নিখোঁজ
শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১২৩, নিখোঁজ আরও ১৩০
ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’র কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে শ্রীলঙ্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্তত ১৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
দক্ষিণ এশীয় এই দ্বীপদেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেন্দ্র শনিবার (২৯ নভেম্বর) জানায়, দুর্যোগকবলিত হয়ে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টে দেখা যায়, রাতের ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা এখনো পৌঁছাতে পারেনি।
গত সপ্তাহ থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও সড়ক প্লাবিত হয় এবং চা বাগান-প্রধান মধ্যাঞ্চলীয় পার্বত্য জেলাগুলোতে ভূমিধস শুরু হয়। দুর্যোগের কারণে সরকার স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করে; স্থগিত করা হয় বিভিন্ন পরীক্ষা।
৫ দিন আগে
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার, আটক ১
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচদিন পর পাটখেত থেকে রৌজা মনি (৬) নামের এক শিশুর বিকৃত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের চর মারিয়া গ্রামের বৈরাগীডুবি বিলে তার বিকৃত লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশু রৌজামনি সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের চর মারিয়া গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার বিকাল ৫টার দিকে রৌজা মনি বাড়ির সামনে খেলা করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় রৌজা মনি। এরপরে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে রৌজা মনির মামা দেওয়ান আলী কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন রাসেল মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৪৬ দিন আগে
টেক্সাসে বন্যায় নিহত বেড়ে ৮২, দশ কিশোরীসহ নিখোঁজ বহু
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ জনে। খ্রিস্টান মেয়েদের গ্রীষ্মকালীন শিবির ক্যাম্প মিস্টিক থেকে আরও ১০ কিশোরীসহ এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকারী দলের বরাতে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, কেরি কাউন্টিতে গুয়াদালুপে নদী দিয়ে নেমে আসা পানির দেয়াল যাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ক্যার কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লাইথা বলেন, কেরি কাউন্টিতে এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৮টি শিশু রয়েছে।
শুক্রবারের (৪ জুলাই) আকস্মিক বন্যায় নিহত প্রতিটি মরদেহ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত অনুসন্ধান চলবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি। রবিবার (৬ জুলাই) টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট সতর্ক করে বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, যা নতুন করে প্রাণঘাতী বন্যা সৃষ্টি করতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, নদীর পানি ৪৫ মিনিটের মধ্যে ২৬ ফুট বেড়ে গিয়ে মৃত্যু ও বিপর্যয়ের মুখে পড়েন তারা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বহু ঘরবাড়ি, গাড়ি ভেসে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউ) কেরি কাউন্টির বিভিন্ন এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি রেখেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানায়, গুয়াদালুপে নদীর তীরে ক্যাম্প মিস্টিক নামের খ্রিস্টান মেয়েদের গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে ৭৫০টির বেশি শিশু অবস্থান করছিল।
স্থানীয় প্রশাসনের জানিয়েছে, বন্যার প্রবল ঢলে ভেসে যাওয়াদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৫টি শিশুর পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
টেক্সাস রাজ্যের জরুরি বিভাগের প্রধান নিম কিড বলেন, ‘প্রতিটি নিখোঁজ ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধারের তৎপরতা চলছে।’
এদিকে, টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, ‘নিখোঁজদের কেউ কেউ গাছের ডালে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। আমরা তাদের জীবিত উদ্ধারের জন্য কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার, কয়েকশত উদ্ধারকারী দল ও দেশটির সেনাসদস্যরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিবারগুলো নিখোঁজ স্বজনদের ছবি দিয়ে সাহায্য চাচ্ছেন।
এদিকে, এত ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য অনেকেই ট্রাম্প প্রশাসনকে দোষারোপ করছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প প্রশাসন আবহাওয়া বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থায় বাজেট ও কর্মী সংখ্যা ব্যাপক কমিয়েছে।
অনেকের অভিযোগ, এর কারণেই পূর্বাভাস ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে সঠিক সময়ে মানুষের কাছে সকর্তবার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে, স্থানীয় কর্মকর্তারা অভিযোগ করে জানান, তারা এমন ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস পাননি।
তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তা অ্যাভেরি তোমাসকো দাবি করেন, ‘বিপর্যয়ের ১২ ঘণ্টা আগেই কেরি কাউন্টিতে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।’
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউ) বলছে, শুক্রবার রাতেই অন্তত ৩০ হাজার মানুষের জন্য বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তবে, স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে পরিস্থিতি এত দ্রুত খারাপের দিকে যাবে, সেটি অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননি।
উদ্ধার অভিযান চলতে থাকলেও নিখোঁজ শিশুদের ভাগ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে পরিবারগুলোর। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করছি। বন্যাদুর্গতদের পরিবারের প্রতি আমাদের প্রার্থনা ও সমবেদনা রইল।’
টেক্সাসের হিল কান্ট্রি অঞ্চলের অর্থনীতিতে নদী পর্যটনের বড় ভূমিকা রয়েছে। শতবর্ষ পুরনো গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু ও পর্যটক বেড়াতে আসেন।
আরও পড়ুন: টেক্সাসে বন্যায় নিহত বেড়ে অর্ধশত, ২৭ কিশোরীসহ নিখোঁজ বহু
১৫১ দিন আগে
হাতিয়ায় ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবি: নিহত ১, এখনো নিখোঁজ ৮
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে ঝড়ো হাওয়া ও ঢেউয়ের তোড়ে যাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আটজন। আর ৩১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) বিকাল ৩টার দিকে মেঘনা নদীর করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারটি হাতিয়ার ভাসানচর থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একই উপজেলার আলীবাজার ঘাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপারেশনস) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভাসানচর থানায় কর্মরত জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ (২৮) এখন ও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩১ জনকে।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক মৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জেলে ও পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কোস্টগার্ড।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ট্রলারডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, আনুমানিক ২টার দিকে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর ঘাট থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হাতিয়ার আলীবাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রলারটি ছেড়ে আসার পরে প্রায় ৮ কিলোমিটার চলার পর করিমবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীর ডুবারচর এলে ঝড়ো হাওয়া এবং ঢেউ এর তোড়ে পড়ে অল্প সময় এর মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় যাত্রীরা প্রাণ রক্ষায় চিৎকার করতে থাকে এবং পানিতে লাফিয়ে পড়ে।
তিনি জানান, ট্রলারটিতে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েকজন রোগীকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ পুলিশ সদস্য নিয়ে যাচ্ছিল এছাড়া ভাসানচরে কর্মরত উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কয়েকজন কর্মী এবং আনসার সদস্য ও স্থানীয় যাত্রী ছিল।
ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী হাতিয়ার জনতা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শহীদ উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ফাঁড়ি থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে স্থানীয় জেলেদের নিয়ে নিমজ্জিত ট্রলারের যাত্রীদের উদ্ধার কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
১৮৭ দিন আগে
নিখোঁজ হওয়ার ২০ দিন পর যুবকের বস্তাবন্দি হাড়গোড় উদ্ধার
রাজশাহীর তানোরে নিখোঁজের ২০ দিন পর শিব নদ থেকে এক যুবকের বস্তাবন্দি হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) উপজেলার হাবিবনগর এলাকায় কচুরিপানার ভেতর লাশের বস্তাটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।
নিহতের নাম চিত্তরঞ্জন পাল (২৬)। তিনি হাবিবনগর পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, লুঙ্গি ও গেঞ্জি দেখে তারা লাশ শনাক্ত করেন। তার পরিবারের দাবি, একই গ্রামের কলেজছাত্রী কামনা পালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
চিত্তরঞ্জনের বাবা মনোরঞ্জন পাল বলেন, কামনার পরিবারের সদস্যরা এই সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। এমনকি কামনা পাল একটি চিঠিতে চিত্তরঞ্জনকে আগেই হত্যার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্বামীকে খুন, স্ত্রী আটক
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে এটি প্রেমঘটিত হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। লাশের হাড়গোড় সম্বলিত বস্তাটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
২০১ দিন আগে
নিখোঁজের ২ দিন পর ভুট্টাখেতে মিলল যুবকের অর্ধগলিত লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের আদমকুড়ি মাঠের একটি ভুট্টাখেত থেকে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ১টার দিকে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত শামসুল মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে উঠল নিখোঁজ দুই ভাইয়ের লাশ
