ডা. সামন্ত লাল সেন
চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে বাবার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তি করা রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, `আজকে যারা এখানে আমার সামনে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলব। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মানসম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এই দেশের লোকজন একদিন চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, ধৈর্য ধরে তাদেরকে সেবা দেওয়া।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকরাই হলো ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এটি শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা সেবা হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসা সেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব-আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেব। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি।’
বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি, পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।
আরও পড়ুন: দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান বিশ্বের কোনো দেশের তুলনায় কম নয়। দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার মেধাবী চিকিৎসক বের হচ্ছে। তারা বেশিরভাগই উন্নত বিশ্বের ডাক্তারদের সমান দক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল এডুকেশন কনফারেন্স রুমে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সুযোগ দিলে তারা তাদের যোগ্যতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবেন।
চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে অসুবিধা থাকলে তা উপরের কর্মকর্তাকে জানাতে হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে তাদের অসুবিধার কথাগুলো বলতে হবে। আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের পিওন থেকে উপর পর্যন্ত সব জায়গায় ঘুরেছি। কোথাও না পেলে আমি একেবারে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চলে যেতাম। কিন্তু আমার কাজের জন্য যা প্রয়োজন তা আমি চাইতাম ও আদায় করতাম। এক দরজা থেকে অন্য দরজা ঘুরতে ঘুরতেই মাত্র পাঁচটি বার্ন বেড থেকে পাঁচশ বেডের বার্ন হাসপাতাল করেছি। আপনাদেরও নিজের কাজের জন্য এভাবে আন্তরিক হতে হবে, মনে দরদ দিয়ে রোগীর সেবা করতে হবে।’
চিকিৎসক শিক্ষকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যোগ্যতা সম্পন্ন চিকিৎসক সংখ্যায় কম বের হলেও সমস্যা নেই। আপনারা কোয়ান্টিটি দেখবেন না, দেখবেন কোয়ালিটির দিকে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক নেতারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভাগে বিভাগে আমরা ছুটে চলে যাচ্ছি কারণ বিভাগীয় স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো জেনে সেখানেই যাতে সমাধান করা যায়। আপনাদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো জানাতে হবে। আমরা চেষ্টা করব সব দাবি যাতে কম-বেশি পূরণ করতে পারি।
সিলেট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এনায়েত হোসেন জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের জন্য পিডি নিয়োগ দেওয়াসহ কিছু লোকবল নিয়োগ প্রয়োজন আছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেট সিভিল সার্জন অফিসে যান এবং সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের ৭ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেন।
মন্ত্রী সকাল ৯টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।পরে সিলেটের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শিশির রঞ্জনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, সিলেট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক এনায়েত হোসেন, বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ বিএমএ সিলেট শাখার সভাপতি ও সম্পাদক, স্বাচিপ সিলেট শাখার সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী চিকিৎসক নেতা ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান জোরদার হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগুনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনার থেকে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৬টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরও বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে ও সব শর্ত মেনে চলা দরকার।’
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে। অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতি মুক্ত থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক নেতা নই, আমি নির্বাচনও করিনি। মানুষের সেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, মানুষের সেবায় আমি আমার কাজ নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতি মুক্ত থেকে করে যাব।
এসময় জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে দিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরেকটি সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করার মাধ্যমে প্রথমত ভালো চিকিৎসক হতে হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সৎ ও আদর্শিক মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করতে হবে। আমরা শুধু হাজার হাজার ডাক্তার চাই না, আমরা চাই ভালো ডাক্তার, এই কথার অর্থ শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কের ইউনিয়ন হসপিটাল লিমিটেড এবং ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে বেসরকারি হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
হাসপাতালটি তার লাইসেন্স এর পরিধি বহির্ভূতভাবে আইসিইউ, সিটি স্ক্যান মেশিন, অপারেশন থিয়েটার ও পোস্ট অপারেটিভ রুম সমূহ পরিচালনা করে আসছিল। বিধায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটির বর্ণিত অংশ সমূহ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে অননুমোদিত আইসিইউ এবং পোস্ট অপারেটিভ রুমে ভর্তি থাকা রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশনাও দেন।
পরে মন্ত্রী ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মহিলা মেডিসিন বিভাগ, সিসিইউ, শেখ রাসেল নবজাতক সেবা ইউনিটটিতে (স্ক্যানু) রোগী ও দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
মন্ত্রী হাসপাতালেই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি জরুরি বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোর রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পরে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়া রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার চিত্র প্রত্যক্ষ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, সব কেন্দ্রেই বিশেষ সতকর্তা নেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে।
সামন্ত লাল সেন বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারও কাছেই কোনোরকম মোবাইল যন্ত্রের ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। কোন মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না।
মন্ত্রী আরও বলেন, পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি গোয়েন্দা সংস্থা। এবারের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, থেকেছি।
আরও পড়ুন: এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি, এদেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করবে- সেটাই চাই।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, নার্সিং পেশাকে যুগোপযোগী করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। কানাডা সরকারের সহায়তা পেলে বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার এইচ. ই লিলি নিকোলাসের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান।
