সুষ্ঠু তদন্ত
সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তে জোর দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার মো. আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টির খোঁজ-খবর নেন। এ সময় ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী ঘটনাটির খোঁজ নিলে প্রধান তথ্য কমিশনার প্রতিমন্ত্রীকে জানান, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী উক্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ১০ মার্চ শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাবেন।
সোমবার (১১ মার্চ) তথ্য কমিশনে তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে তথ্য কমিশন থেকে তথ্য অধিকার আইনের ২৫(৫) ধারা অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা একই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলো স্ট্রিমলাইন করাচ্ছি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কিশোর তৌহিদের ক্ষতবিক্ষত লাশ, সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে অপহৃত কিশোর তৌহিদুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদের আলোকে এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার নিশ্চিতে এবং নিয়মিত তদারকি ও পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি), তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদারককারী সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) জনস্বার্থে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন (মানিক)।
রুলে ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ ও নিয়মিত তদারকির জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট আদালত, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, আইজিপি, ডিসি গুলশান, ডিসি (ডিবি) গুলশান, সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নিহত তৌহিদুল ইসলাম পরিবারের সঙ্গে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার চার নম্বর সড়কের ডি ব্লকে থাকতেন। তার বাবা মোহাম্মদ নবী হোসেন জমি কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তৌহিদুল ছিলেন দ্বিতীয়।
আগে মাদরাসায় পড়ে আসা তৌহিদুল বর্তমানে ভাটারার ডুমনি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ছিলেন। তৌহিদুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জুয়েল রানা নামে বসুন্ধরা সিকিউরিটিজের একজন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ২৬ নভেম্বর সকালে বসুন্ধরার ‘পি’ ব্লকের একটি ক্ষেত থেকে তৌহিদুলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জুয়েল রানা।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট