বিল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিলের জমি থেকে সাদ্দাম হোসেন নামে এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের বিল থেকে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে নারীর লাশ উদ্ধার
নিহত যুবক সাদ্দাম হোসেন উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজল কান্তি জানান, সাদ্দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়। এরপর তার কোনো সন্ধান মিলেনি। পরে শুক্রবার সকালে বিলের জমিতে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এছাড়া ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মেসের কক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদগঞ্জে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসব
‘ঝপ-ঝপা-ঝপ’ শব্দে মুখর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের বিল (দক্ষিণের বড় বিল)। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিয়েছে স্থানীয়রা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারের পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দিতে দেশে এসেছেন অনেক প্রবাসী। স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি এসেছে গ্রামের অনেক মেয়েরা। পলো বাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব শুরুর আগে সকাল থেকেই গ্রামে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। বেলা ১১টার দিকে গ্রামের সব বয়সের পুরুষ ও অন্য গ্রাম থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন একসঙ্গে গোয়াহরি গ্রামের বিলে মাছ শিকারে নামেন।
তবে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় বিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নেই। এর সঙ্গে কচুরিপানা থাকায় এবারের পলো বাওয়া উৎসবে মাছ শিকারের পরিমাণ কম। তাই পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেওয়া অনেককেই ঘরে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্যকে যুগ যুগ ধরে বুকে ধারণ করে রেখেছেন গোয়াহরি গ্রামের বর্তমান প্রজন্মের বাসিন্দারা। তাই নিজেদের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছর মাঘ মাসের ১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
সোমবার থেকে আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে ওই উৎসব। গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই ১৫ দিন বিলে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা।
এজন্য ওই ১৫ দিনের ভেতরে বিলে গ্রামের যে কেউ হাত দিয়ে বা ঠেলা জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন। তবে গ্রামবাসীর ঐতিহ্য অনুযায়ী আগামী ১৫ দিন পর দ্বিতীয় ধাপে এক সঙ্গে আবারও পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেবে গ্রামবাসী।
এবারের পলো বাওয়া উৎসবে পলোর সঙ্গে সঙ্গে ঠেলা জাল (হাত জাল), উড়াল জাল, চিটকি জাল, কুচাসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকারে অংশ নেয় কয়েক শতাধিক সৌখিন শিকারী।
আরও পড়ুন: ঢাকা লিট ফেস্টে শনিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’
তবে বিলে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় বিলের পানি কমে যাওয়ায় মাছ শিকার হয়েছে অনেক কম। মাছের মধ্যে রয়েছে- বোয়াল, কাতলা, রুই, কার্প, শোল, গণিয়া, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে ও দেখতে সোমবার সকাল ৮টা থেকেই গোয়াহরি গ্রামবাসীর পাশাপাশি আশপাশের গ্রামের লোকজন বিলের পাড়ে এসে জমায়েত হতে থাকে।
পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা আসে বিল পাড়ে। শিশুরাও এসেছে ঠান্ডা উপেক্ষা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা চলে বার্ষিক ওই পলো বাওয়া উৎসব।
আরও পড়ুন: ‘নাসেক নাসেক’ দিয়ে শেষ হলো দশম ঢাকা লিট ফেস্ট
তবে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো পলো বাইতে পারেননি অনেকেই। তবে মাছ শিকার করতে নিজ নিজ পলো নিয়ে বিলের ঝাঁপিয়ে পড়া শিকারীদের এসময় মাছ ধরার এ দৃশ্যটি উপভোগ্য ছিল।
মাছ শিকারী সাহিদুর রহমান বলেন, গত বছর ১৫টি মাছ শিকার করেছিলাম। কিন্তু এবার মাত্র একটি মাছ শিকার করেছি।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলম খান বলেন, ছোট বেলায় তিনটা মাছ শিকার করেছিলাম। তা নিয়ে বাড়িতে অনেক আনন্দ হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর আজ আবার পলো বাওয়াতে অংশ নিয়ে মাছ শিকার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
তাজ উদ্দিন বলেন, বিলে পানি কম থাকায় কেউ মাছ শিকার করতে পারছে, আবার কেউ পারছে না। তবে আমি দুইটি বোয়াল শিকার করতে পেরে আনন্দ লাগছে।
গ্রামে আসা আত্মীয় সৌখিন মাছ শিকারী শামীম আহমদ বলেন, পলো বাওয়াতে অংশ নিতে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। আর পলো বাওয়াতে অংশ নিয়ে একটি বোয়াল শিকার করতে পেরে আনন্দই লাগছে।
পাঁচ বছর পর সৌদি আরব থেকে দেশে আসা প্রবাসী গোলাম কামরান বলেন, দীর্ঘদিন পলো বাওয়া উৎসবে অংশ গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তাই এবারে দেশে এসে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ পেতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আর মাছ শিকার করতে পেরে এর পরিধি আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে ব্যতিক্রমী উৎসব
মাছ শিকার কম হওয়ার ব্যাপারে গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ময়না মিয়া বলেন, দিন বিলের সঙ্গে এলাকার নদী-নালার পানি চলাচল না থাকার কারনে বিলের পানি কমে গেছে। তাছাড়া কচুরিপানাও আছে প্রচুর। এসব কারণে এবার মাছ কম শিকার করতে পেরেছেন শিকারীরা।
বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল-২০২৩ পাস
মানসম্মত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
খসড়া আইন অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড চেয়ারম্যান এবং ১৯ সদস্যের গভর্নিং বডি বোর্ড পরিচালনা করবে।
বোর্ডের প্রধান কাজ হবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গৃহপালিত পশু পালন, চিকিৎসা সেবা এবং মানসম্মত দুধ উৎপাদন ও বিপণনের বিষয়ে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া।
বিলের উদ্দেশ্য অনুযায়ী শিশুসহ সব মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে দুধের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করতে আ. লীগের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
ছোট ও মাঝারি দুগ্ধ খামার ছাড়াও ইতোমধ্যে দেশে বেশ কয়েকটি বড় দুগ্ধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে গবাদি পশু পালনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং মানসম্মত দুধ উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড নামে একটি পৃথক ও বিশেষায়িত কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি হলে খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে দুগ্ধজাত পণ্যের বহুমুখীকরণর সুযোগ নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে আনসার ব্যাটালিয়ন বিল, ২০২৩ উত্থাপন
ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩ সংসদে পাস
জাতীয় সংসদে ভূমি-সম্পর্কিত করগুলোকে সহজ করার লক্ষ্যে ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩ পাস করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী- মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
তবে জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সমগ্র কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। এটি ১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ বাতিল করে।
তবে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে এ আইন প্রযোজ্য হবে না।
এতে বলা হয়েছে, আখ ও লবণ চাষের জমি এবং কৃষকদের পুকুরও (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ বাদে) ছাড়ের আওতায় থাকবে।
এতে বলা হয়েছে, কৃষি জমির ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকা বা পৌর এলাকা নির্বিশেষে সব ক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমি উন্নয়ন করের হার ও শর্ত প্রযোজ্য হবে।
অকৃষি জমির উপর ভূমি উন্নয়ন করের হার নির্ধারণের জন্য দেশের সব জমিকে ভূমির গুণাগুণ ও ব্যবহার অনুযায়ী একাধিক শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।
সরকার যেকোনো ব্যক্তি বা কোনো শ্রেণির ব্যক্তি বা সংস্থার উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারে। বিল অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর ইলেকট্রনিকভাবে আদায় করা যাবে।
সারাদেশে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা ছাড়াও যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে।
কোনো ব্যক্তি শহরে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলে প্রথম থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জরিমানা হবে।
সার্টিফিকেট ইস্যু করে তৃতীয় বছর শেষে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে।
বিলে বলা হয়েছে- ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রতি বছর জুলাই মাসের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং ভূমি ব্যবহারের শর্ত বিবেচনা করে নির্ধারিত ফরমে সব মৌজার ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা পরীক্ষা করে অনুমোদন করবেন।
এতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসার, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদির সংজ্ঞা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ওষুধ ও কসমেটিকস বিল-২০২৩ কণ্ঠভোটে পাস
বিএসএমএমইউ ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ ৪ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
ব্যাংক আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দ্বিগুণ করতে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন
আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রবিবার সংসদে ব্যাংক আমানত বীমা বিল (সংশোধনী) ২০২৩ পেশ করা হয়েছিল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্ক্রুটিনি কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসানে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে একজন আমানতকারী সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পান।
সংশোধিত আইনে এই ক্ষতিপূরণ ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৮৪ সালে আমানত বীমা চালু করা হয়েছিল, যখন বীমা কভারেজের পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার টাকা যা পরবর্তীতে ১ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।
পূর্ববর্তী আইনে শুধুমাত্র ব্যাংকগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, যদিও প্রস্তাবিত আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের জন্য সীমা বাড়ানোর জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
নাটোরে বিল থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
নাটোরের বড়াইগ্রামে খালের পাশ থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দোগাছি বিলের মনপিড়িত খালের পাশ থেকে লাশটি করেছে পুলিশ।
মৃত রিয়াকত সরকার (৫০) ওই গ্রামের চয়েন সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানিয়েছেন, গত রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিল লিয়াকত।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি আবু সিদ্দিক আরও জানান, নিহত লিয়াকতসহ মনপিড়িত গ্রামের তিন ব্যক্তি এলাকার একটি পুকুরে মাছ চুরি করতে যায়। পাহাড়াদাররা হালিম আলী নামে একজনকে ধরে ফেলে। পালিয়ে যায় লিয়াকত ও আমির চান। এর পর সকালে খালের ধারে লিয়াকতের লাশ পাওয়া যায়।
তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জমি থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
মোবাইল ব্যালেন্স থেকে পরিশোধ করা যাবে সরকারি সেবার বিল
গ্রাহকরা নিজেদের মোবাইল ব্যালেন্স ব্যবহার করে এখন থেকে ৩২টি সরকারি সেবার বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