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে ভুট্টাখেতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর দিলে আলমগীরের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
২০৫ দিন আগে
দালালের খপ্পরে সৌদি গিয়ে নিখোঁজ দুই ভাই, মামলা
রাজবাড়ীর জালদিয়া গ্রামের দুই ভাই সোহেল মোল্লা ও ইকবল মোল্লা দালালের মাধ্যমে এক বছর আগে ১০ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি গিয়ে কাজ না পেয়ে উল্টো নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিন মাস ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছে পরিবার। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবার। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
ভুক্তভোগীরা হলেন— উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের জালদিয়া গ্রামের কামাল মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা ও মৃত ইয়াছিন মোল্লার ছেলে ইকবাল মোল্লা। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
কামাল মোল্লা বলেন, ‘গ্রামের প্রতিবেশী মনিরদ্দিন মোল্লা ও তার শ্যালক মামুন মোল্লা ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথম দফায় গত বছরের ৫ মার্চ নগদ ছয় লাখ ও ২৬ মে ব্যাংকের মাধ্যমে আরও চার লাখসহ মোট ১০ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে সোহেল ও ভাতিজা ইকবলকে সৌদি আরব পাঠান। সেখানে কাজ না পেয়ে উল্টো তারা দালাল চক্রের নির্যাতনের শিকার হন।’
‘কাজ দেওয়ার আশ্বাসে চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি মনিরদ্দিন ও মামুন তাদের কাছ থেকে আরও দুই লাখ টাকা নেন। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে সোহেল ও ইকবলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিন মাস ধরে তাদের খোঁজ না মেলায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবার দুটির।’
এমতাবস্থায় ২৭ এপ্রিল রাজবাড়ীর মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দুই দালালের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন সোহেল মোল্লার স্ত্রী রিনা আক্তার।
রিনা আক্তার বলেন, ‘তিন মাস ধরে স্বামী ও দেবরের খোঁজ নেই। মনিরউদ্দিন ও মামুন আবার আমাদের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা দিলে স্বামী ও দেবরকে এনে দেবেন। আমরা তাদের মোট ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। নতুন করে ১০ লাখ টাকা কোথায় পাব।’
ইকবাল মোল্লার স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী ও ভাসুর বেঁচে আছে নাকি মারা গেছেন জানি না। তিন মাস ধরে যোগাযোগ নেই। আমার দুই মেয়ে ও ভাসুরের ছোট এক মেয়ে রয়েছে।’
‘বাচ্চারা সবসময় কান্নাকাটি করে, তাদের বাবাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমরা অনেক খুব কষ্টে দিন পার করছি। সরকারের কাছে দাবি, আমার স্বামী ও ভাসুরকে দেশে ফেরত এনে দিক।’
সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমরা ছেলে দুটিকে ফেরত চাই। আর দালালদের কঠিন শাস্তি চাই। যাতে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে আমাদের মতো অন্য কোনো পরিবার সর্বশান্ত না হয়।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
অভিযুক্ত মামুন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোহেল ও ইকবলকে যে কোম্পানিতে কাজ দিয়েছিলাম তারা সেখানে কাজ না করে পাসপোর্ট ফেরত চায়। এজেন্সির মাধ্যমে কোম্পানির কাছ থেকে তাদের পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছি। এখন আর তাদের বিষয়ে আমার কোনো দায়ভার নেই।’
মামলার ব্যাপারে পিবিআই ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আদালত এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ হাতে পায়নি। পাওয়া মাত্র অফিসার নিয়োগ দিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় তদন্ত করে প্রকৃত সত্যকে সামনে আনা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে থাকি। তবে কর্মসংস্থানের জন্য যারা বিদেশে যাবেন, তাদের দালালদের মাধ্যমে না গিয়ে জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরো ও বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে প্রচলিত নিয়ম মেনে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেব।’
২১৪ দিন আগে
নিখোঁজের একদিন পর ডাকাতিয়া নদীতে ভেসে উঠল কলেজছাত্রের লাশ
চাঁদপুরে বন্ধুদের সঙ্গে ডাকাতিয়া নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের একদিন পর কলেজছাত্র সৌম্য দীপ সরকার আপনের (১৭) ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধার দিকে চাঁদপুরের গাছতলা সেতুর নীচে ডাকাতিয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুর শহরের পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের গুনরাজদী এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে নিখোঁজ হন সৌম্য।
চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকার মানিক রঞ্জন সরকারের একমাত্র ছেলে সৌম্য। তিনি চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে ডাকাতিয়া নদীতে গোসলে গিয়েছিলেন সৌম্য। এ সময় তিন বন্ধুর সঙ্গে নদী পাড় হওয়ার প্রতিযোগিতার জন্য সাঁতার কাটা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার
তখন দ্রুতগামী বলগেটের ঢেউয়ে সৌম্য তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরের গাছতলা সেতুর নীচে ডাকাতিয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল জানান, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ও কোষ্টগার্ড সবাই মিলে শহরতলীর গাছতলা সেতুর নীচে থেকে সৌম্যর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় চাঁদপুরের সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
২১৯ দিন আগে
নিখোঁজের ৩ দিন পর শ্রমিকের লাশ ভেসে উঠল নদীতে
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে নৌকা ডুবে নিখোঁজের তিনদিন পর ভেসে উঠেছে পাথর শ্রমিকের লাশ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জুয়েল আহমেদ দিলু (২৭) উপজেলার রূপচেং গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জানা যায়, তিনি নৌকায় বালু-পাথর লোড-আনলোডের কাজ করতেন। গত ২৫ এপ্রিল শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন তিনি।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন ‘২৫ এপ্রিল শ্রীপুর কোয়ারিতে নৌকা ডুবে জুয়েল নিখোঁজ হয়েছিলেন। আজ (সোমবার) ভোরে ওই এলাকায়ই তার লাশ ভেসে উঠে। পরে আমরা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি।’
২২০ দিন আগে
কাজের জন্য কক্সবাজার গিয়ে নিখোঁজ ৬
কাজের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার গিয়ে পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার একই গ্রামের পাঁচ তরুণসহ ছয়জন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কারও কোনো সন্ধান পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজরা হলেন— জকিগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), সফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ হাসান (১৯) ও মৃত সরবদির ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)।
তারা সবাই উপজেলার ৪ নম্বর খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহার মহল গ্রামের বাসিন্দা।
নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে সিলেট থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা। পরদিন ১৬ এপ্রিল (বুধবার) সকালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পৌঁছা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এরপর থেকে তাদের সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং করে ছয়জনের অবস্থান কক্সবাজার দেখাচ্ছে। পুলিশ এনিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ থেকে পড়ে নাবিক নিখোঁজ
নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সফর উদ্দিন।
নিখোঁজ এমাদ উদ্দিনের চাচাতো ভাই আব্দুল বাছিত দুলাল বলেন, ‘কক্সবাজার পৌঁছার পর জানিয়েছিল পৌঁছেছে। এরপর থেকে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন কক্সবাজারে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে থানায় জিডি করবেন। জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ নিচ্ছে না।’
নিখোঁজ রশিদ আহমদের ভাই আব্দুল বাছিত বলেন, ‘৪ থেকে ৫ বছর ধরে রশিদ চট্টগ্রামে কাজ করে। বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল। কক্সবাজার এই প্রথম গিয়েছে। ওইখানে এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতো। ওইদিনও ওই ঠিকাদারের কাছে তারা যায়। এরপর থেকেই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ। যদি তারা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকতো বা কেউ জিম্মি করত, তাহলে তো টাকা পয়সা চাইতো, এরকম কিছুই না। আমাদের ধারণা তাদের ওইখানে যে লোক নিয়েছে, ওই লোকই কিছু করেছে।’
তবে ঠিকাদারের নাম ঠিকানা কোনো কিছু জানাতে পারেননি নিখোঁজ রশিদের ভাই বাছিত।
নিখোঁজ খালেদ হাসানের বাবা ও ইউপি সদস্য সফর উদ্দিন বলেন, ‘তারা প্রায় সময়ে কাজের জন্য চট্টগ্রাম ৫ থেকে ৬ মাস থাকে। ঈদে বা ওয়াজের সময় বাড়িতে আসে। আবার সেখানে গিয়ে কাজ করত। মঙ্গলবারের পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই। গতকাল সারারাত থানায় ছিলাম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ড্রেনে নিখোঁজ শিশুর লাশ চাকতাই খাল থেকে উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারের মোবাইল বন্ধ। তবে ঠিকাদারের নাম রশিদ ও তার সঙ্গে একজনের নাম বাবুল বলে জানিয়েছেন থানার ওসি। যে জায়গা থেকে তারা নিখোঁজ হয়েছেন সেখানে অভিযোগ দেওয়ার জন্য পুলিশ জানিয়েছে। আমাদের এলাকার আরও লোকজন সেখানে রয়েছেন তারাও তাদের মতো করে খোঁজাখুঁজি করছেন।’
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘নিখোঁজ ছয়জনই দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে কাজ করেন। এখন হঠাৎ করে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছেন না। আমরা গত ১৮ এপ্রিল বিষয়টি অবগত হয়েছি। এরপর থেকে কাজ করছি। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান কক্সবাজার দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।’
২২৭ দিন আগে