টাস্কফোর্স গঠন
আইসিটি খাতের দুর্নীতি তদন্ত ও শ্বেতপত্র প্রণয়নে টাস্কফোর্স গঠন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের (আইসিটি) বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। তদন্ত পরিচালনা ও শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্স ও শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখে টাস্কফোর্স গঠনের গেজেট প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কমিটি প্রণয়ন করে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অধ্যাপক মুহাম্মদ মুস্তাফা হোসেন, আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আফজাল জামি সৈয়দ আলী, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাহমুদ সালাম মারুফ, সাংবাদিক মো. শরিয়ত উল্যাহ। এছাড়া প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আসিফ শাহরিয়ার সুস্মিত।
আরও পড়ুন: সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা
টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, আইসিটি খাতে অনিয়ম এবং অপব্যবস্থাপনার তদন্ত এবং আইসিটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। বিগত সরকারের সময়ে সম্পাদিত সকল ধরনের চুক্তি এবং প্রকল্পের ডিপিপি, সকল অডিট রিপোর্ট ও তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত এই টাস্কফোর্স।
এছাড়া, ‘আইসিটি শ্বেতপত্র টাস্কফোর্স’ শিরোনামে সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত প্রতিবেদন এ বছর ২১ জুনের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা বিধি অনুযায়ী সম্মানী বা সিটিং এলাউন্স পাবেন। টাস্কফোর্সকে লজিস্টিক ও অন্যান্য সহায়তা দেবে আইসিটি বিভাগ। এছাড়া উপ-সচিব মো. আবু নাছের সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
টাস্কফোর্স প্রধান অধ্যাপক ড. নিয়াজ আসাদুল্লাহ একজন বাংলাদেশি উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করে যুক্তরাজ্যের রিডিং, মালয়েশিয়ায় মোনাশ এবং থাইল্যান্ডের চুলালংকরন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকিয়াল ফেলো হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
কমিটি সদস্য মুহাম্মদ মুস্তাফা হোসেন একজন সেমিকন্ডাক্টর ও আইওটি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস এট অস্টিন থেকে ২০০৫ সালে পিএইচডি করেন
ব্যারিস্টার আফজাল জামি সৈয়দ আলী ফৌজদারি প্রতিরক্ষা, দেওয়ানি মামলা, পাবলিক আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শে ব্যাপক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং উচ্চমূল্যের জালিয়াতির বিচারে বিশেষজ্ঞ। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাপলান হলবর্ন কলেজ থেকে এলএলবি এবং যুক্তরাজ্যের উলভার হ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: আইসিটিতে হাজির করা হলো সাবেক মন্ত্রী আমু-কামরুলকে
সাংবাদিক মো. শরিয়ত উল্যাহ দৈনিক ইত্তেফাক এবং দৈনিক বণিক বার্তায় প্রযুক্তি প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক আজকের বাংলার পরিকল্পনা সম্পাদক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
২২৫ দিন আগে
বিদেশি নাগরিকদের করণীয় নির্ধারণে টাস্কফোর্স গঠন
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের করণীয় নির্ধারণে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১ অধিশাখা), স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ইমিগ্রেশন), ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন উইং), প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পরিচালক (এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স এন্ড লিয়াঁজো ব্যুরো)।
কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিবকে (বহিরাগমন-২ অধিশাখা)।
তাদের কাজের পরিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে গৃহীত সার্বিক কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরামর্শ প্রদান; কমিটি এ সংক্রান্ত বিষয়াদির উপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেবে ও প্রয়োজনবোধে সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারবে ও কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো কর্মকর্তা/ব্যক্তিকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে এবং প্রয়োজনে কো-অপ্ট করতে পারবে।
৩০৫ দিন আগে
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যা আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বায়ুদূষণের সমাধান সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুন: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
তিনি জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরোনো গাড়ি অপসারণ করা হবে এবং রাজধানীতে খোলা ট্রাক প্রবেশের বিষয়ে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণকাজের ধুলা, ইটভাটা ও যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জোরদার করার মাধ্যমে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণকাজে ধুলা কমাতে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা এবং সুরক্ষা বেষ্টনী ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার এবং দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পাশাপাশি, রাস্তার ধারে ঘাস লাগানো, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলা এবং বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, খাল উদ্ধার এবং উন্মুক্ত জায়গায় খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
৩৫৮ দিন আগে