সিপিডি
রুফটপ সোলার কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সফট লোন প্রয়োজন: বিশেষজ্ঞরা
দেশের ছাদগুলোকে সোলার (সৌরশক্তি) ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা সফল করতে বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ ও সহজ শর্তে সফট লোন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার (২৭ জুলাই) ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচির নকশা, বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন কাঠামো বিষয়ে প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই কথা বলা হয়।
সংলাপের প্রধান আলোচক ছিলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তি এবং বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্য মো. নাসির উদ্দিন।
২৩ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সরকারের জ্বালানি নীতির আওতায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি নীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ও ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির উত্তরণ করা হবে।
সরকার ইতোমধ্যে ‘ন্যাশনাল রুফটপ সোলার প্রোগ্রাম’ বাস্তবায়নে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিলেও, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কার্যকর বাস্তবায়ন নির্দেশিকা ও পরিকল্পনার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, এই ধরনের দিকনির্দেশনা না থাকলে আগের ‘নেট মিটারিং রুফটপ সোলার কর্মসূচি’-এর মতো এই উদ্যোগও ব্যর্থতার মুখে পড়তে পারে। সংলাপে প্রস্তাবিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’-এর একটি খসড়া কাঠামো উপস্থাপন করা হয়, যার সঙ্গে সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য একটি মনিটরিং ও মূল্যায়ন কাঠামোরও রূপরেখা তুলে ধরা হয়।
চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ
‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’-এর সফল বাস্তবায়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩ শতাংশ সুদে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তারা প্রচলিত ব্যাংক গ্যারান্টির বিকল্প হিসেবে এসক্রো অ্যাকাউন্ট বা প্রকল্পভিত্তিক দায়িত্ব হস্তান্তরের মতো ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
লোডশেডিংয়ের সময় ‘ডিমড জেনারেশন’ স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি জানান তারা, যাতে গ্রিড সংযোগ থাকা অবস্থায় যতটুকু বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতো তা হিসাব করে উদ্যোক্তারা ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পান। এছাড়া, স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন (আইপিপি) প্রকল্পগুলোর মতো আমদানি শুল্ক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থার নিরাপত্তা জোরদারের দাবি ওঠে।
পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান খাতগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা: বিডা
মান নিশ্চিত ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে হার্ডওয়্যারের মান নিয়ন্ত্রণে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) ভূমিকা এবং প্রকল্পের নকশা থেকে কার্যক্রম পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির নজরদারির সুপারিশ দেওয়া হয়।
তবে ওপেক্স মডেলের অধীনে পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বাস্তবায়নে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো— বেশিরভাগ বিদ্যুৎ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান নেট মিটারিং নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে আগ্রহী নন, ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিনা গ্যারান্টিতে ঋণ দিতে রাজি হচ্ছে না।
প্রায় ৭ শতাংশ কার্যকর সুদের হার ও উদ্যোক্তাদের ২০–৩০ শতাংশ মূলধন বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা এ মডেলকে আরও অগ্রহণযোগ্য করে তুলছে। নিরাপত্তাও একটি বড় বিষয়, বিশেষ করে স্কুল–কলেজে স্থাপিত ১০ থেকে ৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতার সিস্টেমগুলো রাতের বেলায় নজরদারিহীন এলাকায় ঝুঁকিতে থাকে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো লোডশেডিং চলাকালে ‘ডিমড জেনারেশন’। যেহেতু গ্রিড–সংযুক্ত সৌরসিস্টেম চালু থাকতে লাইভ গ্রিড দরকার, তাই বিদ্যুৎ না থাকলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাজস্ব ক্ষতি হয়, যা গ্রামীণ এলাকায় আরও প্রকট।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ব্যাংক টেকসই অর্থায়ন বিভাগের সাবেক পরিচালক খন্দকার মোরশেদ মিল্লাত, জি সোলারিক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নাজনীন আক্তার, বাংলাদেশ গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নবায়নযোগ্য শক্তি অধিদপ্তরের উপপরিচালক রামপ্রসাদ পাল, নবায়নযোগ্য শক্তি ও গবেষণা ও উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রযুক্তিগত) মনিরুজ্জামান, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির প্রধান প্রকৌশলী সরদার মোহাম্মদ জাফরুল হাসান, নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়নের পরিচালক (উপসচিব) প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান।
১৩০ দিন আগে
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জ্বালানি বাজেট নিয়ে সিপিডির উদ্বেগ
