খারিজ
আবেদন খারিজ, ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যানকে লাখ টাকা জরিমানা
সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চেয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
একই সঙ্গে রিটকারী ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াতকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার এক লাখ টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুর রউফ।
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা: ব্যাখ্যা জানাতে সুরক্ষা সচিবসহ কারা মহাপরিদর্শককে আপিল বিভাগে তলব
আদালত বলেছেন, একই বিষয়ে এর আগে একাধিক রিট হয়েছে। উচ্চ আদালতে বিষয়টি সেটেলড হয়ে আছে। এছাড়া, সংবিধানেও সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিধান নেই।
সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চেয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রউফ এ আবেদন করেন।
পরে দুপুরে শুনানির জন্য চেম্বার বিচারপতির আদালতে উত্থাপন কর হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক দলটি এ রিট দায়ের করেন। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বিবাদী করা হয়।
ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত সেদিন বলেছিলেন, গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোট প্রদানে বাধার সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নির্যাতন: আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন এমপি মোস্তাফিজ
গত ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা চেয়ে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
সেদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ না পাঠিয়ে সরাসরি রিট দায়ের করায় হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এ কারণে গত ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
এরপর দ্বিতীয় দফায় রিট করলে গত ২৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আদালত বলেন, এই মুহূর্তে এ ধরনের রিট শুনব না। বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই অপারগতা প্রকাশ করেন।
চলতি বছরের ৮ মে উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ।
ইসিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নিবন্ধন নম্বর- ৪৬। দলটির নির্বাচনী প্রতীক হচ্ছে আপেল।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
পুনঃতফসিল দিয়ে সেনাবাহিনীর অধীনে ভোট চেয়ে করা রিট খারিজ
সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবিতে করা রিট খারিজ (নট প্রেসড রিজেক্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম, এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও তাহমিনা পলি।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, রিট আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতার (মেনটেইনেবলিটি) গ্রাউন্ডে খারিজ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
আদালত বলেছেন, রিটকারী সঠিকভাবে আসেনি।
নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কোনো নোটিশ না পাঠিয়ে সরাসরি রিট দায়ের করেছে।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল।
দলটির চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিট আবেদনে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
রিটে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বিবাদী করা হয়।
রিট দায়েরের পর ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত সেদিন বলেছিলেন, গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব
তিনি আরও বলেছিলেন, সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে রিট আবেদন করেছি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ৮ মে উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। তাদের নিবন্ধন নম্বর-৪৬। দলটির নির্বাচনী প্রতীক আপেল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
মির্জা আব্বাস, আলতাফ ও আলালের জামিন আবেদন খারিজ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বিলকিস আক্তার মির্জা আব্বাসের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসান ইফতেখার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এছাড়া অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের।
আসামীদের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
গত ১ নভেম্বর মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার পুলিশ বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন।
র্যাব ৫ নভেম্বর টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবু আনছার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৩১ অক্টোবর আলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা
সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল: দলের আপিল খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রবিবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতে ইসলামীর দায়ের করা লিভ-টু-আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শুনানির নির্ধারিত তারিখে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীসহ দলের আইনজীবীদের ঘন ঘন অনুপস্থিতির কারণে এ খারিজের আদেশ দেন।
আইনজীবী এ জে আলীর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান রবিবার শুনানির জন্য সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন।
রিট আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট তানিয়া আমির বলেন, খারিজের আদেশের পর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায় কার্যকর থাকবে।
জামায়াত নিযুক্ত আইনজীবী এ জে আলী তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কাছে এর আগে ছয় সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু আপিল বিভাগ সময় আবেদন নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
পরে গত ১২ নভেম্বর জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতে ইসলামীর করা আবেদনের শুনানির জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহার না দেওয়া পর্যন্ত সমাবেশ ও মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে গত ২৬ জুন আইনজীবী তানিয়া আমীর একটি আবেদন করেন।
২০০৯ সালে চাঁদপুরী এবং আরও ২৪ জনের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।
আবেদনে তারা বলেন, জামায়াত একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
হাইকোর্টের রায়ের পর জামায়াতের নিবন্ধন স্থগিত রাখে ইসি।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ইসি হাইকোর্টের আদেশ মেনে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
চট্টগ্রামে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ
মিতু হত্যা: বাবুলের জামিন আবেদন খারিজ
স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন- সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।
তার সঙ্গে ছিলেন- আইনজীবী শিশির মনির।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদি হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে কুঁপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল প্রথমে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুলসহ ৭ জনের বিচার কাজ শুরু
মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র গ্রহণ
লিভ টু আপিল খারিজ, ২৯০ এমপির শপথ বৈধ
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ এমপির শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সাত বিচারপতি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, এ রায়ের ফলে ২৯০ এমপির শপথ যে বৈধ ছিল তা সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও প্রমাণিত হলো।
আরও পড়ুন: ফখরুল ছাড়া বিএনপির নির্বাচিত সব এমপির শপথ গ্রহণ
