কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ১৮
কুষ্টিয়ার মিরপুরে বুরাপাড়া-মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষে ১৮ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে কয়েক দিন ধরে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও স্থানীয় বিএনপির রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৮ জন আহত হন। এদের মধ্যে ১২ জনকে জেনারেল হাসপাতাল ও ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, সভাপতি হিসেবে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটিতে জামায়াতের আমিরের নাম দেওয়া হয়েছিল। অথচ তার নাম প্রত্যাহার করে নিতে বিএনপির নেতা নাসির হুমকি দিচ্ছিলেন। এরই প্রতিবাদ করে সমাবেশ করার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। হামলায় তাদের অনেকে আহত হন।
আরও পড়ুন: আনন্দ মোহন কলেজে বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১০
মিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, নাসির এক সময় ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কর্মী। ঘটনাটি যেহেতু স্থানীয় দুপক্ষের, তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।
১ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় মাংসের দাম চাওয়ায় যুবক খুন
কুষ্টিয়ায় মাংস বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ায় ছুরিকাঘাতে আলা-আমিন সর্দার নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম রানাখড়িয়া চাঁদ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আলা-আমিন সর্দার একই এলাকার রবিউল সর্দারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, আল-আমিন ও তার বাবা রবিউল মাংসের ব্যাবসা করতেন। আসাদুলের কাছে মাংস বিক্রির ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিলো রবিউলের। ওই পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে আসাদুল ও তার দুই ছেলে রবিউলের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় আল-আমিন প্রতিবাদ করতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা আল-আমিনকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আট মাস আগে প্রেমিকাকে খুন, প্রেমিকের ফ্রিজে মিলল লাশ
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ‘ধারালো কিছু দিয়ে পেটে আঘাত করায় তার মৃত্যু হয়েছে।’
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
১ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় নিজ দোকান থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিজ দোকানের ভেতর থেকে শামীম হোসেন নামে এ যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরিবারের দাবি, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের এলঙ্গীপাড়া ক্লিক মোড় এলাকায় অবস্থিত তার চায়ের দোকান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শামীম হোসেন এলঙ্গীপাড়া ক্লিক মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন চা বিক্রেতা ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে পরিবারের লোকজন শামীমকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বুধবার সকালে তার ছেলে চায়ের দোকানে যায়। দোকান খুলতেই সে দেখতে পায়, তার বাবার শরীর গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে ছুটে যায়। পরে কুমারখালী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে শামীমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের স্ত্রী নিলুফা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর সঙ্গে অন্য এক নারীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এছাড়া তার স্বামী সবসময় বিষাদগ্রস্ত হয়ে থাকতেন।
নিলুফা খাতুনের দাবি, ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই তার স্বামী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান বলেন, ‘শামীম হোসেন নামে এক চা বিক্রেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
৩ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে রুবিনা খাতুন নামে এক নারী পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সদস্যে রুবিনা খাতুন(২৮) কুষ্টিয়া আদালতে জিআরও অফিসে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত রুবিনা খাতুন মেহেরপুরের মুজিবনগর থানার রামনগর গ্রামের আব্দুল শেখের মেয়ে। একই থানার রতনপুর গ্রামের ফজলু শেখের ছেলে আলাল শেখ (৩০) তার স্বামী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ভালুকায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, শহরের কমলাপুর এলাকার একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন পুলিশ সদস্য রুবিনা। ছেলে-মেয়েরা নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বুধবার ছুটির দিনে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই বাড়িতে ছিলেন। সারাদিন সহকর্মীরা রুবিনাকে ফোন দিয়ে না পেয়ে পাশের ফ্লাটের পরিচিত এক প্রতিবেশীকে ব্যাপারটি জানায়।