দেশের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জ্বালানি বাজেট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের বেসরকারি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বাজেটের জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি ঝোঁক দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসইযোগ্যতাকে হুমকিতে ফেলছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে অনুষ্ঠিত ‘২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: জ্বালানি রূপান্তরের অগ্রাধিকার নিয়ে ভাবনা’ অনুষ্ঠানে এই বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফৌজুল কবির খান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সমিতির (ক্যাব) সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি ব্যারিস্টার বিদ্যা অমৃত খান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মনোয়ার মোস্তফা এবং বিকেএমইএ’র সহসভাপতি মো. আখতার হোসেন অপূর্ব।
সিপিডির এই সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাজেট অন্তর্বর্তী সরকারের তিন শূন্য অঙ্গীকার—দারিদ্র্য শূন্য, নিঃসরণ শূন্য ও বেকারত্ব শূন্য—বিশেষ করে ‘নিঃসরণ শূন্য’ লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
এ ছাড়া, জরুরি সংস্কার ছাড়া বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তরে আরও পিছিয়ে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
চলতি বছরের ২ জুন উপস্থাপিত বাজেট উত্থাপন করা হয়। পরে ২২ জুন বাজেটটি অনুমোদন করা হয়। এবারের বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘একটি ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা’।
কিন্তু সিপিডির ভাষ্যে, এই বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানির চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে—যেটি এই প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও তার গবেষক দলের পরিচালিত গবেষণায় বাজেট সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুতর সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে।
চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে—প্রথমত, ভর্তুকি ও ট্যারিফ পরিবর্তনের পরও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) ভোক্তাদের খরচে লাভ করছে।
দ্বিতীয়ত, বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি বর্তমানে জাতীয় মোট ভর্তুকির ৪১ শতাংশ, যেখানে ২০২৫–২৬ অর্থবছরে এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা।
তাছাড়া, অভ্যন্তরীণ গ্যাস অনুসন্ধান স্থবির হয়ে পড়ায় এলএনজি আমদানিতে ব্যবহৃত হচ্ছে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল।
একই সঙ্গে সক্ষমতা ও সরবরাহে অসামঞ্জস্যও দেখা দিয়েছে। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়লেও, ত্রুটিযুক্ত চাহিদার পূর্বাভাস ও জ্বালানি আমদানির সীমাবদ্ধতায় লোডশেডিং অব্যাহত রয়েছে।
এর পাশাপাশি, ২০২৪ সালের মার্চে চালু হওয়া বাজারভিত্তিক জ্বালানির মূল্য পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং এটি কর ও বিনিময় হারজনিত ধাক্কায় সহজেই প্রভাবিত হয়।
এ ছাড়াও, সৌর প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিপিডিবি; ৩৭টি আগ্রহপত্র (এলওএল’স)বাতিল হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ খাতে পাওনাদি পরিশোধে স্বল্পমেয়াদি উচ্চ সুদের ঋণের ওপর নির্ভর করছে সরকার, যা দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যানের মতো মূলনীতি পর্যালোচনার আওতায় থাকায় পরিকল্পনায় বিলম্ব ঘটছে।
কয়লা উত্তোলন ও এলএনজি আমদানিকে গুরুত্ব দিয়ে ‘নিঃসরণ শূন্য’ অঙ্গীকার থেকে বাজেট দূরে সরে গেছে বলেও উঠে এসেছে সিপিডির বিশ্লেষণে।
জ্বালানি রূপান্তরের লক্ষ্য পুনরুদ্ধারে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি। এরমধ্যে রয়েছে— জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর ছাড় বাতিল করা, জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক যন্ত্রপাতি আমদানিতে কার্বন কর ও শুল্কারোপ, জীবাশ্ম জ্বালানি ও এলএনজির সকল ভর্তুকি তুলে নেওয়া, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার করে ঘরোয়া গ্যাস অনুসন্ধান অগ্রাধিকার দেওয়া, অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধাপে ধাপে বন্ধ করা, আগাম অনুমোদনপ্রাপ্ত স্বাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী চুক্তি পুনরায় আলোচনার মাধ্যমে পরিমার্জন করা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং আমদানিকৃত সরঞ্জামে শুল্ক ও ভ্যাট কমানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য একটি ভর্তুকি তহবিল তৈরি, স্মার্ট গ্রিডে বিনিয়োগ বাড়ানো-যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সহজে যুক্ত করা যায়, স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিবর্তে স্বল্প সুদের বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়ন চাওয়া এবং ২০৪০ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নীতি পর্যালোচনা করা।
আসন্ন অর্থবছর সরকারের জলবায়ু ও জ্বালানি রূপান্তর অঙ্গীকার রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে বলে মন্তব্য করেছে সিপিডি।
আরও পড়ুন: নতুন বাজেট সংস্কারহীন ও পুরনো ধাঁচের: সেমিনারে বক্তারা
১৬১ দিন আগে
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব, সন্তুষ্ট ডিএসই-ডিবিএ ও সিপিডি
