অ্যাস্টন ভিলা
বার্সেলোনাসহ ৫ ইউরোপীয় ক্লাবকে বড় অঙ্কের জরিমানা
আর্থিক নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে বার্সেলোনা, চেলসি, অ্যাস্টন ভিলা, অলিম্পিক লিওঁ ও রোমাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। পাশাপাশি এই ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে উয়েফার প্রতিযোগিতায় নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
উয়েফার ক্লাব ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোল বডি (সিএফসিবি) এই জরিমানা করেছে। উয়েফা বলছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায় সংস্থাটি।
উয়েফার আর্থিক নিরীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উয়েফার নির্ধারিত আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্লাবগুলো এই জরিমানার মুখে পড়েছে। পরের মৌসুমে ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি হলে আরও বড় জরিমানা গুনতে হতে পারে ক্লাবগুলোকে।
এক বিবৃতিতে সিএফসিবি জানিয়েছে, ‘সম্পদ বিক্রি, খেলোয়াড় বিনিময় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে খেলোয়াড় স্থানান্তরের মাধ্যমে যে আয় হয়, তা ক্লাবের হিসাব-নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।’
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। এমন খুশির দিনেও ক্লাবটিকে দুঃসংবাদ শুনতে হলো।
এই জরিমানার সবচেয়ে বড় অঙ্ক গুনতে হচ্ছে চেলসিকে। ক্লাবটিকে সর্বোচ্চ ৩১ মিলিয়ন ইউরো (৩৬.৫ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আয়ের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২০ মিলিয়ন ইউরো এবং স্কোয়াড গড়তে ব্যয়ের নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে আরও ১১ মিলিয়ন জরিমানা করা হয়েছে। এটি এক মৌসুমে কোনো ক্লাবকে উয়েফার করা সর্বোচ্চ জরিমানা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
তবে এই শাস্তি এখানেই শেষ নয়; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্লাবের আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত না করতে পারলে তাদের আরও ৬০ মিলিয়ন ইউরো (৭১ মিলিয়ন ডলার) অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
অন্যদিকে, গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা বার্সেলোনার ঘাড়ে চেপেছে ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা খড়্গ।
এর আগেও একবার উয়েফার জরিমানার কবলে পড়েছিল বার্সেলোনা। ২০২৩ সালে আয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে কাতালান ক্লাবটিকে ৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছিল সংস্থাটি।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা ফরাসি ক্লাব লিওঁকে জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ ইউরো। নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে আরও বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে এই ক্লাবটিকেও।
আমেরিকান ব্যবসায়ী জন টেক্সটরের মালিকানাধীন লিওঁ বর্তমানে আর্থিক দুরবস্থার কারণে ফরাসি ঘরোয়া লিগ ‘লিগ আ’ থেকে অবনমনের বিরুদ্ধে লড়ছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে ক্লাবটির করা আপিলের শুনানি হওয়ার কথা। তাছাড়া, উয়েফা-নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে লিওঁ আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগ থেকেও বাদ পড়তে পারে।
এই ক্লাবগুলোর পাশাপাশি আরেক ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাকে ১১ মিলিয়ন ইউরো এবং ইতালির রোমাকে ৩ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা গুনতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়াগো জোতা নিহত
উয়েফার শর্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোকে দুই থেকে চার বছরের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উয়েফার আয়ের নীতিমালার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্য ফেরাতে হবে।
১৫২ দিন আগে
