অস্বাস্থ্যকর বাতাস
দাবানলের ধোঁয়ায় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের বাতাসে দূষণ, ঢাকার কী অবস্থা
কানাডার দাবানলের ধোঁয়া বিশালাকৃতির এই দেশটির বিভিন্ন শহর ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবারও এর প্রভাবে টানা তৃতীয় দিনের মতো অস্বাস্থ্যকর বাতাসের সতর্কতা জারি রয়েছে দেশদুটির অনেক শহরে।
বাংলাদেশ সময় রোববার (৩ আগস্ট) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া, মিনেসোটা, উইসকনসিন, মিশিগান, পূর্ব নেব্রাস্কা এবং ইন্ডিয়ানা ও ইলিনয়ের কিছু অংশে বাতাসের মান-সংক্রান্ত সতর্কতা বহাল ছিল। আকাশে ধোঁয়ার উপস্থিতি দিনভর থাকতে পারে বলেও স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস।
অন্যদিকে, কানাডার পরিবেশ সংস্থা জানিয়েছে, কিছু এলাকায় এই ধোঁয়া রোববার পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী বাতাসের গুণগত মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে মিনিয়াপলিস শহরকে বিশ্বের অন্যতম দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মিনেসোটার বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘লাল’ বা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মানের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল।
গতকাল (শনিবার) সকালে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দূষিত শহর ছিল মিনিয়াপলিস। শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১৫৮ যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত।
ফুসফুস ও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীরা এমন দূষিত বাতাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
মিনিয়াপলিস-সেন্ট পল এলাকার জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ জো স্ট্রাস বলেন, ‘এবারের পরিস্থিতিতে যে বিষয়টি আলাদা, তা হলো দীর্ঘ সময় ধরে ধোঁয়ার কণাগুলো ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থান করছে, ফলে টানা কয়েকদিন ধরে আমাদের এখানে বাতাসের মানে অবনতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন এটার মোকাবিলা করছি। বাইরে বের হলে ধোঁয়ার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, কখনো কখনো তো মুখেও ধোঁয়ার স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে।’
আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিনিয়াপলিসের বাতাসের দূষণ কিছুটা কমেছে। একিউআই স্কোর ৯৫-তে নেমে শহরটির বাতাসের মান এখন ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে অবস্থান করছে।
এ ছাড়া কানাডার প্রধান দুই শহর মন্ট্রিয়াল ও টরোন্টোর বাতাসের মানও এই সময়ে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। শহর দুটির একিউআই স্কোর যথাক্রমে ১২৫ ও ১১৮ এবং বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় যথাক্রমে ষষ্ঠ ও অষ্টম স্থানে রয়েছে।
এদিকে, ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর কঙ্গোর কিনশাসা। ১৫৩ ও ১৫২ নিয়ে তার পরের দুটি স্থানে ছিল সৌদি আরবের রিয়াদ ও উগান্ডার কাম্পালা। ১৫১ ও ১৪৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে বিশ্বের চতুর্থ ও পঞ্চম শীর্ষ শহর ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে কেমন ছিল ঢাকার বাতাসের মান
অন্যদিকে, গতকাল সকালের চেয়ে ঢাকার বাতাসে আজ খুব বেশি উন্নতি হয়নি। গতকালের ৮০ একিউআই স্কোর থাকা ঢাকার বাতাসের আজকে সকালের স্কোর ৭৯। এ ছাড়া গতকালের অষ্টাদশ স্থান থেকে আজ বাংলাদেশের রাজধানী নেমেছে ২৪তম স্থানে।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১২৪ দিন আগে
‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বিশ্বের পঞ্চম দূষিত শহর ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি, ইরাকের বাগদাদ এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৬০১, ৩৮৭ এবং ১৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২০৪ দিন আগে
‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ফের তিন নম্বরে উঠে এসেছে তিলোত্তমা শহর ঢাকা। শহরটির বাতাস হয়ে উঠেছে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে শহরের বাতাসের একিউআই স্কোর ১৬৮। এই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একই সময়ে ২০২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। এছাড়া ১৯১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং ১২৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়।
যখন অতি ক্ষুদ্রকণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়।
সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
আরও পড়ুন: সংবেদনশীলদের জন্য ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বাংলাদেশের মোট বায়ুদূষণের ৩৫ শতাংশই আশপাশের দেশগুলো থেকে আসছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, যা আন্তঃদেশীয় দূষণ নামে পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম জানান, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে যে দূষণ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে সেইসব দেশে যে দূষণ যায়, সেটিই হচ্ছে আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ।
আন্তঃসীমান্ত দূষণের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হিমালয় থেকে, আবার ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও চীনের একটি অংশ থেকে দূষণ বাংলাদেশে আসে। এতে পুরো বাংলাদেশের ওপর দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে এটা বেশি আসে।’
২১৬ দিন আগে
অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ফের তিন নম্বরে উঠে এসেছে তিলোত্তমা শহর ঢাকা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে শহরের বাতাসের মান সূচক ২০৩। এই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একই সময়ে ২৫১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। এছাড়া ১৫০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কুয়েত সিটি কুয়েত, ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।
