বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বৈশ্বিক নান সংকটের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, “ইরান ও ইসরায়েলের সংকটের কারণে দেশে পণ্যের দামে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে এজন্য কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে মিয়ানমার, ব্রাজিল, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। রপ্তানির পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে 'একটি গ্রাম একটি পণ্য' বাস্তবায়ন করছে সরকার।”
আরও পড়ুন: রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'টিসিবির পণ্য স্থায়ী দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। টিসিবি কার্ড সুবিধাভোগীদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। টিসিবির সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার।'
সয়াবিন তেলের প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করে যৌক্তিক করা হবে। এটা নিয়ে কাজ করছে ট্যারিফ কমিশন।
তিনি আরও জানান, ব্যবসাকে সহজ করে সরকার যাতে ভোক্তা পর্যায়ে সুবিধা পায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সবসময় স্থিতিশীল করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানের মতো ১২ মাস একইভাবে কাজ করব: টিটু
রমজানে যেভাবে কাজ করেছেন, সেভাবেই ১২ মাস কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘তেল, চিনিসহ আমদানি বাজারে যেসব জিনিস রয়েছে সেগুলোতেই আমাদের নজরদারি থাকবে এবং ভোক্তা অধিকারসহ অন্যান্য যেগুলো আছে সেগুলো আমরা দেখব।’
গ্রামের ৫ টাকার বেগুন সেটা শহরে ৭০ টাকা হয় কী করে- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তারা ভালো উত্তর দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ময়মনসিংহ সিটি মেয়র টিটু
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাধারণ মানুষের চোখের জলে ভেসে গেছে- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের এমন মন্তব্যের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটিতে ৫ দিন আমি আমার গ্রামে ছিলাম, মাঠে ঘাটে চলেছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সবার মধ্যে একটা স্বস্তি দেখতে পেয়েছি। এছাড়া এবারের নববর্ষ শুধু ঢাকা শহরে নয় গ্রামেও যেভাবে উদযাপন হয়েছে, মেলা হয়েছে, সেখানে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল রমজানে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। সেটা রমজানের পরেও অব্যাহত থাকবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রমজান না সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিত্যপণ্য সরবরাহের জন্য কাজ করে যাব। আমদানি-রপ্তানি বাজিণ্যসহ সেই সঙ্গে আমাদের লোকাল সাপ্লাই চেইনগুলো শক্তিশালী করব। আমাদের রমজানটা ব্যাপক চ্যালেঞ্জ ছিল সব কিছুর চাহিদা তিনগুণ বেড়ে যায়। এজন্য আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, এটা আমার জন্য বড় অভিজ্ঞতা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আমরা দিল্লি থেকে পেঁয়াজ এনেছি। সেই সঙ্গে আমাদের তেল, চিনিসহ নিত্য যেসব পণ্য, সব পণ্য আমাদের পর্যাপ্ত ছিল। একই সঙ্গে দাম ঊর্ধ্বমুখী নয় নিন্মমুখী ছিল। এসব চ্যালেঞ্জ পার হয়ে আসছি।
চালের বস্তায় দাম লিখে দেওয়ার অগ্রগতির বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। সেই সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় আরও ভালো উত্তর দিতে পারবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে আমরা সমন্বয় করব। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা। বিশেষ করে আমদানি করে যেসব জিনিস আনা হয়। আর লোকাল কৃষি পণ্য ও খাদ্য এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বললে ভালো হবে।
আপনি বলেছিলেন পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর করবেন- সাংবাদিকরা এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে টিটু বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয় নোটিশ করেছে। তারপর কী হয়েছে তাদের সঙ্গে কো-অরডিনেশন মিটিং করে বলতে পারব৷ মিটিংটা করার পরই আমি আপনাদের বলতে পারব।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বারের মতো ময়মনসিংহের মেয়র নির্বাচিত ইকরামুল হক টিটু
রায়হান হত্যা: কনস্টেবল টিটু ৫ দিনের রিমান্ডে
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে আমরা পেঁয়াজ পেয়েছি। তবে দাম কমাতে খানিকটা দেরি হয়েছে। ভারতের ৮০০ ডলারের পেঁয়াজ ৪০০ ডলারে আমরা আনতে পেরেছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পেঁয়াজ দেওয়ার জন্য ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করব। ঢাকা, চট্টগ্রামে এ বিক্রয় কার্যক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।'
