সমাবেশ
ফরিদপুরে বিএনপির দুপক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করেন। তার সই করা লিখিত আদেশের একটি কপি ‘ইউএনও আলফাডাঙ্গা’ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও রাসেল ইকবাল জানান, জারি করা পত্র অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রশাসন থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে আজ (শনিবার) বিকেলে পৌর সদরের আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর-১ আসনের দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের।
অপরদিকে, বিকেল ৩টায় আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের আরিফুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে, গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর।
দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না ঘটে, সেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েই ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার স্কুল, মাঠ ও বাজার এলাকায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ-মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। হঠাৎ করে দেখলাম, ঝুনু সমর্থকরা প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য মাইকিং করছে। দুই পক্ষের সমাবেশের জন্য প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এক্ষেত্রে সমাবেশ করব কি করব না, বিষয়টি জেলা কমিটির সঙ্গে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত নেব।
শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু-সমর্থিত আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোসবুর রহমান খোকন বলেন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে এবং গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে যেহেতু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে, সেহেতু আমরা কর্মসূচি সফল করার জন্য মাঠে থাকব।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির বর্তমান সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু (ভিপি ঝুনু)।
গত ২১ অক্টোবর ১০ বছর পর ফরিদপুর-১ আসন (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা) এবং পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। তিনটি উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে প্রাধান্য পান কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা। এ নিয়ে নাসির মিয়া ও ভিপি ঝুনু মিয়ার মধ্যে দলীয় কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করে।
কমিটি ঘোষণার পর থেকে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল অব্যাহত রাখেন ভিপি ঝুনু মিয়া। গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বোয়ালমারীতে আলাদা আলাদা সমাবেশ ডাকে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ ও ঝুনু গ্রুপ। একপর্যায়ে সমাবেশ রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় রূপ নেয়। সহিংসতায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমান লিপনসহ দুই পক্ষের ১৫–২০ জন আহত হন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের প্রধান দুই নেতাকে আসামি করে স্থানীয় থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
৬ দিন আগে
নির্বাচনের আগে ব্যস্ত সড়কে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাবেশ না করার আহ্বান ডিএমপির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে জনদুর্ভোগ এড়াতে ব্যস্ত সড়কগুলোতে সমাবেশ না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়ক অবরোধের ফলে প্রায়শই গর্ভবতী নারী, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়।
পড়ুন: ডিএমপিকে পেশাদার ও মানসম্মত সেবা দিতে হবে: আইজিপি
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য ঢাকায় ৯১টি স্থান প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে মতিঝিল বিভাগে ১৫টি, তেজগাঁও বিভাগে ১২টি, লালবাগে ১৭টি, ওয়ারীতে ১৪টি, গুলশানে ৮টি, মিরপুরে ১১টি, উত্তরায় ১০টি এবং রমনা বিভাগে চারটি স্থান রয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনের জন্য ডিএমপির প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
বৈঠকে রাজনৈতিক নেতারা যানজট, মাদকের অপব্যবহার এবং কিশোর গ্যাংয়ের উত্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ নগর সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
তারা নির্বাচনের আগে যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা শহরে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডিএমপিকে তাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
১০৩ দিন আগে
কর্মদিবসে সড়কে সমাবেশ না করতে অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের
কর্মদিবসে সড়ক দখল কর্মসূচি পালন না করতে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। এ ধরনের কর্মসূচি ঢাকা শহরের সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে দক্ষতা বাড়াতে ডিএমপি কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) দুদিনের এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। এতে ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের ৬০ পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা শহরের সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মরত ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তারা রোড ক্র্যাশের ঘটনা তদন্তে (ইনভেস্টিগেশনে) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কলাকৌশল দেশীয় প্রেক্ষাপটে কাজে লাগানোসহ বৈশ্বিক সড়ক নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন এই কর্মশালা থেকে।
শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ‘সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অফিস খোলার দিনগুলোতে সড়কে রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহারের অনুরোধ করেছি। কারণ, এ ধরণের কর্মসূচি ঢাকা শহরের সব সড়ক ব্যবহারকারীর জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে।’
‘আর এগুলো করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে পুলিশ পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে না। কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে রোড ক্র্যাশের তদন্ত করে এর কারণ সঠিকভাবে চিহ্নিত করা গেলে তা ভবিষ্যতে সড়কে মৃত্যু কমিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে,’ যোগ করেন তিনি।
‘সেজন্য কোনো রোড ক্র্যাশ ঘটলে তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তদন্ত করতে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ সড়কের দায়িত্বে থাকে, তবে ক্র্যাশের ঘটনা তদন্ত করে ক্রাইম বিভাগ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে সড়ক ব্যবহারীদের ট্রাফিক নিয়মকানুন মেনে চলা প্রয়োজন। বিশেষ করে নির্ধারিত গতিসীমা না মানা, হঠাৎ লেন পরিবর্তন ও যত্রতত্র রাস্তা পাড়াপাড় ক্র্যাশের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ঢাকা শহরে অধিকাংশ রোড ক্র্যাশ মধ্যরাত থেকে সকালের মাঝে ঘটে যখন সড়ক তুলনামূলক ফাঁকা থাকে। রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধ করতে তিনি পুলিশ সদস্যদের কঠোরভাবে সড়কে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণসহ বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
বিশেষ অতিথির ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারওয়ার বলেন, ‘চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সব সড়ক ব্যবহারকারী যদি নিয়ম মেনে, গতিসীমা মেনে সড়ক ব্যবহার করেন, তাহলে রোড ক্র্যাশের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ। অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সুপারিন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মাহবুব আলম।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় সড়কে বেড়েছে প্রাণহানি, দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেল: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জিআরএপি’র এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং এডভাইজর পিটার জোনস্, এনফোর্সমেন্ট কোঅর্ডিনেটর গোলাম হোসেন, ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেটর রেজাউর রহমান, সার্ভিলেন্স কোঅর্ডিনেটর ডা. তানভীর ইবনে আলী, ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের টেকনিক্যাল এডভাইজর আমিনুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।
১৭১ দিন আগে
ঝিনাইদহে বিএনপি নেতার সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ
