যাত্রীবাহী বিমান
রাশিয়ায় ৫০ বছর পুরোনো বিমান বিধ্বস্তে সব আরোহী নিহত
রাশিয়ায় ক্রু ও যাত্রীসহ ৪৮ আরোহীকে নিয়ে এএন-২৪ নামের ৫০ বছর পুরোনো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দেশটির আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিমানে থাকা ৪৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। তিনি ঘটনাটিকে একটি ‘ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করে আমুর অঞ্চলে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
দেশটির স্থানীয় জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় তথ্যনুযায়ী, গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেশটির দূর প্রাচ্যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ৬ শিশুসহ ৪২ যাত্রী ও ৬ জন বিমান ক্র ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর গভর্নরের দপ্তর থেকে ৪৯ জন আরোহীর থাকার কথা বলা হলেও পরে সেটি সংশোধন করে ৪৮ করা হয়। তবে সংখ্যাগত ভিন্নতার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
মন্ত্রণালয় জানায়, দূর প্রাচ্যের তিন্দা শহরের উদ্দেশে রওনা হওয়া বিমানটি রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এর ধ্বংসাবশেষ একটি পাহাড়ি জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায়। দুর্ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিধ্বস্তের সময় ওই এলাকায় খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করছিল।
প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো সোভিয়েত আমলের বিমানটি খাবারোভস্ক থেকে যাত্রা শুরু করে ব্লাগোভেশচেনস্কে পৌঁছে পরে তিন্দার দিকে যাচ্ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ ঘন জঙ্গলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আছে এবং সেখান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছিল।
দূরপ্রাচ্যের পরিবহন প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলটি তিন্দা থেকে ১৫ কিলোমিটার (৯ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত। একটি অনলাইন বিবৃতিতে অফিসটি জানিয়েছে, বিমানটি অবতরণের জন্য দুইবার চেষ্টা করে। দ্বিতীয়বার অবতরণের চেষ্টার পর এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
পড়ুন: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স: মাখোঁ
স্থানীয় জরুরি সেবা বিষয়কমন্ত্রী বলেন, সাইবেরিয়াভিত্তিক আনগারা নামের একটি এয়ারলাইন্স বিমানটি পরিচালনা করতো। বিমানটির নাম এএন-২৪।
‘উড়ন্ত ট্রাক্টর’ নামে পরিচিত এএন-২৪ বিমানগুলোকে রাশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হলেও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব পুরোনো বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে।
নতুন লাদোগা বিমানের ব্যাপক উৎপাদন ২০২৭ সালের আগে শুরু হবে না বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় রাশিয়ার গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলে পরিবহনের জন্য এখনও পুরোনো ‘উড়ন্ত ট্রাক্টর’-এর ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।
বিমানের বয়স ৫০!
রাশিয়ানপ্লেইনস নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, আনগারা এয়ারলাইন্স মূলত রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল ও সাইবেরিয়ার দুর্গম এলাকায় ফ্লাইট পরিচালনা করে। তারা বর্তমানে ১০টি এএন-২৪ বিমান পরিচালনা করে, যেগুলো ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে তৈরি।
সোভিয়েত আমলে মোট ১ হাজার ৩৪০টি এএন-২৪ তৈরি হয়। রাশিয়ানপ্লেইনসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এর মধ্যে ৮৮টি দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়েছে, ৬৫টি গুরুতর ঘটনার শিকার হয়েছে যাত্রী হতাহতের ঘটনা ছাড়াই এবং বর্তমানে মাত্র ৭৫টি বিমান চালু রয়েছে। বিমানগুলোর বয়স বহুদিন ধরেই উদ্বেগের বিষয়। ২০১১ সালে সাইবেরিয়ায় এক এএন-২৪ বিমান দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এই বিমানগুলো গ্রাউন্ড (পরিচালনা বন্ধ) করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।বর্তমান পরিস্থিতি এই বিমানের পরিচালনা ও ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
১৩২ দিন আগে
ক্রুসহ ৪৯ যাত্রী নিয়ে রুশ বিমান নিখোঁজ
রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলের আমুর এলাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী বিমান নিখোঁজ হয়েছে। বিমানটিতে ছয়জন ক্রুসহ ৪৯ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। আঞ্চলিক গভর্নরের বরাতে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে।
স্থানীয় জরুরি সেবা বিষয়কমন্ত্রী বলেন, সাইবেরিয়াভিত্তিক আনগারা নামের একটি এয়ারলাইন বিমানটি পরিচালন করতো। এটির নাম এএন-২৪। কিন্তু আমুরের তিয়ান্দা শহরের আসার সময় এটি রাডারের পর্দা থেকে হারিয়ে যায়।
চীনের সীমান্তবর্তী অঞ্চল আমুরের গভর্নর ভাসিলি অর্লভ বলেন, বিমানটিতে ৪৩ যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে পাঁচটি শিশুও রয়েছে। এছাড়াও ছয় ক্রু সদস্য ছিলেন আকাশযানটিতে।
পড়ুন: ‘গাজায় বোমার চেয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে ক্ষুধা’
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, বিমানটির খোঁজে প্রয়োজনীয় সব বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। যন্ত্রপাতিও প্রস্তুত রয়েছে।
জরুরি সেবা বিভাগের বরাতে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, খাবারোভস্ক-ব্লাগোভেশচেনস্ক-তিয়ান্দা রুটে একটি এএন-২৪ যাত্রীবাহিনী বিমান উড়ছিল।
কিন্তু চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই নিরাপত্তা তল্লাশি অতিক্রম করতে এটি ব্যর্থ হয়েছে। বিমানটির সঙ্গে এখন কোনো যোগাযোগ নেই।
১৩৩ দিন আগে
ভারতে ২৪২ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটিতে ২৪২ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রু রয়েছেন। নয়াদিল্লিভিত্তিক এনডিটিভির খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি অনেকটা নিচ দিয়ে উড়ছিল, এসময়ে উপরের দিকে উঠতে বারবার চেষ্টা করছিল। এরপর হঠাৎ করে আকাশযানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের কুণ্ডলী বেরিয়ে আসে।আরও পড়ুন: ফ্লোরিডায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৩
এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আহমেদাবাদ-লন্ডন গ্যাটউইকে পরিচালিত এআই১৭১ বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঘন ধূসর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উপরের দিকে উঠছে। আশপাশে দুই ডজনেরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স জড়ো হয়েছে। কোনো কোনো অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য দিতে পারেনি দেশটির পুলিশ। তারা জানিয়েছে, বিমানবন্দরের কাছের একটি বেসামরিক এলাকায় এটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
১৭৫ দিন আগে
কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত
কাজাখস্তানে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আকতাউয়ের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে লাগা আগুন নেভাতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের পরিচালিত বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের গ্রোজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু, গ্রোজনিতে ঘন কুয়াশার কারণে কাজাখস্তানের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তবে আজারবাইজান এয়ারলাইন্স এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।
স্থানীয় কাজাখ গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটিতে ১০৫ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন।
বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান ও এপি
৩৪৪ দিন আগে