রাজধানী ঢাকা
কড়াইল অগ্নিকাণ্ডের সূত্র অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে গতকাল মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জোন ২-এর উপপরিচালক অতীশ চাকমা, তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নাজিমউদ্দিন সরকার, ঢাকা-২৩ অঞ্চলের গুদাম পরিদর্শক সোহরাব হোসেন ও ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রথমে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। পরে বাকি চার ইউনিটও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর একে একে ২০টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের চেষ্টায় ৫ ঘণ্টা পর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সে সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কড়াইল বস্তির আগুন নেভানোর সীমাবদ্ধতা প্রচুর। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সবগুলো আগুনের কাছাকাছি আসতে পারছে না। এই বিশাল এলাকায় পানির লাইন জোড়া দিয়ে আগুনের কাছে পৌঁছাতে হচ্ছে।’
পানির সংকট রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পানির কোনো সমস্যা নেই। চারপাশে অনেক পানি আছে। কিন্ত প্রক্রিয়া করণ করে সেই পানির ব্যবস্থা করতে সময় লাগছে। নানাবিধ সমস্যার কারণে এখানে ফায়ার সার্ভিসের আসতে ৩৫ মিনিট দেরি হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে আগুনে কতগুলো ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আগুন লাগার কারণ সম্পর্কেও তাৎক্ষণিকভাবে কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
৮ দিন আগে
উপরে মেট্রোবিলাস, নিচে বিশৃঙ্খলা
ঢাকার মেট্রোরেল চালুর সময় এটিকে আধুনিক ও সুশৃঙ্খল শহরের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়েছিল। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আরামদায়ক ট্রেনযাত্রা রাজধানী ঢাকার অগ্রগতি নিয়ে আশার সঞ্চার করেছিল। তবে উপরে ঝাঁ চকচকে লাইন থাকলেও তার নিচে ফুটে উঠেছে উল্টো চিত্র।
মেট্রোরেল লাইনের নিচের ফাঁকা জায়গাগুলো সবুজায়ন ও জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত ছিল। এ লক্ষ্যে কিছু গাছপালাও লাগানো হয়েছিল। কিন্তু স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সেগুলোর বেশিরভাগেরই আর অস্তিত্ব নেই। গাছের চারাগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং চলাচলের পথ দখল করেছেন শহরের গৃহহীন মানুষেরা। রোদ-বৃষ্টিতে মেট্রোরেলের নিচের স্থানগুলো এখন তাদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ উদ্বোধনের পর থেকে ধাপে ধাপে এই মেট্রোরেল পরিষেবা মতিঝিল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু যে স্থানগুলো একসময় পথচারী ও জনসাধারণের জন্য পরিষ্কার ও উন্মুক্ত থাকার কথা ছিল, সেগুলো এখন দখল হয়ে গেছে। ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার, কাজীপাড়া থেকে মিরপুর—সব জায়গাতেই এখন হকার ও ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম্য।
ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান, পথশিশু ও আবর্জনার স্তূপের ভিড়ে যাত্রীদের চলাচল করাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
‘নিচের অংশ দেখলে মনে হয়, মেট্রোরেল যেন বস্তির ওপর তৈরি করা হয়েছে।’ ফার্মগেট এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তানভীর হাসান বিষয়টিকে এভাবেই বর্ণনা করেন। বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মেট্রোর কারণে শহরের চেহারা বদলে যাবে। কিন্তু পরে দেখছি, সমস্যাগুলো আছেই, শুধু নতুন জায়গায় সেগুলো সরে এসেছে।’
আরও পড়ুন: আস্থার সংকট: ফেনীর ১৮০ সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষার্থী খরা
মেট্রোরেল ও এই রেললাইন-সংলগ্ন সড়কগুলোতে নিয়মিত চলাচলকারীদের ভাষ্য, দৃশ্যপটটি দুশ্চিন্তার। মেট্রোরেল লাইনের নিচে ছাউনির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাস্টিকের পলিথিন, মাটিতে পড়ে আছে পুরনো তোশক, আর পায়ে হাঁটার পথের কাছেই ভাজা খাবার রান্না করছেন বিক্রেতারা। স্টেশন গেটের পাশে বসে থাকা ভিক্ষুকরা পথচারীদের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। অথচ এমন পরিবেশ শুরুতে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।
মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন থেকে পোশাককর্মী আসমা খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলে এই জায়গা একেকটা ছোট বাজারে রূপ নেয়। শব্দ, ভিড় আর ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে চারদিক। এখানে একা একা হাঁটাও অনেকসময় নিরাপদ মনে হয় না।’
শুরুতে কিন্তু পরিবেশ এমন ছিল না। তবে দায়িত্বশীলদের সঠিক তদারকির অভাবে ধীরে ধীরে এমন শ্রীহীন হয়ে উঠেছে মেট্রোরেলের নিচের জায়গাগুলো। প্রথমে একজন হকার এসেছেন, তারপর তার দেখাদেখি অন্যরা। এরপর গৃহহীনরা একেক করে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এভাবে এখন জায়গাগুলোর সবটুকু একপ্রকার বাজারের চেহারা নিয়েছে।
এই জায়গাগুলো দখলমুক্ত করতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। ফলে যে ব্যবস্থাকে নগর পরিবহনের বিপ্লব বলা হচ্ছিল, তা এখন পুরনো বিশৃঙ্খলার আরেকটি রূপে পরিণত হচ্ছে।
প্রতিদিন মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন বেসরকারি চাকরিজীবী মাহবুব আলম। তিনি বলেন, ‘এটা হওয়ার কথা ছিল পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক ঢাকা। কিন্তু এখন প্রতিটি স্টেশনের নিচে দেখি সেই পুরনো বিশৃঙ্খলাই, যা থেকে আমরা পালাতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত লবণ রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
