পাচারকারী
চুয়াডাঙ্গায় স্বর্ণসহ ২ 'পাচারকারী' আটক
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ৫৮০ গ্রাম স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারীকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে জীবননগর পৌর এলাকার ইসলামপুর থেকে স্বর্ণের বারসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক দুই জন হলেন- জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে জিয়া উদ্দিন ও একই গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে কামাল।
পুলিশ জানায়, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে স্বর্ণের বারগুলো সীমান্ত এলাকার নতুনপাড়া গ্রামে নেয়া হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: যশোরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক স্বর্ণ পাচারকারী নিহত, আটক ২
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, দুই জন স্বর্ণ পাচারকারী জীবননগর থেকে স্বর্ণের বার নিয়ে ভারতে পাচার করবে এমন গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। জীবননগর থানা পুলিশের একটি দল ইসলামপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। জীবননগর থেকে দুই পাচারকারী স্বর্ণ নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সীমান্ত এলাকার নতুনপাড়া গ্রামে যাচ্ছিল। পুলিশ ইসলামপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটিকে থামার জন্য সিগনাল দেয়।
তিনি আরও বলেন, দুই পাচারকারীকে আটক করে তল্লাশি করলে জিয়া উদ্দিনের মাজায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারের ওজন ৫৮০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
আটক দুই জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করবে। স্বর্ণের বারগুলো মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা রাখা হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে বিজিবি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ভারতীয় ছয়টি এয়ারগান উদ্ধার করার দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার রাতে দর্শনার ফুলবাড়ী সীমান্তের বেদেপোতা মাঠ থেকে এয়ারগানগুলো উদ্ধার করে বিজিবি। তবে দুই ‘পাচারকারী’ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় অবৈধ অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) পরিচালক শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, ভারত থেকে অবৈধভাবে অস্ত্রের চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ী বিওপির একটি টহল দল সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫.৬ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার: বিজিবি
ফুলবাড়ী বিওপির নায়েব সুবেদার ফারুক হোসেন সীমান্তের ৮৬নং মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থান করছিল। এ সময় ভারত থেকে দুইজন মাথায় করে কার্টুন নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কার্টুন ফেলে পালিয়ে যায়। কার্টুনের মধ্য থেকে ছয়টি ভারতীয় অত্যাধুনিক এয়ারগান উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে বিজিবির এ ধরনের টহল অব্যাহত থাকবে। বিজিবির সদস্যরা সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত
চুয়াডাঙ্গায় ৫ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভারতে পাচারের সময় প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাঁচটি স্বর্ণের বার উদ্ধারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুল হাসান জুয়েল (৩৫) ও আরিফ (৪৮)।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১টার দিকে পুলিশের একটি দল পুরাতন স্টেডিয়াম ও বিএডিসি মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে ফরিদপুর থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার তল্লাশির জন্য থামায়।
তিনি বলেন, এসময় প্রাইভেট কার থেকে ৫শ ৮১ গ্রাম ওজনের প্রায় ৫০ ভরি সমতূল্যের পাঁচটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরে প্রাইভেটকারটির মালিক পরিচয় দেয়া চালক আরিফ ও চোরাকারবারী জুয়েলকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা হাজতে নেয় পুলিশ।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস থেকে ভারতীয় ওষুধ-পণ্য জব্দ
বেনাপোল সীমান্তে ৩০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ জন আটক, ৫৮ স্বর্ণের বার জব্দ
যশোরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক স্বর্ণ পাচারকারী নিহত, আটক ২
যশোরের শার্শার জামতলা এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কথিত এক স্বর্ণ পাচারকারী নিহত এবং তার দুই সহযোগীকে ৩০টি স্বর্ণের বারসহ আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশের দুই ও শার্শা থানার এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
আটকরা হলেন, কুমিল্লার আবুল সরকারের ছেলে রবিন সরকার (৩২) ও কবির হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম (৩৪)। উভয়ের বাড়ি কুমিল্লা জেলা শহরের হোমনা এলাকায় ও দাউদকানদি উপজেলার সাজাদিয়া এলাকায়।
ডিবি পুলিশ জানায়, স্বর্ণ উদ্ধারের সময় পুলিশ ও পাচারকারীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অজ্ঞাত এক পাচারকারী নিহত হন। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শার্শার পুলিশের নাভারণ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) জুয়েল ইমরান।
আরও পড়ুন: শার্শায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