পুঁজিবাজারে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে ২০২৫-২৬ বাজেটে আলাদা কর সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বাজারবান্ধব সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার(৩ জুন) সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে আলাদা কর সুবিধার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ সুবিধা অনুযায়ী, লেনদেনের শর্ত মেনে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির জন্য করপোরেট কর হবে ২০ শতাংশ। তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে এ করের হার সাড়ে ২৭ শতাংশ।
করহারে ব্যবধান বাড়ায় ভালো এবং বিদেশি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে বলে মনে করে সিপিডি।
এছাড়া ডিএসই'র পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম পুঁজিবাজার বান্ধব বাজেট উত্থাপন করায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মমিনুল ইসলাম বলেন, ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার কমানো এবং লেনদেনের উপর উৎসে কর কমানোর মতো সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আগামীতে বাজেট প্রস্তাবনায় সরকারের মালিকানা রয়েছে এমন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সরকারের শেয়ার কমিয়ে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা, বেসরকারি খাতের দেশীয় বড় কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকা করতে প্রণোদনা দিলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মমিনুল।
বাজেট প্রসঙ্গে আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজার, চট্টগ্রামে সামান্য উত্থান
সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এবারের বাজেটে ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর উৎসে কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের পার্থক্য আড়াই শতাংশ বৃদ্ধি করে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করের হার ১০ শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সাইফুল আরও বলেন, ‘বাজেটে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন বাজার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখবে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, ইস্যুয়ার কোম্পানি, স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হবে।’
পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের সঠিক উপলব্ধি, সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছে ডিবিএ।
১৮৪ দিন আগে
এলএনজি আমদানি না করে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ: সিপিডি
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির চুক্তি অন্তবর্তী সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা হেলেন মাসিয়াত প্রিয়তি। তিনি বলেছেন, ‘যদি অন্তবর্তী সরকারের জায়গা থেকে চিন্তা করি, তাহলে এই চুক্তিটি আবশ্যক নয়।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সিপিডি আয়োজিত ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: সংকটময় সময়ের প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উন্নয়ন পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এলএনজি আমদানিতে ‘নন-বাইন্ডিং’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের আর্জেন্ট এলএনজি কোম্পানির সঙ্গে বছরে ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানির ওই চুক্তি করে অন্তবর্তী সরকার।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সর্ববৃহৎ চুক্তি।
এ বিষয়ে বিডা চেয়ারম্যানের এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গবেষক প্রিয়তি।
তিনি বলেন, ‘কাতার ও ওমানের বিল পরিশোধ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে! অথচ পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে বাপেক্সের খননকাজ স্থগিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাতে বছরে ২৫ মিলিয়ন টন এলএনজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে আর্জেন্ট এলএনজি কোম্পানি। ২০৩০ সাল থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পরে বিগত বছরের ৮ আগষ্ট ড. মো. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের সার্বিক সংস্কার। তাই বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির চুক্তি করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না সিপিডির এই গবেষক। তার পরিবর্তে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
৩০৯ দিন আগে
অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে এমপি পদও ছাড়তে হবে: ফাহমিদা খাতুন
যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ অবধারিত ছিল বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এমনকি অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) পদও ছাড়তে হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সেমিনার কক্ষে ‘প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. ফাহমিদা বলেন, ‘টিউলিপ আরেকটি দেশের রাজনৈতিক দলের সদস্য। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমনকি কমন সিটিজেনও নন। তিনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী খালার সঙ্গে রাশিয়া গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন?’
