স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বন্ধে কমবে ক্যান্সার ও চিকিৎসা ব্যয়: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে পারলে ক্যান্সারসহ তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, ‘তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে যে রাজস্ব দেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ আমাদের ব্যয় করতে হয় স্বাস্থ্য খাতে। তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার যদি আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে ক্যান্সারসহ তামাকজনিত যে সব রোগ হয়, সেগুলোর পেছনে আমাদের এত ব্যয় করতে হবে না। রোগ প্রতিরোধে নজর দিতে হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ আমাদের গড়তেই হবে।’
শনিবার (৩১ মে) সকালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন’ (ডব্লিউএইচও এফসিটিসি)-এ আমরা সই করেছি। অথচ একইসঙ্গে তামাক কোম্পানিগুলোর বোর্ডেও সরকার আছে—যাতে তাদের ব্যবসা ভালোভাবে চলে। এই বৈপরীত্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের এসব কথা স্পষ্টভাবে বলা উচিত। এখন যদি আমরা এসব বলতে না পারি, তাহলে আর কখনোই পারব না।
আরও পড়ুন: তামাক পণ্যের কার্যকর কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি
তামাক কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের শোষণ করছে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, তারা আমাদের শ্রমিকদের শোষণ করে, দেশের মাটি, আলো-বাতাসে বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে—এটা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না।
তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে কার্যকর করতে হলে সংশোধন করতে হবে। এ নিয়ে কাজ চলছে। তামাক কোম্পানিগুলো কোমলপ্রাণ কিশোর-তরুণদের নানা উপায়ে তাদের পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করছে, নানা রকম বাধা সৃষ্টি করছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এসব বাধা মোকাবিলা করতে হবে। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সবাইকে দেশকে তামাকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ হলেও তামাক কোম্পানিগুলো দেশে উৎপাদনের চেষ্টা করছে। তাদের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের শোষণ করা হচ্ছে। তারা এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন বাংলাদেশ সরকার তামাক কোম্পানির টাকায় চলে—এটি ভুল তথ্য। আমাদের সরকার চলে জনগণের টাকায়। তামাক কোম্পানিগুলো সাধারণত নদীর পাশের উর্বর জমিতে তামাক চাষ করে, এতে বনজ সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি মাছের প্রজনন হ্রাস পাচ্ছে, গরু পালনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে শিশু, কিশোর ও নারীদের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমি আশা করি, আমাদের তরুণরা এই ধ্বংসযজ্ঞ রুখে দেবে।
স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৫’ দেওয়া হয়।
১৮৭ দিন আগে
কিছু না করেও পাওয়া সম্মানি ফিরিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
নার্সিং পরীক্ষার কোনোকিছু না করেও এক লাখ ২০ হাজার টাকা সম্মানি পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তবে সম্মানির অর্থ গ্রহণ না করে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা নিজেই এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
এর আগে, অফিস সময়ে কোন সভায় যোগদানের জন্য সম্মানি না নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা জারি করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এই নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো জিনিস চাপিয়ে দিলেই হয় না। আমি করেছি, নুরজাহান (স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) আপা যদি মনে করেন তিনি করবেন।’
এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি ক্ষেত্রগুলোতে দেখা যায় কোন বোর্ড সভা হলে সেখানে সম্মানিত বোর্ড মেম্বর যারা আসেন, তাদের সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা সম্মানিত দেওয়া হয়। বাইরে থেকে যারা আসবেন তারা সম্মানি পাবেন। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে দুপুরের দিকে সভা হলে খাবার দেওয়া হয়, কিন্তু কোনো সম্মানি দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী নার্সদের পরীক্ষার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত; যারা খাতা দেখেন তারা সম্মানি পাবেন। কিন্তু দেখা গেল নার্সিংয়ের ভাগ হিসেবে আমার কাছেও চলে আসলো এক লাখ বিশ হাজার টাকার মতো। আমি এই টাকাটা ফেরত দিলাম। বললাম, আমি তো এ টাকা নিতে পারি না, আমি তো পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত না। এটা হবে কেন?’
