নৌশ্রমিকদের ধর্মঘট
নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো নৌশ্রমিকদের ধর্মঘট, অচল নৌবন্দর
মেঘনা নদীতে এমভি আল–বাখেরার ৭ শ্রমিক হত্যার বিচার, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও নৌ–নিরাপত্তার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো নৌশ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে।
নৌশ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজের চলাচল বন্ধ আছে। এছাড়া নদীর বিভিন্ন স্থানে জাহাজগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে। এতে অচল হয়ে পড়েছে নৌবন্দর।
নৌশ্রমিকরা জানান, নদীপথে ১৬টি পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা এরাতে প্রশাসনের কাছে বারবার নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে, কিন্তু নিরাপত্তা পাওয়া যায়নি। এছাড়া নৌশ্রমিকদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই বলে তারা মনে করেন।
বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, ‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও এর সঙ্গে অন্য কারা জড়িত ছিল, সেটা বের করতে প্রশাসনের সঠিক তদন্ত দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে হাজার হাজার পণ্যবাহী নৌযান ও কয়েক লাখ শ্রমিকদের নিরাপত্তা দাবি করছি। যারা নিহত হয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নৌপথের শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা দিতে হবে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতিসহ পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।’
গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মাঝেরচরে এমভি আল–বাখেরা জাহাজ থেকে পাঁচ শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় আরও দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নৌশ্রমিক হত্যার বিচার, আসল ঘটনা উদঘাটন ও নিহতদের জীবনের আয় সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ পরিবারকে দেওয়াসহ ৮ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও নৌযানশ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে পাসপোর্ট যাত্রীরা
৩৪২ দিন আগে