সমাবেশ
শনিবার সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, এর সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলো যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকে অগ্রাধিকার দেয় তারা শনিবার দেশের সব বিভাগের শহরে সমাবেশ করবে।
বিদ্যুত, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলোর প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করাই মূলত এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
এটি হবে যুগপৎ আন্দোলনের ১০তম কর্মসূচি যা ডিসেম্বরে একসঙ্গে শুরু করে। বিএনপির সর্বশেষ বিভাগীয় পর্যায়ের দশটি স্থানে অত্যন্ত সফল সমাবেশ কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটেছিল। ১১ মার্চ ঢাকাসহ দেশের সব জেলা শহর ও ১৩টি সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে পালিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ‘তথাকথিত’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে: ফখরুল
এছাড়া বিএনপির অন্য সব মহানগর ইউনিটও একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করবে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের সিনিয়র নেতারা।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, ১২ দলীয় জোট, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও এলডিপিও বেলা ১১-১২টা ও ৩টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক সমাবেশ করবে। .
গত বছরের ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিন্ন লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।
এ পর্যন্ত তারা ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশের সব ইউনিয়ন, জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমরা শিগগিরই জয়ী হব: ফখরুল
১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ১৮ মার্চ দেশের সব মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব জেলা শহর ও ১৩টি সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে বিরোধী দলের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপি ও তার জোটের শরিক দলগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা, অন্যান্য শহর ও জেলায় মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন এবং ১৮ মার্চ একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিরোধী দলগুলোর প্রতিবাদ, ক্ষমতা ছাড়তে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে মুক্তি দেয়া, খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার এবং দলের ১০ দফা দাবি মেনে নেয়ার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল
রাজশাহীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। সকাল থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশেস্থলে প্রবেশ করেন।
সকাল ৯টার দিকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ)। দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ প্রদান করার কথা আছে। তবে নির্ধারিত সময়ে তিন ঘন্টা আগেই বেলা ১১টার মধ্যেই পুরো জনসভা মাঠ জনসাধারণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঢলে পরিপূর্ণ হয়।
রবিবার বেলা ১১টা ৫০মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
উক্ত সমাবেশ থেকেই এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ৩৭৬ কোটি টাকার আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসছেন। এ সময় তাদের স্লোগানে-স্লোগানে মুখর রাজশাহী নগরী।
জনসভাকে কেন্দ্র করে কয়েক ধাপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল জনসভার সভাপতিত্ব করছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কর্মকর্তাদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন। এরপর নবীন এ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছাড়াও মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিন, তাদের আস্থা অর্জন করুন: পুলিশের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
বরিশালে বিএনপির সমাবেশের মঞ্চের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুক্ষণ এই সংঘর্ষ চলার পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বুধবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপির সমাবেশস্থলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঞ্চের সামনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী তপু কাজীর সাথে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সবুজ আকনের দ্বন্দ হয়। এই নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই জনের সমর্থক হাতাহাতিতে জড়ায় এরপর তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মী পর্যায়ের লোকজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে তাদের শান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ২০
ফরিদপুরে বিএনপির ১১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা বিএনপি’র
১০ দফা দাবি আদায়ে ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে দলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সকল মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা ও পৌরসভায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো আজ রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু
কর্মসূচিটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টায় মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে চার ঘণ্টার এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
বিএনপি নেতারা বলেন যে ২০০৭ সালে সেই দিনে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে ১১ জানুয়ারির জন্য এই কর্মসূচি তৈরি করা হয়, দিনটি দেশে ‘এক-এগারো’ নামে পরিচিত।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে রাজধানী ও রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বুধবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সকল বাধা-বিপত্তি ও দমনমূলক কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করে রাজধানীতে বিশাল সমাবেশ করে জনগণ বিজয়ী হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর সরকার পরাজিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তি ও গ্রেপ্তারের মধ্যেও ঢাকায় আমাদের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সরকার আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে জনসভা বানচাল করার চেষ্টা করেছে। সরকার তা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ জিতেছে এবং সরকার পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।’
মঙ্গলবার এক সমাবেশের বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ অত্যন্ত সফল হয়েছে কারণ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাদের দল আগামী দিনে রাজপথে ক্ষমতাসীন দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই যে আমরা আগামী দিনে তাদের (যারা ক্ষমতায়) রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আমরা রাজপথে সংকটের সমাধান করব। সুতরাং, আমাদের সকলকে এই ব্যর্থ, স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিবাদী শাসনকে রাজপথে উৎখাত করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত দলের অন্যান্য নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করা ছাড়া তাদের দলের আর কোনও বিকল্প নেই।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর।
গত ৭ ডিসেম্বর কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর এটিই ছিল তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির প্রথম কর্মসূচি।
৭ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
এছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
