অনুদান
হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন রাষ্ট্রদূতের
হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) হবিগঞ্জে একটি কমিউনিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবিগঞ্জ সফর করেন তিনি।
এই প্রকল্পটি জাপান সরকারের গ্রান্ট অ্যাসিসটেন্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টের (জিজিএইচএসপি) মাধ্যমে ‘কমিউনিটি ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি (সিআইএস)’ এনজিওকে দেওয়া হয়।
প্রকল্পের আওতায় একটি দোতলা কমিউনিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে এক হাজারের বেশি ঝুঁকিতে থাকা তরুণ-তরুণী বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানকে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের আহ্বান বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, ‘আমি আশা করি এই কেন্দ্র ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে, আয়ের উৎস তৈরি করতে এবং তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতা কমাতে সক্ষম করবে।’
তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানব নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে জাপান তার গ্রান্ট অ্যাসিস্ট্যান্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টের (জিজিএইচএসপি) মাধ্যমে ২১৩টি এনজিও প্রকল্পকে সহায়তা করেছে।
এই জিজিএইচএসপি অনুদানের আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিওকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রকল্পে জাপানের ৬৯ লাখ টাকা অনুদান
জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
সাংবাদিকদের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ডেলিগেটস কনফারেন্স-২০২৩-এ তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, 'আমি যেহেতু এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং এবারও এখানে এসেছি, তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বিজেডব্লিউটি গঠনের সময় তিনি নগদ টাকা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার নগদ টাকা দিয়ে ট্রাস্ট ফান্ডের সূচনা করেন।পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে আরও অনুদানও দেন।
বিএফইউজের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা 'সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতিমালা-২০১২' এবং 'বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪' প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, এই আইনের অধীনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে কল্যাণ অনুদান হিসেবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সময়ের প্রথম পর্যায়ে বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৩৫০ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।
দ্বিতীয় ধাপে ২০২০-২১, ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তার আওতায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৭২৭ জন সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারতের সহায়তায় ৩ প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রকল্পে জাপানের ৬৯ লাখ টাকা অনুদান
বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) নামের বাংলাদেশি এনজিওকে ৬৪ হাজার ৫০৭ মার্কিন ডলার (প্রায় ৬৯ লাখ টাকা) অনুদান দিয়েছে জাপান সরকার।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ঢাকায় জাপান দূতাবাসে 'গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টস' (জিজিএইচএসপি) এর অনুদান চুক্তিতে সই করেন।
কক্সবাজার জেলায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বিজিএসকে ৬৪ হাজার ৫০৭ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, যুব সহায়তা, মানবাধিকার সুরক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দুর্যোগ ইস্যু, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবিকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বিজিএস কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
জিজিএইচএসপি'র অর্থায়নে বিজিএস কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হোস্ট কমিউনিটির সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তরুণদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যযুক্ত এলাকায় দারিদ্র্য বিমোচন জোরদার করবে।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানায়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানবিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে জাপান এর 'গ্র্যান্ট অ্যাসিসটেন্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টস' এর মাধ্যমে ২১৩টি এনজিও প্রকল্পকে সহায়তা করেছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের এনজিওগুলোকে প্রদত্ত এই জিজিএইচএসপি অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
পাচারের শিকার শিশুদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের ১ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ঘোষণা
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ফ্রিডম ফান্ড এবং এর অংশীদারদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ঘোষণা করেছেন।
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাচারের শিকার হওয়া ৫০০টিরও বেশি শিশু পুনর্মিলন পরিষেবা পাবে।
আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেছেন, ‘আরও অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আমাদের একটি অত্যাবশ্যক অংশীদার। আমাদের অংশীদারিত্ব ভাগ করা গণতান্ত্রিক নীতি এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে সমুন্নত করা হয়।’
জেয়া এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু সহ স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল ১১-১৪ জুলাই ঢাকা ও কক্সবাজার সফর করেন। এসময় তারা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, রোহিঙ্গা শরণার্থী, মানবিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বাংলাদেশে আশ্রয়রত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং তাদের স্বাগতিক সম্প্রদায়কে সমর্থন করার জন্য প্রায় ৬১ মিলিয়ন ডলারসহ মিয়ানমার ও বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়া প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য ৭৪ মিলিয়নের অতিরিক্ত মার্কিন মানবিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মতে, রোহিঙ্গাদের ও স্বাগতিক সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য ২০১৭ সাল থেকে তারা মোট ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশে থাকাকালীন আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক করেন।
তিনি শ্রমিকনেতা, সুশীল সমাজের নেতা এবং মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন চায়: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট হতে জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানভিত্তিক অর্থায়ন প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তাকারী অর্থায়নের উপকরণ ও কাঠামোতে অংশগ্রহণ করতে গভীরভাবে আগ্রহী। আমরা সহযোগিতার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং টেকসই ও রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের জন্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাঘ সংরক্ষণে ভারতের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত আইএমএফের রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) তহবিল সংক্রান্ত বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য আইএমএফ থেকে নীতি পরামর্শ এবং সক্ষমতা উন্নয়ন সহায়তা পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, আইএমএফ কিভাবে বাংলাদেশকে তার জলবায়ু এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে এবং জলবায়ু অর্থায়নকে গতিশীল করতে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করার সুযোগ চাই।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শনে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নেতৃত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ), মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রস্তুত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়নে অগ্রণী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
চলচ্চিত্রে এবার যারা সরকারি অনুদান পেলেন
প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতায় অনুদানের বাজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেতে যাচ্ছে ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় রবিবার (১৮ জুন) এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। যেখানে অনুদান পেতে যাওয়া সিনেমা তালিকাসহ প্রযোজক-পরিচালকের নাম ও বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ আছে।
২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ১টি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ১টি, সাধারণ শিশুতোষ শাখায় ২টি ও সাধারণ শাখায় ১৮টি সিনেমাকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা করে পাচ্ছে নূর ইমরান মিঠুর প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘সার্কাস’ এবং প্রযোজক হিসেবে নাট্যকার ও নির্মাতা মাতিয়া বানু শুকু পাচ্ছেন তার সিনেমা ‘লাল মিয়া’র জন্য। এটি পরিচালনা করবেন নুরুল আলম আতিক।
মুক্তিযুদ্ধ শাখায় ‘যুদ্ধ শিশু’ সিনেমার জন্য ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন প্রযোজক বদরুন নাহার রক্সি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন মোহাম্মদ উল্লাহ। একই পরিমাণ অনুদান পাবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় থাকা ‘ভোর’ সিনেমাটির প্রযোজক মাহিন মাহনুমা। এটি পরিচালনা করবেন আমিনুর রহমান খান।
৬০ লাখ টাকা অনুদান পাওয়ার তালিকায় প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন অভিনেত্রী শামীমা ইসলাম তুষ্টি। শিশুতোষ শাখার এই সিনেমার নাম ‘মাটির রাজকুমার’। এর পরিচালক রুবেল শঙ্কর বিশ্বাস। এছাড়াও এই শাখা থেকে একই পরিমাণ অর্থ অনুদান পাচ্ছেন প্রযোজক ও পরিচালক আকা রেজা গালিব। তার সিনেমা ‘মস্ত বড়লোক’।
আরও পড়ুন: এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
সাধারণ শাখার দিকটা এবার দেখে নেওয়া যাক। এই শাখায় প্রযোজক ও পরিচালক সাদেক সিদ্দিকি পাচ্ছেন ৫৫ লাখ টাকা। তার সিনেমা ‘দেনা পাওনা’। এছাড়া এই শাখায় ৬০ লাখ টাকা করে অনুদান পাচ্ছেন ‘মাস্টার’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, ‘দ্য আগস্ট’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পথিক, ‘রেনুর মুক্তিযুদ্ধ’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রোকেয়া প্রাচী, ‘লারা’ ছবির প্রযোজক জ্যোতিকা পাল জ্যোতি ও পরিচালক শেখর দাশ।