হ্যাটট্রিক করেও হতাশ গিরাসি, হেরেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের অধীনে বদলে যাওয়া বার্সেলোনার আক্রমণের যে ধার, তার বিন্দুমাত্রও দেখা মিলল না পুরো ম্যাচজুড়ে। ঘর সামলাতেই পার হয়ে গেল নিজেদের খুঁজে ফেরা দলটির সময়। মাঝে তিনটি গোল হজম করে হেরেও গেল, তবুও অগ্রগামিতায় এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
জার্মানির জিগনাল ইডুনা স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে বার্সেলোনার মাঠে ৪-০ গোলে হেরে থাকায় সেমিফাইনালে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত হয়নি দ্বিতীয় লেগের এই জয়। দুই লেগ মিলিয়ে অগ্রগামিতায় ৫-৩ গোলে পিছিয়ে থাকায় শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে নিকো কোভাকের শিষ্যদের।
এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন অবশ্য ডর্টমুন্ডের গিনিয়ান স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি। দলের তিনটি গোলের সবগুলো এসেছে তার পা থেকে। হ্যাটট্রিকের রাতে হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়, হয়েছেন এখন পর্যন্ত টুর্মামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও; দলকে জেতানোর রাতে তবুও থেমেছে তার যাত্রা।
বার্সেলোনা এদিন নিজেদের পা থেকে কোনো গোলই করতে পারেনি। একটি গোল যে পেয়েছে, তাও ডর্টমুন্ডের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া আত্মঘাতী গোল।
তারা যে কতটা নিষ্প্রভ ছিল, পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই তার আভাস পাওয়া যায়। ম্যাচজুড়ে ৫৪ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রাখলেও মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেন লেভানডোভস্কি, রাফিনিয়ারা। অপরদিকে, মোট ১৮টি শটের ১১টি লক্ষ্যে রাখে ডর্টমুন্ড।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এর ফলে টানা ২৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা থামল ফ্লিকের শিষ্যদের। নতুন বছরে এটিই তাদের প্রথম হার। অবসর ভেঙে ফেরা পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনিরও বার্সার জার্সিতে হয়েছে প্রথম হারের অভিজ্ঞতা। নিজের ২৩তম ম্যাচে এসে হারলেন তিনি।
২৩৩ দিন আগে
আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
সবশেষ চারবারের দেখায় আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে এসে অবশেষে দলটির সেই অপরাজেয় যাত্রা থামিয়েছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দলটি।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরুতেই দুর্দান্ত এক গোল করে রদ্রিগো রিয়ালকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৩২তম মিনিটে হুলিয়ান আলভারেসের দর্শনীয় গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের পার্থক্য গড়া গোলটি করেন রিয়ালের স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াস।
এই জয়ে অল্প ব্যবধানে হলেও আতলেতিকোর চেয়ে এগিয়ে রইল রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী বুধবার ফিরতি লেগে আতলেতিকোর মাঠে খেলতে নামবে শিরোপাধারীরা।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন স্পাইডারম্যানের গোলে শীর্ষে উঠল আতলেতিকো মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০০তম ম্যাচে খেলতে নেমে রেকর্ড গড়ার রাতে চতুর্থ মিনিটে গোল করে শুরুতেই এদিন উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় উইঙ্গার রদ্রিগো। নিজেদের অর্ধ থেকে ফেদেরিকো ভালভের্দের ডান পাশের টাচলাইন ধরে বাড়ানো পাস ধরে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যান রদ্রিগো। এরপর আতলেতিকোর দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে অসাধারণ এক শট নেন তিনি, আর ঝাঁপিয়ে পড়া ইয়ান ওবলাকের আওতার বাইরে দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল। ফলে উল্লাসে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় বের্নাবেউ।
এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রদ্রিগোর ২৫তম গোল। এর ফলে পঞ্চম কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ২৫ গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ২৪ বছর ৫৪ দিন বয়সে এই কীর্তি গড়া রদ্রিগোর উপরে রয়েছেন রাউল গন্সালেস (২৩ বছর ২৫২ দিন), লিওনেল মেসি (২২ বছর ২৮৬ দিন), কিলিয়ান এমবাপ্পে (২২ বছর ৮০ দিন) ও আর্লিং হালান্ড (২২ বছর ৪৭ দিন)।
২৭৫ দিন আগে
লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে এসে অবশেষে হারল লিভারপুল। ইংলিশ ক্লাবটির এই হারে তাদের টপকে শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার সুযোগ ছিল বার্সেলোনার সামনে। তবে অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করে কাতালান ক্লাবটির পক্ষে তা আর হয়ে ওঠেনি।
বুধবার রাতে ইউরোপের এলিট লিগে অপরাজিত লিভারপুলকে মাটিতে নামিয়েছে ডাচ লিগ চ্যাম্পিয়ন পিএসভি আইন্ডহোভেন। দুবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতে নিয়েছে পিটার বশের শিষ্যরা।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন কোডি গাকপো। এর ৭ মিনিট পর ইয়োহান বাকায়োকোর গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
এরপর পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই ফের লিভারপুলকে এগিয়ে নেন হার্ভি ইলিয়ট। তবে ৪৫তম মিনিটে আবারও পিএসভিকে সমতায় ফেরান ইসমায়েল সাইবারি।
তারপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ সময়ে আমেরিকান স্ট্রাইকার রিকার্ডো পেপির গোলে ম্যাচ প্রথমবার এগিয়ে গিয়ে বিরতিতে যায় আইন্ডহোভেন।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোলে আর তেমনভাবে শটই নিতে পারেনি আর্নে স্লটের শিষ্যরা। অন্যদিকে, বলের দখল কিছুটা বেশি সময় ধরে রেখে কয়েকবার ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও আর গোল করতে পারেননি ডাচ ক্লাবটির খেলোয়াড়রা। এর মাঝে আবার নির্ধার্তি সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুলের জার্সিতে কয়েক মিনিট আগেই অভিষেক হওয়া ১৮ বছর বয়সী ইংলিশ ডিফেন্ডার আমারা নালোকে। ফলে ৩-২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচটি।
এই ম্যাচ হেরে গেলে প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও জিতে ভালোভাবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি। ৮ ম্যাচে ৪ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪তম স্থানে থেকে প্রথম পর্বের খেলা শেষ করেছে তারা।
৩০৯ দিন আগে
ক্যারাবাও কাপ: এক রাতে বিদায় সিটি, ভিলা ও চেলসির
ইংলিশ ফুটবল লিগ বা লিগ কাপ বা ক্যারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডে টটেনহ্যাম-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচটি ছাড়া প্রিমিয়ার লিগে আধিপত্য দেখানো বাকি সবগুলো দলই পেয়েছিল তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ। কিন্তু মাঠের খেলায় এলোমেলো হয়ে গেছে তাদের অনেকেই।
বুধবার রাতে ক্যারাবাও কাপে ঘটেছে তিনটি অঘটন। এর মধ্যে বড় খবর হলো টটেনহ্যামের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে সিটি।
এছাড়া চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় দাপট দেখানো অ্যাস্টন ভিলা এবং এনসো মারেসকার অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া চেলসিকেও বিদায় নিতে হয়েছে চতুর্থ রাউন্ড থেকেই।
অন্যদিকে, দুর্দান্ত জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভুগতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর রোমাঞ্চের পর রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টারে উঠেছে লিভারপুল। আর্সেনালও কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে, তবে জিততে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাদের।
টটেনহ্যামের কাছে সিটির হার
স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড ও গোলরক্ষক এদেরসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই এদিন মাঠে নামে সিটি। চোটের কারণে দলে ছিলেন না কেভিন ডি ব্রুইনে-রদ্রিরাও।
