তিন মামলা
খুলনায় আ. লীগের ঝটিকা মিছিল, তিন মামলায় গ্রেপ্তার ৪০
খুলনার বিভিন্ন স্থান থেকে ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ এপ্রিল) নগরীর হরিণটানা, আড়ংঘাটা ও খালিশপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘তিনটি থানাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে মামলা করার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের অন্তত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
কেএমপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিছিলের ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে অংশগ্রহণকারী অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, ‘থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আওয়ামী লীগের ৭৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হরিণটানা থানা পুলিশ এ পর্যন্ত এই মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গুলশান থেকে সাবেক এমপি মনু গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি কেএমপির মিডিয়া শাখা থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আড়ংঘাটা থানাতেও একই ধরনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তকার অভিযান অব্যাহত থাকতে পারে।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেন হঠাৎ মিছিল করে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নগরীতে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। জোরদার করা হয়েছে টহল।
২২৭ দিন আগে
আরও তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক মন্ত্রী ইমরানকে
সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদকে সিলেটের আরও তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আলী হায়দার ফারুক বলেন, গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী একটি হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এছাড়া গোয়াইনঘাটের আরও দুটি মামলায় আজ আদালতে সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি ট্রিপল হত্যা মামলা ছিল।
আরও পড়ুন: বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
আদালত সূত্র জানায়, সিলেট মহানগরের কিনব্রিজ এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়। এতে পঙ্কজ নামের এক ছাত্র নিহত হন। ৫ আগস্টের পর এ ঘটনায় করা মামলায় ৭ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে। আজ (বুধবার) সকালে তাকে আদালতে তুলে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। পাশাপাশি আদালতে তার পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন, তবে বিচারক সেটি নামঞ্জুর করেন।
সিলেট-৪ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন ইমরান আহমদ। ২০১৮ সালে তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরের বছর তাকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত সরকারেও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী হয়েছিলেন ইমরান আহমদ।
৩০২ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৯০০ জনের বিরুদ্ধে তিন মামলা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মী হত্যার ঘটনায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় সাবেক দুই সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ প্রায় ৯০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজনরা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিবাগদত রাত ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেছেন।
তিন মামলায় সাবেক এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নাকে প্রধান আসামি ও সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী, তার স্বামী লাবুসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে রাশেদ খান মেনন
আসামিদের মধ্যে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, ড. জান্নাত আরা হেনরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদারসহ ৪৬৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামির তালিকায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। এছাড়া তিন মামলায় আরও ৪৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট তিনজনকে পিটিয়ে, গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতদের স্ত্রী, বাবা ও বোন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পৃথক তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলায় সাবেক দুই এমপি, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ প্রায় ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মাগুরার সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ২১৭ জনের নামে মামলা
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোলে আটক যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
৪৬৮ দিন আগে
তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ৫ কর্মকর্তার জামিন
ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও শেয়ার হস্তান্তরের পৃথক তিন মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ল) ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের দুই পরিচালক কামরুল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানির সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক।
এর আগে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করে আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড ও বাকি চারজনের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড দাবি করে।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সকম গ্রুপের দুই পরিচালকসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহানুর রহমান জানান, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাহজরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি ও কোম্পানির শেয়ার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের সিই্ও তার মা শাহনাজ রহমান এবং ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান সিমিন রহমানের ছেলে ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন জারিফ আইয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিথ্যা কাজের মাধ্যমে সিমিন ও তার সহযোগীরা তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
শাহজরেহ অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে তার বাবা একাধিক ব্যাংকের এফডিআর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে গেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার মা শাহনাজ রহমান ও বোন সিমিন রহমান অসমভাবে এফডিআর বিতরণ করেন।
বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার বড় বোন সিমিন রহমান ট্রান্সকম লিমিটেডের ২৩ হাজার ৬০০ শেয়ার জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে নেন এবং তাকে ও তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বঞ্চিত করেন।
তবে বাদী দাবি করেন, তিনি বা তার ভাই কখনো হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি।
শাহজরেহ আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা এই সমস্ত নথি জাল করেছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইউএনবির পক্ষ থেকে আসামিদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬৫০ দিন আগে