জনরোষ
চট্টগ্রামে জনরোষে ওসি নিজামুদ্দিন
চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসের সামনে জনতার রোষানলে পড়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজামুদ্দিন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসের সামনে তাকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে জনতা।
পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি ছিলেন নিজামুদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে পাসপোর্ট অফিসের সামনে ওসি নিজামুদ্দিনকে জামার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে পরনের শার্ট ছিঁড়ে ফেলে জনতারা।
পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ সময় তার বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতারা পাঁচলাইশ থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া ওসি থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনতারা।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নিজামুদ্দিনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: গাংনীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
জানা গেছে ওসি নিজামুদ্দিন কোতোয়ালি, বাকলিয়া, সদরঘাট ও সবশেষ পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন
বর্তমানে তিনি সিআইডি কুমিল্লাতে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩৩২ দিন আগে
জনরোষ থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ, প্রাণ গেল আ.লীগ নেতার
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে হামলা-সহিংসতা শুরু হয়েছে। এর প্রথম ও প্রধান টার্গেট হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। প্রাণে বাঁচতে তারা যে যার মতো করে পালাচ্ছেন বা আত্মগোপনে যাচ্ছেন বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আত্মরক্ষা করতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেছে চাঁদপুর জেলার আওয়ামী লীগের এক নেতার।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল মজুমদারের (৬৫) বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ভাঙচুর
এসময় জনরোষ থেকে প্রাণে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ঝাঁপ দেন তিনি। তবে সাঁতার না জানায় শেষ রক্ষা হয়নি তার। সেখানেই ডুবে মারা যান তিনি।
স্বজনরা জানায়, রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন মোস্তফা কামাল। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশ লাশ উদ্বার করেনি, পরে স্বজনরাই তার লাশ পুকুর থেকে তুলে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘সোমবার রাতে উল্লসিত ও উত্তেজিত জনতা তার বাড়ি ও উপজেলার শোরশাক গ্রামের মজুমদার বাড়িতে হামলা করে। আত্মরক্ষার জন্য বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ঝাঁপ দেন মোস্তফা কামাল। তবে সাঁতার না জানায় সেখানেই ডুবে মারা যান তিনি।’
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘খবর জানলেও এই মুহূর্তে আমরা লাশ উদ্বার করছি না, উদ্বার করতে যাবও না। কারণ আমাদের নিজেদের জীবনই এখন অনিশ্চিত।’
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হুইপের বাসা থানাসহ মেয়রের অফিসে হামলায় নিহত ১, আহত ৪০
পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দিল জনতা
৪৮৫ দিন আগে