ট্রলারডুবি
মেঘনায় ট্রলারডুবি: স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এখনও নিখোঁজ কনস্টেবল, পরিবারে চলছে আহাজারি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হয়েছেন স্ত্রী ও ২ সন্তানসহ ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা। এ নিয়ে তার পরিবারের চলছে আহাজারি।
শুক্রবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও স্বপরিবারে নিখোঁজ রয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে রাসায়নিক গুদাম
সোহেলের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে এবং তিনি ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। সোহেল ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান।
দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ১নং ইউনিয়ন সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যরা ভৈরবে ছুটে যান। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তারা বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে ভৈরব সেতু এলাকায় মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি ট্রলার নিয়ে ১৬ জন যাত্রী আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিহত ১, পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ
গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তোফাজ্জল হক নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এসময় রুবা নামের এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগনেসহ কয়েকজন সাঁতরে পারে উঠলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কিন্ত অন্ধকার থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা, গ্রেপ্তার ১
ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
ভোলার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার ৮ দিন পর রাজ্জাক সরদারের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তবে তার ছেলে পারভেজ সরদার এখনো নিখোঁজ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ভোলা নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীর তীরে কচুরিপানার মধ্যে একটি লাশ ভাসতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে স্থানীয়রা ফোন দিয়ে জানায়। পরে নৌ পুলিশ খবর পেয়ে তুলাতুলি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ রাজ্জাক সরদারের স্বজনরা গিয়ে শনাক্ত করে।
প্রসঙ্গত, মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙারি মালামালসহ ৭ জন শ্রমিক ছিলেন।
ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় ৫ জন শ্রমিক সাঁতরে জেলে ট্রলারের সহায়তায় উপরে উঠে আসতে পারলেও আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদার ইঞ্জিনরুমে থাকায় তারা বেরোতে পারেনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ২
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
ভোলায় ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ২
ভোলা, ২২ জানুয়ারি(ইউএনবি)- ভোলার মেঘনা নদীতে মালামাল বোঝাই একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জন নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার(২২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোরা খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ৭ জনসহ পণ্যবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৫ জনকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন।
নিখোঁজ দুজন হলেন বাবা-ছেলে। তাদের নাম রাজ্জাক সরদার ও পারভেজ সরদার। জীবিত উদ্ধার হওয়া ৫ সদস্যদের মধ্যে রাসেল সর্দার ভোলার রাজাপুরের ১ নং ওয়ার্ডের রতন সর্দারের ছেলে। বাকি রিয়াজ,সাকিল,রুবেল ও ফারুক একই এলাকা বাসিন্দা বলে জানান সাকিল।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সাকিল সাংবাদিকদের জানান, তারা ভোলার মনপুরা উপজেলা থেকে ভাঙাগারি মালামাল বোঝাই করে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা করে ইলিশা ঘাটে পৌঁছার আগেই তাদের ট্রলারের মেশিনের ফ্যান ভেঙ্গে যায়। ফ্যান মেরামত করে ফের যাত্রা শুরু করলে উত্তর দিক থেকে প্রবল বাতাসের আঘাতে ট্রলারটির সামনের অংশ ডুবে গেলে তারা ৫ জন নদীতে লাফিয়ে পরেন।
নিখোঁজ রাজ্জাক ও পারভেজ ভিতরে আটকা পরায় তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেননি তারা। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা জীবিতদের উদ্ধার করে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করলে কোস্ট গার্ড,নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ভোলা নৌপুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, মনপুরা থেকে একটি ট্রলার অতিরিক্ত ভাঙ্গারি মালামাল নিয়ে মেহেন্দীগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে ট্রলারটি মেঘনা নদীর জোরখাল এলাকায় তীব্র বাতাস ও স্রোতের চাপে ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা পাঁচজন জেলে ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার হয়। বাকি ২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ থাকা সকলেই মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ কুমার আরও জানান, ঘটনার পর থেকে নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২০টি ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছালাম মিয়ার মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় উল্টে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আড়াইশোর মতো জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
রবিবার (৮ অক্টোবর) ১০টার দিকে মেঘনা নদীর চরঝাপটা এলাকা থেকে নৌ-বাহিনীর উদ্ধারকারী দল লাশটি উদ্ধার করে। স্বজনরা লাশটি নিখোঁজ সাব্বিরের বলে শনাক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ষাটনল এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ জান্নাতুল মাওয়া নামে ৮ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
জান্নাতুল মাওয়া স্থানীয় মফিজুলের মেয়ে। জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা (৩) নামে মফিজুলের আরেক মেয়ে এখনো নিখোঁজ।
সাব্বিরের ২ বছরের ছেলে ইমাতেরও খোঁজ মিলেনি। এর আগে শনিবার সকালে সুমনা আক্তার নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের লাশ উদ্ধার হলো। আরও নিখোঁজ রয়েছে ২ শিশুসহ ৩ জন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখা হলেও রবিবার সকাল ৬টা থেকে পূনরায় সমন্বিত উদ্ধার অভিযান শুরু করে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিটিএ ও নৌপুলিশ।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপপরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, উত্তাল মেঘনায় তীব্র স্রোত রয়েছে এবং পানির গভীরতা অনেক বেশি। এ কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার মেঘনায় আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: বাল্কহেডের মালিক-চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মুন্সীগঞ্জের পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার ১৫ ঘন্টা পর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার উদ্ধার হয়েছে। তিন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খোঁজে যৌথ অভিযান চলছে।
এদিকে রবিবার (৬ আগস্ট) বিকালে এই ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক ও চালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রুবেল শেখ।
তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নিখোঁজেরা হলেন- সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের রুবেল শেখের ছেলে মাহিম শেখ (৭), কয়রাখোলা গ্রামের আরিফ শেখের ছেলে তুরান আহমেদ (৮) ও কন্যা নাভা আক্তার (৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান,
থানায় মামলা হলেও জলপথে দুর্ঘটনার কারণে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে নৌপুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার রসকাঠির কাছে পদ্মার শাখা নদীতে বালুর জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের সন্ধানে চলছে যৌথ অভিযান।
বিআইডব্লিউটিএ প্রথমে এয়ার লিফটিং ব্যাগ ব্যবহারে করে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। সাথে স্থানীয় চেইন কপ্পা পদ্ধতি যুক্ত করেও সফল হয়নি।
সবশেষে সম্পৃক্ত করা হয় ভাসমান ক্রেন। বেসরকারি ভাসমান ক্রেনই প্রায় ১২ ফুট পানির গভীর থেকে টেনে তোলে ট্রলারটব।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ৫
আর কোস্টগার্ড ও ফাযার সার্ভিসের ডুবুরিরা দুর্ঘটনার আশাপাশের নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলার খেতেরপুর থেকে পিকনিকের ট্রলারটি পদ্মা সেতু এলাকা ঘুরে ফিরছিল।
দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি
কাজ শুরু করেছে৷ তদন্ত কমিটির প্রধান শারমিন আরা জানান, সকল সদস্যদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
বালু বহনকারী ঘাতক বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ। এর ওজন প্রায় ৭ মেট্রিক টন।
লৌহজং উপজেলার নির্বাহী অফিসার ডা. আব্দুল আউয়াল বলেন , ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জনই জীবিত উদ্ধার হন। আর এ পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
মুন্সিগঞ্জে লেপে মোড়ানো নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার
নিম্নচাপে ভোলায় ৫ ট্রলারডুবি, ৬ জেলে নিখোঁজ
নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর মোহনায় প্রবল ঝড় ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার ৫৮ জেলেসহ ৫টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এতে অর্ধশতাধিক জেলের মধ্যে ৫২ জেলে উদ্ধার হলেও ৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার উড়িরচরের পূর্বপাশে সাগর মোহনায় ও সাঙ্গু গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন সাগর মোহনায় এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মৎস্য আড়তদার মাইনুদ্দিনের ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া, মনপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের মৎস্য আড়তের লতিফ মাঝির ট্রলার, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া ঘাটের ইউনুচ বলির ট্রলার, সূর্যমুখী ঘাটের জান্টু মাঝির ট্রলার, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাট খালের জামাল মাঝির ট্রলার।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তায় নৌকাডুবি, ৩ কৃষক নিখোঁজ
ভোলায় ট্রলারডুবির ৫ দিন পর ৫ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলারডুবির পাঁচ দিন পর ৫ জেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান খান ও স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, মা-ছেলে নিখোঁজ
নিহতরা হলেন – মো. হারুন দর্জী, মো. শরীফ হোসেন, মো. ছাত্তার হাওলাদার, মো. নুর ইসলাম ও ফজলে করিম বারী।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাট সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন স্থানীয় জাহাঙ্গীর মাঝির ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় ১৩ জেলে। একদিন পর ২৪ জুন শনিবার সাগরে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এতে ১৩ জেলে নিখোঁজ হয়। আজ শুক্রবার সকালে ৬ জেলে সাগর মোহনায় ভেসে আসলে তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় জেলে ও আড়তদাররা ট্রলার নিয়ে দুপুর ২টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে পাঁচ জেলের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাগরে ভেসে থাকা ছয় জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া এখনো দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
আহত, নিহত ও নিখোঁজ সকল জেলের বাড়ি জেলার চরফ্যাশনে উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰামে। তবে আহত ও নিখোঁজ জেলেদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এঘটনায় নিহত পাঁচ জেলের পরিবারকে ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান।
উল্লেখ্য, সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ২৪ জেলেসহ ট্রলারডুবি, নিহত ১
ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে মালবাহী ভলগেট ও ট্রলার ডুবি
মানিকগঞ্জে পদ্মায় কোরবানির ২৮টি গরুবাহী ট্রলারডুবি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে ৪৭ টি গরুসহ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১৯টি গরু জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বাকি গরু ও ট্রলার এখনো উদ্ধার করা যায়নি। শনিবার সকালে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সুত্রকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা থেকে ৪৭টি গরু নিয়ে একটি ট্রলার নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কোরবানির এসব গরু বিক্রি করতে ২৪ জন ব্যবসায়ী ওই ট্রলারে করে নারায়ণগঞ্জের একটি গরু হাটে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার সূত্রকান্দি এলাকায় পদ্মা নদীতে গরুবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে গরু ব্যবসায়ীরা সাঁতরে তীরে উঠলেও অধিকাংশ গরু নদীতে ডুবে যায়।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ট্রলারের নিচে ফুটো হয়ে গরুসহ সেটি নদীতে ডুবে যায়। তবে এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের কেউ হতাহত হননি।
মানিকগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) ইমতিয়াজ মাহমুদ জানান, স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জাল পেতে ডুবন্ত ট্রলারটি শনাক্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রলার ও একটি সাম্পানের মাধ্যমে ডুবন্ত ট্রলার বাধা হয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুইটি মৃত গরু ভেসে উঠেছে। বাকি গরুগুলো মৃত অবস্থায় দ্রুত পাড়ে টেনে নেওয়ার কাজ চলছে।
হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য জানান, উদ্ধারকাজে রয়েছে ডুবুরিদল আরিচা স্থলকাম নদী ফায়ার স্টেশন শিবালয়ের ৬জন কর্মী এবং হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৭ জন কর্মীসহ সিংগাইর সদর সার্কেল আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জ শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
মানিকগঞ্জে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ
মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
পটুয়াখালীর দশমিনায় ঝড়ের কবলে পরে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বর ও বরের মাসহ মোট চার জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনও। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, নৌপুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
শনিবার দ্বিতীয় দিনের জন্য উদ্ধার অভিযান শুরু কড়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীতে এ ঘটনা।
মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার বিকালে নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে ভোলার চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় রাব্বি হাওলাদারের ফুপু লিপি বেগম (৩০) মারা গেছেন। লিপি বেগম উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ৪
তিনি আরও বলেন যে এছাড়া আরও চারজন আজ (শনিবার) সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ আছে। নিখোঁজরা হলেন- গুলি আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদার (২০) ও তার মা সেলিনা আক্তার (৪০) এবং উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) এবং উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আজ (শনিবার) পটুয়াখালী ও বরিশাল থেকে আরও দু’টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট তল্লাশিতে কাজ করছে। এখনও অভিযান চলছে, নিখোঁজ চারজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে ফরিদপুরের ৪ যুবক নিখোঁজ