জাতীয় নাগরিক পার্টি
শোকজের জবাব: নাহিদের সম্মতিতেই কক্সবাজার গিয়েছেন হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাবে জানিয়েছেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সম্মতি দেওয়ার পরেই তিনি কক্সবাজার গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন বরাবর দেওয়া শোকজ নোটিশের জবাবে হাসনাত লেখেন, ৪ আগস্ট রাতে প্রথমে তিনি নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে না পেয়ে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে কক্সবাজার ভ্রমণ প্রসঙ্গে জানান এবং অনুরোধ করেন নাহিদকে জানাতে।
প্রায় ৩০ মিনিট পর নাসীরুদ্দীন জানান, নাহিদ হাসনাতকে কক্সবাজার যাওয়ার সম্মতি দিয়েছে। পরবর্তীতে তার সঙ্গে এনসিপির বাকি নেতারা যুক্ত হোন বলে জানান হাসনাত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজার সফরে যাওয়ার কারণ জানিয়ে হাসনাত লেখেন, ‘সরকারের উচিত ছিল এমন একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, যা সেই মানুষগুলোর আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করবে। কিন্তু আমি এবং অনেকেই ব্যথিত হই, যখন দেখি যে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময় সেই মানুষদের কথা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে, যারা অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন। শহীদ পরিবার, আহত এবং নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই মতামত প্রদানের সুযোগ পাননি এমনকি অন্তর্ভুক্তির ন্যূনতম সম্মানটুকুও পাননি।’
‘আমার এ সফর ছিল অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতি আমার নীরব প্রতিবাদ।’ লেখেন হাসনাত।
তিনি বলেন, 'ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় এমন কিছু উপাদান দেখি, যা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেমন— ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে সংবিধান সংস্কারের জন্য জনগণ পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর দায়িত্ব অর্পণের অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে। এই দাবিটি অসত্য এবং সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন আনার পথে একটি বড় অন্তরায়।'
পড়ুন: শোকজের জবাব দিয়েছেন এনসিপি নেতারা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরে
শোকজের জবাবে হাসনাত বলেন, 'আমরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে, যা রাষ্ট্রের কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনবে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাবে। উপরন্তু, ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জানতে পারি যে আমাদের আন্দোলনের আহত এবং নেতৃত্বদানকারী অনেক ভাইবোনকে এই অনুষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি আমার কাছে শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে হয়েছে।'
হাসনাত বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। যেখানে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজনকে, শহীদ ও আহতদের পরিবর্তে কিছু মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর কথা এবং মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে উপস্থিত থাকার কোনো ইচ্ছা বা প্রয়োজন আমি বোধ করিনি। কাজেই, এরপরের দিন ঢাকার বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। উদ্দেশ্য ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টিতে পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বোঝার চেষ্টা করা এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে চিন্তা করা।'
কক্সবাজার ভ্রমণ প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার পর যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিমানবন্দর থেকে এনসিপি নেতাদের প্রতিটি পদক্ষেপের ছবি ও ভিডিও করে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মিডিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু মিডিয়া সেখানে ক্রাইম মুভির মিউজিক জুড়ে ইচ্ছেমতো মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগসহ সেইসব উপস্থাপন করেছে।
ক্ষোভ ঝেড়ে হাসনাত বলেন, ‘কিছু মিডিয়া ও গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপকে অপরাধপ্রবণ এবং সন্দেহজনক হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এমনকি গুজব ছড়ানো হয়েছে, যে আমরা পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠকে যাচ্ছি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করতে। অথচ তিনি তখন বাংলাদেশেই ছিলেন না।
‘রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রবণতা, যেখানে কাউকে টার্গেট করে রাষ্ট্রদ্রোহী বানিয়ে ফেলা যায়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চলতে পারে না। গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার এই সম্মিলিত ডিমোনাইজেশন টেকনিক আজকে আমাদের টার্গেট করেছে। ভবিষ্যতে অন্য যে কাউকে করতে পারে। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কিছু মিডিয়া এই একই প্যাটার্নে হাসিনার আমলেও বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের নামে প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করত। নতুন বাংলাদেশেও গোয়েন্দা সংস্থা এবং কিছু মিডিয়ার এই পুরনো অপরাধপ্রবণতা আমাকে একইসঙ্গে অবাক এবং ক্ষুব্ধ করে।’ বলেন হাসনাত।
৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ। পরদিন দলের পক্ষ থেকে তাদের শোকজ করা হয়।ৎ
১১৯ দিন আগে
গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মার্চ টু গোপালগঞ্জ কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর চলমান কারফিউ ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ জেলায় জনসাধারণের চলাচলে কোন বাধা নেই বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তার পাশাপাশি জনগণের ভোগান্তি কমাতেই কারফিউ সাময়িক শিথিল করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে কারফিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পড়ুন: গোপালগঞ্জে কারফিউ অব্যাহত: জনমনে আতঙ্কের মধ্যে মামলা
