কর্মকর্তা বরখাস্ত
কুয়েটের সাবেক ভিসির অবসর গ্রহণের আবেদন, ৯ কর্মকর্তা বরখাস্ত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের আবেদন করেছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার।
এদিকে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রো-ভিসি, দুইজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ, জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকলকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এই তালিকায় রয়েছেন কুয়েটের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী দোলন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিবাশীষ মন্ডল, জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পোটলার জি এম আবু সাইদ, সহকারী প্রোগ্রামার ওমর ফারুক, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান রাজন এবং পিয়ন সত্যজিৎ কুমার দত্ত। এই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
কুয়েটের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ২০০৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে উপাচার্যের নির্দেশে অনেকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে উপাচার্যের দপ্তরে।
অভিযোগগুলোর তদন্ত করতে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়াকে সভাপতি এবং রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্তের সাপেক্ষে গত ২১ নভেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করে কমিটি। এরপর সিন্ডিকেটের সভার অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে কুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. শিবেন্দ শেখর শিকদার গত ২৪ নভেম্বর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ
৩৭২ দিন আগে