আরও পড়ুন: ভর্তুকি ও মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৫ সালে বাড়বে পিডিবির লোকসান: সিপিডি
এই গবেষকের মতে, ‘পারিপার্শ্বিক তথ্যের ভিত্তিতে টিউলিপের পদত্যাগ অবধারিত ছিল। আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। তিনি পদত্যাগ করতে দেরি করে ফেলেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে এমপি পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে হবে। এমনকি লেবার পার্টির সদস্যপদও হারাতে পারেন।
এ সময় প্রবাসীদের সেবায় বিদেশি হাইকমিশন ও ব্যাংকগুলোকে আরও আন্তরিক হতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এয়ারপোর্টের প্রবাসী লাউঞ্জে যে বার্গার দেওয়া হচ্ছে, তা তারা খেতে অভ্যস্ত কিনা সেটা বুঝতে হবে। প্রবাসীরা সোনার হরিণ। তাদের সঠিকভাবে লালন-পালন করা প্রয়োজন। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’
৩২০ দিন আগে
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভর্তুকি ও মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৫ সালে বাড়বে পিডিবির লোকসান: সিপিডি
ফাহমিদা বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা জিডিপির ২৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ও বন খাত, যা ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার সমান।
তিনি আরও জানান, অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকার এবং আবাসন খাতে ২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফাহমিদা আরও বলেন, নোয়াখালী জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা, কুমিল্লা জেলায় ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিফলন নেই: সিপিডি
৪২৪ দিন আগে
ভর্তুকি ও মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৫ সালে বাড়বে পিডিবির লোকসান: সিপিডি
সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে ২০২৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চলমান লোকসান ১৯৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
এছাড়াও বিদ্যুতের দাম ও সরকারি ভর্তুকি বাড়ানোর পরও পিডিবি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছে সিপিডি।
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাকে 'জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তাবিত করণীয়' শীর্ষক উপস্থাপনায় এসব কথা তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আরও পড়ুন: ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২৭৭৬ টাকা করার সুপারিশ সিপিডির
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরকারের পরিকল্পনা অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা। সেসময় ২৫ শতাংশ বাড়তি মজুদ থাকলেও সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎই যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত সক্ষমতার কারণে জ্বালানি সংকট এবং বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও লোডশেডিং হচ্ছে।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, আবার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। ফলে পিডিবির লোকসান বাড়ছেই। এর প্রভাবে গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দামও বাড়ছে।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও সরকার ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের অতিরিক্ত খরচ (ক্যাপাসিটি চার্জ) বহন করছে। এই সক্ষমতা দেশের অর্থনীতির জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক মোয়াজ্জেম বলেন, দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন না করলেও তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। এই চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা এখন সরকারি তহবিল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ব্যবহার না করা হলেও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে কেন?
সিপিডির গবেষণা পরিচালক আরও বলেন, সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করেছে তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আজ থেকে ৬ বছরের মধ্যে চাহিদা ১৯৪০০ মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে। ২৫ শতাংশ মজুদ বিবেচনায় নিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রয়োজন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট।
তিনি আরও বলেন, সক্ষমতা বাড়লেও দেশে লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রীষ্মে গড় লোডশেডিং হয় ১১০০ মেগাওয়াট। বাজেটে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। এ খাত নিয়ে সরকার কী করবে সে বিষয়ে সবাই অন্ধকারে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ দাবি করে দাম বাড়ানো হলেও লোডশেডিং কমেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস এনে ডিজেল দিয়ে কারখানা চালাতে হয়। এতে খরচ বেড়েছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
সভায় আরও ছিলেন- বুয়েটের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম তামিম, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ভোক্তা অধিকার সংস্থা ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
আরও পড়ুন: বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিফলন নেই: সিপিডি
আর্থিক অভিজাতদের সহায়তা করতে সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা: সিপিডি
৫২৯ দিন আগে
বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের ৩৩ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়: ড. দেবপ্রিয়
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অনিশ্চিত আর্থিক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হয়।
ড. ভট্টাচার্যের মতে, সরকারের মোট ঋণের দুই-তৃতীয়াংশ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসে, যার ফলে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ ডলারে পৌঁছায়।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এশিয়া ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বে সিপিডি আয়োজিত 'বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি: উদ্বিগ্ন হওয়ার কি কোনো কারণ আছে?' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বাংলাদেশের ঋণ কাঠামোর জটিলতার ওপর আলোকপাত করেন সেমিনারে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
ড. দেবপ্রিয় পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, 'জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যয়ের ৩৪ শতাংশ ঋণ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই পরিসংখ্যানে অভ্যন্তরীণ ঋণের জন্য ২৮ শতাংশ এবং বৈদেশিক ঋণের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা মাত্র তিন বছরে ২৬ শতাংশ থেকে ৩৪ শতাংশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০১৮-১৯ সাল থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, রাজস্ব বাজেট এখন এতটাই টানাটানি যে, উন্নয়ন প্রকল্পে এক পয়সাও অর্থায়ন করা সম্ভব নয়।
ঋণ পরিশোধের বৃহত্তর প্রভাব তুলে ধরে ড. দেবপ্রিয় অর্থনীতিবিদদের সতর্কবাণীর প্রতি নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাখ্যানমূলক মনোভাবের সমালোচনা করেন। তিনি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে দুই বছর আগে করা নিজের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা উল্লেখ করেন। ২০২৫ সাল থেকে শুরু করে ২০২৬ সালে ঋণ পরিশোধে প্রত্যাশিত অস্বস্তির ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বন্ধ করতে চায়: সিপিডি
তিনি বেসরকারি খাতের ঋণের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মোট ঋণের ৮০ শতাংশই সরকারি ঋণ, বাকি ২০ শতাংশ বেসরকারি খাত। তিনি দেশের দায় ও বিনিময় খাতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রভাবের ওপর জোর দিয়ে ব্যক্তিগত ঋণ এবং এর ব্যবহার দেশে বা বিদেশে যেখানেই হোক না কেন, অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানান।
বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ একত্রিত করে ড. ভট্টাচার্য মাথাপিছু দায়বদ্ধতার বোঝার উপর জোর দিয়েছিলেন, যা কেবল বৈদেশিক ঋণের জন্য ৩১০ ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫০ ডলারে উন্নীত হয়। বাংলাদেশের ঋণ পরিস্থিতির এই সামগ্রিক বিশ্লেষণ সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় রাজস্বের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা ও কৌশলগত পরিকল্পনার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার-সোনালির দাম বেড়েছে ১০-৩০ টাকা
৬০৯ দিন আগে
আ.লীগ ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বন্ধ করতে চায়: সিপিডি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসতে চায় বলে একটি বিশ্লেষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে 'বাংলাদেশে জ্বালানি রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: একটি নাগরিক ইশতেহার' শীর্ষক সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি আমদানিতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বাংলাদেশের: সিপিডি
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঘোষিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা কমানোর বিষয়টি রাখা হয়নি।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান, বিদ্যমান জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক জ্বালানি ব্যবস্থার অতি আধিপত্যের অবসান, জ্বালানি মিশ্রণ ও বহুমুখীকরণ এবং বিদ্যুৎ আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তা অনুপস্থিত।