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, রাশিয়া, ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এ আমদানি কার্যক্রম সরকারের সফল বাণিজ্য কূটনীতির ফল। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা হলেও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কোটা থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার নুরুল হক ও মোহাম্মদ রবিউল মোর্শেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে আমদানির ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে পৌঁছেছে। ঢাকা মহানগরের ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের খোলাবাজারে মঙ্গলবার থেকে ক্রেতারা ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পহেলা বৈশাখ থেকে জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল- এসব থেকে বের হয়ে এসে জাতভিত্তিক চালের দাম এবং মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ- মিলার পর্যায়ে, পাইকারি পর্যায়ে ও খুচরা পর্যায়ে একটা রূপরেখা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেওয়া বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখ থেকে সেটা কার্যকর হবে।
রবিবার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবার সহযোগিতায়, বাজারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পেরেছি। আমরা মনে করি, আগামী ঈদ পর্যন্ত এটা অব্যাহত রাখতে পারবো। কিছু প্রতিকূলতা আমাদের আছে, যেটা সম্পর্কে আপনারা জানেন। পরিবহন একটা বড় চ্যালেঞ্জ, এটি নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন সংস্থা এটি নিয়ে সক্রিয় আছি। আগামী বাজেটের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি, সেটা নিয়ে একটি পরিকল্পনা থাকলে সুবিধা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম গেল এক বছরে ২৫ শতাংশ বাড়লেও আমাদের লোকাল বাজারে চার শতাংশের বেশি বাড়েনি। সেই সঙ্গে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আমদানিকারক ও মিল মালিকদের সহযোগিতায় মূল্য বাড়ার পরেও আমাদের বাজার স্থিতিশীল আছে। ১৬৩ টাকায় এক লিটার ও ১৪৯ টাকায় খোলা বাজারের তেল বিক্রি করতে পেরেছি। সব জিনিসের দাম কমে গেছে।
চিনি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণ সাপ্লাই চেইনে আছে। চিনি নিয়েও আমাদের কোনো সমস্য নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিল মালিকরা এ নিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। বাজার পর্যায়ে কৃষিপণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, রবিবার (৩১ মার্চ) রাতেই দেশে পৌঁছাবে ভারত থেকে আমদানি করা ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভাশেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম ট্রেনে ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। পর্যায়েক্রমে আমদানি করা বাকি পেঁয়াজও দেশে আসবে।
তিনি আরও বলেন, একদিনের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজিতে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি, দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছেন উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এখন দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, খোলাবাজারের চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, তাদের যথেষ্ট মজুত আছে। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না। সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) লক্ষ্যে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতে পেঁয়াজের শুল্ক বাংলাদেশের জন্য ৮০০ ডলার, আর যুক্তরাজ্যের জন্য ১ হাজার ২০০ ডলার। আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি তিন দিন ধরে দাম কমাতে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন, আলোচনা করছেন। দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধা আমি চাইলেই সবকিছু নিরসন করতে পারি না। তবে আমাদের উদ্যোগ, চেষ্টা ও চেষ্টার সফলতা আছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত, তারপরও তারা রাজি হয়েছে। সামনে তাদের দেশে নির্বাচন, সেটাও দেখতে হবে। তাদের ভোক্তা আছে, সেটা মাথায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। হয় আমরা সরকারিভাবে জি টু জি আনব অথবা আমদানিকারকদের অনুমোদন দেব। যত দ্রুত সম্ভব বাজারে যাতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে। সেখানেও অগ্রগতি হতে পারে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। আমি যদি ডলারে কনভার্ট করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চিনি আমদানি করি তাহলেও দাম কম পড়বে না। পাঁচ টাকা হয়তো এদিক-ওদিক হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমরা চাচ্ছি, চিনির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে। যে দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি, রমজান মাসে চিনির দাম একই থাকবে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
৬ টাকার লেবু ঢাকায় এসে ২০ টাকা হয় কেন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
উৎপাদক পর্যায়ে ছয় থেকে সাত টাকায় লেবু বিক্রি হচ্ছে, আর এই লেবু ঢাকায় এসে ২০ টাকা হয় কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ট্রল হচ্ছে, আগে কী সাপ্লাই চেইন ছিল না? আমি কখনোই বলিনি, সাপ্লাই চেইন ছিল না, ভ্যালু চেইন ছিল না। এই ভ্যাল্যু চেইনের উপকরণগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এটাই ভ্যালু চেইন, সাপ্লাই চেইনে আরও উন্নত করার জায়গা। এটা কি পরিবহনের কারণে বাড়ছে, নাকি আরও কোনো বাধা বিপত্তি আছে? আর কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে? আসার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসেছি, পরিবহনের জায়গাটা যাতে স্বচ্ছ থাকে।