সম্প্রতি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পেমেন্ট পরিশোধের মাধ্যম নিয়ে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন ও অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। ফলে বিভিন্ন সরকারি সেবার পেমেন্ট ‘ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং (ডিওবি)’ এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রহণ করা যায় এমন সেবা এবং ইউটিলিটি বিলসহ বিভিন্ন ধরনের সেবার বিল পরিশোধের সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি হলো ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং (ডিওবি)।
এ পদ্ধতিতে মোবাইল গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ব্যালেন্স ব্যবহার করে কয়েকটি সহজ ধাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করতে পারবেন। ফলে এখন সহজে ও ঝামেলা ছাড়াই সরকারি সেবা গ্রহণ করা যাবে।
এক্ষেত্রে, বিল পরিশোধে গ্রাহকদের প্রত্যয়ন.জিওভি.বিডি পোর্টালের একপে পেমেন্ট গেটওয়েতে মোবাইল ব্যালেন্স নির্বাচন করতে হবে। মোবাইল নম্বর ও ওটিপি দেয়ার পরে গ্রাহকের মোবাইল থেকে সার্ভিস ফি কেটে নেয়া হবে। এ সেবা ব্যবহারে প্রথমেই গ্রাহককে এনআইডি ভেরিফাই করার মাধ্যমে পোর্টালে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ১০% জলবায়ু তহবিলে বরাদ্দ করা উচিত, মোমেনের প্রস্তাব
এটুআই’র আইসিটি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ একপে’তে সকল ব্যাংক ও এমএফএস সেবা যুক্ত করা হয়েছে, যেনো ২৩টি ইউটিলিটি বিলসহ বিভিন্ন পাবলিক সেবার বিল পরিশোধে পিটুজি (পারসন টু গভর্নমেন্ট) পেমেন্ট নিশ্চিত করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দশকে এমএফএস সেবার প্রবৃদ্ধি ও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারিত হলেও প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ (বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে) মানুষ ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে রয়েছেন। সরকারি ইকোসিস্টেমে পিটুজি পেমেন্টের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে আমরা মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ে ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং (ডিওবি) সুবিধা চালু করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা সময় ও ব্যয় সাশ্রয় করবে এবং ঝামেলা কমাতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে। আমরা নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে আরও বেশি সংখ্যক সরকারি সেবার জন্য এ সুবিধা চালু করতে আগ্রহী।’
গ্রামীণফোনের সিডিও সোলায়মান আলম বলেন, ‘এ সেবার মাধ্যমে সবাই যেনো আমাদের দেশজুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক কাভারেজের মাধ্যমে সহজে সরকারি সেবা গ্রহণের সুযোগ পায়, তা নিশ্চিতেই আমরা কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এবং আমাদের গ্রাহকদের জীবন সহজ করে তুলতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি, যা আমাদের মানুষের ক্ষমতায়ন ও সবাইকে তাদের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এ উদ্যোগকে সম্ভব করে তোলার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগীতার জন্য আমি এটুআই এর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোতে ৩০০ বিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল ধার দিল ফেডারেল রিজার্ভ
নাটোরে বিল থেকে হ্যান্ডকাপ লাগানো যুবকের লাশ উদ্ধার
নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি বিল থেকে হ্যান্ডকাপ লাগানো অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মাঝগাঁও এলাকার বোয়ালমারি বিলের একটি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত যুবকের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও এলাকার বোয়ালমারি বিলের একটি জমিতে লাশটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় কৃষকরা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনা তদন্তে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর শহরে দম্পতির লাশ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ বাড়ি থেকে ৫ শিশুসহ ৮জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
জাতীয় সংসদে হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল, ২০২২ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৯৫৯ সালের এ সম্পর্কিত অধ্যাদেশটিকে সময় উপযোগী করার জন্য বিলটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
রবিবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্ক্রুটিনি কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, প্রস্তাবিত আইনে ২৬টি ধারা রয়েছে। আইন অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো হাট-বাজার করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সংসদে বিইআরসি সংশোধনী অধ্যাদেশ-২০২২ পাস
কোনো এলাকায় অননুমোদিত হাট-বাজার বসালে সরকার তা খাস জমি হিসেবে দখল করবে।
হাট-বাজারের জমিগুলো জেলা প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা করবে এবং স্থায়ীভাবে কোনো জমি হস্তান্তর করা যাবে না।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, কেউ বা একদল লোক অবৈধভাবে কোনো হাট-বাজারের খাস জমি দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে, অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আরও পড়ুন: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে ৫টি সংসদীয় আসন শূন্য: স্পিকার
সিরাজগঞ্জে বিল থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বিল থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সয়দাবাদ গ্রামের একটি বিল থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃদ্ধের বয়স ৬৩ বছর হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই বিলে বৃদ্ধের লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা: ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বাংলাদেশে ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৯৫১ মৃত্যু, ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ: প্রতিবেদন