সেমিনারে বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন এবং প্রধান উপদেষ্টার সাবেক বিশেষ সহকারী ড. এম তামিম; সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী; কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (ক্লিন)প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী ; অ্যাকশনএইডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ; ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ)লিড এনার্জি অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম।
বক্তারা বলেন, সরকারকে অবশ্যই বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। অন্যথায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত অব্যাহত লোকসান থেকে মুক্তি পাবে না।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল বলেন, দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য অর্জনই আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি বিদ্যুৎ পাওয়া। তারা আর বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করতে চায় না এবং উৎপাদন খরচ দেখতে চায় না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
তিনি আরও বলেন, কিছু ভুল থাকতে পারে, তবে আমরা সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রধান বাধা হচ্ছে দেশে জমির স্বল্পতা।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সামগ্রিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার রাতারাতি বিদ্যুৎ রূপান্তরের জন্য তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারে না।
ড. তামিম বলেন, সরকার দিনের বেলা সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে সহজেই তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করতে পারে, তবে এ জাতীয় কোনও পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিকল্পনার আওতায় আগামী ২০ বছর ১০ হাজার মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকবে।
শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানির ফলে দেশে ডলারের ঘাটতি বাড়ছে। আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আমাদের দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
অ্যাকশনএইডের আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বেসরকারি উৎপাদকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ৫২ হাজার কোটি টাকা, ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
৬৫৯ দিন আগে
বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
'ইনসেপশন অব সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সংলাপে বক্তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির পরিবর্তে সামাজিক বিমা চালুর সময় এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জিআইজেড এ সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য পারভীন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তারা বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখলেই চলবে না।
বক্তারা বলেন, এখনই সময় সামাজিক বিমা চালুর। সরকারের অ্যাকশন প্ল্যানে বিষয়টি তুলে আনা উচিত বলে মনে করেন তারা।
তারা বলেন, অনেক দেশ ১০০ বছর আগে সামাজিক বিমা চালু করলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সেসব দেশ এখন এই ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের উচিত সেসব দেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
মূল প্রবন্ধে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, জ্ঞানের ঘাটতি দূর করা, ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট সহজতর করা, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং থিম্যাটিক ক্ষেত্রগুলোতে অগ্রগতি ট্র্যাক করার লক্ষ্যে কাজ করে এসআইএফ (সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম)।
বোধগম্যতা ও বাস্তবায়ন বাড়ানোর জন্য সাংগঠনিক ও অপারেশনাল কর্মপ্রবাহের স্পষ্টতার উপর জোর দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, আর যাদের সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার কথা, তারা তা পায় না। যাদের পাওয়ার কথা নয়, তারা পায়।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
এ বাস্তবতায় সামাজিক বিমা চালু হলে এসব ফাঁকফোকর দূর করা সম্ভব হবে।
দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বিমা না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন আইএলওর ঢাকা অফিসের চিফ টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট সৈয়দ সাদ হোসেন জিলানি।
এর জন্য তিনি মন্থর আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। সরকার আট বছর আগে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করে। তবে তা বাস্তবায়নের গতি খুবই কম বলে জানান তিনি।
এর জন্য তিনি মূলত আমলাতন্ত্রের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অভাবকে দায়ী করেন।
‘সামাজিক বিমা সবার জন্য; এটি কেবল দরিদ্রদের জন্য নয় কারণ আমাদের প্রত্যেকে বেকারত্ব, অসুস্থতা ও বার্ধক্যের অভিজ্ঞতা হতে পারে', টেক্সটাইল ও চামড়া শিল্পের (ইআইপিএস) শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান আঘাত সুরক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড সিলবিয়া পপ।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তারা বলেন, দেশে ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিমা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে এবং অনেক পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বিমা কোম্পানিগুলোরও নিয়মিত মিনি ইনস্যুরেন্স প্রোডাক্ট থাকে।
এসব প্রকল্প ও কাজের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে হবে, তাহলে সামাজিক বিমার কাজে গতি আসবে বলে জানান বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
৬৭৯ দিন আগে