তিনি বলেন, লেবু একটি মৌসুমি পণ্য। কৃষিপণ্যগুলো মৌসুমি হয়। আপনাদের বলেছি, আমাদের কিছু মৌসুমি পণ্য আছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিয়ে আমি আজও কথা বলেছি। কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে আজও কথা বলেছি, যাতে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, বাজার চালে স্বস্তিতে আছে বলে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে আমি কোনো অস্থিরতা পাইনি, আপনাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগও পাইনি।
তিনি বলেন, তেলের মূল্য ১৭৩ টাকা থেকে ১৬৩ টাকা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি। খোলা বাজারে ১৪৯ টাকায় তেল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে যাতে সরবরাহ ঠিক থাকে, সেটা আমরা নিশ্চিত করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে চিনি, ডালসহ কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো স্বল্পতা কিংবা সংকট নেই। কাজেই এটিকে আমি অবশ্যই স্বস্তি বলব।
আহসানুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি কাজ। শুল্ক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমদানি পণ্যের বাজারে বিতরণ নিশ্চিত করা। পণ্য আমদানি কিংবা উৎপাদনও আমাদের কাজ না। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন যেসব পণ্য এখানে উৎপাদিত হচ্ছে, যেমন তেল, চিনিসহ অন্যান্য জিনিস, সেগুলোর বাজারে সরবরাহ যাতে মসৃণ থাকে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি উৎপাদিত পণ্য কৃষি বিপণন বিভাগ দেখে। আমরা বাজার তদারকি করি। বাজার তদারকি করে আমরা যেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, অনেকেই আমাদের বাজারে যাওয়াটা লম্ফঝম্প মনে করছেন। কেউ মনে করছেন, নতুন আসছেন শিখতে, শিক্ষানবিশ হিসেবে দেখছেন। আমরা এই সমালোচনাকে গুরুত্ব দিই না, আমরা নিজেদের চেষ্টার বিষয়টি দেখি।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ও আইনের শাসন বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্পিকার
খেজুরের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
আগামী রমজানে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, এবারের পরের রমজানে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে দাম নির্ধারণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘ইউএইতে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) দেখলাম, ১৮টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম নিয়ে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই পণ্যগুলোর দাম কেউ রমজান মাসে বাড়াতে পারবে না।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা এবার হয়তো পারিনি। আমাদের সাপ্লাই চেইনের উন্নতি করে আগামীতে কেবিনেটের অনুমোদন নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটা সম্পূর্ণ তারিকা তৈরি করব, ওইভাবে এটার সাপ্লাই বাড়ানো এবং পণ্যের নির্ধারিত দাম আমরা যাতে ঠিক করতে পারি।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি পণ্য সরবরাহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘প্রোডিনটর্গ’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও বাজারে প্রভাব না পড়ার কারণ জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই যারা রোজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি ও উৎপাদন করেন তাদের সঙ্গে বসেছি। আমদানি ও উৎপাদন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তেলের দামও আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি। রমজান উপলক্ষে আজকে থেকে বাজার তদারকি আরও বাড়াব। যাতে কেউ সয়াবিনের পেট বোতল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা, খোলা তেল প্রতি লিটার ১৪৯ টাকার উপরে কেউ বিক্রি না করে। সেই ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
আহসানুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু নির্দেশ দিয়েছেন, বাজারে সরবরাহ চেইনে কেউ যদি ব্যাঘাত ঘটায় তাহলে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। একেবারে যে উন্নতি হয়নি তা নয়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার জন্য তাদের সম্মতি আমরা পেয়েছি। দুই থেকে একদিনের মধ্যে পেঁয়াজও বাংলাদেশে ঢুকবে। একেবারে খুচরা পর্যায়ে কাঁচাবাজারগুলো অস্থায়ীভাবে থাকে, ওইগুলো আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব সেটা এখন বের করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই- সরবরাহ নিশ্চিত করা, কোনোভাবেই যেন সরবরাহে ঘাটতি না হয়।
আরও পড়ুন: টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দেওয়া হয় এটা সম্পূর্ণ শুরু হলে এতেও বাজারে একটা চাপ কমে যাবে।'
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের একটু সততার সঙ্গে ব্যবসাটা করতে হবে। ধর্মীয় অনুভূতিটাকে প্রাধান্য দিয়ে যাতে আমরা ব্যবসাটা করি।
রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন চালের স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গম, ভুট্টা, ডালের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। এগুলো আমাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনতে হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গমের উৎস হলো রাশিয়া।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে যে প্রোডাক্টগুলো তারা সাইন করল। রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে তারা যদি সাপোর্ট দিতে পারে তাহলে আমাদের ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির একটা বড় বাফার স্টক আমরা তৈরি করতে পারব।
টিসিবিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তীতে ফেয়ারপ্রাইজে মাল্টিপল প্রোডাক্ট সরবরাহ করব, যদি আমাদের এই রকম সোর্স থাকে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, শুধু রাশিয়া থেকে নয় কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনতে আমরা ভারতের সঙ্গেও একটি চুক্তি করার জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছি। মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, টিসিবি কার্ডধারীদের তালিকা দেশব্যাপী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হালনাগাদ হচ্ছে এবং আগামীতে টিসিবি ডিলারশিপ স্থায়ী করা হবে, যাতে মানুষকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে না হয়।
তিনি বলেন, কার্ডধারীরা সুবিধাজনক সময়ে এসে পণ্য নিতে পারবে। বাজার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। পণ্যের সরবরাহ লাইন ত্রুটিমুক্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার পলিটেকনিক মাঠে 'দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম-মার্চ ২০২৪' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিন আজ, যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। জাতির পিতার ভাষণটি আজ বিশ্বের ঐতিহাসিক দলিল।
চিনির প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, 'টিসিবির চিনি আগের দামে বিক্রি হবে, দাম বাড়ানো হবে না। চিনির পর্যাপ্ত মজুত আছে। বাজারে চিনির কোনো সংকট হবে না।'
এসময় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, টিসিবির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল হাসনাত চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজান উপলক্ষে এবার কোনো পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, রমজানে পরিবহন ব্যবস্থা যাতে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকে ও সরবরাহে কোথাও প্রতিবন্ধকতা না হয় সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছি।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ এর দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশনে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি বড় তেল উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরিগুলো ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। তারা তেলের মূল্য ঠিকভাবে লেখা হচ্ছে কি না সেটি দেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসিদের আমরা বলেছি, বাজার মনিটরিং করতে। পরিবহন ব্যবস্থা শৃঙ্খলিত ও সরবরাহ ঠিক রাখতে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে আমরা এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। সেখানে চাল, তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলা থাকবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এই পণ্যগুলোর বিতরণ যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকাটা আপডেট করার জন্য তাদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছি। তারা যেন আগামী দুই মাসের মধ্যে সংযোজন ও পরিবর্তন করে পরিপূর্ণ একটি তালিকা দেয়।
তিনি আরও বলেন, স্থায়ী দোকানে কীভাবে ডিলার নিয়োগ করতে পারি, সে ব্যাপারেও আগামী দুই মাসের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ অনুযায়ী জনপ্রশাসন এই তালিকা আমাদের পাঠাবে। আগামী অর্থবছরে আমরা আশা করি স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্যগুলো দিতে পারব।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ ব্যানারে প্রতিটি গ্রাম থেকে একটি হস্তশিল্প পণ্যকে তুলে নিয়ে আসতে চাই। আগামী রপ্তানি মেলায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সেসব পণ্য ও কারিগরদের আমরা সহযোগিতা করব। তাদের কারিগরি, আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি পণ্যটি বিপণনের ব্যবস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেইল ও ই-কমার্সের মাধ্যমে করে দেবে।
টিটু বলেন, ডাব্লিউটিও’র ৫০ মিলিয়নের একটি ফান্ড করা হয়েছে ই-কমার্স ও নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে। সেখানে আমরা সহযোগিতা চাইব। অনেকগুলো বন্ধুরাষ্ট্র আমাদের এই বিষয়ে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। আশা করি যখন যেটা পাব, সেই অনুযায়ী আমরা পণ্যটি দেশ ও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দৃশ্যমান করব।
ভারত থেকে চিনি ও পেঁয়াজ কবে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিঠি আমরা পেয়ে গেছি। আমাদের দূতাবাস কাজ করছে। তারা (ভারত) আমাদের কবে নাগাদ ও কীভাবে পণ্য পাঠাবে তা আজকে আমরা জানতে পারব।
রোজার আগে এসব পণ্য আসবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই রোজার আগে আসবে।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মাঠপর্যায়ে তদারকি করছি, এবার হাটগুলোতে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর অর্ধেক ছিল। এটা ঠিক। কিন্তু কৃষকরা যদি একটু ভালো দাম পায়, আগামী বছর এই সময় উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।
তিনি আরও বলেন, এটা আপনারা লিখে রাখতে পারেন। কারণ কৃষকরা তাহলে উৎসাহিত হবে। অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় পেঁয়াজের দামটা একটু বেশি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী