দুদক
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদককে এ নির্দেশ দেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারওয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘ভারতের মতো আমাদের দেশেও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সম্পদ বিবরণী আইন করা উচিত। আইন থাকলে কাউকে তাদের (সরকারি চাকরিজীবীদের) সম্পদের পাহারা দিতে হতো না। ভারতে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হয়। বিবরণীতে সম্পদের ১০ শতাংশের বেশি পার্থক্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এরকম আইন করতে হবে। শুধু বাতাস খেয়ে চললে হবে না।’
এর আগে গত সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে বলে জানায় দুদক। এ ঘটনায় সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। একই দিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এই রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদক কমিশনার (তদন্ত), দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর গত রবিবার বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আবেদনে বেনজীর আহমেদের পাশাপাশি তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি গঠন
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১ ও ২ এপ্রিল আরও কয়েকটি ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমেও একই ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দুদক সচিব বলেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি নং ৩ অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এখন দুর্নীতিবাজদের দখলে রাজপথ: দুদক চেয়ারম্যান
তিনি আরও বলেন, 'দীর্ঘ ঈদের ছুটি শেষে গত ১৮ এপ্রিল প্রথম বৈঠকে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়।’
সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত শেষ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।
রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, দুর্ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) দল।
গ্রাহকদের দীর্ঘ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), চট্টগ্রাম-১ একটি দল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এই অভিযান চালায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
আভিযানিক দল প্রথমে ছদ্মবেশ ধারণ করে পাসপোর্ট অফিসে কোনো অনিয়ম আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে এবং পাসপোর্ট করতে আসা সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে কাউন্টার, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের কক্ষ পরিদর্শন করে।
এ সময়ে আনসার সদস্য আমানুল্লাহ এবং পুলিশের কনস্টেবল রিয়াদ ও ইমন বড়ুয়ার বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সময়ে গেইটের সামনে থেকে একজন দালালকেও হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন জানান, একজন সেবাগ্রহীতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযুক্ত দুজন স্টাফকে ডাকা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালককে জানানো হয়। পুলিশ ও আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
এছাড়াও আটক দালাল মহসিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারের জন্য পরিচালকের নিকট সোপর্দ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দুজন স্টাফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদককে জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফরিদপুরে মেহেদী হাসান মিন্টু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার বেলা ১১টায় দুদকের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মিন্টু ফরিদপুর সদর উপজেলার ৫ নম্বর ডিগ্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
এছাড়া সে একই উপজেলার আইজউদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
অবৈধ উপায়ে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় দুদক এ মামলা রুজু করে।
ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক এ মামলাটি দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
গাজীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে দুইজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ মিরপুর ও ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ অফিসে দালালদের দ্বারা গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে।
সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে এবং সহকারী পরিচালক আল-আমিন, মো. জাকিউল আলম ও মো. মেহেদী মুসা জেবিনের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন অভিযানের সময় দলটি সাধারণ গ্রাহক সেজে বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি উদঘাটন করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুদক দল একজন দালাল, দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্য এবং বিআরটিএ-র সঙ্গে যুক্ত একজন সিএনএস কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
অধিকতর যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত বিভিন্ন সেবা গ্রহীতার সঙ্গে অনিয়মিত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আটকদের পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র কাছে হাজির করা হলে দালাল ও সিএনএস কর্মীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে জড়িত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
বিআরটিএ অফিসে অধিকতর গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসের অনিয়ম খুঁজতে এই অভিযানে নেমেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর টাইগারে চসিকের প্রধান কার্যালয়ে যায় দুদকের একটি টিম।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ের-১ সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অভিযান চালায় দুদকের এ দল।
সূত্র জানায়, প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছেন দুদক কর্মকর্তারা। তারা ঝুলন কুমার দাশের ৪১৬ নম্বর রুমে বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করেছেন। পরে ঝুলন দাশকে নিয়ে দুদকের টিম নির্বাহী প্রকৌশলী তাসমিয়া তাহসিনের রুমে (৩০৩ নম্বর কক্ষ) যান।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, ‘২০১৯ সালে জাইকার অর্থায়নে ৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে টেন্ডারে অনিয়ম, নিজের পছন্দমতো ঠিকাদারকে কাজ দেওয়াসহ দুনীর্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন যাচাইবাছাই করতে হবে। আরও কিছু কাগজপত্র আমরা চেয়েছি। সেগুলো যাছাইবাছাই শেষে একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠাব। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
চসিক’র কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
চট্টগ্রাম ওয়াসার পাম্প অপারেটর নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রজেক্টে আর্থিক অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসায় আসেন দুদকের উপপরিচালক ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করেছে দুদক টিম।
আরও পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যে সব ভবনের মালিককে কাগজপত্র দিতে হবে: মেয়র আতিকুল
এসময় ওয়াসার চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ ও প্রধান প্রকৌশলী মাকুসদ আলমের সঙ্গে দেখা করেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক আগে থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল। তাছাড়া সদ্য ওয়াসার পাম্প অপারেটর নিয়োগ বিষয়ে অভিযোগ আছে। এসব বিষয়ে বুধবার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করব।’
এছাড়া নথিপত্রে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেছে কি না- এমন প্রশ্নে তদন্তাধীন বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসায় ঠিকাদার ও পরামর্শক নিয়োগ কীভাবে হয় এসব বিষয়ে খবর নেওয়ার জন্য দুদকের একটি টিম এসেছিল। জরুরি কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর এমডি স্যারের সঙ্গে কথা বলে তারা চলে যান।’
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্পেনের ব্যবসায়ীরা: বিদায়ী রাষ্ট্রদূত
মঙ্গলবার দুদকের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ, উত্তম চর্চার বিকাশ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে দুদক আইন ২০০৪- এর মাধ্যমে ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রতিষ্ঠিত হয়।
কমিশনের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কমিশন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২টায় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের প্রধানগণ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যগণের সঙ্গে আলোচনা সভার আয়োজন করবেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচিতে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক, কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন, সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মহাপরিচালকগণসহ কমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
খণ্ডিত নয়, পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে: দুদকের চেয়ারম্যান
ফরিদপুরে সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফরিদপুরের মধুখালীতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান আকন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি এতিমখানার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাত করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহা ও সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার মোল্যা। অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেন ওই সাতটি এতিমখানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি এতিমখানায় ভুয়া এতিম শিক্ষার্থী দেখিয়ে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ আত্মসাত করেন।
তাই দণ্ডবিধির ৪০৯/৮২০ ৮৬১৮৬৬/৪৭১/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সুপারিশ করে দুদক বরাবরে অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য দাখিল করা হয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ভাতা সংক্রান্ত অসত্য তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় কল্লোল সাহা ও মো. বাবুল আক্তার মোল্যার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপন জুয়েলার্সের দুই মালিকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম শাহ আলম। তিনি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও-১ হিসেবে পদায়িত ছিলেন। বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকা আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ নিয়োগ: জেইউএসটি’র সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আসামি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নহল গ্রামের মাস্টার বাড়ির মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আ/এ এলাকায় বসবাস করেন।
মো. শাহ আলম চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিআইও-১ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ভোগদখল করার প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে। এখন দুদক মামলাটি অধিকতর তদন্ত করবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. শাহ আলম নিজ নামে ৭১ লাখ ৫ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন। এ ছাড়া ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকার মূল্যের সম্পদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ, যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। তদন্তকালে ঘটনায় অন্য কারও সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আমলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা