ইনিগো মার্তিনেস
আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
দারুণ সব ফুটবলারে ভরা অসাধারণ ভারসাম্যের আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে কেমন খেলবে বার্সেলোনা—তা নিয়ে দলটির সমর্থকদের অনেকেই ছিলেন সংশয়ে। তবে চলতি মৌসুমের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দলটির বিপক্ষে হতাশা সঙ্গী হয়েছে কাতালান জায়ান্টদের।
মঙ্গলবার রাতে বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-৪ গোলে ড্র করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ম্যাচের প্রথম ৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও একপর্যায়ে ৪-২ গোলে পিছেয়ে পড়েছিল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। কিন্তু শেষের দিকে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সমন্বয়হীনতা আর রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মাদ্রিদের দলটি।
অপরদিকে, ৪-২ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে সেই ব্যবধান খোয়ানোয় বার্সেলোনার সঙ্গী হয়েছে হতাশা।
পরের লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আতলেতিকোর মাঠে। ফলে এই ড্রয়ের পরে ঘরের মাঠে নিজ সমর্থকদের সামনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ থাকবে তাদের।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
ম্যাচ শুরু হতেই এদিন স্বাগতিকদের চেপে ধরে গোল আদায়ের চেষ্টা করে আতলেতিকো মাদ্রিদ, তাতে দারুণ সাফল্য পায় দলটি। প্রথম মিনিটেই আন্তোয়ান গ্রিজমানের ক্রসে বার্সার ডি-বক্সের ভেতর থেকে হেডারে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন হুলিয়ান আলভারেস, কিন্তু বল ক্রসবার ঘেঁষে জালের ঢোকার আগমুহূর্তে তা ক্লিয়ার করেন ভয়চিয়েখ স্টান্সনি।
তবে পরের মুহূর্তে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি বার্সার এই পোলিশ গোলরক্ষক। কর্নার থেকে ছোট পাসে বল পেয়েই গোলমুখে উড়িয়ে দেন গ্রিজমান, এরপর দূরের পোস্টের কাছ থেকে হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেস।
প্রথম মিনিটেই গোল হজম করার পর সমতায় ফেরায় মনোযোগ দেয় বার্সেলোনা। তবে তাদের হাই ডিফেন্স লাইন ভেঙে ষষ্ঠ মিনিট পড়তেই আরও এক গোল করে এগিয়ে যায় আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এবারও সেই আলভারেস-গ্রিজমান যুগলবন্দি, তবে এবারের গোলটি করেন গ্রিজমান। আলভারেসের ডিফেন্সচেরা পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে খানিকটা এগিয়ে আসা স্টান্সনিকে বোকা বানান ফরাসি তারকরা।
২৮২ দিন আগে
রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার সামনে যে দলই আসছে একেবারে পিষে যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ঘরের মাঠে বার্সাকে আতিথ্য দিয়ে গোলবন্যায় ভাসল রেড স্টার বেলগ্রেদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটির হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। অন্য তিনটি গোল আসে ইনিগো মার্তিনেস, রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেসের পা থেকে।
অন্যদিকে, দুই অর্ধে স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন বেলগ্রেদের কঙ্গো ফরোয়ার্ড সিলাস ও অ্যাঙ্গোলান মিডিফিল্ডার ফেলিসিও মিলসন।
জোড়া গোলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা হলো ৫টি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১৯ গোল করলেন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলকে উড়িয়ে কাতালুনিয়া ডার্বিও বার্সেলোনার
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯-তে। আর এক গোল পেলেই তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের একশ বা তার বেশি গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি ছাড়া গোলের শতক পার করতে পারেননি কেউ।
এছাড়া একটি গোলের পাশাপাশি জোড়া অ্যাসিস্ট করেন রাফিনিয়া। এতে করে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে ৫ গোল ও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৭ গোলে অবদান রাখলেন এই ব্রাজিলীয়। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২০ গোলে (১২ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন তিনি, জাতীয় দলের হিসাব ধরলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১৮ ম্যাচে ২২ গোলে অবদান (১৪ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট)।
২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাফিনিয়ার মোট গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৮টি। ২০১৯ সালে লিওনেল মেসির পর প্রথম বার্সা খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৮টি বা তার বেশি গোলে অবদান রাখলেন রাফিনিয়া। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম দশ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ছিল শূন্য।
এছাড়াও, বার্সেলোনার পক্ষে এদিন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন ফরাসি ফুলব্যাক জুল কুন্দে।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
আর মোনাকোর কাছে হেরে আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল করে জিতল বার্সেলোনা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করল কাতালান জায়ান্টরা।
লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে সবশেষ টানা সাত ম্যাচ জয়ের পথে প্রতিপক্ষের জালে মোট ২৯ বার বল পাঠাল ফ্লিকের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, এই মৌসুমে সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে এখনও পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকা বেলগ্রেদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচের সবগুলোতেই পেল হারের স্বাদ। সবশেষ তিন ম্যাচে মোট ১৪ গোল হজম করল তারা।
চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে গিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের উপরে থাকা পাঁচ দলই চলতি আসরে এখনও অপরাজিত। সমান দশ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্টার মিলান, ব্রেস্ত, মোনাকো ও স্পোর্তিং। আর সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় লিভারপুল।
আরও পড়ুন: ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মিলান। একই ব্যবধানে বেনফিকাকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
৩৯৩ দিন আগে
ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
প্রথম ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে নিজেদের ছায়া হয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল বার্সেলোনা। আর নিজেদের স্বভাবজাত ফুটবল খেলে ইয়াং বয়েজকে উড়িয়ে দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল দলটি।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সুইস ক্লাবটিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এদিন জোড়া গোল করেন হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি। বাকি দুটি গোল করেন রাফিনিয়া ও ইনিগো মার্তিনেস এবং আত্মঘাতী গোল হিসেবে আসে পঞ্চম গোলটি।
ম্যাচজুড়ে বল দখলের লড়াই দাপট দেখায় বার্সেলোনা। ৭০ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে মোট ২০টি শট নেয় তারা, যার আটটি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ম্যাচজুড়ে মোট পাঁচটি শট একটি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় ইয়াং বয়েজ, ওই শটটি থেকে গোল পেলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
তুলনামূলক দুর্বল দল পেয়ে ম্যাচের শুরুতেই ইয়াং বয়েজকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে গোল খোঁজেন লামিন ইয়ামাল, কিন্তু শটে জোর না থাকায় সহজেই বল তালুবন্দি করেন ইয়াং বয়েজ গোলরক্ষক মারভিন কেলার।
এরপর অষ্টম মিনিটে অসাধারণ দলীয় ফুটবল প্রদর্শন শেষে গোলের খাতা খোলে বার্সেলোনা। ডান পাশ থেকে গোলমুখে রাফিনিয়ার বাড়ানো নিচু ক্রস থেকে প্রথম ছোঁয়াতেই লক্ষ্যভেদ করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
গোল খেয়ে আরও রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে ইয়াং বয়েজ। ফলে তাদের দুই স্তরের জমাট রক্ষণ ভেদ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল কাতালানদের।
৪২৯ দিন আগে