ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
প্রয়োজনে বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
বেক্সিমকোর নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা লোপাটের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। অর্থলোপাটের সঙ্গে জড়িতদের আত্মসমর্পণ করে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘প্রয়োজনে বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামেই ১১টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে ঋণ নেওয়া হয়েছে। অস্তিত্ববিহীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া হয়েছে আরও ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে বেক্সিমকোর।’
‘এছাড়া বেক্সিমকোর নামে ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া টাকা কোথায় গেছে, সেটাও আমরা জানি না। এর সঙ্গে ১৩টি ব্যাংক জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ব্যাংক, সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, যারা এই টাকা দেওয়ার পেছনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।’
‘বুধবার আমার তরফ থেকে এ বিষয়ে ব্যর্থহীন ঘোষণা গিয়েছে। এটি আমাদের মিটিংয়ের কার্যবিবরণীতেও লেখা আছে।’
ড. সাখাওয়াত বলেন, ‘এটা মনে করবেন না যে, বিদেশে চলে গিয়ে বেঁচে গেছেন। বিদেশে যারা গেছেন তারা হয় আসবেন, নয় সেখানেই আটকা পড়বেন। আমি জানি না কী হবে! আমি এরইমধ্যে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি; দরকার হলে তদন্তের পর তাদের প্রত্যেকের পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোনো কথা না বুঝে বলেননি সেনাপ্রধান: শ্রম উপদেষ্টা
‘আমরা এভাবে কাউকে ছেড়ে দিতে পারি না। যারা এতগুলো শ্রমিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তারা তো শান-শওকতে এখানেও আছে, বিদেশেও আছে।’
২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে থাকেন বা বিদেশে, যারা বিদেশে আছেন আমি তাদের অনুরোধ করব—আপনারা দেশে এসে আত্মসমর্পণ করুন। আর যদি মনে করেন এভাবে চলে যাবে, আগামীতে কী ঘটবে সেটা আল্লাহ জানেন। তাই বলছি আত্মসমর্পণ করেন, তদন্তের মুখোমুখি হোন। যদি নির্দোষ হোন, তো বিদেশেই থাকবেন!’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বিদেশে সিটিজেনশিপ (নাগরিকত্ব) কিনেছেন। কিন্তু বিদেশে সিটিজেন হলেও বাংলাদেশের আইনে সেটা প্রযোজ্য হবে বলে আমি মনে করি। তাই বিদেশে থাকবেন আর এখানে গণ্ডগোলের মধ্যে ফেলবেন, সেটা আর হবে না।’
২৮০ দিন আগে
কোনো কথা না বুঝে বলেননি সেনাপ্রধান: শ্রম উপদেষ্টা
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান বলেছিলেন, ‘নিজেরা কাদা-ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। এই দেশ আমাদের সবার, আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই।’
সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘সেনাপ্রধান আমার জন্য অনেক উঁচু স্তরের লোক। তিনি একটি বাহিনী চালাচ্ছেন। তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি। বাকিটা ইন্টারপ্রিটেশন কী—আপনারা জানুন।’
আরও পড়ুন: নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান
‘আমি যতটা উনাকে চিনি, ভেরি স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ম্যান। যা বলার মানুষের মুখের ওপর বলার মতো লোক। সো আই হ্যাভ এ লট অব রেসপেক্ট ফর হিম।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রধান কী বলেছেন না বলেছেন, সেটার ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। সেটা উনিই বলতে পারবেন।’
প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি যেভাবে সম্বোধন করেছেন, সেটা পারেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আপনারা উনাকেই জিজ্ঞাসা করেন।’
২৮০ দিন আগে
জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এম টি বাংলার জ্যোতি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষ নাবিক তৈরিতে অন্যতম শীর্ষ দেশ হতে পারে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে বাংলার জ্যোতি নামে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এই দুর্ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির হয়েছে।
মর্মান্তিক এ অগ্নিকাণ্ডে জাহাজের ক্যাডেট সৌরভ সাহা, ফোরম্যান নুরুল ইসলাম, ডেক ক্যাজুয়াল সদস্য হারুনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাক পরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৪২৯ দিন আগে