৫৫ লাখ টাকা করে পেতে যাওয়ার তালিকায় রয়েছে সর্দারবাড়ির খেলা’র প্রযোজক মীর জাহিদুল হাসান ও পরিচালক মো. সজীব আহমেদ, ‘ঠিকানা’র প্রযোজক ও পরিচালক আনোয়ার হোসেন (পিন্টু), ‘জীবন আমার বোন’ ছবির প্রযোজক মোহাম্মদ জাহিদুল করিম ও পরিচালক এনায়েত করিম বাবুল, ‘সূর্য সন্তান’ ছবির প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান ও পরিচালক কৌশিক শংকর দাস, ‘শিরোনাম’ ছবির প্রযোজক কাজী রুবায়াৎ হায়াৎ ও পরিচালক এস এম তারেক রহমান, ‘শাপলা শালুক’ প্রযোজক ও পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুক এবং ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ ছবির প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত ও পরিচালনা জহির রায়হান।
অন্য দিকে ‘দুই পয়সার মানুষ’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ঝুমুর আসমা জুঁই পাচ্ছেন ৫৮ লাখ। ‘
আরও পড়ুন: ৪৫তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া ও আতিকের ‘পেয়ারা সুবাস’
আর ‘নীল আকাশে পাখি উড়ে’র প্রযোজক ও পরিচালক এস ডি রুবেল, ‘নীল জোসনার জীবন’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ফাখরুল আরেফিন খান, ‘রুখসার’র প্রযোজক ও পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পাচ্ছেন প্রতি ছবির জন্য ৬০ লাখ করে টাকা।
এদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান পেয়েছেন ‘নিশিবক’ (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখা) ছবির প্রযোজক ও পরিচালক সাজ্জাদ জহির, ‘নদাই’ (শিশুতোষ শাখা) ছবির প্রযোজক ও পরিচালক শহিদুল ইসলাম (পথিক শহিদুল), ‘রংগিলা নায়ের মাঝি’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক নূরজাহান আলীম ও পরিচালনা মীর শামছুল আলম বাবু, ‘নূর: ছয় শব্দের ইশতেহার’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আ. আ. মো. মাহমুদুল হাসান, ‘সোনার নকশীকাঁথা’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি এবং ‘কফিন’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আছমা আক্তার (লিজা)। তারা প্রতিটি ছবির জন্য পাচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেল ১৯ চলচ্চিত্র
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
ঢাকার বঙ্গবাজারে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য অনুদানের এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
শনিবার চেম্বারের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এফবিসিসিআই আইকন, ঢাকায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন,‘যে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেকোনো ব্যবসায়ীর জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবাজারে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, সেখানে কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। এই সংকটে আমাদের একটু হলেও অবদান রাখা উচিত। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন,‘আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা আজ এই চেক হস্তান্তর করছি। আমি মনে করি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকাণ্ডে সকল সক্ষম ব্যবসায়ীদের ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। তবে শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দিলে হবে না, বাণিজ্যিক ভবন ও কারখানার লাইসেন্স প্রদানকারী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এফবিসিসিআই সভাপতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই প্রধান ব্যবসায়ী নেতারা এবং বাজার কমিটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বাজার সম্পর্কে সচেতন হতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আহ্বান জানান।
দেশের কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা ফায়ার সেফটি কাউন্সিল গঠন করেছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
এই নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা পরিষদ সারাদেশে মোট ৪৪ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জসিম।
তিনি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলকে দোকান ও শপিং মলে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ফায়ার সার্ভিস ইউনিট বঙ্গবাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকবার সতর্ক করে দিলেও বাজার কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
সরকারকে দোষারোপ না করে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ দোকন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীর বিদ্যমান বাজারগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি লক্ষ্য করা গেলে তাদেরকে সতর্ক করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ (অব.), বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
অনুদানের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে আইনি নোটিশ
একুশে পদক পাওয়া বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সাবিহা রহমান নিতু নামে একজন অর্থদাতা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনে তার দেওয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, সেই তথ্য চেয়ে উক্ত আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার বরাবরে মঙ্গলবার (১৬ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই দাতার পক্ষে নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান।
