাজ করি এবং নির্বাচনের পরে আমরা 'রাবণ' হয়ে যাই।’
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি বা প্রয়োজনীয় যা কিছু করা দরকার তা করতে হবে।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া চলতি পর্বে এটি দ্বিতীয় সংলাপ।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানো এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।
আরও পড়ুন: গণফোরামের সভাপতির পদ ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ড. কামাল
গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি
৪১১ দিন আগে
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
বাংলাদেশের সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা পরিহার এবং শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৬ নভেম্বর (স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের বার্তায় অবিচল রয়েছি এবং ভোটের তারিখ ঘোষণার পরও সেই বার্তা একই রয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
মিলার বলেন, 'আমরা বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। মিলার বলেন, 'আমরা একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে বেশি পছন্দ করি না।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যানের সাক্ষাৎ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত তাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
মিলার বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো হুমকিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিই। আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের প্রতি সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে লক্ষ্য করে 'হুমকিমূলক বক্তব্য' -এর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।’
মিলার স্মরণ করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি তারা এই বাধ্যবাধকতাগুলো পালন করবে।’
আরও পড়ুন: বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: মোমেন
৭৪৯ দিন আগে
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে মনোযোগ মার্কিন পর্যবেক্ষণ মিশনের: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন বিষয়ক পর্যবেক্ষণ মিশনের মূল ফোকাস।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমেরিকার প্রি-অ্যাসেসমেন্ট টিম আমাদের রোল, দায়িত্ব, কর্মকাণ্ড, সরকারের সঙ্গে ইসির (নির্বাচন কমিশন) কো-অর্ডিনেশন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের আমাদের পক্ষ থেকে ইসির রোল, সরকারের রোল, সরকারের সঙ্গে ইসির কো-অর্ডিনেশন সবকিছু সম্পর্কে জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো ঘাটতি হবে না: সিইসি
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি তারা আমাদের কাছে যা যা জানতে চেয়েছেন, আমরা সবকিছু জানিয়েছি। এরপরে তারা কী করবেন আমরা জানি না। তারা হয়তো দেশে ফিরে গিয়ে পর্যালোচনা করে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি পাঠাবে না- এর সিদ্ধান্ত নেবেন।’
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) ৬ সদস্যের যৌথ প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন (পিইএএম) নির্বাচনের প্রস্তুতি রক্ষণাবেক্ষণ ও এর অগ্রগতির একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে শনিবার বাংলাদেশে এসেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আইনত সঠিক হয় কি না তা দেখবে ইসি : সিইসি
১২ অক্টোবর পর্যন্ত তারা সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের সহ-সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন- মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক সহযোগী পরামর্শদাতা জামিল জাফর, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং আইআরআই’র এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও।
দলটি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
৭৮৬ দিন আগে