এর ফলে কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশনের আশপাশের দোকানিরাও পড়েছেন বিপাকে। সেখানকার একটি মুদি দোকানের মালিক রিনা আক্তার বলছিলেন, ‘ফুটপাতজুড়ে হকাররা বসে আছে, আবার চারপাশ নোংরাও হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্রেতাদের হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে।’
এই সমস্যার নেপথ্যে নির্মাণ-পরবর্তী পরিকল্পনা-ঘাটতিকেই দায়ী করেছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।
মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী ড. শফিক রহমান বলেন, ‘যদি আগে থেকেই এই জায়গাগুলোর ব্যবহার নির্ধারিত থাকত, যেমন: হাঁটার পথ, সবুজ এলাকা কিংবা ছোট পার্ক—তাহলে এমনটা হতো না।’
এই খোলা জায়গাগুলো মূলত জনসাধারণের উপকারের জন্যই পরিকল্পনায় ছিল। তবে বাস্তবে কোনোকিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। স্থানগুলো রয়ে গেছে অনিয়ন্ত্রিত, ফলে হকার ও গৃহহীনরা অবাধে তা দখলে নিয়েছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এখন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কোনো নির্দিষ্ট কৌশল ঘোষণা করেনি।
আরও পড়ুন: কৃষকের ভাগ্য বদলে দিল বিএডিসির সেচ প্রকল্প
এখন নগরবাসী প্রতিদিন একই সঙ্গে দুটো বিপরীত চিত্রের মুখোমুখি— উপরে আধুনিকতার ঝলক, আর নিচে পুরনো বিশৃঙ্খলার ছায়া।
১৯৬ দিন আগে
ঢাকায় আজ বাড়তে পারে গরম
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দিনের তাপমাত্রা দুপুর পর্যন্ত আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে। এছাড়া মৌসুমি আবহাওয়ার প্রভাবে সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এসময় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। ঢাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
আরও পড়ুন: চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সারা দেশে বাড়বে গরম
আর গতকাল (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।
বৃষ্টির পাশাপাশি কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের বিষয়েও সতর্ক করেছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে বজ্রপাত নিয়ে সতর্কবার্তা দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বজ্রপাত হলে ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে হবে। সম্ভব হলে যাত্রা এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত হলে নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নিতে হবে।
তবে গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া যাবে না এবং কংক্রিটের দেয়ালে হেলান দেওয়াও যাবে না। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্লাগ খুলে রাখতে হবে।
কেউ জলাশয়ে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে উঠে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তু থেকে দূরে থাকুন। শিলা বৃষ্টির সময় ঘরে অবস্থান করুন।
২২৬ দিন আগে
ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, দূষণে শীর্ষে
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। একইসঙ্গে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে শহরটিকে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ২৭৬ একিউআই স্কোর নিয়ে জনবহুল শহরটি বাতাস মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ২২৯, ১৯৭ ও ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বায়ুদূষণে তৃতীয় শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
২৯১ দিন আগে
কর্মব্যস্ততার শুরুর দিনে ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার নাম থেকেই যাচ্ছে। পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই। প্রতিদিনই ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাকে।
সাপ্তাহিক কর্মদিবস শুরুর দিন রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ২০১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা শহর যথাক্রমে ২১৫, ২১২ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: শনিবার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
২৯৯ দিন আগে
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন
রাজধানী ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘অ্যামেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি নিবেদিত প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন-২০২৪' সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ল’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আলী আসগর খান। এসময় তারা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রশাসক ও বোর্ড অব গভর্নেন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজীর সভাপতিত্বে এবিইউ’র ট্রেজারার ও সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন- সংগঠনের মহাসচিব ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন আহমেদ।
কনভেনশনে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের রিট করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা ও ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, রিটের বাদী বিএসএস’র বিশেষ প্রতিনিধি আইনজীবী দিদারুল আলম, আনিসুর রহমান মীর ও তাদের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুইয়াকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, লায়ন ড. হারুনুর রশীদ, অধ্যাপক ড. হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া, অভিনেতা ডিএ তায়েব, ড. সৈয়দ আবদুল, লাহ আল মামুন চৌধুরী, ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ মীর বারেকে ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া ড. হামিদা খানম, প্লানচেট লেখক কাপ্তান নূর, মুদ্রন ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলামকে লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এসময় নাচ, গান, অভিনয় করে কনভেনশনকে উৎসবমুখর করে তোলেন পালকী শিল্পীগোষ্ঠী, আলফ্রেড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
৪১১ দিন আগে
রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
রাজধানী ঢাকায় কয়েক দশক ধরেই ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড গটে চলেছে। পর্যবেক্ষণ ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বার বার প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ক্রমাগত অবহেলা ও যথাযথ তদারকির অভাবের ফল এসব ঘটনা।
রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশনা পুরোপুরি না মেনে। এসব ভবনে অগ্নিসংকেতের ব্যবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত পানি ও অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: তালাক দেওয়ায় সাবেক স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে নিজেও পুড়ে মরল যুবক
আগুনের ঘটনায় গাফিলতির জন্য রাজউকসহ সংশ্লিস্ট সংস্থা, ভবন মালিকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত নজির সৃষ্টি করতে পারলে আগুনের ঘটনা কমবে। বিচারহীনতা সংস্কৃতির কারণে একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে বলে নগর পরিকল্পনাবিদদরা মনে করেন।
প্রায় প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পর তদন্ত কমিটি হয়। কিন্তু এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেন বললেই চলে।
নানা অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন এবং রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদনের বাইরে ভবন ব্যবহার নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণে নিমতলী, চূড়িহাট্টা, এফআর টাওয়ার, আরমানিটোলা, নিউমার্কেট, মগবাজার বিস্ফোরণ, গুলিস্তান ট্রাজেডিসহ একের পর এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে ঢাকার বাসিন্দাদের। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোড ট্রাজেডি। নতুন করে মারা গেছেন ৪৬ জন। এসব প্রতিটি ট্রাজেডির পরেই সংশ্লিষ্ট সবারই মুখেই ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ার প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সময়ের সঙ্গে আড়ালে চলে গেছে প্রতিটি ঘটনা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ৩টি ঝুটের গোডাউন
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় ইমারত অনুমোদন ও তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্হা, ভবন মালিকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারলে আগুনের ঘটনা কমবে, না হলে অতীতের মতো ছাড় দিলে একটার পর একটা ঘটনা ঘটবে।’
এসব অগ্নিকাণ্ডের দায় রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা, ভবন মালিকের পাশাপাশি জেনে শুনে ভাড়া নেওয়া দোকান মালিকদের নিতে হবে বলে জানান তিনি।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মিশ্র ব্যবহার রাজধানীকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পৃথিবীর কোথাও ঢাকার মতো মিশ্র ব্যবহারের উদাহরণ নেই। রাজউক বাইরের দেশের উদাহরণ দিচ্ছে, কিন্তু বাইরে হয়তো আবাসিক জোনে ছোট্ট একটা কফি শপ বা ছোট্ট কোনো দোকান আছে। কিন্তু ঢাকায় রাজউক যেভাবে আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিকে রূপান্তরের বৈধতা দিচ্ছে, এতে রাজধানীকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশনা পুরোপুরি না মেনে। নেই পর্যাপ্ত পানি ও অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।’
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৬৪১ দিন আগে
ইলিশা-১ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র: নসরুল হামিদ
ভোলা জেলার ইলিশা-১ কে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ (সোমবার) ঢাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ইলিশা-১ এর ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এই এলাকাসহ পুরো ভোলা এলাকায় তিন ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য এটি একটি সুসংবাদ।
রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৮২ কিলোমিটার দূরে ভোলা জেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে ইলিশা-১ অবস্থিত।
চলতি বছরের ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় ইলিশা-১ খনন কাজ শুরু হয় এবং গত ২৪ এপ্রিল তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরে তিনটি স্তরে ড্রিল স্টেম টেস্টের মাধ্যমে সফলভাবে খনন কাজ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: অনেক বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে: নসরুল হামিদ
