সন্ত্রাস
সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক প্রতিরোধে কাজ করুন: স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী
সমাজ থেকে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি নির্মূলে সচেষ্ট থাকতে স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'স্থানীয় সরকার স্মার্ট হবে: সেবার অধিকার নিশ্চিত হবে' প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার দিবস -২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
যুবসমাজের ওপর মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিকে উসকে দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী এসব সমস্যা মোকাবিলায় জনসচেতনতা গড়ে তুলতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে এই গতিশীলতায় অবদান রাখার জন্য স্থানীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
জনপ্রতিনিধিদের তাদের দেওয়া অঙ্গীকার রক্ষা এবং সঠিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী, যাতে জনগণ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু অ্যাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি ব-দ্বীপ উল্লেখ করে তিনি নদ-নদী, খাল, নালা, বিল ও হাওরসহ জলাশয় সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা গ্রাম পর্যায়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলাশয় সংরক্ষণের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে গ্রাম পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু করা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিজস্ব স্থানীয় সংস্থার জন্য রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, সমবায়ের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আবাদি জমি রক্ষা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা ও সেবার প্রতি মনোযোগ দিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা, কিন্তু ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা করা হয়।
তিনি এমন একটি ভবিষ্যতের কল্পনা করেছিলেন যেখানে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে এবং স্থানীয় উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো সরবরাহে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার উপর জোর দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন আহমেদ, পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন এবং সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদ্দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান এবং দেশব্যাপী স্থানীয় শাসন ও সেবা প্রদানের জন্য নিবেদিত একটি দিনের মঞ্চ তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতির ভিত্তি ৩টি। সন্ত্রাস-খুন, জালিয়াতি, বিদেশে অপপ্রচার।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ‘১৯৯৪ সালে লালবাগে ৭ হত্যাকাণ্ড’ স্মরণে রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ পার্ক মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াত খুনি চক্র। তারা হত্যার রাজনীতিটাই করে। আজ যারা বিএনপির বড় বড় নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব সবাই বিএনপি ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলানোর আগে অন্য দল করত। জিয়াউর রহমান মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়েই বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সুতরাং সেই হত্যা-খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে নাই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি যেভাবে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে- এটি মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাসপাতালের ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে যা দেশের ইতিহাসে ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জালিয়াতি করতে গিয়ে বিএনপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভুয়া উপদেষ্টাও বানিয়েছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমে দেখা গেল সে ইংরেজি ছাড়া কিছুই বলতে পারে না পরে দেখা গেল যে গড়গড়িয়ে বাংলা কয়।
আপনাদের মনে আছে যে, কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল বিএনপি এবং ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহ'র সঙ্গে কথা হয়েছে বলে একটা ভুয়া অডিও ছেড়েছিল তারা।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে বিএনপি ভরাডুবি নিশ্চিত বুঝেই অংশ নেয়নি এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নাই। এই নির্বাচনকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য, সরকারকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লিখেছে। কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বহু রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শুনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, ভারত, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ ৮০ জন ডিপ্লোম্যাট উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী ১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি শহীদ শাহ আলম, হাফিজ উদ্দীন, দেলওয়ার হোসেন, আনসারউল্লা গাজী, আনোয়ার হোসেন আনু, নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইউনুসের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। এটি তারা মেনে নিতে পারে নাই। নির্বাচনের পরের দিন এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এরপরেও দমিত হয়নি বরং এই খুনি চক্রকে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই বিজয়ের যাত্রাপথ বেয়ে ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
টিআইবি'র অভ্যন্তরে দুর্নীতি আছে কি না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার
দুর্নীতি সূচকে দেশের অবস্থান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারকে পুরো পৃথিবী অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। এটাকে খাটো করার জন্য কিছু একটা বলতে হবে। সেজন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকে না-কি দুই ধাপ নেমে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, এখন টিআইবির অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার। এভাবে একপেশে রিপোর্ট দিয়ে সরকারকে খাটো করা যাবে না।
বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তারা অন্যদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যেখান থেকে ফান্ড পায়, যেভাবে প্রেসক্রিপশন দেয় সেভাবেই কাজ করে। তবে এ ধরণের সংগঠন থাকুক আমরা চাই।