যখন অতি ক্ষুদ্রকণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়।
সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: আজ দেশের কোথাও কোথাও শীলাবৃষ্টি হতে পারে
বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম ২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজন--এই পাঁচটি দূষকের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের বায়ুর গুণমান সূচক নির্ধারণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা শহরের দূষিত বায়ুর ধকল সহ্য করে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। প্রতিবছর বায়ূদূষণের কারণে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি (সিওপিডি), ফুসফুস ক্যানসার ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কারণে মানুষের মৃত্যুহার বাড়ছে।
২১৯ দিন আগে
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে চতুর্থ দূষিত শহর ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং সৌদি আরবের রিয়াদ শহরগুলো যথাক্রমে ২৪২, ১৯৩ এবং ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সংবেদনশীলদের জন্য ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২২০ দিন আগে
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ১৬১ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (শুক্রবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
সেনেগালের ডাকার, পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের দিল্লি শহরগুলি যথাক্রমে ২৭৫, ১৬৪ এবং ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে অষ্টম দূষিত শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২৩১ দিন আগে
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে অষ্টম দূষিত শহর ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ১৪৯ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (শুক্রবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
কুয়েতের কুয়েত সিটি, ইরাকের বাগদাদ এবং সৌদি আরবের রিয়াদ শহরগুলি যথাক্রমে ৬৪৩, ৪৬৫ এবং ২২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি, দূষণের শীর্ষে ভারতের দিল্লি
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২৩৮ দিন আগে
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে পঞ্চম শহর ঢাকা
ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই ঢাকার দূষিত বাতাসের মান আবারও পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। যেখানে গতকাল ছিল নবম।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার ৫০ মনিটে ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু ও পাকিস্তানের লাহোর শহর যথাক্রমে ২৮৮, ২২৯ ও ২০৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২৪৩ দিন আগে
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে পঞ্চম দূষিত শহর ঢাকা
কর্ম ব্যস্ততার শেষ দিনে ঢাকার বাতাস দূষণে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে, নগরীর বাসিন্দাদের জন্য যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার বায়ুদূষণের শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার স্থান ছিল তৃতীয়।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৯টার ২০ মিনিটে ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে আবারও বাড়িয়ে তুলেছে।
আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২১২, ১৯৪ ও ১৭৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বায়ুদূষণে যে স্বাস্থ্যসমস্যা হতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি অকালমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেই তালিকায় দ্বিতীয় হচ্ছে বায়ুদূষণ। আর প্রথম হচ্ছে রক্তচাপ।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
স্বল্প-সময়ের জন্য বায়ুদূষণের কবলে পড়লে অ্যাজমা হতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকও হতে পারে। বিশেষ করে যেসব বয়স্কদের আগে থেকেই চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এমন ঝুঁকি বেশি। আর দীর্ঘমেয়াদে বায়ুদূষণে থাকলে হার্ট ও ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা আছে। যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বায়ুদূষণের কারণে হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকার বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কমবয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জুন কুনিজি বলেন, বায়ুদূষণে শিশুদের বৃদ্ধি কমে যায়, ফুসফুসে ক্ষতি করে এবং মানসিক দক্ষতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিটি শ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা বহুশিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
২৬০ দিন আগে
দূষিত বাতাস নিয়ে বিশ্বে ‘পঞ্চম’ শহর ঢাকা
ছুটির দিন শুক্রবারে ঢাকা শহর বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর শীর্ষে থাকলেও একদিন পর তালিকায় পঞ্চমে নেমে এসেছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৫২মিনিটে একিউআই স্কোর ১৮৮ নিয়ে তিলোত্তমা শহরটির বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ আখ্যা পেয়েছে।
অথচ শুক্রবার সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ১৮৮ নিয়ে ঢাকার বাতাস ছিল ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।
আজকের পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ৪৪১, ৩৪৮ ও ২২২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
যখন অতি ক্ষুদ্রকণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়।
সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৩২০ দিন আগে