রিকশাচালকের লাশ
নিখোঁজের চার দিন পর বন্ধুর বাসায় মিলল রিকশাচালকের লাশ
নিখোঁজের চারদিন পর ফরিদপুরে চুনাঘাটা মডেল টাউন এলাকায় বন্ধুর বাসা থেকে রিকশাচালক হালিম শেখের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বাসার ভেতর থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
হালিম শেখ শহরের আলিপুর গোরস্থান এলাকার মৃত আব্দুর রব শেখের ছেলে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হালিমের বন্ধু রনি মোল্যা রিকশা চুরির লোভে বন্ধু হালিমকে হত্যা করে বাড়ির ভেতরে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন।
রনি মোল্যা নরসিংদী জেলার রায়পুরের আব্দুল মতিনের ছেলে। দেড় মাস আগে তিনি চুনাঘাটা মহল্লার ওই ভাড়াবাড়িতে ওঠেন।
নিহতের বোন সাথী আক্তার জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি হালিম। এ ব্যাপারে শুক্রবার কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। নিখোঁজের আগে হালিমকে রনির সঙ্গে স্থানীয়রা দেখেছিল বলে জানান তিনি।
হালিমের পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার সকালে মো. মোখলেসুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া রনির বাসায় গিয়ে ভেতর থেকে গেট আটকানো দেখতে পাওয়া যায়। একপর্যায়ে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে হালিমের রিকশাটি তারা দেখতে পান। এরপর ওই ঘরের পেছনে বালি-মাটি দিয়ে কিছু ঢেকে রাখা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখা প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় হালিমের লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: গাংনীতে ওয়ার্ড যুবদল সভাপতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রিকশার মালিক নূর ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার হালিম তাকে ফোনে জানান, রাতে গ্যারেজে ফিরবেন না, তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন; পরেরদিন ফিরবেন। একপর্যায়ে তারা (মালিক) জানতে পারেন, হালিমের বন্ধু রনি তাকে ভাড়া করে নিয়ে যান, পরে রনির বাড়িতেই তার লাশ পাওয়া গেল।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনির স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের ঘাড়ে কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাকে কুপিয়ে হত্যার পরে এখানে পুঁতে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রনিকে গ্রেপ্তার করা হলে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
৩৩৪ দিন আগে