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বলেন, ভোলা উত্তর ও ভোলা দক্ষিণ কাঠামোর আওতাধীন বিভিন্ন কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ভোলা এলাকা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে অনেক শিল্প-কারখানা গ্যাসের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা পরিচালিত হয়েছিল এবং এখন বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।
নসরুল হামিদ বলেন, ভোলা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস আনতে প্রায় তিন বছর সময় লাগবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি বড় ট্রেলারের মাধ্যমে ভোলা থেকে মোট ২৫ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘন ফুট) গ্যাস আনার জন্য একটি বেসরকারি কোম্পানি চুক্তি করেছে। প্রাথমিকভাবে যা পাঁচ এমএমসিএফডি দিয়ে শুরু হবে।
তিনি জানান, ভোলা, বরিশাল ও ঢাকা জুড়ে পাইপলাইনের রিং-ফেন্স তৈরির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে এবং ঢাকা, সিলেটসহ অন্যান্য জেলাজুড়ে আরেকটি রিং-ফেন্স তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় মূল্যে ভোলায় গ্যাসের বাণিজ্যিক মূল্য দাঁড়াবে ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং আমদানি করা গ্যাসের মূল্য ২৬ হাজার কোটি টাকা।
নসরুল হামিদ বলেন, প্রয়োজনীয় খনন ও অন্যান্য কাজ শেষে ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় দুই হাজার ৩০০ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং প্রায় চার হাজার এমএমসিএফডি'র চাহিদা মেটাতে প্রায় ৭০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে, ঘাটতি থাকছে প্রায় এক হাজার এমএমসিএফডি।
ইলিশা-১ ছাড়াও ভোলার দুটি গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০০ এমএমসিএফ, যেখানে উৎপাদন ৮০-৮৫ এমএমসিএফের মধ্যে।
ফলে শাহবাজপুর ও ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের আটটি কূপে প্রায় ১২০ এমএমসিএফ উদ্বৃত্ত ক্ষমতা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
পাইপলাইন ও সঞ্চালন সুবিধা না থাকায় ভোলা ক্ষেত্র থেকে উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকাসহ অন্যান্য জ্বালানি চাহিদাসম্পন্ন শিল্পাঞ্চলে সরবরাহ করতে পারেনি সরকার।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
৯২৮ দিন আগে
হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
হবিগঞ্জ বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘট ৪র্থ দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
ধর্মঘট চলাকালে জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সোমবারও পৌর বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাস চলাচল করে থাকে।
রুট গুলো হচ্ছে- হবিগঞ্জ-সিলেট, হবিগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ-চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ-–মাধবপুর, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ- আউশকান্দি, হবিগঞ্জ-বাহুবল, হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট ও হবিগঞ্জ ভায়া চুনরুঘাট-মাধবপুর, এছাড়া হবিগঞ্জ-ঢাকা পৃথক বাস সার্ভিস রয়েছে।
ধর্মঘট চলাকালে দূরপাল্লার যাত্রীরাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
১১১০ দিন আগে
ঢাকার বাতাসের মান ‘গ্রহণযোগ্য’
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু মানের শহরের তালিকায় ৪২ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বায়ুর গুণমান সূচকে (একিউআই) শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার স্কোর ৫৭।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘গ্রহণযোগ্য’ বা ‘মধ্যম’ বলে বিবেচিত হয়। তবে, বায়ু দূষণের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল মানুষের জন্য এ বায়ু মাঝারি স্বাস্থ্য উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং চীনের বেইজিং যথাক্রমে ১৬৯ ও ১৬৬ এবং ১৬১ একিউআই স্কোর সহ তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে। একিউআই স্কোর ১০১-২০০ এর মধ্যে থাকলে ওই বায়ুকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘গ্রহণযোগ্য’
এছাড়া এ মান ২০১-৩০০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৩০১-৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়। যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
দৈনিক বায়ুর গুণমান রিপোর্ট করার জন্য একটি সূচক হলো একিউআই। একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটা নিরাপদ বা দূষিত এবং এ বায়ু তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কিরকম প্রভাব ফেলবে সরকারি সংস্থাগুলো জনগণকে তা জানাতে একিউআই ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে একিউআই পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ এবংপিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজ, রাস্তাঘাট, ইটভাটা এবং অন্যান্য উৎস থেকে দূষক কণা ব্যাপকভাবে নিঃসরণের কারণে শহরের বায়ুর গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
বায়ু দূষণ ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে মানুষের হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) এর মতে, বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ যেমন-স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা
২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে
১১৫৪ দিন আগে