বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ
‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বেইজিংয়ের অভিজ্ঞতা বিনিময় চায় বাংলাদেশ’
বেইজিংয়ের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতা চীনকে বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীনের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘চীনের এ সংক্রান্ত নীতিমালা ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ থেকে বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখতে পারে।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ আয়োজিত ‘অ্যানালাইসিস অব এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন চায়না অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা অভিন্ন নদীগুলোর তথ্য বিনিময়ের ওপর জোর দেন এবং ব্রহ্মপুত্র নদ নিয়ে চীনের পরিকল্পনাগুলো জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সত্যিকারের টেকসই উন্নয়ন প্রয়োজন। প্রকৃতিকে জয় করার প্রতিযোগিতা নয়, উন্নয়নের ধারা পুনর্বিন্যাস করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দূষণকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনাসহ চামড়া শিল্পের জন্য নদী ধ্বংস ও পাহাড় কাটার মতো কাজ মেনে নেওয়া হবে না।’
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই প্রকৃতির মৌলিক নিয়ম অনুসরণ করে হতে হবে। প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিবর্তে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসইভাবে পরিচালনা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: তিন সংকট মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চান পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লি ফেংটিং। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক শামসাদ মর্তুজা সেমিনারে বক্তব্য দেন।
৩৩৩ দিন আগে
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যা আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বায়ুদূষণের সমাধান সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুন: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
তিনি জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরোনো গাড়ি অপসারণ করা হবে এবং রাজধানীতে খোলা ট্রাক প্রবেশের বিষয়ে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণকাজের ধুলা, ইটভাটা ও যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জোরদার করার মাধ্যমে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণকাজে ধুলা কমাতে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা এবং সুরক্ষা বেষ্টনী ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার এবং দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পাশাপাশি, রাস্তার ধারে ঘাস লাগানো, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলা এবং বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, খাল উদ্ধার এবং উন্মুক্ত জায়গায় খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
৩৫৮ দিন আগে