বুধবার আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাউন্ডেশনকে দেওয়া এই দাতার অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার হিসাব ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলেছেন তিনি। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, সামাজিক কাজে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে এই দাতা ফাউন্ডেশনকে ব্যাংক এবং বিকাশের মাধ্যমে তিন ধাপে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা দেন। কিছুদিন যাবৎ গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে টাকার সঠিক ব্যবহার না করার অভিযোগ এসেছে।
এতে বলা হয়, অডিট রিপোর্টে সব ব্যয়ের খাত স্পষ্ট রাখা হলে এই দাতা অডিট রিপোর্ট চেক করে তার দেওয়া অর্থের তথ্য পাননি। এছাড়া এ বিষয়ে বার বার জানতে চাইলেও ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই এই দাতার দেওয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পরিদর্শনে ভারতীয় হাই কমিশনার
‘এক টাকায় আহার’ প্রকল্পের আওতায় হাজারো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে পরিচিতি পাওয়া বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৩ সালে।
গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া কাপড়গুলো ব্যবহার উপযোগী করার পর অভিনেতা–অভিনেত্রীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের কাছে তা বিক্রি করে তারা। যে কাপড় বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, তা দিয়ে শিশুদের পোশাক, গয়নাসহ নানা পণ্য বানিয়ে তা বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
তখন সংগঠনটির ফেসবুক পেজে একটি কোলাজ ছবি আপলোডের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে কিশোর কুমারের বক্তব্য হলো- এক নারী উদ্যোক্তার বানানো কিছু গয়নার ছবি দেখেই ওই সব গয়না বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
তবে বিদ্যানন্দের ফেসবুক পেজে কোলাজ ছবি প্রকাশের সময় ওই নারী উদ্যোক্তার বানানো কয়েকটি গয়নার ছবিও প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরে পেজ থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের অনুদান দেওয়া হবে ২ কোটি টাকা: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে দুই কোটি টাকা অনুদান দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এই পুনর্বাসনে সহযোগিতা ছাড়াও আমরা আর্থিকভাবে মানবিক সহায়তা দিবো। আমরা মঙ্গলবার করপোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে গঠিত তহবিলে করপোরেশন নিজস্ব অর্থ হতে দুই কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দিবো।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আজ থেকেই ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু করতে পারছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমার (গত) রবিবারে ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল নেতাদের সঙ্গে বসেছিলাম।
আমাদের মূল লক্ষ্য ছিলো-ঈদের আগে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে করে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাদের পুনর্বাসন যেন করা যায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সোমবার ভোর থেকে কাজ আরম্ভ করেছি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েক হাজার মেট্রিক্স টন বর্জ্য আমরা পরিষ্কার করেছি।
রাতের মধ্যে আমরা ইট বিছিয়ে দিয়েছি। এই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও আমরা স্থির করেছিলাম, লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলাম যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যেন আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায় আবার ফিরে আসতে পারে।
সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি এবং আল্লাহর রহমতে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী নেতাদের সহযোগিতায় বুধবার সকাল থেকেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে।
তাপস এ সময় এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটাই বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় ঐক্যের জায়গা। দুর্যোগকালে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই, একে অপরকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। আমি আন্তরিকভাবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পূর্ণাঙ্গরূপে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মার্কেটগুলোর দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ঈদের পরে বৈঠক করা হবে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতি বাজেটেই অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে: মেয়র তাপস
বুধবার থেকে ব্যবসায়ীরা চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে: মেয়র তাপস
বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
বঙ্গবাজার মার্কেটে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য এক কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
আরও পড়ুনর: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে বঙ্গবাজার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ ঘোষণা দেন।
এছাড়া তিনি বঙ্গবাজার মার্কেট পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের ব্যবসায়িক খাতের সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি, এফবিসিসিআই এর পরিচালক সহ ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনর: রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই