রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড
রাজনৈতিক পালাবদলের পরও ফেনীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ফেনীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকের আবির্ভাব দৃশ্যমান হয়েছে।
সরকার পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেছেন। বিপরীতে প্রকাশ্যে ফিরতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নানা দখলদারীতেও জড়িয়ে পড়েছেন তারা।
স্থানীয় মানুষের ভাষায়, ‘আওয়ামী লীগ আউট, বিএনপি ইন।’ বিএনপির নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে আসায় খুশি হয়েছিলেন অনেকে। তবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ক্ষোভও বাড়ছে।
ফেনীর সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম উপজেলার নদী থেকে বালু উত্তোলন ও উত্তোলন করা বালু লুটের মহোৎসব চলছেই। একইভাবে ইজারাদারের উত্তোলন করা বালুও প্রভাবশালীরা লুট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী ইজারাদাররা পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা বালুমহাল দখল করছেন। উত্তোলন করা বালুগুলো লুটে নিয়ে যাচ্ছে। তবে ভয়ে কেউ তাদের বিষয়ে মুখ খুলছেন না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত ও উন্নয়ন প্রকল্পের নাম করে নতুন করে প্রায় ২০টি স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত নদীর আশেপাশে ভাঙন দেখা দিচ্ছে ও বিশাল স্তুপের বালুমহাল এখন সমতল মাঠে পরিণত হয়েছে।
সরকারি নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও সেগুলো অমান্য করে যথেচ্ছা বালু তুলছে প্রভাবশালী মহল। ইজারা দেওয়া বালু মহালের সরকারি নির্দিষ্ট সীমারেখার বাইরে গিয়ে বালু তোলায় ক্ষতিগ্রস্ত নদী ও এর আশপাশের জনপদ। ব্লাকহেড, ট্রলার, ডেজার মেশিন দিয়ে দিনে-রাতে নদীর সুবিধামতো জায়গা থেকে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বালু খেকোদের কারণে নদী-খাল হচ্ছে বিপন্ন, ভাঙনে ভিটে হারাচ্ছে হাজারো মানুষ। নদীতে বিলীন হচ্ছে একের পর এক কৃষিজমি, ঝুঁকিতে রেল ও সড়ক সেতু। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার একর জমি, বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ।
৩৬৩ দিন আগে
আ. লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ চেয়ে রিট
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি দলটি নিষিদ্ধের দাবি করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি ফাতেমা নাজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখতেই এই রিট দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার
তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে জনস্বার্থ সমুন্নত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
এর আগে আওয়ামী লীগের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার দাবি করে আগস্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
গত ২৩ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিধান দেখিয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ত্যাগ করার পর থেকে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এই রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুন: ৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
৪০৩ দিন আগে