আরও পড়ুন: ওষুধে শুল্ক কর কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
নুরজাহান বেগম জানান, বিভিন্ন সভার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ থাকে। উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে কে সম্মানি গ্রহণ করবেন আর কে করবেন না; এ বিষয়ে কাউকে জোর করার দরকার নেই বলে জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
২২৭ দিন আগে
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা মা ও শিশুদের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারব।’
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ওষুধে শুল্ক কর কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি শিশুর জন্ম শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো জাতির ভবিষ্যতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের সময় এবং নবজাতক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই আমরা শিশুর সুস্থতা ও বিকাশ নিশ্চিত করতে পারব। এ জন্য সরকার গর্ভকালীন সেবা, নিরাপদ প্রসব, নবজাতকের যত্ন এবং মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে ‘
‘তবে কেবল সরকার নয়, এই লক্ষ্য অর্জনে জনসচেতনতা, পরিবার ও সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন—সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ জন্মের জন্য আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে, গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ যত্ন নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও সমন্বিত করতে হবে।’
২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সঠিক যত্ন নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে প্রসব করানো, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সুবিধা সম্প্রসারণ, শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, টিকাদান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রচার বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘মা-শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, দেশি-বিদেশি সংস্থা ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করছে। আমি আজকের এই দিনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতে সবার কার্যক্রম আরও জোরদার হবে—এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসনে একযোগে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ।
২২৮ দিন আগে
ওষুধে শুল্ক কর কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
ওষুধের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক (কর) কমাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, ‘দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতেই বিভিন্ন খাতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়। তবে ওষুধের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। আশা করি অর্থ মন্ত্রণালয় তা বিবেচনা করবে।’
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘চিকিৎসা খাতে যেসব সংকট আছে তা নিরসনে কাজ চলছে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে অনেকগুলো সংস্কারের বিষয় আছে। সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনের পর দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিগত বছরগুলোতে দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসনে একযোগে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
এর আগে, আন্দোলনে যারা আহত, নিহত হয়েছেন এবং সে সময় যারা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তাদের ত্যাগকে সব সময় মনে রাখারও আহ্বান জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এদিন উপদেষ্টা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। তিনি হাসপাতালের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর উল্লেখ করে বিগত সময়ে নেওয়া নানা প্রকল্পের সমালোচনা করেন।
৩২০ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসনে একযোগে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আমরা অনেক সন্তান হারিয়েছি। অনেক ছাত্র-জনতার অঙ্গহানি হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, তাই আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যাপারে আমাদের সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আহতদের কয়েকজনকে রোবোটিকস ফিজিওথেরাপির জন্য ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি আমাদের দেশে নেই।
তিনি আরও বলেন, আহতদের জন্য এক সেট রোবোটিকস ফিজিওথেরাপি যন্ত্রপাতি চীন থেকে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকরভাবে গড়ে তুলতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সেটা স্থাপন করলে দেশেই আহতদের রোবোটিকস ফিজিওথেরাপির চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, কানাডা আমাদের ডাক্তার, নার্স, ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানজনিত ব্যাপারে প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করতে পারে।
কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেন, কানাডা সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে আইসিডিডিআরবি এবং ব্র্যাকের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কানাডায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশে যদি কিছু হয় সেটার প্রভাব কানাডাতেও পড়ে বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার।
সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তা অ্যাডওয়ার্ড ক্যাবরেরা, ফারজানা সুলতানা ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মামুনুর রশীদ।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
৩৫১ দিন আগে
রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ফিরে গেলে সামগ্রিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, ‘আমরা খালি ওষুধের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি, আসলে এটা কিন্তু স্বাস্থ্য সেবা না। এটা হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবসা। আমরা যদি সবাই রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ফিরে যাই, তাহলে সামগ্রিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব।’
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শাহবাগের বিএসএমএমইউ কনভেনশন হলে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও ডিভাইস বিষয়ক সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রেসার বা রক্তচাপের কথা বলি। কিন্তু প্রেসার কেন হয়, কি করলে প্রেসার হবে না, এজন্য জীবনযাত্রায় কি পরিবর্তন আনতে হবে এইগুলোর প্রতি আমাদের নজর দেওয়া উচিত।
এছাড়া প্রিভেনশন বা রোগ প্রতিরোধের প্রতি আমাদের খুবই গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
আরও পড়ুন: বিদেশ গিয়ে ফিরে আসেননি ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সভায় সারাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতালের যন্ত্রপাতির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। এ সকল যন্ত্রপাতি ঠিকমত মেরামত, সংরক্ষনণ ও অকেজো যন্ত্রপাতি কাজের উপযোগী করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো: সারোয়ার বারী।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহী উমর ইশরাক, মেডট্রনিক ল্যাবসের প্রেসিডেন্ট রুচিকা সিনঘাল, ঢাকার হাসপাতালগুলো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, পরিচালকরা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: তোপের মুখে পঙ্গু হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
৩৫৯ দিন আগে
