কুষ্টিয়া
হাতুড়ি নিয়ে ফুটবল মাঠে শিক্ষার্থী, ম্যাচ স্থগিত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফুটবল খেলা শুরুর আগে কিছু ছাত্র বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রকাশ্যে হাতুড়ি দেখানোয় খেলা স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দুই বিদ্যালয়ের মধ্যে ফুটবল সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে খেলা স্থগিত করার কথা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী।
দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন ৫২তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ফুটবল খেলার সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল। সকাল ১০টায় উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের রিফাইতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, খেলা শুরু হওয়ার আগে কিছু ছাত্র হাতুড়ি নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়ে। তারা প্রকাশ্যে হাতুড়ি দেখানোয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনও খেলা বন্ধের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউল ইসলাম বলেন, ‘খেলার আগে আমাদের এক ছাত্রের কাছে হাতুড়ি পাওয়া গেছে— এটা আমরা স্বীকার করছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, ‘হাতুড়ি আনার অভিযোগ পাওয়ার পর ইউএনও স্যার খেলা স্থগিত ঘোষণা করেন। আলোচনার মাধ্যমে পরে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে খেলা অনুষ্ঠিত হবে।’
এ বিষয়ে ইউএনও আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘খেলা শুরু হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা হাতুড়ি প্রদর্শন করছিল। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আগেই আমরা খেলা স্থগিত করেছি।’
৭২ দিন আগে
১০ মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নিজেদের মধ্যে মোটরসাইকেল রেস করতে গিয়ে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বারোমাইল এলাকায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া সরদারপাড়া গ্রামের লিপলু হোসেনের ছেলে মাহিন হোসেন (২০) ও একই উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (২১)।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত, বাসে আগুন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা লালন শাহ্ সেতু থেকে ১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন যুবক উচ্চগতিতে মহাসড়কে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছিল। পথিমধ্যে মাহিন ও সিয়ামের মোটরসাইকেলটি বারোমাইল এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন নিহত হন, আর গুরুতর আহত অবস্থায় সিয়ামকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহত দুই তরুণের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১১১ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক ৫
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দিন রাতেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়কের উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর এলাকার ফাঁকা মাঠ নামক স্থানের একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে ওই ঘটনার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে থানায় নিয়ে এসে বসিয়ে রাখে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী (২৬) পেশায় একজন হোটেল কর্মচারী। ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি। বারো মাইল এলাকার ওই হোটেলে কাজ শেষ করে রাতে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যানযোগে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় উপজেলার মসলেমপুর ফাঁকা মাঠ এলাকা থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে। এরপর স্বামীকে মারধর করে বেঁধে রেখে ওই নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
ঘটনার পরপরই ভেড়ামারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করে।
আটকৃতরা হলেন— মসলেমপুর গ্রামের কালু প্রামানিক (৪৬), ষোল দাগ এলাকার মুর্শিদ শেখ (৪৫), টিটু মন্ডল ওরফে টিপু (৪২), এজাজুল (৪২) এবং ভ্যানচালক রুবেল আলী (২৪)।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের মধ্যে তিনজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
অন্যদিকে, ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বামীকে পুলিশ ভেড়ামারা থানায় নিয়ে আসে। এরপর রাতভর তাদের থানায় রাখা হয়। সে সময় সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলেও ভেড়ামারা থানা পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
ভুক্তভোগী নারীকে রাতেই থানায় নেওয়া হলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে হয়েছে। ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও তাকে কোনো চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়নি। এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা শেষে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করা হলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে ওই নারী দাবি করেছেন যে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। তার দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি।’
১২৩ দিন আগে
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনা: কুষ্টিয়ায় পাশাপাশি দাফন একই পরিবারের চারজনকে
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আটজন নিহত হন। নিহত আটজনের মধ্যে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ধর্মদহ গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন ও গাড়িচালক। নিহত অপর দুইজন তাদের স্বজন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর দুইটার দিকে দৌলতপুরের ধর্মদহ ফরাজীপাড়া গোরস্থানে একই পরিবারের চারজনের একসঙ্গে জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় গ্রামের হাজারো মুসল্লি অংশ নেন।