তিনি জানান, কায়বা সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ও শার্শা থানা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেয় নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা এলাকায়। প্রাইভেট কারে স্বর্ণের একটি বিশাল চালান পাচারের সময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে রবিন সরকারের শরীরে বাঁধানো অবস্থায় ও প্রাইভেট কারের ইঞ্জিনের ভেতর থেকে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৯ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণের বারসহ রবিন সরকার ও আবুল কাশেমকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য সাড়ে় সাত কোটি টাকা বলে এএসপি জানান। আজ সকালে জব্দ স্বর্ণসহ পাচারকারীদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের পাচার রোধে সীমান্ত এলাকায় পুলিশের টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। স্বর্ণের চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
যশোরে ১৭ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
ই-কমার্সের মাধ্যমে কত টাকা পাচার ও পাচারকারীদের তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট
ই-কমার্সের মাধ্যমে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা নিরূপণ করতে এবং পাচার হয়ে থাকলে কে বা কারা জড়িত তা চিহ্নিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কার বা কাদের অবহেলায় ই-কমার্স গ্রাহকরা গুরুতর লোকসান ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে করা তিনটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব, মোহাম্মদ শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম বাধন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কী পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, তা নিরূপন করতে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনেতে আসা গ্রাহক বা ক্ষতিগ্রস্তদের টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়বদ্ধতা নির্ধারণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কম্পেটিশন কমিশন, ভোক্তা অধিকার- এ তিন প্রতিষ্ঠানের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। তাই তাদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সেটি চ্যালেঞ্জ করে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছিলাম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে তাদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের অর্থ কেন ফিরিয়ে দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এনামুল বাছিরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, জানতে হাইকোর্টের রুল
এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন এবং ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব একটি রিট করেন। এই রিটে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতির সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদের গাফিলতির কারণে ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত ই-কমার্স কোম্পানি থেকে প্রতারিত হয়ে লাখ লাখ গ্রাহক সর্বসান্ত হয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এ পর্যন্ত এসব ই-কমার্স কোম্পানি থেকে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ নিরূপণ করে দুদকের মাধ্যমে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বাংলাদেশ ব্যাংককে এ পর্যন্ত ইভ্যালি, ধামাকা, আলেশা মার্ট, কিউকেম, দালাল, ইঅরেঞ্জ, আলাদিনের প্রদীপ, দারাজ ইত্যাদিতে মোট কত টাকা লেনদেন হয়েছে এবং গ্রাহকরা মোট কত টাকা দিয়েছে তা চিহ্নিত করা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কি কি পদক্ষেপ এ পর্যন্ত নিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, ই -কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ দায়িত্ব নেয়াসহ ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারী, অসম প্রতিযোগিতা রোধ, জনসচেতনতা তৈরি ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া, জাতীয় ডিজিটাল বাণিজ্য নীতি, ২০১৮ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে হেল্প ডেস্ক অবিলম্বে চালু করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কাছে আটকে থাকা টাকা উদ্ধারে ৩৩ জন গ্রাহক একটি রিট করেন। এই রিটে ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগের, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান এবং গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিনটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়। ওইদিন ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, কীভাবে এসব টাকা হস্তান্তর হয়েছে, এক্ষেত্রে যে অর্থ পাচার হয়েছে- সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান। একই সঙ্গে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক লেনদেনের বিপরীতে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে কী পলিসি নেয়া হয়েছে, আদৌ কোনো পলিসি আছে কিনা কিংবা ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করা হয় কিনা-সে ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআরকে) জানাতে বলা হয়।
পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চান আদালত। সে অনুযায়ী গত বছরের নভেম্বরে একটি আংশিক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। সর্বশেষ বিএফআইইউ গত ২১ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে বলা হয় মিডিয়া এবং রিটের তথ্য অনুযায়ী ৫০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিএফআইইউ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৭টির ব্যাপারে তদন্ত শেষ করেছে। প্রতিবেদনে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য থাকলেও টাকা কোথায় গেল, পাচার হয়েছে কিনা-সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই ছিল না। এছাড়া বাকিগুলোর ব্যাপারে তদন্ত সম্পন্ন করতে আরও সময় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। সোমবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: সেই তরুণীকে কানাডা সরকারের হাতে তুলে দিলেন হাইকোর্ট
ডিআইজি মিজানের দণ্ড বাড়াতে হাইকোর্টের রুল, আপিলে জামিন বহাল
টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটকের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. শফি উল্লাহ (৫৫), তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম (৪০), ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (১৯), তার স্ত্রী লাকী আক্তার (১৯), মো. পারভেজ (১৬), মো. জালাল (২৬) ও মো. রেদওয়ান (১৯)।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি-২।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি-২ এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দুটি পৃথক অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬৮ হাজার ৮০০ প্যাকেট ভেজাল ওরস্যালাইন উদ্ধার
বিজিবি জানায়, আটকদের কাছ থেকে এক কোটি ২৭ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৭৮৪ টাকা মূল্যের কিয়াট (মিয়ানমারের মুদ্রা), ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের ১৪ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার এবং তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা মাদক চোরাচালান ও মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন দেশে পাচারের কথা স্বীকার করেছে।
জব্দ করা গয়না ও কিয়াট কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হবে। এছাড়া আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: টেকনাফে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসি
আহত ব্যক্তিকে আটক: জামলাপুরে ৪ এসআই বরখাস্ত, ২ কনস্টেবল প্রতাহ্যার
কুড়িগ্রামে গরু পাচারকারীদের তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক
কুড়িগ্রামে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ধরন নিয়ে জেলাবাসীর আতঙ্ক দিন-দিন বেড়েই চলেছে। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি ভাবে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ।অন্যদিকে আসন্ন ইদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসায় সক্রিয় গরু পাচারকারীরা। জেলার অরক্ষিত বিভিন্ন সীমান্ত পথে প্রায় প্রতি রাতেই ভারতীয় গরু ঢুকছে এমন অভিযোগ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল দিয়ে ছিনতাইকৃত গরুর ট্রাক উদ্ধার, আটক এক
ভারতীয় এই গরুগুলো পৌঁছে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরাও কুড়িগ্রামে আসছেন গরু কিনতে।জেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের আব্দুল হাকিম জানান, শনিবার ও মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাটে শতশত ভারতীয় গরু কেনাবেচা হয়।এছাড়াও নারায়ণপুরের ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানান, নদীপথে শত-শত গরু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা গুলোতে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
তবে বিজিবির দাবি, করোনার বিস্তাররোধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।জেলাপ্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে। এতকিছুর পরেও সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ থেমে নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও কেন গরু চোরাচালান বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়? করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কুড়িগ্রামের সব সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গরু আসা বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।’
আরও পড়ুন: গরু ছিনতাই করতে না পেরে কৃষকের গলায় ছুরিকাঘাত
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে সীমান্তে করোনা বিষয়ক প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। সীমান্তবাসীদের জানানো হয়েছে কোনওরকম অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করলেই তারা যেন বিষয়টি দ্রুত আমাদের জানান। এছাড়া অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্ত এলাকাগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে।’
এতকিছুর পরেও আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দু'চারটি গরু চোরাপথে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের তীব্র সংকট
কুড়িগ্রাম জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে সবরকম নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গাফলতি দেখা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউএনও ও বিজিবির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।’উল্লেখ্য, সারাদেশে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে পুরো দেশজুড়ে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) লকডাউনের প্রথম দিন দেশে করোনায় একদিনে ১৪৩ জন মারা যাবার কথা জানানো হয়, যা একদিনের হিসেবে মৃত্যুর রেকর্ড।
চাঁদপুরে ২ টন জাটকা জব্দ, ৩ পাচারকারীর কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট থেকে দুই টন জাটকা জব্দ ও তিন পাচারকারীকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিশকাতুল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে কোস্টগার্ড গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যানে থাকা ড্রামে সংরক্ষিত ২ টন জাটকা ও তিন জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
কোস্টগার্ড জানায়, জব্দকৃত জাটকাগুলো মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদরাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। পাচারকারী তিন জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
যশোরে সোনার বারসহ পাচারকারী আটক
যশোরের বেনাপোলের আমড়াখালি চেকপোস্ট এলাকা থেকে দশটি সোনার বারসহ এক স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
সাভারে শিশু ও নারী উদ্ধার, আটক ৩ পাচারকারী
সাভারের আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এক শিশু ও এক নারীকে উদ্ধার করেছে র্যাব।