লারমা স্কয়ার
খাগড়াছড়ির লারমা স্কয়ারে ফের আগুন, পুড়ল ২৪টি প্রতিষ্ঠান
খাগড়াছড়ি, ২৬ মার্চ (ইউএনবি)— ১৮ দিনের ব্যবধানে খাগড়াছড়ির লারমা স্কয়ারে ফের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এবারের আগুনে অন্তত ২৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে লারমা স্কয়ারের পাশেই অবস্থিত বোয়ালখালী বাজারের তৃপ্তি হোটেলে প্রথমে আগুন লাগে। এরপর তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ঘর পুড়ে ছাই, খোলা আকাশের নিচে ঝিনাইদহের ৯ পরিবার
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পচিালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন জানান, খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি, লংগদু ও দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনের সদস্য, দীঘিনালা পুলিশ ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এরই মধ্যে কাপড় দোকান, হার্ডওয়ার স্টোর, মুদি দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ অন্তত ২৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।
২৫৪ দিন আগে
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হওয়া সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দীঘিনালায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত লারমা স্কয়ার বাজার পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর নেতৃত্বে পরিদর্শনে ছিলেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. তফিকুল আলম, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে পাহাড়ি ও বাঙালি নেতা ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
এসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করার অনুরোধ জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দীঘিনালায় যুবকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, নিরাপত্তা জোরদার
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, সুধীজনের মতামত, ঘটনার ভিডিও ও পত্রপত্রিকার রিপোর্ট দেখে ঘটনার কারণ উদঘাটন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে চুরির অভিযোগে এক যুবককে হত্যাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে।
এছাড়াও পুড়ে গেছে অনেক দোকানপাট, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকের ঘর-বাড়ি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সহায়তার আশ্বাস তথ্য উপদেষ্টার
৪৩২ দিন আগে
দীঘিনালায় যুবকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, নিরাপত্তা জোরদার
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ‘লারমা স্কয়ার’ এলাকায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আশপাশের অর্ধ-শতাধিক দোকানপাট পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা কলেজ এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বের করে। বিক্ষোভটি লারমা স্কয়ার অতিক্রম করার সময় কিছু পাহাড়ি ছাত্রদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। তাদের দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে একদল উত্তেজিত জনতা লারমা স্কয়ার এলাকার বাজারে আগুন দেয়। এতে ৫০টির বেশি দোকানপাট পুড়ে যায়।
বর্তমানে এই ঘটনায় দীঘিনালায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে বলে বাঙ্গালি সংগঠনগুলোর দাবি।
৪৪১ দিন আগে