সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে বিভিন্ন দলের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ ও রাজনীতি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
এনসিপির একজন নেতা বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। বিএনপি চাচ্ছে যথাসময়ে নির্বাচন। নির্বাচন পিছিয়ে যাবে কিনা, সরকারের পরিকল্পনা কি- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের পরিকল্পনা তো প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় নিজে পরিষ্কার করে বলেছেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তাদের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ আছে, নিজস্ব রাজনীতি আছে। এটার সঙ্গে তো সরকারের অবস্থান বদলের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার বলেছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে, এটাই হচ্ছে সরকারের অবস্থান। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।’
পড়ুন: পাথর লুটে যোগসাজশ ছিল প্রশাসনের, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের কথা শুনে নয়। সরকার নিজেদের মত আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।
১০৯ দিন আগে
পাথর লুটে যোগসাজশ ছিল প্রশাসনের, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান। রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাকে এটা বুঝতে হবে উপদেষ্টারা কোন পর্যন্ত যেতে পারেন। একটা সভায় কোন বক্তব্যগুলো যাবে, আমরা সেই পর্যন্ত কথা বলতে পারি। কিন্তু কোন প্লেট-গ্লাসে খাওয়া দিবে, আমরা সেই কথাটা বলি না। এটা আমাদের বলার কথা নয়। মাইক্রোম্যানেজমেন্ট আমাদের করার কথা নয়। কিন্তু আমরা পাথর লুটপাট যাতে বন্ধ হয়, সেজন্যই তো ফিল্ডে (সিলেটে) গিয়েছিলাম। ফিল্ডে যাওয়ার একমাত্র কারণ ছিল, যারা লুটপাট করে তাদের একটা বার্তা দেওয়া যে আমরা এটা করেছি। আপনি আমাকে বলেন তো, গত ১০/২০ বছরে পাথর লুটের বিরুদ্ধে কোন মন্ত্রীকে স্পটে যেতে দেখেছেন? একটা উদাহরণ আমাকে দেন। কোন মন্ত্রীকে আক্রান্ত হতে দেখেছেন, একটা উদাহরণ আমাকে দেন।’
তিনি বলেন, ‘তার মানে এখানে যে ঐক্যটা গড়ে উঠেছে, সেই ঐক্যটার বিপরীতে প্রশাসন হয়তো যোগসাজশ করেছে, নতুবা নিরব থেকেছে, বা দুটোই করেছে। সেজন্য প্রশাসনের ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব কিনা, দ্রুতই দেখতে পাবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের কাজ নীতিমালা প্রণয়ন করা, আমরা কিন্তু সেই নীতিটি ঠিকই প্রণয়ন করেছি—যে এই ১৭টিতে পাথর উত্তোলন করা যাবে না। পাথর আদৌ উত্তোলন হচ্ছে কিনা, এটি দেখবে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন। আমরা বারবার প্রশাসনকে বলেছি, লিখেছি।’
আরও পড়ুন: মূল ভূখণ্ডের ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বনভূমি: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন দেখলাম প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না, তাদেরকে সাহস দেওয়ার জন্য আমি এবং ফাওজুল ভাই (উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান) দুই জনই ফিল্ডে গেলাম। যখন আমরা ফেরত আসলাম, তখন আমাদের গাড়ি ঘিরে যে অশ্লীল বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলো এবং পরবর্তী সময় সেই বিক্ষোভের জের ধরে একটি রাজনৈতিক দল নেতাদের বহিষ্কার এবং সাসপেন্ডও করল। সেই সময় যদি প্রতিবাদটা খুব জোরালো হতো না, তাহলে আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন হতো।’
