মিথ্যা প্রতিবেদন
মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের বিরুদ্ধে সরকার আইনি ব্যবস্থা নেবে: উপ প্রেসসচিব
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আব্দুল কালাম আজাদ মজুমদার সতর্ক করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা কখনও কাউকে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের লাইসেন্স দেইনি। সরকার এখন থেকে ভুল তথ্য ছড়ানো যে কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৪ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আজাদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখবে এবং গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৪০০ জনেরও বেশি রাজনৈতিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করা একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছে। এটিকে ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছে। একই সঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী ও ভাড়া নিলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আজাদ বলেন, সরকার আশা করে, ‘ভুল, বিভ্রান্তিকর’ প্রতিবেদন প্রকাশকারী সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের ভুল সংশোধন করবে, ভুল প্রতিবেদন প্রকাশের জায়গায় একটি সংশোধনী প্রকাশ করবে এবং তাদের পাঠকদের ও এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হওয়া বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবে।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
১৮৩ দিন আগে
টাকা দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে আ. লীগের দোসররা: রিজভী
আওয়ামী লীগের দোসররা তাদের অবৈধ টাকা দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের উত্থানের বিষয়ে মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিকটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসব বলেন তিনি।
রিজভী বলেন,‘পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি অবৈধ টাকার মালিক। তাদের অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করছেন। কথা বলতে পারছেন। নির্ভয়ে ও স্বস্তিতে ঈদ পালন করেছেন। শেখ হাসিনার আমলে যা সম্ভব ছিল না।’
আরও পড়ুন: সংস্কার সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব
আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে নাটক করে সেটা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন। এটা ক্ষমতায় টিকে থাকতে তার রাজনৈতিক কৌশল ছিল। একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও তা উঠে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘কালো টাকা খরচ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। অস্থিরতা তৈরি করতে দেশকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে অভিমত দেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার (৩১ মার্চ) নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের উত্থানের শঙ্কা প্রকাশ করে একটি প্রতিবেদন করা হয়। এ প্রতিবেদনটি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
২৪৬ দিন আগে
‘মিথ্যা প্রতিবেদন’: একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে মুশফিকের আইনি ব্যবস্থা
বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ চলাকালে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
গত ৬ ডিসেম্বর প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে মুশফিকের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান একাত্তর টিভিকে আইনি নোটিশ পাঠান।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত
নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো-
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিবেদনটি অবিলম্বে অপসারণ, ক্ষমা প্রার্থনা সম্বলিত একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবেদককে সতর্ক করা।
লিগ্যাল নোটিশে জোর দিয়ে বলা হয়- একাত্তর টিভির মতো একটি স্বনামধন্য চ্যানেলে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ অপ্রত্যাশিত এবং সাংবাদিকতার নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হন মুশফিক। বোলারের বল ডেলিভারির পর ব্যাট দিয়ে রক্ষা করার পরে আবার তা দূরে ঠেলে দিয়ে তিনি ক্রিকেটীয় আইন লঙ্ঘন করেছিলেন, কারণ ব্যাটসম্যানদের ডেলিভারি খেলার সময় বা পরে বল পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে এই ধরনের প্রথম আউট।
একাত্তর টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশফিকের আউটের সঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ের সম্পর্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডকে ১৩৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্ট: ফিলিপস আক্রমণে নিউ জিল্যান্ডের লিড
৭২৬ দিন আগে