ধানকাটা
কিশোরগঞ্জ হাওরে ধানকাটার সময় বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে একজন কৃষাণীসহ ৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সাড়ে ৮টায় মিঠামইনের শান্তিগঞ্জ হাওরে ও বেলা ১১টায় অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর এবং কলমা হাওরে এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, ফুলেছা বেগম (৬৫), ইন্দ্রজীত দাস (৩৬) ও স্বাধীন মিয়া (১৪)।
এদের মধ্যে ফুলেছা বেগম মারা যান মিঠামইন হাওরে। তিনি উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশ্রাব আলীর স্ত্রী।
অষ্টগ্রাম হাওরে প্রাণ হারান কৃষক ইন্দ্রজীত। তিনি উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে। এছাড়াও স্বাধীন মিয়া (১৪) নামের একটি শিশু মারা গেছে। খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সে।
আরও পড়ুন: গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে প্রবাসীর মৃত্যু
স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, আজ সকালে বাড়ির পাশে ধানের খর শুকাতে দিচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে তার প্রাণহানি ঘটেছে।
অপরদিকে সকালে ইন্দ্রজীত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে পাকা ধান কাটছিলেন। তখন বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইন্দ্রজীত দাসের। একই সময় খয়েরপুর হাওরে স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ দুই ঘটনাস্থলেই গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
২২১ দিন আগে
যান্ত্রিকীকরণের কারণে খুব কম সময়ে সারা দেশের ধানকাটা সম্ভব হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে কার্গো ভাড়া কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি চত্বরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফলমেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
এর আগে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে কেআইবি চত্বর পর্যন্ত ফলমেলা উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
‘ফলে পুষ্টি অর্থ বেশ—স্মার্ট কৃষির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে ৮ জুন।
এবারের ফলমেলায় ৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৫৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। মোট ৬৩টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফল চাষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত। আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছেন এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতেও পারছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর মো. কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ডিমের মজুতের বিষয়টি তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
৫৪৬ দিন আগে