সাক্ষাৎকালে হাই কমিশনার কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও উচ্চমানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করাসহ স্বাস্থ্যখাত সংক্রান্ত নানান বিষয়ে আলোচনা করেন।
কানাডায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যাদের ভালো চিকিৎসার জন্য দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট দরকার।
কানাডার হাই কমিশনার ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে এই নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ হতে হবে বলে জানান তিনি।
এজন্য কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি উন্নত ও বিশ্বমানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন কানাডার হাই কমিশনার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছেন, যারা বিশ্বের যেকোনো দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে তাদেরকে আরও বেশি দক্ষ ও বিশ্বমানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য আমাদের দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার হবে। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নতমানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন।
আলোচনায় কানাডা হাই কমিশনার বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশেষ করে প্রাইভেট মেডিকেলে অধিক সংখ্যক সিজারিয়ান শিশু জন্ম নেয় বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা, গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করা প্রসঙ্গে বলেন।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ৪ হাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামে থাকা মেয়েদেরকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদানসহ গ্রামীণ মায়েদের জন্য ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি সিস্টেম সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে ২৪ ঘন্টা সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
এসময় নেপাল রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন- নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ইয়োজানা বামজান।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
সাক্ষাৎকালে নেপাল সরকারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে কীভাবে নেপালেও কাজে লাগানো যায়, এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
এ প্রসঙ্গে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্ক নিঃসৃত বিষয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ধারণাকে গ্রহণ করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বর্তমানে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধির আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনাও চলছে আমাদের। আর নেপাল সরকার এ কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আলাপকালে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের এক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান থেকে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে ভর্তি আছেন। ভুটানে ওই রোগীর যে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি, তা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোনো গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশে এলে আমরা তাদেরও চিকিৎসা সেবা দিতে সচেষ্ট হব।
নেপালের রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে নেপালের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে নেপাল-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পর্যটন খাত তৈরি করা বিষয়েও তারা আলাপ করেন।
সাক্ষাৎকালে, দুই দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো, চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা হয়।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষের দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে মানুষের আস্থার অভাব আছে। এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি মাত্র। আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: তৃণমূলের হাসপাতালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ আস্থা না পেয়ে ঢাকায় চলে আসছে। ঢাকা থেকে মানুষ বিদেশে যাচ্ছে চিকিৎসা নিতে। সবখানেই একটা আস্থাহীনতা কাজ করছে।’
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরা, সায়মা ওয়াজেদ এর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগদান, এবং সমসাময়িক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণসহ বেশ কিছু জরুরি কাজ শুরু করে দিচ্ছি যাতে স্বাস্থ্যখাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে। তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান, ভালো চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয় মেশিন বা যন্ত্রপাতি ঠিকভাবে দেওয়া গেলে তৃণমূলে মানুষের আস্থা চলে আসবে। সেটাই আমরা শুরু করে দিচ্ছি।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পদে যোগ দেবেন। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিরাট অর্জন আমাদের দেশের জন্য। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করতে সার্বিক দিক নির্দেশনাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
সুইজারল্যান্ডের মিটিংয়ে যোগদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি (এনসিএল) পরিদর্শনে বাংলাদেশে আসবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশে টিকা পরীক্ষার সক্ষমতা পরীক্ষা করবে। বাংলাদেশে টিকা ও ওষুধ পরীক্ষার জন্য পরিপূর্ণ সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে কি না তা তারা জানাবেন।
দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ডাব্লিউএইচও ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সবচেয়ে জরুরি বলে আমরা একমত হয়েছি। পোড়ার চিকিৎসা ও সচেতনতার কাজে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজি। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার একটি দলও এসেছিল। তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে ২০২৬ সালে বার্নের উপরে একটি আন্তজার্তিক সম্মেলন করতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে করোনার বিষয়েও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কোনো রকম দুর্নীতি মেনে নেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কোনো রকম দুর্নীতি মেনে নেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দুর্নীতি করলে কেউ রেহায় পাবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজে দুর্নীতি করি না, আমি থাকাকালীন কোনো রকম দুর্নীতি মেনে নেব না। এছাড়া দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পাবে না।’
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনসিস সেন্টার, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুযোগ-সুবিধাগুলো সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন মন্ত্রী।
পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে দুর্নীতি বন্ধ করা কঠিন। তবে আপনারা আস্থা রাখুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সারাজীবন দুর্নীতি করিনি, আর ভবিষ্যতেও করব না। দুর্নীতি আমি মেনে নেব না এবং দুর্নীতি করে কেউ রেহাইও পাবে না।’
আরও পড়ুন: তৃণমূলের হাসপাতালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালীন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, মুজিব কর্নার, শেখ রাসেল কিডস কর্নার ও হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন।
এর আগে সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনারগাঁওয়ের শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির আশ্রমে যান এবং আশ্রমে উপস্থিত ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রার্থনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর