রাজধানীর শাহবাগ
শাহবাগে ডিবির অভিযানে ৯০ লাখ টাকার মোবাইল ফোন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
রাজধানীর শাহবাগে চোরাচালানের ৯০ লাখ টাকার মোবাইল ফোন জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় নাফিস আহমেদ (২০) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে শাহবাগ থানাধীন পরিবাগ এলাকার মোতালেব টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ ৩৪৭টি চোরাচালানের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।
ডিবি-সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পরিবাগ এলাকায় ভারত থেকে অবৈধপথে চোরাচালানের বিপুলসংখ্যক মোবাইল ফোন আনলোড ও ক্রয়-বিক্রয় করা হবে বলে তারা জানতে পারেন। পরে ডিবির একটি বিশেষ আভিযানিক দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে মোতালেব টাওয়ার এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে চোরাচালানের ৩৪৭টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন আনলোড করার সময় নাফিসকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ সময় ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানকারী চক্রের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্য ও মাদক জব্দ
জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলোর আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ টাকা। ডিবি জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাফিস স্বীকার করেছে, তিনি একটি সক্রিয় চোরাচালানকারী চক্রের সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মোবাইল ফোন ও গ্যাজেট চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। নাফিসকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্যান্য চক্র সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
১৯৯ দিন আগে
যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর শাহবাগ থানায় কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ তুলে যে মামলা হয়েছে, তার যৌক্তিকতা না থাকলে বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রবিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুবসমাজ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
শিক্ষার্থীরা বুঝে এসব করছে বলে মনে হয় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগামী ৮ আগস্ট শুনানি হবে। শুনানিতে তাদেরও (শিক্ষার্থীদের) অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তারা সেগুলো না করে রাস্তা অবরোধ করছে। এগুলো সবকিছু এখন বিচার বিভাগের কাছে। সরকারের হাতে কিছু নেই।
শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা করতে পারে। মামলা তদন্তের পর যদি ম্যারিট (যৌক্তিতা) না থাকে তবে অটোমেটিক বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কিংবা ২৪ দিনের কোনো প্রশ্ন আসে না।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুল পথে নেওয়ার লোকের অভাব নেই। সেই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারা উসকানি দিয়েছে এবং কারা দায়ী সবগুলো বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে, সেটি তদন্ত হবে। তদন্তের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তদন্তের আগে আমি কিছু বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ অনুমাননির্ভর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫০৯ দিন আগে