অন্যদিকে, চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলা হয়নি টটেনহ্যামের তারকা ফরোয়ার্ড হিউং মিন-সনেরও।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই টিমো ভের্নারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ২৫তম মিনিটে টটেনহ্যামের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডার পেপে মাতার-সার। এরপর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে বিরতিতে যায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও টটেনহ্যামকে চেপে ধরে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাথুস নুনেস-বের্নার্দো সিলভারা। শেষদিকে সমতায় ফেরার জোর চেষ্টা চালালেও টটেনহ্যামের রক্ষণ ভেদ করতে তা যথেষ্ট ছিল না। তাই ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে, গত মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও এবার কোয়ার্টারেও পৌঁছানো হলো না গার্দিওলার শিষ্যদের।
নিউক্যাসলের মাঠে জোড়া গোল হজম চেলসির
ঘরের মাঠে ম্যাচের ২৩তম মিনিটে আলেকজান্ডার ইসাকের গোলে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল ইউনাইটেড। এর তিন মিনিট পরই আক্সেল দিসাসির আত্মঘাতী গোলে আরও পিছিয়ে পড়ে চেলসি।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর নিউক্যাসলের ওপর রীতিমতো শাসন করা শুরু করে চেলসির খেলোয়াড়রা। গোলের জন্য হন্যে হয়ে যায় তারা। কিন্তু ৬৬ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে মোট ১৭টি শট নিয়ে একবারের জন্যেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি মারেসকার শিষ্যরা। ফলে দুর্দান্ত চেলসিকে ২-০ গোলে রুখে দিয়ে জয়ের হাসি হাসে এডি হাউইর দল।
ঘরের মাঠে হেরে ভিলার বিদায়
অ্যাস্টন ভিলার গল্পটি অনেকটা সিটির মতোই। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই (অষ্টম মিনিটে) এবেরেচি এজের গোলে পিছিয়ে পড়লেও অপ্রতিরোধ্য জন ডুরানের নৈপুণ্যে ২৩তম মিনিটেই সমতায় ফেরে উনাই এমেরির শিষ্যরা।
ম্যাচজুড়ে বলের দখল, আক্রমণ, গোলের সুযোগ তৈরি- সবকিছুতেই প্যালেসের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে অ্যাস্টন ভিলা। তাই মনে হচ্ছিল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে তারা। কিন্তু দাইচি কামাদার গোলে দ্বিতীয়ার্ধে ফের এগিয়ে যায় প্যালেস। এরপর রক্ষণে দেওয়াল তুলে স্কোরলাইন রক্ষা করে অলিভার গ্লেসনারের দল।
ফলে ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্রিস্টাল প্যালেস।
জিতল যারা
বড় দলগুলোর অনেকেই ব্যর্থ হলেও রুড ভ্যান নিস্টরলয়ের অধীনে প্রথম ম্যাচেই দারুণ এক জয় তুলে ক্যারাবাও কাপের কোয়ার্টারে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ৫-২ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টারের লাল দলটি।
ইউনাইটেডের হয়ে জোড়া গোল করেন কাসেমিরো ও ব্রুনো ফের্নান্দেস; অপর গোলটি আসে আলেহান্দ্রো গারনাচোর পা থেকে। অপরদিকে, লেস্টারের গোলদুটি করেন বিলাল এল খানুস ও কনর কোডি।
এদিকে, ঘরের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন। প্রতিযোগিতার সেরা দলটির বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছে ফাবিয়ান হুয়ের্সেলারের দল।
ম্যাচের সবগুলো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। লিভারপুলের তিন গোলের প্রথম দুটি আসে ৪৬ ও ৬৩তম মিনিটে, কোডি গাকপোর পা থেকে; আর ৮৫তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন লুইস দিয়াস।
মাঝে ৮১তম মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে ব্রাইটনের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগান সিমোন আদিংগ্রা। চার মিনিট পর দিয়াসের গোলে লিভারপুল ফের ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ৯০তম মিনিটে গিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তারিক ল্যাম্পটি। এরপর দুই মিনিট অতিরিক্ত খেলার সুযোগ দেওয়া হলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাইটন। ফলে স্বাগতিকদের হতাশ করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
এছাড়া, দ্বিতীয় বিভাগের দল প্রেস্টন নর্থ এন্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। গোল তিনটি করেন গাব্রিয়েল জেসুস, ইথান নোয়ানেরি ও কাই হাভার্টস।
চতুর্থ রাউন্ডের অপর ম্যাচগুলোতে জয় পেয়েছে ব্রেন্টফোর্ড ও সাউথহ্যাম্পটন।
৪০০ দিন আগে