তিনি বলেন, ‘যা হোক, বেটার লেট দ্যান নেভার। আমি জনগণকে ধন্যবাদ জানাই, তারা যে লোকেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছে। যার ফলে আজকে যে অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে, এতে ভবিষ্যতে পাথর লুটবার আগে দুইবার চিন্তা করবে।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘পাথর কতটুকু তুলল, লুট হলো, নিয়ে গেল—এটি আমার মন্ত্রণালয়ের দেখার কথা নয়। যেহেতু আমি একজন পরিবেশ কর্মী এবং সরকারে আছি, আমি দায়িত্ব নেব, কিন্তু পাথর লুট হয়ে যাওয়ার দায়টা আমাকে দেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে তারা মামলা করছে, সেখানে আদৌ যারা দোষী তাদের কতটুকু তালিকাভুক্ত করছেন, সেটা আমাদেরকে দেখতে হবে।’
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন আমরা দুই উপদেষ্টা সেখানে গেলাম এবং আক্রান্ত হলাম, তারপর আমরা চলে আসলাম, তারপরে কিন্তু তিন দিনব্যাপী ব্যাপক অভিযান হলো। সব পাথর ভাঙ্গার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলো। কিন্তু তার চার-পাঁচ দিন পর সব রাজনৈতিক দল এক হয়ে চাপ প্রয়োগ করলো, তারা সেখানে ঘোষণা দিলেন যে পাথর তুলতে দিতে হবে। পরিবহন মালিকরা বললেন যে তারা ধর্মঘট করবেন। এই ধর্মঘট কিন্তু তাদের নতুন নয়। যখন ২০২০ সালে পাথর তোলা বন্ধ করে দেওয়া হলো, সেই সময় করোনার মধ্যে তারা দুইবার পরিবহন ধর্মঘট করেছেন। তাদের যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য বিন্দুমাত্র মায়া থাকত, করোনার এমন সংকটের মুহূর্তে নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য ধর্মঘট ডাকতে পারতেন?’
তিনি বলেন, ‘সেই সময় আমরাও সোচ্চার ছিলাম, প্রশাসনকে আমাদের সঙ্গে আনতে পেরেছিলাম। এবার হলো কি—সর্বদলীয় ঐক্যের কথা যে আমি বলেছিলাম, সর্বদলীয় ঐক্যের কারণে প্রশাসন নিশ্চয়ই যোগসাজশে ছিল। তাহলে তারা এখন বের করতে পারে কিভাবে পাথরগুলো কোথায়? আবার নিরবতাও ছিল। তারা হয়তো অতটা ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে মানুষ তার শক্তি দেখিয়েছে। লুটেরা চক্রের বিরুদ্ধে যখন মানুষ দাঁড়ায়, তখন যতই রাজনৈতিক শক্তি ওটাকে সাপোর্ট করুক না কেন, মানুষের শক্তিটাই আসলে জয়ী হয়ে আসবে।’
১১০ দিন আগে
শুধু অভিযোজন নয়, দরকার বিশ্বব্যাপী নির্গমন হ্রাস: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, উদ্ভাবনী অভিযোজন পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি হলেও, তা বিশ্বব্যাপী নির্গমন হ্রাসের বিকল্প হতে পারে না। নোয়াখালী ও ফেনীসহ উপকূলীয় অঞ্চলের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, জটিল নদীপ্রবাহ এবং জোয়ার-ভাটার প্রভাবে পানির উচ্চতা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, যা স্থানীয় বন্যা প্রতিরোধব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলছে।
‘অভিযোজনেরও সীমা আছে,’—বলেন তিনি। ‘প্রশ্ন হলো, আমরা কতটা অভিযোজন করতে পারি, ধ্বংসের আগে?’
