ভোরের কাগজ
ভোরের কাগজ খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ
অফিস খুলে দেওয়া ও প্রকাশনা অব্যাহত রাখার দাবিতে দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানী মালীবাগে পত্রিকাটির অফিসের সামনেই এই বিক্ষোভ হয়েছে।
হঠাৎ করে অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়া ও পাওনা নিষ্পত্তির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে তারা ব্যাখ্যা দাবি করেছেন। এ সময়ে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে তাদের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত: ভোরের কাগজ গোলটেবিল বৈঠকে শাহরিয়ার আলম
পত্রিকা বন্ধে আকস্মিক কর্মহীন হওয়ায় নিজেদের হতাশার কথাও ব্যক্ত করেন তারা। মানববন্ধনে ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষের অর্থনৈতিক অনিয়মের কথা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিক ও কর্মচারীরা।
ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন বলেন, ‘সম্পাদক গ্রেপ্তার হওয়ার পর পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের পদে বসেন সাবের হোসেন চৌধুরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক পরিচালক অরুন কুমার সরকার। তিনি ও পত্রিকার মালিক নিশ্চিত করেছেন যে, আমাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।’
কাগজটি বন্ধ হয়ে যাওয়াকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে এই প্রতিবেদক বলেন, ‘আর্থিক ও প্রশাসনিক বিভাগের দুর্নীতির কারণে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময়ে অষ্টম মজুরি বোর্ড অনুসারে পাওনা পরিশোধ ও পত্রিকাটি ফের চালু করার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন পত্রিকার মালিক সাবের হোসেন চৌধুরী। গেল সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক নোটিস টানিয়ে ৩৩ বছরের পুরনো এ সংবাদপত্রটির বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ৭ দিনের রিমান্ডে
১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তচিন্তার দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা এ দৈনিক।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৬ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্তকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
৩১৪ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত: ভোরের কাগজ গোলটেবিল বৈঠকে শাহরিয়ার আলম
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রতিবেশী হিসেবে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। দুই দেশের এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশ্বে দৃষ্টান্ত। দুই দেশের এই সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় এগিয়ে যাবে।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে রাজধানীতে ভোরের কাগজের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পগুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
‘বাংলাদেশ ভারতের নতুন সরকার: সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের নতুন সূচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
শাহরিয়ার আলম বলেন, দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক জোরদার করার চ্যালেঞ্জ কাটাতে গত ১৫ বছরে কূটনীতির বাইরে গিয়েও অনেক কাজ করা হয়েছে। সেই কারণে ২০২৪ সালে মানুষের মাঝে যে ধারাবাহিকতা তৈরি হয়েছে তাতে প্রত্যাশার মাত্রা বেড়েছে।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২১ জুন দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারতে যাবেন। ওই দ্বিপক্ষীয় সভায় অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এখন ন্যায্য হিস্যা আদায় করাটাই কাজ। দুই দেশের মধ্যে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করা গেছে। বাকিগুলোও করা যাবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সব মিলিয়ে মানুষের একটি প্রত্যাশা আছে, শেখ হাসিনার কারণে এটি তৈরি হয়েছে। এ প্রত্যাশা বাস্তবায়নে কাজ করতে গেলে নেতিবাচক প্রচারণাও থাকবে। এগুলো পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব আনাম খান, ভারত থেকে অনলাইনে যুক্ত হন প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিড়ী, টেলিগ্রাফের হেড অব পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স দেবদীপ পুরোহিত, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও ঢাকা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শেখ শাহরিয়ার জামান।
আরও পগুন: উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদারদের অব্যাহত সহযোগিতার ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা: শাহরিয়ার আলম
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ঢাকা: শাহরিয়ার আলম
৫৩৯ দিন আগে