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ২৯০ জন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। তার আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। সেই সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ২৯ জানুয়ারি।
সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ হিসেব করা হয় প্রথম অধিবেশন থেকে পাঁচ বছর। কিন্তু দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই একাদশ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন, যা নিয়ম বহির্ভূত।
এই শপথের বৈধতা নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন।
সে রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
তারপর রিট আবেদনকারী ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন। যে আবেদন আজ (মঙ্গলবার) খারিজ করা হলো।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত দুই এমপির শপথ ৭ মার্চ
ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ, দানকর দিতে হবে ১২ কোটি টাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আরোপিত দানকর বৈধ ঘোষণা করা রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) চেয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ রায়ের ফলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা দানকর বাবদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
এর আগে, ২১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন ড. ইউনূস। এরপর গত ১৭ জুলাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ২৩ জুলাই শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আজ শুনানি হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর।
২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়।
আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস।
তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না।
এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে ৩টি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।
মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ চিন্তা করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে গত ৩১ মে রায় দেন হাইকোর্ট।
৩১ মে রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৩ প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি টাকা দান করেছিলেন।
তিনি বলছেন, এর বিপরীতে কর দিতে হবে না। আমরা বলেছি দিতে হবে এ কারণে এনবিআর তাকে নোটিশ দিয়েছিল।
পরে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রেফারেন্স মামলা করেছিলেন। হাইকোর্ট রেফারেন্সগুলো ঠিক বলেছেন।
আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। এখন এনবিআরের দাবি করা কর দিতে হবে। এনবিআর ১৫ কোটি টাকার বেশি দাবি করেছিল।
ইতোমধ্যে তিনি ৩ কোটি টাকার মতো দিয়েছেন। এখন বাকি ১২ কোটি টাকার বেশি কর পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের দানকর নিয়ে আপিলে শুনানি ২৩ জুলাই
গ্রামীণ কল্যাণ নিয়ে ড. ইউনূসের রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ আপিল বিভাগের
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি উত্থাপিত হয়নি (নট প্রেস রিজেক্ট) মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার আবু হানিফ হৃদয় নামের যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দার করা রিটটি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ নট প্রেস রিজেক্ট আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম। আদেশের বিষয়টি এই আইনজীবী নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষামূলক ভাবে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ জুন সেতু উদ্বোধন করার পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। তবে ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
গত ১২ জানুয়ারি ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয় বলেও জানা গেছে।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে রাষ্ট্রপতি
নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
ওসির বিরুদ্ধে করা তাবিথের মামলা খারিজ
মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা না করায় হেফাজত আইনে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়ার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
ওই মামলায় মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে তাবিথ আউয়াল মামলাটি করেন ।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমান রাখেন। এরপর সন্ধ্যায় আদালত থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার আদালত এ বিষয়ে আদেশ দিবেন।
মঙ্গলবার সকালে আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন বলে জানান আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
আরও পড়ুন: বনানীতে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, তাবিথসহ আহত ১০
তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন।
মামলার আবেদনে আরও যাদের আসামি করা হয়- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির, শ্রমিক লীগ কর্মী বাবু, শফিক, বনানী থানার যুবলীগ কর্মী শ্যামল, দোলন, রনি, ববি, সাগর, মামুন ও ফারুক। এছাড়াও আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়। এছাড়া, বনানী থানার আরও ২০ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্যকেও অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির আমান, তাবিথসহ ৭০ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
মামলারসূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ গ্যাস, ডিজেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ দলীয় তিন নেতার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গত ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ এর গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এসময় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে। এসময় বাদী বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি নিশ্চিতের জন্য বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর হামলায় তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির অনেকে গুরুতর আহত হন। তাই এ অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন বাতিল চেয়ে তাবিথের মামলা
পিবিআই প্রধানসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলা খারিজ
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে ২০০ ধারায় জবানবন্দি নেয়া এবং ফেনী কারাগারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে করা পৃথক দু’টি আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা মামলা খারিজের এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে
বাবুল আক্তারের পক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালত তার আদেশে বলেছেন, পরিদর্শক দিয়ে পুলিশ সুপারের (এসপি) মতো পদের লোককে মারধর ও নির্যাতন করা অস্বাভাবিক। বাবুল আক্তার অনেকবার আদালত এসেছেন, জামিন চেয়েছেন কিন্তু এই এক বছর চার মাসে তিনি কোথাও আদালতে নির্যাতনের কথা বলেননি। আদালত মনে করেছেন, মিতু হত্যার মামলার আসামি হিসেবে মামলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তিনি নতুনভাবে এই আবেদন দিয়েছেন। তাই আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।
এর আগে বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেছিলেন, মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন-পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ও এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম এবং সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে।
আরও পড়ুন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