আমরা মনে করি সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলো সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে পারে, সেজন্য এ ধরণের প্রতিষ্ঠান থাকা ভালো। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান যখন এক চোখা হয়ে যায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলে, রিজভী আহমেদের কথা আর টিআইবির বক্তব্য যখন মিলে যায় তখন বোঝা যায়, ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাবা-মাসহ অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার ১৮ মাসের শিশু
বরিশালে দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা অ্যাসিডে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে ১৮ মাসের এক কন্যা শিশুর।
সেইসঙ্গে তার মা-বাবাও অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। ধার নেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে মাদরাসার শিক্ষার্থী দগ্ধ
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার চর নেহালগঞ্জ এলাকার রশিদ হাওলাদারের বাড়িতে অ্যাসিড সন্ত্রাসের ঘটনাটি ঘটে।
অ্যাসিডে মুখমণ্ডল ঝলসে যাওয়া রশিদ হাওলাদারের ছেলে ও দিনমজুর রিয়াজ হাওলাদার জানান, প্রতিবেশী ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই ফিরোজ ও মিরাজদের সঙ্গে তার জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। কয়েক বছর আগে তার কাছ থেকে ফিরোজ ও মিরাজ ১ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। ওই টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় নানা টালবাহানা ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন চাচাতো ভাইয়েরা।
রিয়াজ বলেন, আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম, ১৮ মাসের শিশু সন্তান জান্নাতী ও আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম। শুক্রবার রাত ৯টার পরে হঠাৎ করে বসতঘরের জানালা দিয়ে তরল অ্যাসিড নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
ওইসময় চাচা খালেক হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ-মিরাজের সঙ্গে নিজাম ও নাসির ছিল বলে দাবি করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তাদের ছোঁড়া অ্যাসিডে আমার স্ত্রীর শরীরের পেছনের অংশ এবং শিশু জান্নাতী ও আমার মুখসহ বেশ কিছু অংশ পুড়ে ফোসকা পড়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা আমাদের রাতেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রিয়াজের স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, টাকা-পয়সা ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকলে আমাদের সঙ্গে আছে কিন্তু অবুঝ শিশু সন্তানটি কী দোষ করেছে। ওর গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করার কি দরকার ছিল। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যে ব্যাটারির অ্যাসিড পুশ করে স্বামীকে হত্যা
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া না হলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অ্যাসিড নিক্ষেপের সত্যতা পেয়েছে।
সেই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চালাচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ওসি আরও জানান, এর আগে শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলার চর নেহালগঞ্জ এলাকার রশিদ হাওলাদারের বাড়িতে অ্যাসিড সন্ত্রাসের ওই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে সাবেক স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে স্ত্রী দগ্ধ
রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘মিডিয়া ফর ডেভালপমেন্ট অ্যান্ড পিস’ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। রবিবার এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ‘রাজনীতির নামে জ্বালাও-পোড়াও নাশকতা বন্ধ করো, নির্বাচন-ই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মানববন্ধনে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, পত্রিকার সম্পাদকদের মধ্যে হেমায়েত উদ্দীন, হেদায়েত উল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, রাস্তায় নেমেছেন। বিএনপি-জামায়াত হরতাল, অবরোধ, সমাবেশের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, ড্রাইভার-হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদেরকে পিটিয়েছে, যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে এম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, সেগুলো কোনো মুভির নৃশংসতম দৃশ্যপটকেও হার মানিয়েছে। এগুলো রাজনীতি তো নয়ই, অপরাজনীতি বললেও ভুল হবে। রাজনীতির নামে পৃথিবীর কোথাও এ ধরণের নৃশংসতা হয়নি, যেটি বিএনপি-জামায়াত করছে। এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাইকে এদের প্রতিহত করতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, আজকেও হচ্ছে এবং এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্র যুক্ত আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে আজকে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে, উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারবো।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক ভাই-বোনদের অনুরোধ জানাবো আপনারা জনগণের পাশে আগেও ছিলেন, এখনো আছেন, আজকে যেভাবে মুখ খুলেছেন, ভবিষ্যতেও এমনই থাকবেন। আর যারা জনগণ ও গাড়ি-ঘোড়ার উপর হামলা চালায়, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, তাদের খুঁজে বের করে সমূলে উৎপাটন না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না, সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সব দল সম্পৃক্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির সমালোচনা করে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, যে দল নাশকতার কথা বলছে, এটা তাদেরই প্র্যাকটিস। তারা সুনিশ্চিত নির্বাচনে পরাজয় জেনেই ভিন্ন পন্থায় নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য একটা অগণতান্ত্রিক উপায় শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচনের বাইরে আমাদের আর কোনো কিছু নেই, যার মাধ্যমে তারা (বিএনপি) ক্ষমতা বদলাতে পারে। ক্ষমতায় আসতে হলে তাদের নির্বাচনে আসবে হবে, এটাই হলো সহজ পথ।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) একতরফা নির্বাচনের জন্য ‘সরকারের পুতুল’ হিসেবে কাজ করছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মেরুদণ্ডহীন ও পুতুল নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নির্বাচনের তফসিল বাস্তবায়নে জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: তারেক ও বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সারা দেশে যারা আন্দোলন করছে, তাদের উপর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা, আওয়ামী লীগপন্থী পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিয়ে হায়েনার মতো আক্রমণ করেছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, রাজনীতিতে বিপজ্জনক অচলাবস্থা নিরসনে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া চলমান আন্দোলনকে বানচাল করতে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অনিবার্য গণঅভ্যুত্থানের পদাঙ্ক শুনছে বাংলাদেশিরা। স্বৈরাচারী নিপীড়কের পতনের কাউন্টডাউনের মধ্যে আরেকটি একতরফা ও পর্যায়ক্রমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অপপ্রয়াস চলছে।’