এরপর ওই প্রতিবেশীর স্ত্রী এসে রুবিনার স্বামীকে জানায় সহকর্মীদের ফোন ধরছে না রুবিনা। তখন রুবিনার স্বামী আলাল জানায় শারিরীকভাবে অসুস্থ থাকায় সকাল থেকে সে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে আছে। সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানার পর সহকর্মীরা এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে রুবিনাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। বাকিটা ময়নাতদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে। তারপরও সবকিছু মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।’
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৩ সপ্তাহ আগে
সড়কের গাছ চুরির মামলায় কুষ্টিয়ায় ৩ আসামি কারাগারে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি-বাঁশগ্রাম সড়কের পাশ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৯টি গাছ চুরির মামলায় করাতকল মালিক নাসির উদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের আদাশে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কুসলিবাসা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রধান আসামি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কুসলিবাসা গ্রামের নাসির উদ্দিন এবং ইমরান মোল্লা ও সজল খন্দকার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরকারি সড়কের গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ।
আরও পড়ুন: বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কাঁচিকাটা সেতু ও ভাদুরমোড় থেকে আদাবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫৪টি গাছ কেটে নেয় দুর্বৃত্তরা। এই গাছগুলোর মধ্যে প্রায় ৩০-৪০ বছর বয়সী মেহগনি ও শিশু গাছ ছিল। দুর্বৃত্তরা এই গাছগুলো প্রায় ১০-১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। এতদিন ধরে গাছ কাটা চললেও প্রশাসন জানত না। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
শনিবার বিকালে চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে সরকারি গাছ চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় করাতকল মালিক নাসিরকে প্রধানসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১৫-২০ জনকে।
ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় অভিযানকালে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যু, ৩ পুলিশ অবরুদ্ধ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পুলিশের অভিযানের সময় রফিকুল ইসলাম দুদু নামে জাসদ নেতার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় উপপরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এরপর পুলিশক সদস্যদের গ্রামের বাজারের একটি দোকানে জাসদের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে কুষ্টিয়া থেকে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধ তিন পুলিশকে উদ্ধার করে।
নিহত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫)। তিনি একই গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদগ্রামের ৪ নম্বর সেতুর কাছে রফিকুলের চায়ের দোকান। সন্ধ্যায় ভেড়ামারা থানা-পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালালে বাঁচতে সেতু থেকে লাফ দেন রফিকুল। পুলিশ সেখানে ধাওয়া করে তাকে আটক করে। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, রফিকুল ইসলাম দুদুকে রাত ৭টা ৩৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জিপগাড়ি উল্টে যুবকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান বলেন, একজনকে সেতুর ওপরে মারতে দেখি। এগিয়ে গেলে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সেতুর থেকে ১০ ফুট নিচে ফেলে দেয় রফিকুলকে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে দেখে যে, সেতুর নিচে এক পুলিশ রফিকুলের জামার কলার ধরে বসানোর চেষ্টা করে। এরপর পরই বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিহতের ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, রফিকুল কোনো মামলার আসামি নয়। মামলার কোনো ওয়ারেন্টও দেখাতে পারেনি পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন দাবি করেন, রফিকুল ইসলাম দুদু নিরাপরাধ। জনতার রোষে তিন পুলিশের জীবন বিপন্ন হতে পারত। আমি ও নিহতের ভাই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আবদুল খালেক বলেন, কেন পুলিশ সেখানে গিয়েছিল সেটার তদন্ত করে দেখা হবে।
এছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে যাওয়া পুলিশদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ঘটনার জন্য যদি কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকেন, তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় ড্রেন থেকে পাওয়া গেল থানার লুট হওয়া শটগান