শনিবার (২৬ জুলাই) সাভারে একটি অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা। উপদেষ্টা বিশ্বব্যাপী প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান মানে হওয়া উচিত নদী, বন আর খাল রক্ষা; শুধু কার্বন অফসেট হিসাব করার জন্য গাছ গোনা নয়, যখন নির্গমন কমানোর আন্তরিক প্রতিশ্রুতি অনুপস্থিত।’
তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্যকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার না করে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোই এখন সময়ের দাবি। কৃষিখাতে দুর্বলতার প্রসঙ্গ তুলে তিনি তামাক ও ক্যাসাভা চাষ সম্প্রসারণের মতো ক্ষতিকর প্রবণতা বন্ধ করে জনগণের জ্ঞান ও অংশগ্রহণভিত্তিক পুনর্জাগরণমূলক কৃষি ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেন।
‘শুধু খাদ্যের পরিমাণ নয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাটাই হওয়া উচিত আমাদের লক্ষ্য,’ বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অভিযোজনভিত্তিক অর্থায়নের বণ্টনে তৃণমূল, সুশীল সমাজ ও স্থানীয় উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে প্রাধান্য দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘নীতিনির্ধারক ও জনগণের মধ্যে দুইমুখী যোগাযোগ দরকার।’ তিনি অভিযোজন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সরকার ও জনগণকে ‘নেতৃত্বের আসনে’ বসানোর আহ্বান জানান।
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে সংস্কার আনা এবং সমন্বয় ও অর্থবণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে নতুন প্ল্যাটফর্ম যেমন বিসিডিপি চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
তিনি গাছ সংরক্ষণ আইন, বিদ্যালয়ভিত্তিক পুনরোপণ কর্মসূচি ও ভূমি সংরক্ষণ উদ্যোগের অগ্রগতি সম্পর্কেও আলোকপাত করেন এবং প্রকৃতিকে সম্মান জানাতে মনোভাবগত পরিবর্তনের উপর জোর দেন।
তার বক্তব্যের শেষে উপদেষ্টা সতর্ক করেন—‘উন্নয়নের ধরণ পরিবর্তন করতে হবে। জলবায়ু সহনশীলতা শুধু টিকে থাকার বিষয় নয়, এটি আমাদের মূল্যবোধ পুনর্বিবেচনার আহ্বান।’
১৩২ দিন আগে
প্রকৃতিভিত্তিক সচেতন জীবন গঠনই উন্নয়ন: পরিবেশ উপদেষ্টা
ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করে টেকসই ও প্রকৃতিনির্ভর (ইকোসেন্ট্রিক) বাংলাদেশ গঠনে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
গাড়ি-বাড়ি কেনা নয় বরং প্রকৃতিভিত্তিক সচেতন জীবন গঠনই উন্নয়ন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার (২৬ এপ্রিল) পুর্বাচলের চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করতে হবে, কম দূষণ করতে হবে, পুনঃব্যবহার ও পুনর্ব্যবস্থাপনা বাড়াতে হবে এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পদ বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আজ অসম্ভবকেও সম্ভব করা সম্ভব হয়েছে। তবে এই সাফল্য শুধু ব্যক্তি উন্নয়নে নয়, দেশের টেকসই উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।’
আরও পড়ুন: বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি: পরিবেশ উপদেষ্টা
এ সময় মেধা পাচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন, তবে দেশে ফেরত আসার মানসিকতা থাকতে হবে।’
২২২ দিন আগে
অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারে কমিটি গঠন হচ্ছে: রিজওয়ানা
অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে ও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এরআগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রিজওয়ানা বলেন, বৈঠকে ব্যাংকিং খাতের কিছু বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে, সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ। এছাড়া রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশে এবং গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশেও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশগুলো নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে অর্থনৈতিক অপরাধ যে গোষ্ঠীগুলো করেছে, তাদের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রাথমিক কাজগুলো হয়েছে। এখন অর্থনৈতিক অপরাধে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত শুরু করার জন্য আলাদা একটি কমিটি গঠন করেছি।’
জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সইয়ের সিদ্ধান্ত
পানিসম্পদ উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, জাতিসংঘের পানিপ্রবাহ কনভেনশনে সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মধ্যে আমরাই প্রথম এই কনভেনশনে সই করতে যাচ্ছি।
‘আর আমাদের অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা সবসময় বলি, আমরা আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে কেন সই করছি না। এই অভিন্ন জলরাশির পানির ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুটো আইন আছে জাতিসংঘে। একটি হচ্ছে জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭, আরেকটি হচ্ছে ১৯৯২ কনভেনশন,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ কনভেনশন কার্যকর হয় ১৯১৪ সালে। অর্থাৎ উজানের দেশগুলোর অনীহার কারণে মাত্র ৩৬টি দেশের সই লাগত। সেই সই পেতে ১৭ বছরেরও বেশি লেগে যায়। আরেকটি আইন হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টার্গেট করে ১৯৯২ সালে আরেকটি আইন করা হয়েছিল। এটি ২০১৬ সালে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।