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার ও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, পিটিয়ে হত্যা, গাড়িতে আগুন দিয়ে হত্যা করার মতো মারাত্মক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন, ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করে আওয়ামী লীগ দেশের বাইরে প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে তারা সফল হতে পারছে না। সারা বিশ্ব বুঝতে পেরেছে যে, বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার মূলত একতরফা নির্বাচনের কৌশল।’
রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫১০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন সফল করার জন্য তিনি দেশের জনগণ, বিএনপি ও সমমনা দল ও জোটের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে দেশে বিএনপি-জামায়াত নামে কোনো দল থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য শুনে দেশের মানুষ হতবাক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে এবং দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে বিএনপিকে বিভক্ত করার অশুভ প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেনি।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা যতদিন থাকবে ততদিন বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সংকট চরমে, জনগণ প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত: রিজভী
‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি’ রুখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ইআরডিএফবির
এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) জানিয়েছে, হরতাল-অবরোধে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধের চেয়ে জঘন্য অপরাধ করছে।
একইসঙ্গে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি’ রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ইআরডিএফবি।
এ ছাড়া যারা এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: ইআরডিএফবি
‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির’ প্রতিবাদে শনিবার (১১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানায় ইআরডিএফবি।
মতবিনিময় সভায় সংগঠনের নেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েও হরতাল-অবরোধের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা যথা সময়ে হবে কি না- এই সংশয়ে রয়েছেন। এতে করে তাদের মানসিক চাপ বাড়ছে এবং প্রত্যাশিত ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সেজন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান শিক্ষকরা।
একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি’রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে সভায় বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির মদদ যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার
সভায় বক্তব্য দেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এমদাদুল হক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহবুবুর রহমান, চাঁদুপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাসিম আক্তার, বাংলাদশে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. শাহ আলিমুজ্জামন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. অলোক কুমার পাল।
সভায় বক্তব্য আরও দেন- বাংলাদশে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপউপাচার্য ড. মোকাদ্দেম হোসেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. আবুল কালাম আজাদ, শেকৃবির সাবেক উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন আহম্মাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত হুদা, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শামীম আরা হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরবিশে সৃষ্টি করে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের অপরাজনীতি ও বিদেশিদের প্রতি নির্ভরতা দেশের মানুষের প্রতি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এসব শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে তরুণ সমাজ গণতন্ত্রের বিজয় উৎসব উদযাপন করবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস অন্যায়ের সম্মুখীন কি-না মূল্যায়নে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
একইসঙ্গে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলার পরামর্শ দেন তিনি।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চলছে এবং গত ২৮ অক্টোবর ঢাকা শহরে বিএনপির সমাবেশের নামে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। কার্যত রাষ্ট্রের উপর হামলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, হাসপাতালে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা আগে কখনো ঘটেনি। রাষ্ট্রের উপর এই হামলাকারীরা চিহ্নিত, তারা বিএনপি জামাতের নেতা-কর্মী। এটাকে নিছক রাজনীতি বলে এর দায় আমরা এড়াতে পারব না, ঐতিহাসিকভাবে ভুল হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান বলেন, ‘বিএনপির হামলায় ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছে এবং তাদের ওপর হামলার ভয়াবহতা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা কি রকম ছিল সেটি সারাদেশের জনগণ জানে না। এটা জানানোর দায়িত্ব আপনাদের। এর ওপর প্রত্যেকটি পত্রিকায় রিপোর্টিং হওয়া দরকার যে এতজন সাংবাদিক এই ভাবে নির্যাতিত হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে এটা হারিয়ে গেছে। সে কারণে এই রিপোটিংটা ধারাবাহিকভাবে হওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, আমি আশ্চর্য হয়েছি যে, কথায় কথায় যারা মানবাধিকারের কথা বলে, সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়, এখন তাদের কোনো বিবৃতি দেখি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের সম্মিলিতভাবে চিঠি লেখা দরকার- তোমরা এখন নিশ্চুপ কেন। সেই চিঠি আবার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা দরকার।’