কুষ্টিয়ায় ড্রেন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মডেল থানার লুট হওয়া একটি শটগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের ঈদগাহপাড়া এলাকায় আফসার উদ্দিন মাদরাসার পেছনের একটি ড্রেন থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ড্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে অস্ত্রটি দেখতে পান। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ অস্ত্রটি উদ্ধার করে।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মনিরুদ্দীন ভাষা বলেন, ‘সকালে মাদরাসার পেছনে আমি ড্রেন পরিষ্কার করছিলাম। এ সময় ড্রেনের ময়লা পানির মধ্যে অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে সেটি ড্রেন থেকে উঠিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সেখানে এসে অস্ত্রটি নিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘লুট হওয়া অস্ত্রটি ড্রেনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ড্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে অস্ত্রটি দেখতে পান। আমাদের মডেল থানা পুলিশের শটগান এটি। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট থানা থেকে অনেক অস্ত্রই লুট হয়ে যায়। লুট হওয়া কিছু অস্ত্র উদ্ধার হলেও এখনও অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। এতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া মডেল থানা। সেসময় থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানার দাপ্তরিক কাজ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে চলছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
১ মাস আগে
কুষ্টিয়া আদালতে মারামারি-হট্টগোল, দুই কর্মচারী আহত
কুষ্টিয়া আদালতে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল ও মারামারি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আদালতের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম জানান, আদালতের সেরেস্তাদার ও কর্মচারীদের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কর্মচারীদের ওপর হামলা করে। এতে রাকিব ও রাসেল নামে দুইজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
আদালত সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রথমে মহসিন নামে জনৈক ব্যক্তিকে অপমান, অপদস্ত ও মারধর করেন আদালতের কর্মচারীরা। পরে মহসিনের লোকজন এসে কর্মচারীদের মারধর করেন। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা। ঘটনায় মহসিনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, মহসিন নামের এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হিসাবরক্ষক মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে আসেন এবং টাকা লেনদেন নিয়ে তর্কে জড়ান। এসময় মহসিনের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের হট্টগোল হয়। এর জেরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহসিন বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কর্মচারীদের মারধর করেন। এতে দুই কর্মচারী আহত হন। মহসিনকে আদালত পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। মহসিন বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হট্টগোল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় তেলের গোডাউনে আগুন, দুই কোটি টাকার ক্ষতি
১ মাস আগে
ইবির বাসের চাপায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দোতলা বাসের চাপায় জাহিদুল ইসলাম নামে এক বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
শহরের জেলখানা মোড় এলাকায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঘটনাটি ঘটে।
জাহিদুল ইসলাম শহরের হাউজিং এ ব্লকের মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকার টেইলার্সের মালিক ছিলেন জাহিদুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বাইসাইকেল করে জাহিদুল টেইলার্সে যাচ্ছিলেন। এ সময় জেলখানার মোড় এলাকায় ইবির একটি দোতলা বাস জাহিদুল ইসলামকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পরে জাহিদুলের লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকলেও বাসচালক বাস নিয়ে ১৫০ মিটার দূরে চলে যায়। তখনও বাসের সঙ্গে আটকে ছিল বাইসাইকেলটি। পরে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা চালককে মারধর এবং ভাঙচুর করে বাসের গ্লাস।
বাসচালক সেলিম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেলিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ বলে জানিয়েছে তারই আরেক সহকর্মী।
জাহিদুলের ছেলে শাহীনুর হাবীব লালন বলেন, সকালে বিছানা থেকেই শুনতে পেলাম বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। জেলখানা মোড়ের মতো ব্যস্ত জায়গায় একজন বাইসাইকেল চালকের বাসের নিচে পড়ার কথা না। চালক বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমরা তার বিচার চাই।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘাতক বাসটিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাসচাপায় জামায়াত নেতার মৃত্যু
২ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে নুর আমিন ও ফাতেমা নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশু দুটি সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার হরিণগাছি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নুর আমিন (৪) দৌলতপুর উপজেলার হরিণগাছি গ্রামের মালিথা পাড়া এলাকার খোদা বকস খুইদির ছেলে এবং ফাতেমা খাতুন (৩) মিজারুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে বাড়ির পাশে খেলা করছিল নুর আমিন ও ফাতেমা খাতুন। একসময় তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশু দুটিকে দেখতে পায় এলাকাবাসী। মৃত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় শিশুর মৃত্যু
২ মাস আগে