ঝিনাইদহে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজারে সমাবেশের আয়োজন করে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির একাংশ। জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বিকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হলে মাঠের একপাশে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। পরে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে দুর্বত্তরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারে বিক্ষোভ করেছে জয়ন্ত কুন্ডুর সমর্থকরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, রামচন্দ্রপুর বাজারে একটু উত্তেজনা হয়েছিল। পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে তিনি পটকা বা বাজি ফাটিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
১৭৪ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জুমার নামাজ শেষে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাকরাইল মোড়ে সমাবেশ শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, এই ইন্টেরিম (অন্তর্বর্তী) সরকার আমাদের রক্তের সরকার। আমাদের আন্দোলনে রেখে আপনারা এসিতে বসে থাকবেন না। আপনারা জেগে উঠুন। আমাদের দাবিতে দাবিতে আপনাদের ঘুম ভেঙে যাবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে যে বার্তা দিলেন জবিসাস সেক্রেটারি
সমাবেশে (জবি) ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, আপনি ঘুম থেকে উঠুন, আর ঘুমাবেন না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার যৌক্তিক দাবিতে আপনার দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুনতে চায়, আপনি আমাদের জন্য কী বার্তা নিয়ে আসেন।’
এর আগে, গত বুধবার থেকে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। দুপুর ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সমাবেশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০টি বাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলস্থলে নিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
চলমান আন্দোলনে তাদের দাবিগুলো হলো—
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা।
২. জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দেওয়া।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও দ্রুত বাস্তবায়ন।
৪. ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
২০৩ দিন আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের দাবিতে ৬৪ জেলায় বিএনপির সমাবেশের ঘোষণা
দেশের ৬৪টি জেলায় পর্যায়ক্রমে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে এই বিক্ষোভ করবে দলটি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন তথ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতি ঠিক করার প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার
রিজভী বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি, যা শেষ হবে রমজানের আগে। পরবর্তীতে সব মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করা হবে।
দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা এসব বিক্ষোভে অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। কোন জেলার বিক্ষোভে কোন নেতা অংশ নেবে—তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ কথা বলার সুযোগ দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। ভারত তাকে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় দিয়েছে, সেটা দিতেই পারে। কিন্তু তাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া যে, সে বলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে…পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে সে উসকানি দিচ্ছে, একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাকে সমর্থন করছেন ভারতের নীতিনির্ধারকেরা। এটা অদ্ভুত ব্যাপার।”
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘এটা তো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ, ভয়ংকর রকমের হস্তক্ষেপ! একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ওপর আরেকটি রাষ্ট্রের এরকম অবস্থান—এটা তো চরমভাবে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন!’
২৯৯ দিন আগে
তুরাগ নদীর আশেপাশে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ
তুরাগ নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম তীরের কামারপুর, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ ও এর আশেপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও অনেকে আহত হওয়ার পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের অভিযানে ১৭৯৯ মামলা দিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ
বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২৯ ধারার অধীনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ (অধ্যাদেশ নম্বর III/৭৬) জারি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং অন্যান্য বাহিনীর একটি বড় দল নিয়মিত পুলিশসহ ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই এলাকায় চার প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
৩৫২ দিন আগে
যশোরে সমাবেশে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
যশোরের শার্শায় বিএনপির সমাবেশে দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের হয়েছে। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১টার দিকে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, সমাবেশের আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। তবে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতারা আজ বিকাল ৩টায় গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিপক্ষ নেতারাও একই মাঠে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে সোমবার থেকেই গোড়পাড়া এলাকায় উত্তেজন বিরাজ করছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবদলকর্মী নিহত
এ কারণে সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বেলা ১টার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান জহির গ্রুপ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও শার্শা উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
এ সময় তারা সমাবেশের মঞ্চ ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে অন্তত ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের নেতাকর্মীদের দাবি, হামলায় তাদের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত
৩৭৩ দিন আগে
আ. লীগের সমাবেশের ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে একটি ফ্যাসিবাদী দল আখ্যায়িত করে দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা বা জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহ্য করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার বর্তমান রূপে একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে কোনোভাবেই এই ফ্যাসিবাদী দলের বিক্ষোভ করার সুযোগ নেই।’
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশে দলটির প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার (৯ নভেম্বর) শফিউল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে বলেন, গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা-সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে তা মোকাবেলা করবে।
আরও পড়ুন: কোনো প্রতিবেদনের বিষয়ে কাউকে ফোন করেনি সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্ট থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদের আগামী ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে এসে 'দুঃশাসনের' প্রতিবাদে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছে।
দলটির ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।’
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার গুলিস্তানের কাছে জিরো পয়েন্টে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী যুবলীগ নেতা নূর হোসেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালনী সরকারের মাত্র ৪ জন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
৩৯১ দিন আগে
জাতীয় পার্টির শনিবারের সমাবেশ স্থগিত
কাকরাইলে ডিএমপির সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করায় কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি।
শুক্রবার(১ নভেম্বর) রাতে জাপা প্রধানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ শনিবার কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এর আগে শুক্রবার সকালে জাপা চেয়াম্যান জানান, হামলার পরও আগামীকাল পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ পরিকল্পনা অনুযায়ী হবে। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করে ডিএমপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠিসোঁটা হাতে একদল ব্যক্তি মূল ফটক দিয়ে জাপা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং এরপর ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের
৩৯৮ দিন আগে