দুর্ঘটনায় নিহত জাহিদুল ইসলামের দুই ছেলে সোহান ও সাগর সিঙ্গাপুর থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১০টার দিকে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছানোর পর দুপুর ২টার দিকে একসঙ্গে পরিবারের চারজনের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), তার ভাই শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আন্না (৫৫),তার ভাই মিজানুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), নিহত জাহিদুলের বোন প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাহাব হোসেন (৩৫), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুন (৩৫)।
নিহতরা মাইক্রোবাসে করে বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জে অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাচ্ছিলেন।
নিহত জাহিদুল, তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন, ভাইয়ের স্ত্রী আন্না ও আনুর লাশ বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামে পৌঁছায়। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের তৈরি হয়। পরিবার, স্বজন ও স্থানীয়দের শোক আর কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
একই গ্রামের বাসিন্দা ও নিহত গাড়িচালক সাহাবের লাশও বুধবার রাতে ধর্মদহ গ্রামে পৌঁছায়। এরপর স্থানীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে জাহিদুল ইসলামের বোন ও পার্শ্ববর্তী প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), জাহিদুলের শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকা অর্থাৎ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুনের(৩৫) লাশ তাদের নিজ নিজ গ্রামে আনা হয় বুধবার রাতে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
নিহত জাহিদুলের চাচাতো ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জানারুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে মাইক্রোবাসে করে সিরাজগঞ্জে রোগী দেখতে যাচ্ছিলেন সবাই। জাহিদুলের ছেলে সোহানের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় ট্রাকের ধাক্কায় আটজন মারা গেছেন। ধর্মদহ গ্রামের পাঁচজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন মাইক্রোবাসের চালক। বাকি চারজন একই পরিবারের সদস্য। এছাড়াও নিহত জাহিদুলের বোন প্রাগপুর গ্রামের ইতি, গাংনীর বসতবাড়িয়া গ্রামের জাহিদুলের শাশুড়ি ও শ্যালিকা মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের তরমুজ পাম্প এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ওই দুজনেরও মৃত্যু হয়।
১৩৩ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় অস্ত্রের মুখে প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চাঁদার দাবিতে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে হংকং প্রবাসী মো. শরিফুল ইসলামের (৪২) বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের আতিয়ার রহমান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রবাসী শরিফুল ওই এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় ১১ বছর হংকংয়ে ছিলেন। বছরখানেক হলো দেশে ফিরেছেন। বিদ্যালয়ের সামনের নিজস্ব তিনতলা ভবনে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে চাঁদাবাজির সময় দুই ভুয়া মেজর আটক
তার দাবি, দেশে ফেরার পর থেকে এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী তার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তা না দেওয়ায় গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার পাকা বাড়ির তিনতলায় ঢুকে পড়েন। বাড়িতে ঢুকেই তারা প্রথমে শরিফুলকে মারধর করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদার টাকা না পেয়ে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই ভাঙচুর করে সবকিছু নিয়ে চলে যায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা। অনেকেরই মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা থাকলেও কয়েকজনকে আমি চিনতে পেরেছি। তবে এখনই নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। মামলার পরে সবাই জানতে পারবেন।’
খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুরের আলামত রয়েছে। শরিফুল ইসলাম ভাঙচুর ও নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।’
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে রাতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৩৪ দিন আগে
পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শনিবার(১২ জুলাই) বিকালে কুষ্টিয়া শহরের বড় জামে মসজিদ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশব্যাপী অব্যাহত চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সমাবেশে পৌর সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবু সাঈদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন দলটির জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলী, সম্পাদক জিএম তাওহীদ আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মুফতি ফরিদ উদ্দিন আবরার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মুজ্জাম্মিল হক কাসেমী, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিটফোর্ডের চাঁদার জন্য ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যুবদলের নেতাকর্মীরা। হত্যা করে তারা ক্ষান্ত হয়নি, লাশের উপর বর্বর নিত্য করেছে এটা আইয়ামে জাহেলিয়াতের চিত্র। বাংলাদেশের জনগণ ও ছাত্রসমাজ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
১৪৫ দিন আগে
গড়াই-তীর দখল করে চলছে অবৈধ নির্মাণ, নীরব প্রশাসন
কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভার হাওয়া ভবন এলাকায় গড়াই নদীর তীরে সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী—মেসার্স আলম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রুহুল আলম টুটুল।
