আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জের আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি. এম. সাহাবউদ্দিন আজমকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তার স্ত্রী সঙ্গে থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গোপালগঞ্জ সদর থানার বিনাপানি গার্লস স্কুল রোডের প্রয়াত মইনদ্দিনের ছেলে।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি তার পরিবার নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় পাসপোর্ট জমা দেন। তার পাসপোর্টে স্টপ লিস্ট থাকার কারণে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
পরবর্তীতে, তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি পৃথক মামলা থাকায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী বলেন, “ইমিগ্রেশনে খবর ছিল গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি. এম. সাহাবউদ্দিন আজম বেনাপোল দিয়ে ভারতে যেতে পারে। সেই মোতাবেক সকল অফিসারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করে পাসপোর্ট জমা দিলে অনলাইনে তার স্টপ লিস্ট থাকায় সন্দেহ হলে এক পর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংর্ঘষে আহত ৫০
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া জানান, “ইমিগ্রেশনে আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, তাকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১৭৭ দিন আগে
গাংনীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
গাংনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ফিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ফিরাজুল ইসলাম (৪৫) উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের গোয়ালপাড়া এলাকার গোলাম শাহ’র ছেলে ও ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড বাহাগুন্দা গ্রাম আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের রেজানুল হক বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ধারায় বিজ্ঞ সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মায়া চৌধুরীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ফিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শশক (এসআই) নিখীল চক্রবর্তী।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে গ্রেপ্তার ফিরাজুল ইসলামকে আদালতে নেওয়া হবে।
এর আগে এই মামলায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২। মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম জামিনে মুক্তি পেলেও সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।
স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিগত ১৭ বছর ফিরাজুল ইসলামের অত্যাচার নির্যাতনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা তটস্থ থাকতেন। বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর করে আসছিল।
২০১৯ সালে বিএনপি নেতা নুর ইসলামের বাড়িতে তার নেতৃত্বে আগুন দিয়ে চারটি গরু মেরে ফেলা হয়। এছাড়া নুর ইসলামের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছিনে তিনি। ফিরাজুল ইসলামের ভয়ে বিএনপি জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মী এলাকা ছাড়া হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
৩৮০ দিন আগে
শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শেরপুরে শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে আহত করা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার মামলায় শেরপুরে শহর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে শহরের মোবারকপুর মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. শরাফত আলী (৪৫) শেরপুর শহরের মোবারকপুর মহল্লার মৃত মোকসেদ আলী মাতবরের ছেলে এবং শহর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪’র মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার রাতে শহরের মোবারকপুর মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শনিবার সকালে শরাফত আলীকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ৪ আগস্ট শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের গণমিছিলে দুষ্কৃতকারীরা আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে শিক্ষার্থী সজিব মিয়া গুলিবিদ্ধ হয় এবং গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুর সদর থানায় মামলা করা হয়।
৪০৪ দিন আগে