নির্বাচনের তফসিল
নির্বাচনের তফসিলের আগ পর্যন্ত ভোটার নিবন্ধন করা যাবে, অধ্যাদেশে অনুমোদন
ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ সহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব অধ্যাদেশে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর ফলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যুক্তিসঙ্গত সময় পর্যন্ত যোগ্য ব্যক্তিরা ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত হলো।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ২ জানুয়ারির পরে ভোটার হিসেবে যোগ্য হয়ে ওঠা তরুণরা পরবর্তী মাসগুলোতে, এমনকি পরবর্তী বছরের মার্চ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও তারা তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘সভায় ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ আরও দুটি খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে—যা এখন আইনগত দিক যাচাই-বাছাই করা হবে।
খসড়া অনুমোদন পাওয়া অন্য দুটি অধ্যাদেশ হলো ‘মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’।
১৪১ দিন আগে
নির্বাচনের তফসিলের পর আসন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি: খসরু
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই বিএনপি তার রাজনৈতিক জোটের শরীকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির যোগাযোগ কমিটি এবং গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পরেই আসন বণ্টনের বিষয়টি সমাধান করা হবে। ‘তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সকল সমমনা দলের সঙ্গে আলোচনা করব।’
পড়ুন: গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত: খসরু
গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে খসরু বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণায় উভয় দলই সন্তুষ্ট বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তারা ৩১ দফা সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ নির্বাচনের আগে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আন্দোলনের সময় আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তেমনি আগামী দিনেও—নির্বাচনের সময়, সরকার গঠনে এবং ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে—একসঙ্গে এগিয়ে যাব।’
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চলমান বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে খসরু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে একমত হতে পারে সে বিষয়ের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। ‘এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব রাজনৈতিক ধারণা, দর্শন এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য রয়েছে। ‘সুতরাং, সবকিছুর উপর ঐকমত্যে পৌঁছানোর প্রয়োজন নেই। কিছু বিষয় বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আবার কিছু বিষয় বিভিন্ন দলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পার্থক্যগুলো থাকবে। সেই কারণেই সংস্কারগুলো একমত হওয়া বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করবে এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নির্বাচনে জনগণের কাছে উপস্থাপন করা হবে।’
পড়ুন: মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
খসরু বলেন, বিএনপি তাদের নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করার পর সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ‘ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে বিচার বিভাগ একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও এটি অনুমোদন করেছে এবং মতামত দিয়েছে। তাই, আইনত তার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত।’
খসরু বলেন, বিএনপি এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উভয়ই আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা যদি সত্যিই আইনের শাসন অনুসরণ করি—তাহলে ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়া স্বাভাবিক। আমরা এখন এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’
১৬১ দিন আগে
নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেন অনুযায়ী নির্বাচন করতে বাধা নেই।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
গত ১৫ নভেম্বর আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গত ২৯ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় ১৫ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রিটে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের আরজি জানানো হয় রিটে।
রিটে রুল শুনানি বা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের আদেশও চাওয়া হয়।
রিটকারী আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ এখনও বহাল। পাঁচ বছরের মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। এই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে তখন দুটি সংসদ হবে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০০। অথচ সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে আছে যে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের
বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।
এ রিটের উপর গত ৪ ডিসেম্বর শুনানি হয়। আজ সোমবার রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ (সামারালি রিজেক্ট) করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
৭২৫ দিন আগে