প্রায় দুই মাস ধরে প্রকাশ্যেই চলছে অবৈধ নির্মাণকাজ। নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠছে পাকা ভবন। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের ভাষ্য, প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আর প্রশাসন যেন দেখেও দেখে না।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোকসা-কমলাপুর সড়কের হাওয়া ভবন এলাকায় অবস্থিত মেসার্স আলম ট্রেডার্স। দোকানটির পেছনেই গড়াই নদী। নদীতীর ঘেঁষে পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ভেতরে কয়েকজন শ্রমিককে কর্মরত অবস্থায় পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসা করা হলে নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করে তাদের একজন বলেন, ‘ঘরের ভেতরে কয়েক ফুট সরকারি জমি পড়িছে। এই ব্যাপারে মালিক টুটুলের সঙ্গে কথা বলেন।’
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে টুটুল গড়াই নদীর পাড় দখল করে দালান তুলতিছে। ভয়ে কেউ কিছু কয় না। প্রশাসনও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। মনে হয়, চোখ থাকতিও তারা অন্ধ।
১৫৩ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের জের ধরে মোহন আলী (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় হৃদয় (২৫) নামের আরও যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুণ্ডি গ্রামের ঠোঁটারপাড়া মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহন আলী জামালপুর গ্রামের মৃত মদন আলীর ছেলে এবং আহত হৃদয় একই গ্রামের মৃত মসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ঠোঁটারপাড়া ও জামালপুরের কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মোহন ও হৃদয়ের মাদক ব্যবসা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন মোহন ও হৃদয় তাদের জনি নামের এক বন্ধুর অসুস্থ দাদাকে দেখতে ঠোঁটারপাড়ায় যান। বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে ঠোঁটারপাড়া মাঠ থেকে তাদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দ শুনে জনি পালিয়ে গেলেও মোহন ও হৃদয় তাদের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় তাদের কুপিয়ে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
পরে টহলরত বিজিবির একটি দল তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহন আলীর মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, ‘মাদক ব্যবসা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরোনো বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মোহন মারা গেছেন, হৃদয় হাসপাতালে ভর্তি।’
বিজিবির মহিষকুণ্ডি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শওকত আলী বলেন, ‘আমাদের টহল দল আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘নিহতের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
১৫৯ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
কুষ্টিয়ার মিরপুরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।
বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম ডাকাতির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
মৃতের স্বজনরা জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোড়াদহ ইউনিয়নের সৌদিরাজপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৬০) মারা যান। এরপর, সেখান থেকে লাশ নিয়ে তারা অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। রাত ২টার দিকে দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে পান বরজের কাছে ডাকাতদল অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করে।
মৃতের ভাই রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বোনের লাশ নিয়ে আসার সময় কালিতলার মধ্যে একটা পানের বরজের সামনে বাঁশের কাবাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে রাখে ৪ থেকে ৫ জনের একটি ডাকাতদল। তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ছিল, ছোট বোনের কানে স্বর্ণের দুল ছিল—সব নিয়ে গেছে। অন্যদের কাছ থেকেও নগদ টাকা নিয়ে যায়।’
পড়ুন: ফরিদপুরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি
তিনি আরও বলেন, ‘কতবার মিনতি করেছি—ভাই, আমার বোন মারা গেছে। আমরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মেডিকেল থেকে নিয়ে আসছি। আমাদের কাছে কিছু নেই। এসব বলার পরেও তারা জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়।’
মৃতের ছোট বোন বলেন, ‘ডাকাতদের অনুরোধ করে বলি—ভাই, আপনাদেরও মা-বোন আছে। দেখেন, আমার বোন মারা গেছে। তবুও তারা আমার কান থেকে একজোড়া দুল খুলে নেয়। এমনকি তারা আমার বোনের মুখ খুলে দেখে, সত্যিই সে মারা গেছে কি না!’
ওসি মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে ঘটনাটি জানার পরে অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।’
১৬১ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ ৫ ‘সন্ত্রাসী’ আটক
কুষ্টিয়ার একটি বাড়ি থেকে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল। তারা সবাই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার আইলচারা বাজার-সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিল জব্দ করে দলটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনটি অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা বাড়িটিকে একটি টর্চার সেল বা নির্যাতনকেন্দ্রে রূপান্তর করেছিল। সেখানে অপহরণ করে ধরে আনা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এরপর অপহৃতদের পরিবার থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।
আটকরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ইমরান খান মানিক, বড় আইলচারা এলাকার বাসিন্দা রনি, মিরপুর থানার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার বাসিন্দা সজীব এবং একই ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের রাব্বি ও শাকিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘সন্ত্রাসী’ তূর্য গ্রেপ্তার
স্থানীয়দের দাবি, মানিকের নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ।
তবে যৌথ অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অনেকে বাইরে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’
১৬৩ দিন আগে