ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)
পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।আরও পড়ুন: সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
১৫৫ দিন আগে
ঢাকা-চট্টগ্রামে সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির, ঢাকায় লেনদেন বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রামে।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ২৭৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৯ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ১৫৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।আরও পড়ুন: দুই শেয়ারবাজারেই দরপতন, ডিএসইর সূচকে কমেছে ৩৫ পয়েন্ট
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৩ কোম্পানির ৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লাভেলো সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। সারাদিনে ডিএসইতে ৪৭৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৬৪ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে দেশ গার্মেন্টস এবং ৫ শতাংশ দাম কমে তলানিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থান হয়েছে, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৯০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২১০ কোম্পানির মধ্যে ১৪০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪৪ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৫ কোটি টাকা।
১১ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং ৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স।
১৫৫ দিন আগে
পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: লেনদেন শেষে সূচকের উত্থান, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: দুই শনিবার খোলা থাকবে পুঁজিবাজার, ঈদের বন্ধ ১০ দিন
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
২০৫ দিন আগে
বন্ধ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি থামাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে কবে
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড (কেপিপিএল); প্রায় ৩ বছর ধরে কোম্পানিটির কারখানা ও প্রধান কার্যালয় বন্ধ থাকালেও পুঁজিবাজারে এই কোম্পানির শেয়ারের রমরমা লেনদেন হচ্ছে, যা রীতিমতো বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) হিসাব বলছে, গত এক বছরে কোনো ধরনের উৎপাদন না হওয়ার পরও মাত্র ৭ টাকায় থাকা কেপিপিএলের শেয়ারের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ৫৯ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩০ টাকার ওপরে।
ডিএসসির ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায়, কোম্পানিটির নিজস্ব নামের কোনো ওয়েবসাইট নেই। লকপুর গ্রুপ নামে যে ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেওয়া আছে সেটিও বর্তমানে অকার্যকর। এছাড়া কোম্পানিটিতে যোগাযোগের যেসব নম্বর দেওয়া হয়েছে তার সবকটিই বন্ধ, নেই কোনো কোম্পানি প্রতিনিধির নাম কিংবা মোবাইল নম্বরও।
সরেজমিনে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লকপুরে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বহুদিন ধরে লকপুরের আওতাধীন বেশিরভাগ কোম্পানি বন্ধ আছে।
কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন লকপুরের পাশাপাশি ছিলেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ২০১৩-২১ সাল পর্যন্ত ব্যাংকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে বন্ড জালিয়াতি ও অর্থপাচারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরবর্তীতে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি।
২০২১ সালের মার্চে আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রী-কন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এতে লকপুর গ্রুপের আওতাধীন ধুঁকতে থাকা এ কোম্পানিটি ২০২১ সালেই কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
কেপিপিএলে হিমায়িত মাছ ও খাবারের মোড়কজাত করা হতো বলে জানান কোম্পানিটির সাবেক কর্মীরা। শুধু কেপিপিএল নয়, লকপুর গ্রুপের আরেক প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিং ইন্টারন্যাশনালও বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দায়িত্বশীল কাউকে না পাওয়া গেলেও লকপুর গ্রুপের সাবেক কর্মী হাবিবুর রহমান জানান, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় লকপুরের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে। তবে বর্তমানে এই গ্রুপের কোনো প্রতিষ্ঠানেই কোনো ধরনের উৎপাদন হচ্ছে না। শুরুতে আড়াইশ থেকে তিনশর মতো কর্মী ছিল কেপিপিএলে, তবে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি একেবারেই বন্ধ।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইর প্রতিনিধিদল খুলনার রূপসায় কেপিপিএলের কারখানা পরিদর্শন শেষে জানায়, প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ আছে। অথচ, উৎপাদন বন্ধ থাকার পরও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার হয়ে ওঠে কারসাজিকারকদের প্রিয় মাধ্যম। গত এক মাসের হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫০ শতাংশের বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মতিঝিল এলাকার এক ব্রোকারেজ হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এবারই প্রথম নয়, এর আগেও কেপিপিএলের শেয়ার নিয়ে কারসাজিকারকরা বড় রকমের মুনাফা তুলে নিয়েছে। বর্তমানে ডিএসইর সফটওয়্যারের দুর্বলতাকে কাজে লাগাচ্ছে একটি চক্র। কিন্তু এক্ষেত্রে ডিএসই শুধু চিঠি কিংবা সতর্কবার্তা দিয়েই চুপ থাকছে।’
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সর্বশেষ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কেপিপিএলের অস্বাভাবিক শেয়াদরের কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ডিএসইকে চিঠি দিয়েছে।
একই দিনে ডিএসই জানায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেনের কারণ জানতে চেয়ে কেপিপিএলকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো জবাব আসেনি।
এত কিছুর পরও কেন বিএসইসি শক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না—এমন প্রশ্নে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘কোম্পানির ব্যাপারে কমিশন সরাসরি নির্দেশনা দিতে পারলেও ডিএসইর উচিত নিজেদের মতো করে পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা। এ ব্যাপারে এক্সচেঞ্জের সহায়তা লাগলে বিএসইসি প্রস্তুত আছে।’
আরও পড়ুন: উত্থানের ধারা অব্যাহত পুঁজিবাজারে
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে যারা বিনিয়োগ করছেন তারা প্রায় সবাই জানেন যে, কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ এবং এর শেয়ার কেনাবেচা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু বাজারে তারল্য সংকট থাকায় এবং এতদিনের লোকসানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেনেশুনেই ঝুঁকি নিচ্ছেন তারা।
তারেক হোসেন নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘শেয়ার ভালো নাকি খারাপ, সেটি বিনিয়োগকারীরা জানলেও সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় ভুল করেন। কিন্তু কমিশন বা এক্সচেঞ্জ হাউজ জেনেশুনে কেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, কেন খারাপ কোম্পানি তালিকা থেকে বের করে দেয় না—সেটিই বড় প্রশ্ন।’
উৎপাদনে থাকার সময়ও কেপিপিএল লোকসানি কোম্পানি ছিল। কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা লোকসান করে। পরে ২০২০ সালে ৬ কোটি টাকা লাভ হলেও, ২০২১ সালে লোকসান বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ কোটি টাকায়। কোম্পানিটির দেওয়া সর্বশেষ ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, মোট লোকসানের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ লভ্যাংশ দেয় শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
এত বছর লভ্যাংশ না দেওয়া একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাখার যৌক্তিকতার প্রশ্ন তুলে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘একটি কোম্পানি ৬ মাসের বেশি উৎপাদনে না থাকলে তাকে তালিকাভুক্ত রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অথচ বছরের পর বছর ধরে কেপিপিএলের উৎপাদন বন্ধ, অন্যদিকে এই কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বাজারে চলছে কারসাজি। এখানে ডিএসইর উচিত, সরেজমিনে তদন্ত করে কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার থেকে বের করে দেওয়া। কেপিপিএলের মতো কোম্পানি বাজারে রাখা মানে কারসাজিকারকদের প্রশ্রয় দেওয়া।’
কেন কেপিপিএলকে পুঁজিবাজার থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে না?—জবাবে কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে ডিএসইর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আগে বেশ কয়েকবার কোম্পানিটি ডিলিস্টিং (নিবন্ধন বাতিল) করার পরও কমিশনের চাপে পুনরায় লিস্টিং (তালিকাভুক্ত) করতে হয়েছে। সে সময়ে ডিলিস্টিং নিয়মতান্ত্রিক হয়নি—এমন যুক্তিতে ক্ষতিকারক এসব কোম্পানিকে আবারও বাজারে জায়গা দেওয়া হয়। এরপর থেকে এক্সচেঞ্জ হাউজ এসব ব্যাপারে সরাসরি হস্তক্ষেপ কমিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে দুই পুঁজিবাজারে
বাজারে বাজে কোম্পানির প্রাদুর্ভাব নিয়ে ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘গত এক দশকে বাজারে ভালো কোনো আইপিও আসেনি। ফলে বাজে কোম্পানির প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এসব কোম্পানিকে পুঁজি করেই কারসাজিকারকরা নিজেদের ফায়দা লুটছে।’
তিনি বলেন, ‘চাইলেই স্কয়ার, এসিআই কিংবা ভালো কোনো কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করা সম্ভব নয়। কিন্তু কেপিপিলের মতো ভুঁইফোড় এসব কোম্পানি বাজার অস্থিতিশীল করছে, বিপদে ফেলছে বিনিয়োগকারীদের।’
কোম্পানিটির ২০২২ সালের নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কেপিপিএলের মূল শেয়ারের প্রায় ৬০ শতাংশই আছে বিনিয়োগকারীদের হাতে। বাকি ৩৯ শতাংশ কোম্পানির পরিচালক এবং ১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার। এ অবস্থায় পুঁজিবাজার থেকে কেপিপিএলের মতো কোম্পানির ক্ষেত্রে বাইব্যাক আইন চালু করার দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই জানিয়েছে, এক্সচেঞ্জ হাউজের রেগুলেটরি বিভাগ গুরুত্বসহকারে ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করছে। টানা কারসাজি আর ভরাডুবির পর নতুন কোনো অনিয়ম প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে সামান্য, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
৩০২ দিন আগে
তৃতীয় দিনের লেনদেন শুরু সূচকের উত্থানে
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে ঢাকার বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৩ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।আরও পড়ুন: টানা দুদিন ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
লেনদেনের শুরুতেই দাম বেড়েছে ১৬২ কোম্পানির, কমেছে ৭০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৫০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৩৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১, কমেছে ১৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
৩০৪ দিন আগে