‘এ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের প্রায় ১১টি দেশ আইনটিতে সই করেছে। তারমধ্যে বেশিরভাগ দেশ আফ্রিকান। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কনভেনশনে আমরা অনুস্বাক্ষর করবো,’ বলেন এই উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘এরআগে যত প্রক্রিয়া ছিল, সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা, আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা করা, ওই কনভেনশনের সেক্রেটারিয়েট থেকে লোক আসা—সবই আমাদের হয়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কনভেনশন অব দ্য প্রটেকশন এন্ড ইউজ অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল লেক ১৯৯২-এ সই করবো। বাংলাদেশকে দিয়েই এশিয়ার দেশগুলোর স্বাক্ষর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।’
২৩২ দিন আগে
আমরা একসঙ্গে শোষণ ও অন্যায়মুক্ত দেশ গড়তে পারি: পরিবেশ উপদেষ্টা
সবাই মিলে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে একটি শোষণ ও অন্যায়মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে এমন একটি শোষণ ও অন্যায়মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, যেখানে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। যা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হবে।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিআইসিসিতে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কনভোকেশন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে আপনাদের সাহস ও ত্যাগের কারণে। আপনারা অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।’
তিনি শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেন— ভালো ক্যারিয়ার শেষ লক্ষ্য নয়। সমাজের কল্যাণ করাই প্রকৃত সাফল্য।
বর্তমান উন্নয়ন মডেলের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়ন যেন প্রকৃতির ওপর চাপ সৃষ্টি না করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃতির ক্ষতি না করেও উন্নতি সম্ভব। এজন্য আমাদের উন্নয়নের ধারণা বদলাতে হবে।’ তিনি আইইউবিএটিকে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন মডেল প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ করেন। প্রথমত, অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। এটি কমাতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ পৃথিবী নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব, সমাবর্তন বক্তা যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথয়ের অধ্যাপক ড. ট্যামসিন ব্র্যাডলি, আইইউবিএটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নারগিস ও পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী রিয়ানা আজাদ।
পরে উপদেষ্টা সমাবর্তন ডিগ্রি প্রদান করেন ও ফাউন্ডার মিয়ান গোল্ড মেডেল, আলিমুল্লাহ মিয়ান অ্যাওয়ার্ড ও ক্রেস্ট বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।
২৯৮ দিন আগে
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
সামাজিক বনায়নের গাছ রক্ষা করতে হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব গাছ কাটা যাবে না। আকাশমণি ও ইউকেলিপটাস নয়, দেশীয় গাছ লাগাতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘সামাজিক বনায়নের সুবিধাভোগীরা গাছ বিক্রির লভ্যাংশের পরিবর্তে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।’
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রংপুর সার্কিট হাউজে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর সমন্বয় জরুরি। বন ধ্বংস, দূষণ ও পানি সংকট মোকাবিলায় এককভাবে কাজ না করলে হবে না। খরা, বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় জলাধার সংরক্ষণ, বন পুনর্স্থাপন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা
এ সময় তিনি পাথর ভাঙা রোধ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশ দেন। বাঁধের পাশে বেশি করে দেশীয় গাছ লাগাতে ও এই কর্মকাণ্ডে স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করতে বলেন।
সভায় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। এ সময় তারা জানান, রংপুর অঞ্চলে বন উজাড়, শিল্প ও কৃষিখাতে দূষণ এবং পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম, বগুড়া সামাজিক বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মুহাম্মদ সুবেদার ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান ও পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
২৯৮ দিন আগে
প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। কেউ এ সংক্রান্ত কার্যকর প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্স ২০২৪-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে তার ঢাকাস্থ বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।
রিজওয়ানা হাসান জানান, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না, এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।
নগরায়ণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের নগর এলাকায় সবুজায়ন ও আরবান ফরেস্ট্রি প্রসারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: মেছো বিড়াল রক্ষা করা পরিবেশের জন্য জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদীদের উত্থানের অন্যতম কারণ এখানকার প্রকৃতিবান্ধব পরিবেশ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ড. এম. মাহফুজুর রহমান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম আব্দুর রব প্রমুখ।
৩০১ দিন আগে
দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ভারত-চীনকে বাঁধ নির্মাণের আহ্বান উপদেষ্টার
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে বাঁধ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘একদিকে পদ্মার অন্যদিকে তিস্তার পানি কমে গিয়েছে। এখন যদি ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যায় তাহলে বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘কাজেই উভয় দেশের কাছে আমরা চাইব, আমাদের দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে কাজ করে সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হবে।’
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সার্কিট হাউজের কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশে পানি সংকট ও খড়ায় কোনো প্রভাব পড়বে কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, চীনের তিব্বতে সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য চেয়ে চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে চীন আমাদের বলেছেন, তাদের এই প্রকল্পে লোআর রিপারিয়ান (নিম্ন জলজ ভূমি এলাকা) দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
তারপরও আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে তারা যেন তথ্য-উপাত্ত চায়। অন্যদিকে ভারতে যেখানে বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন কাজের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, নদী গবেষণাকে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেটা তাদের ভিজিবিলিটি বাড়াতে সহায়তা করবে। যেমন শিল্পপ্রবণ এলাকায় নদী কি পরিমাণ দূষিত হয়ে থাকে, ঢাকার বড় বড় নদীগুলো দূষণের বিষয়ে জিপিএস পয়েন্ট দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান জানাবে। তাহলে দাতা সংস্থা থেকে লোন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন হবে না।
এছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ইকোসিস্টেমের ওপর কি ধরনের প্রভাব পড়বে এবং ওই বিষয়ে এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক মেঘ কেটে গেছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু গবেষণা সরকারি পর্যায়ে হয়ে থাকে। সে গবেষণাগুলো দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য সংস্থা দিয়ে করিয়ে থাকে। কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে যেখানে এই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা রয়েছে সেখানে কাজ করতে বলা হবে এবং সেটা সরকারি যে সংস্থা যাকেই চুক্তি দেওয়া হোক না কেন সে বিষয় চুক্তিপত্রে লেখা থাকবে।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের সহিংসতার ক্ষেত্রে সকলকে ধর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়াদা রিজওয়ানা হাসান।
এ সহিংসতার পেছনে কোনো উসকানি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে সরকারি সংস্থা কাজ করছে বলে তিনি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এস এম আবু হুরায়রা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক তাহমিদুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা।
৩১১ দিন আগে
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যা আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বায়ুদূষণের সমাধান সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুন: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
তিনি জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরোনো গাড়ি অপসারণ করা হবে এবং রাজধানীতে খোলা ট্রাক প্রবেশের বিষয়ে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণকাজের ধুলা, ইটভাটা ও যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জোরদার করার মাধ্যমে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণকাজে ধুলা কমাতে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা এবং সুরক্ষা বেষ্টনী ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার এবং দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পাশাপাশি, রাস্তার ধারে ঘাস লাগানো, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলা এবং বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, খাল উদ্ধার এবং উন্মুক্ত জায়গায় খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
৩৫৭ দিন আগে