হাছান এ সময় বলেন, ‘যেসব সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছে, যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে হয়, সংশ্লিষ্ট হাউজ থেকে মামলা করতে হবে। পাশাপাশি কোনো হাউজ যদি চায়, আহত সাংবাদিকদের তালিকা দিলে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে আমরা চিকিৎসার জন্য সহায়তা করব।’
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর মতো পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানোর পর অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট ১৯টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
হামলার সময় ডেমরায় ঘুমন্ত বাসের হেলপারকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা করেন তিনি।
সভায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কালের কন্ঠের সম্পাদক শাহেদ মোহম্মদ আলীসহ অন্যান্য দৈনিকের সম্পাদকেরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর বিরুদ্ধে তাদের লেখনি অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত জোট কেরাণীগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছিল: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট কেরাণীগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছিল। বিএনপির সময় কেরাণীগঞ্জে তারা সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের আইন্তা মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, কেরাণীগঞ্জ এক সময় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরেও কেরাণীগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত জোট বা সামরিক স্বৈরাচার সরকারগুলো কোনো উন্নয়ন করেনি। একারণে কেরাণীগঞ্জকে বলা হতো বাতির নিচে অন্ধকার।
তিনি বলেন, বিগত সরকারগুলো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে পড়েছিল স্থবির।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অর্থায়ন প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, আমানউল্লাহ আমানের সময় এ এলাকায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছিল সাধারণ ব্যাপার। আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর প্রায় সাড়ে চারশ’র বেশি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছিল। সেখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা ছিল সেই মামলার আসামি।
নসরুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বা স্বৈরাচারী সরকারগুলোর সময়ে দেশের জনসংস্কৃতি, কৃষ্টি ও খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছিল। মাদক ও জঙ্গিবাদের মতো ভয়াল সংস্কৃতি দেশে শেকড় গেড়ে বসেছিল। আমরা সেগুলো থেকে উত্তোরণ পেতে কাজ করেছি। আমরা মাদকমুক্ত সুস্থ সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তুলতে সাংস্কৃতির চর্চা ও খেলাধুলার উপর জোর দিয়েছি।
কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর ইকবাল বাপ্পির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরোজ সোহাগের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই মামুন, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান চৌধুরী ফারুকসহ জেলা ও স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সৌর জোটকে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান নসরুলের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি ব্যবহারের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন: নসরুল
বিরোধী দলকে নির্মূলে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরাতে সরকার রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা (সরকার) সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এবং রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে যে কোনো উপায়ে (নির্বাচনের) মাঠ থেকে বিরোধী দলগুলোকে অবৈধভাবে সরিয়ে দিয়ে আবার ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবে।’
রবিবার (২০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য বিরোধী দলগুলোকে দমন করে ও তাড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনের মাঠ পরিষ্কার করা।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প জনগণের টাকা চুরির আরেকটি কৌশল: ফখরুল
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের নির্দেশে পুলিশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। এখন যা চলছে এটাকে আমরা রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বলতে পারি। এছাড়া বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান একইভাবে কাজ করছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের কাছে কিছু কিছু ডকুমেন্ট আছে যেগুলো আমরা প্রয়োজন হলে দেখাবো। যাতে বিচারকদের বলা হচ্ছে, তাড়াতাড়ি মামলা শেষ করো, এত তারিখের মধ্যে মামলা শেষ করতে হবে… সাক্ষী না আসলে তাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে এসে সাক্ষী দাও। একদিকে পুলিশি নির্যাতন, অন্যদিকে বিচারে দ্রুত সাজা দেওয়ার ভয়াবহ কর্মসূচি তারা নিয়েছে। লক্ষ্য একটাই..তারা পুরো মাঠ খালি করে দিতে চায়।
তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কথা বলছে। যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় এবং দায় বিরোধীদের ওপর চাপানো যায়।
তিনি বলেন, এটা নতুন কিছু নয় কারণ তারা অতীতে একইভাবে একই কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। আমরা কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলাম। যা কিছু সন্ত্রাস তাতো আপনার করছেন। বন্দুক আপনাদের হাতে, পিস্তল আপনাদের হাতে, আইনও আপনাদের হাতে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবি পুলিশের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা একটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ এখন ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করছে। ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। ডিবি তাদের প্রেস ব্রিফিংয়ে যে অস্ত্রগুলো দেখিয়েছিল তা প্রাগৈতিহাসিক যুগে (তৈরি) ছিল।
তিনি বলেন, ডিবি বলছে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছে। আমরা বিস্মিত যে তারা এখন পুরোপুরি রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা বলছে। বোঝা যায় যে তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক।
তিনি ছাত্রদল নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানিয়েছে, তারা শনিবার ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির হাইকমান্ড এবং এর ছাত্র সংগঠনের ইউনিটগুলো দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল।
ফখরুল শনিবার নারায়ণগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে বিদেশের কোনো দেশ এগিয়ে আসবে না: ফখরুল
বিএনপি আশা করে বাংলাদেশিদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে মূল্য দেবে ভারত: ফখরুল