৮ বছর পর
নিজ নামে ফিরল জিয়া অডিটোরিয়াম
৮ বছর পর আগের নাম ফিরে পেয়েছে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের জিয়া অডিটরিয়াম। রবিবার অডিটরিয়ামের নাম রঙ দিয়ে আগের মতো করে লেখা হয়। আগের নাম ফিরে পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
২০০৬ সালের ১৬ মার্চ জিয়া অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ ছাড়াই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের জিয়া অডিটরিয়ামের নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় কলেজ অডিটোরিয়াম।
৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আগের নামে ফিরে যাওয়ার দাবি করেন ছাত্রদল নেতারা। পরে রবিবার অডিটরিয়ামের নাম রঙ করে আগের নামে জিয়া অডিটোরিয়াম লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইনের ৫ মামলা বাতিলের রায় বহাল
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রদলের ২০১৬ সালের প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক কাজী জুবায়ের আলম জিলানী বলেন, ফ্যাসিবাদের যাতাকলে পিষ্ট হয়েছে সারা দেশ। সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ কলেজের জিয়া অডিটোরিয়ামের নামে কলেজ অডিটোরিয়াম করে চালিয়ে দেন। এরপর থেকে তা কলেজ অডিটোরিয়াম নামে সবাই চেনে। মূলত এটার নাম ছিল জিয়া অডিটোরিয়াম। আমরা ধন্যবাদ জানাই ভিক্টোরিয়া কলেজের বর্তমান প্রশাসনকে যারা কলেজের অডিটরিয়ামের নামটি ফেরত দিয়েছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাশার ভূঞা বলেন, এটির আগের নাম যেটি ছিল, আমরা সেটি নিয়েই কাজ করেছি। আমি একজন শিক্ষককে অডিটোরিয়ামের নামটি আগে যা ছিল তা লেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম। ভিক্টোরিয়া কলেজ তার ঐতিহ্য ধরে রাখুক- সেটিই প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বড় ধরনের সংস্কারের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন ড. ইউনূস
৩৬২ দিন আগে
শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলা হওয়ার ৮ বছর পর দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শহিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহিদ মিয়া মেলান্দহ উপজেলার দিলালেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি মো. রেজাউল আমীন (শামীম) জানান, ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল শহিদ মিয়া ৭ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরদিন মেয়ের বাবা আছাদুল্লাহ বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্কের পর শহিদ মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। এরপর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
আসামি শহীদের বড় মেয়ে শাহানা বলেন, ‘বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
৩৭৯ দিন আগে