বিদেশ গিয়ে ফিরে আসেননি ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমার কাছে ৪০ জনের বেশি চিকিৎসকের তালিকা আছে যারা বিদেশে গিয়ে দেশে আর ফিরে আসেননি। তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও দেশে আসেননি।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু ট্রেনিং করে তারা যাতে দেশে ফিরে আসে, এটাই আমার চাওয়া।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থাকেন্দ্রিক। রোগ যাতে না হয় সেজন্য যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা আমাদের নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্ত জরুরি।
তিনি বলেন, আমি খুবই গর্বিত যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টরা কীভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয়নি। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন, আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: তোপের মুখে পঙ্গু হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সত্যিই খুব খুশি হব যদি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। আমি চাই চিকিৎসকরা যতভাবে সম্ভব যেকোনো বিষয়ে যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং সেই শিক্ষাটা যাতে দেশেই থাকে। এতে এ দেশের মানুষ উপকার পাবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটা কথা বলে রাখি- আমি মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরণীতে দেখেছি যেখানে বলা আছে ২-৩ দিনে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু ঠিক। তিনদিনের জন্য চিকিৎসকরা কী প্রশিক্ষণ নেবেন।
তিনি বলেন, তিনদিনের প্রোগ্রাম সভা, সিম্পোজিয়াম হতে পারে, তবে আমি মনে করি ট্রেনিংয়ের সময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা যাতে হাতে কলমে বিষয়গুলো শিখতে পারি সেসব বিষয়গুলো ট্রেনিংয়ে যাতে থাকে।
এছাড়া দীর্ঘ প্রশিক্ষণে আমার কোনো আপত্তি নেই, সেটা হোক এক সপ্তাহ কিংবা হোক দুই সপ্তাহ বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এদিকে ডিমেনশিয়ার এবং মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার নিয়েও আমাদের দেশ থেকেই গবেষণা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক চিকিৎসক এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের পরিচালক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
৩৬৯ দিন আগে
আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের ন্য সরকারের একটা বরাদ্দ আছে, সেটা তারা পেয়ে যাবেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সঠিক চিকিৎসাটা দেওয়া। সেটা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তারদের পরামর্শে আহত তিনজনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরও দুইজনের কথা বলা হচ্ছে। এরপর আরও ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি পাচ্ছে সেটা হচ্ছে আহতদের চিকিৎসা।’
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নানা ধরনের বহুমুখী সমস্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নার্সের সংকট রয়েছে। যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। অনেক জায়গায় এম.আর.আই মেশিন, এক্সরে মেশিন নষ্ট। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হবে ঢাকার ১০টি রাস্তা: উপদেষ্টা
নূরজাহান বেগম বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য চায়না, নেপাল, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসেছে। নেপাল ৫০ জনের চোখের কর্নিয়া স্থাপনের ব্যবস্থা করছে। এরইমধ্যে দুইজনের চোখে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক শ্রেণির পেশার মানুষ আছেন। অনেকে হাত হারিয়েছেন, অনেকে পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আহতদের অনেকে নানা ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এটা শুধু মন্ত্রণালয়ের না, পুরো জাতির বিষয়।
কোভিডকালীন সময়ে ডাক্তারদের অবদানের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, কোভিডকালীন পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা যে সেবাটা দিয়েছেন, অনেক ডাক্তারও কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আমরা তাদের স্মরণ করি না। কিন্তু তারা অনেক দিয়েছেন জাতির জন্য। বৈষম্যের যে কথা উঠে এসেছে সেটা নিয়ে আমি বলব শুধু ডাক্তাররা নয়, নার্সরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, শিশু বিভাগ, আইসিইউ, ইসিজি রুম, এডাল্ট রিসাসিটেশন রুম, অবজারভেশন রুম, ল্যাবরেটরিসহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমাসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩৯৫ দিন আগে
জরায়ু ক্যানসার রোধে কার্যকরী এইচপিভি টিকা নিয়ে নানা রকম অপপ্রচার চলছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, জরায়ু ক্যানসার রোধে এইচপিভি টিকা নিয়ে নানা রকম অপপ্রচার চলছে, নানা রকম কথাবার্তা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, অপপ্রচার সবসময় থাকে। এছাড়া মানুষ যদি সচেতন হয়, যে যে দিক থেকে বাধা দিক, তা অতিক্রম করা সম্ভব।
রবিবার (৩ নভেম্বর) এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জাতীয় পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
তিনি বলেন, একসময় আমরা ফ্যামিলি প্লানিং ও ডায়রিয়া নিয়ে কাজ করেছি, তখনো অপপ্রচার ছিল। অপপ্রচার বন্ধের শক্তি হচ্ছে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। এটার ওপর আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সিটি করপোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কওমি মাদরাসার প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের অংশীদারদের সঙ্গে সভা করেছি, যাতে সবার অংশগ্রহণে এইচপিভি টিকা কার্যক্রমটা আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এইচপিভি টিকা কার্যক্রমে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করি সবার সহযোগিতায় বাকি সময়ের মধ্যে আমরা ৯০ শতাংশ টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ করতে পারব।
উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা দেশের প্রত্যেকটা হাসপাতালে, ক্লিনিকে বিশেষভাবে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রত্যেকটা হাসপাতালে ডেঙ্গু বিষয়ে ফোকাল কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে এবং আলাদা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। আপনারা যদি তুলনা করে দেখেন গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেক কম।
নূরজাহান বেগম আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যু আরও কমানো যায়। এটা শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না। আমরা ছাত্র-জনতা প্রত্যেকেই যদি ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসি, তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পর্যালোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিসার ডা. চিরঞ্জিত দাস, ইউনিসেফের চিফ এসবিসি সেকশন প্রতিনিধি ব্রিজেত জব জনসন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমাসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
৩৯৬ দিন আগে
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭৩৭, আহত ২৩ হাজার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৭৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম সেক্টর অসীম সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ৭৩৭ জন নিহত, এটা ভেরিফায়েড নয়। ছাত্রদের একটা তালিকা আছে। সেখানে বলা হয়েছে, নিহত ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি। ছাত্ররা তাদের তালিকা দিলে আমরা ক্রস চেক করে দেখব।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৪০০ জন চোখ হারিয়েছেন। আর দুই চোখ হারিয়েছেন ৩৫ জন।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের: উপদেষ্টা
৪২৩ দিন আগে