আরও পড়ুন: বিএনপি মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করবে
মোশাররফ বলেন, তাদের দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ-প্রশাসনকে জনগণের সঙ্গে একত্রে মোকাবিলা করবে
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই অতীতে দেশে এই ধরনের স্বৈরাচারী শাসন ছিল। স্বৈরাচারী শাসক এরশাদকে এ দেশের ছাত্ররা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এবং পাকিস্তানের শাসনামলে আইয়ুব খানকেও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কায়ও মানুষ রাজপথে নেমে রাজাপাকসের ভাইদের উৎখাত করেছে। আমাদের জনগণও প্রস্তুত (রাস্তায় নামতে)।’
বিএনপি নেতা পুলিশ ও প্রশাসনকে তাদের শপথের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জনগণ ও তাদের স্বার্থের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনি মানুষের শত্রু নন এবং তাদের পক্ষে অবস্থান নিন। সরকার পতনের ঘণ্টা এখন বাজছে। সরকার যাবে, কিন্তু আপনি এখানেই থাকবেন কারণ আপনি এই দেশের সন্তান এবং সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী। মানুষের সঙ্গে লড়াই করা আপনাদের উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না। এতে সংসদের কিছুই হবে না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির ২৬ জন এমপি সংসদে আছেন, তারা যাচ্ছেন না।
এছাড়া বিএনপির সংসদ সদস্যরা ভুল করেছেন এমন মন্তব্য করে কাদের বলেন, এই পরামর্শ বিএনপিকে যারা দিয়েছে তারা অচিরেই পস্তাবে।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক নিচে, এটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া সম্ভব না। বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আতঙ্ক ছিল। ১০ তারিখ চলে গেছে, সব ভয়ের মেঘ চলে গেছে।
আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করে না উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ভদ্র দল। এখানে খালেদা জিয়ার নামও বেগম খালেদা বলার চর্চা চলছে।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে দূতাবাসও পুলিশের ওপর হামলায় উদ্বেগ জানায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন নারী ধর্ষিত হয়, তখন কোথায় যায় যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার।
এছাড়া ফিলিস্তিনে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলো, কী বিচার করেছে আমেরিকা? ইসরায়েলকে আদর করেন, তাদের অন্যায়ের বিচার করেন না, তখন মানবাধিকার কোথায় যায়?
তিনি বলেন, উন্নয়ন আর অর্জনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ৭৫ এর পরে বাংলাদেশে এতো ভালো মানুষ জন্মায়নি।
করোনা ও এর পরে অর্থনৈতিক সঙ্কট শেখ হাসিনা সামলে নিয়েছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের কাছে এখনও পাঁচ মাসের রিজার্ভ আছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবেই।
কাদের বলেন, স্টকে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। আগে মানুষ বাঁচাতে হবে, তাই এখন উন্নয়ন কাজ একটু বন্ধ রাখা হয়েছে, তবে আবারও শুরু হবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্র আছে বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র কিভাবে দেবে।
বিদেশিদের কাছে প্রশ্ন আপনারা খবর নেন জিজ্ঞেস করেন কীভাবে তারা (বিএনপি) দেশে গণতন্ত্র দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এবার সেমিফাইনাল খেলা হবে ভোট চুরি, ষড়যন্ত্র, অপশক্তির বিরুদ্ধে। এরপর ফাইনাল খেলা হবে আগামী বছর ডিসেম্বরে।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি সমাবেশে লাঠি-আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’: কাদের
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ঢাকা সমাবেশ ব্যর্থ হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে দল 'অর্ধেক পরাজিত' হয়েছে।শনিবার সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।কাদের বলেন, ‘বিএনপি নয়া পল্টনে তাদের সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তারা তা করতে না পেরে অর্ধেক পরাজিত হয়েছে। পুলিশের অনুমতি পাওয়ার অনেক আগেই তারা সমাবেশের নামে পিকনিক আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ তাদের নয়াপল্টন কার্যালয়ের মধ্যে চাল, মসুর ডাল এবং রান্নার হাঁড়ির বস্তা খুঁজে পাওয়ার পর এটি প্রমাণিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সমাবেশে লাঠি-আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’: কাদেরক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের তার বক্তব্যে বুধবারের সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন।তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলা হলে পুলিশ কি নির্বিকার বসে থাকবে? আমরা জানি কারা এই ধরনের সহিংসতার জন্য বিএনপিকে অর্থায়ন করছে। সময় হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ।‘কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের (এমপি) পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একটি বড় ভুল প্রমাণিত হবে। এই পদত্যাগের কারণে সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়বে তা ভাববেন না। এছাড়া, এখন আমরা সেই লবিস্টকে চিনি যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্ররোচিত করেছিল। তার নাম টবি ক্যাডম্যান। রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। এসব ভুলের খেসারত বিএনপিকে দিতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালীন, জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতারা যারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত, দোষী সাব্যস্ত এবং পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা টবি ক্যাডম্যানকে লন্ডন-ভিত্তিক আইনি উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন।
সাভারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা। সভায় কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে: কাদের
গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
ঢাকার গোলাপবাগ মাঠ এখন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীতে মুখরিত।
সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল থেকেই সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি পেয়ে শুক্রবার থেকেই হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন।
দলটির নেতাকর্মীরা মঞ্চ প্রস্তুত ও অন্যান্য সব আয়োজন শুরু করেছেন। সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীতে প্রায় ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘নগরীতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে চার হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. কামরুল ইসলাম।
এদিকে সড়কে কোনো বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছুসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকার প্রথমে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে সেখানে সমাবেশ করতে রাজি হয়নি দলটি।
রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় এর আগে নয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় পর বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর এটি দশম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গোলাপবাগ মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে ৪ হাজার আনসার মোতায়েন
রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে চার হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
কামরুল ইসলাম জানান, প্রতিটি থানা ও চৌকিতে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
শনিবার বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গোলাপবাগ মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস