দুপক্ষ
মাদারীপুরে শ্রমিক দলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার ও শ্রমিক দলের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শ্রমিক দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরান বাজার কাটপট্টি ব্রিজ সংলগ্ন নতুন মাদারীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল মুন্সি সদর উপজেলা শ্রমিক দলের নেতা ও মোফাজ্জল মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার ও শ্রমিক দলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে শাকিল মুন্সি নামে একজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বিকল্প রাজধানী সম্ভব?
পরে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এদিকে তার মৃত্যুতে বিএনপি শহরে একটি মিছিল বের করে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘শাকিল মুন্সী নামে একজন খুন হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
২৫৬ দিন আগে
অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে নরসিংদীতে দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত
নরসিংদী সদর উপজেলায় অটোরিকশা ভাড়া করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে সুমন মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা আলম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন জয়নগর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, জয়নগর বাজারে সুমনের চাচা মুকুলের সঙ্গে প্রতিবেশি আয়ুব, মোমেন, তারেক, দেলোয়ারসহ ৪-৫ জনের অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মুকুলের বাড়িতে হামলা করতে যায়। এ সময় বাড়ির পাশে হৈচৈ হলে ঘর থেকে বেরিয়ে সুমন ও তার বাবা আলম মিয়া দেখতে যান। তাদের সামনে পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে এলাকাবাসী তাদের নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া হামলায় আহত আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের চাচা মুকুল মিয়া বলেন, ‘আমার মা অটোরিকশায় করে ভাতিজার জন্য ঔষধ আনতে গিয়েছিল। এ সময় আয়ুব মিয়া, মোমেন, তারেক এই রিকশায় যেতে চেয়েছিল। রিকশাচালক কেন মাকে নিল—এজন্য তারা খারাপ ব্যবহার করে। আমি তার প্রতিবাদ করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করতে এসে সুমনকে হত্যা ও তার বাবাকে গুরুতর আহত করে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে সংঘর্ষে সাবেক বিএনপি নেতা নিহত, আহত ২
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শওকত হাসান বলেন, ‘রাতে দুজনকে হাসপাতালে আনার পর সুমন নামের যুবককে মৃত পাওয়া যায়। আর আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে চিকিৎসক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, ‘অটোরিকশায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়, এরপর তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুমন নিহত হয়েছে এবং তার বাবা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
২৬৯ দিন আগে
ফরিদপুরে মোবাইল ছিনতাই নিয়ে কৃষকদলের দুপক্ষে সংঘর্ষ
মোবাইল ছিনতাইকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুরসহ গুলি ও বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
সংঘর্ষে জড়ানো নেতারা হলেন— মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির ও একই কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ বাঁধে।
এ বিষয়ে ফরিদ শেখ বলেন, ‘মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুলের সকর্থক জাফর শেখ আমার সমর্থক খসরুর একটি মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। মোবাইলটি বিদেশ থেকে আনা। এটি ফেরত পেতে হলে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে টাকা না দেওয়ায় জহিরুল আর জাফর মিলে ওদের মারধর করে।’
‘এ ঘটনায় বাহিরদিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে জাফরকে ফোন দিলে উচ্চবাচ্য হয়। এরপর জহিরুল ও ইমন স্বেচ্ছাসেবক লীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে ও পিস্তল বের করে গুলি চালায়।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২
তবে ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জহির বলেন, ‘আমার সমর্থক জাফর শেখের মেয়েকে উত্যক্ত করায় ঝামেলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাহিরদিয়া বাজার এলাকায় এলে আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বোমা নিক্ষেপ করিনি। বরং ওরা আমাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করলেও বোমাটি ফাটেনি।’
ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সামান্য ঘটনা নিয়ে ফরিদ ও জহিরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কোনো ভাঙচুর, গুলি বা বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি। নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘গুলি-বোমার ঘটনা টোটালি বোগাজ। একটু উত্তেজনা হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
৩০৪ দিন আগে
পাশাপাশি বিএনপির দুপক্ষের সভা, সংর্ঘষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি
বাগেরহাটের কচুয়ায় উপজেলা বিএনপির জনসভা এবং দলটির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠ এবং পার্শ্ববর্তী গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ এলাকায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি জানানো হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কচুয়ার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠ এবং গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ এলাকা ও চারপাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের জনসমাগম, সভা-সমাবেশ, আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধসহ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এই আদেশ জরুরি পরিষেবা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
আরও পড়ুন: বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কচুয়ার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিমকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া পার্শবর্তী গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কচুয়া উপজেলা বিএনপির জনসভার আয়োজন করা হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং সংর্ঘষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই দুই এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’
৩৫৩ দিন আগে