গত বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির কর্মসূচিতে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়া খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ওইদিনই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে সেদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় কারফিউর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
১৩৯ দিন আগে
নতুন বাংলাদেশ পুরোনো ব্যবস্থায় চলতে পারে না: নাহিদ ইসলাম
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা পুরোনো ব্যবস্থায় চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রবিবার (৬ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘বিচার, সংস্কার, তারপর নির্বাচনের’ দাবিতে চলমান জুলাই পদযাত্রার পথসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। এরআগে পাশের জেলা নওগাঁ থেকে দুপুর ২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শান্তিমোড়ে উপস্থিত হন এনসিপির নেতারা। এরপর পদযাত্রা শুরু হয়।
পরে এটি বাতেনখাঁ মোড়, নীমতলা মোড়, বড় ইন্দারা মোড়, গাবতলা মোড় ও ক্লাব সুপার মার্কেট হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতারা।
পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এসেছি, জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা নিয়ে, যে বার্তা একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়।’
‘গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, আমরা রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার চেয়েছি, আমরা গণত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ চেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশের সব জেলায় এমন বৈষম্য দূর হবে আমরা সেই স্বপ্ন দেখি।’
সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠোর সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড মারে, এখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। আমরা কিন্তু এইসব আগ্রাসন আর মেনে নেব না।’
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ককে বাণিজ্যের চোখে দেখে ওয়াশিংটন: কুগেলম্যান
‘সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ হয়েছে। আর আগ্রাসন চালানো হলে, আমার ভাইদের হত্যা করা হলে আমরা লং মার্চ ঘোষণা করবো। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করবো।’
দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ওপর দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নির্মম নির্যাতন করেছে। সেই নির্যাতনকে সায় দিয়ে দিল্লির সরকারও সীমান্তে হত্যা চালিয়েছে।’
সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই চলবে। ভারত আর কোনোদিন আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আঞ্চলিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আর পুরোনো সিস্টেমে চলতে পারে না ‘
এ সময়ে এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিতি ছিলেন। পরে এনসিপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয় উদ্বোধন শেষে রাজশাহীর উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।
১৫১ দিন আগে
আজ প্রায় দুই ডজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচন ও সংস্কারসহ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) বাদেও আরও বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় দুই দফায় প্রায় দুই ডজনের মতো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
রবিবার (২৫ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল ৫টায় প্রথম বৈঠক এবং সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রথম পর্যায়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন— কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জুনায়েদ সাকি, হাসনাত কাইয়ুম, মুজিবুর রহমান মঞ্জু, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, টিপু বিশ্বাস, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
আরও পড়ুন: আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি
দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবেন— মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নুরুল হক নূর, মাওলানা মুসা বিন ইযহার ও মুফতি মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন রাজি।
এর আগে শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন।
১৯৩ দিন আগে
আ.লীগকে পরিপূর্ণ নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই আহতের অবস্থান কর্মসূচি
আওয়ামী লীগের ওপর পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জুলাই অভ্যুত্থানের আহতরা।
রবিবার (১১ মে) শাহবাগ মোড়ে সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এতে ওই এলাকার স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, বিশেষ করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী ও স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল (শনিবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নিষিদ্ধ করায় নেতিবাচক আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করে না সরকার: প্রেস সচিব
এরপর আজ (রবিবার) এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচিটি পরিচালনা করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যরা।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে দলটি নিষিদ্ধ করার ও নেতাকর্মীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।
২০৮ দিন আগে
ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের সব রাস্তা বন্ধে এনসিপি অঙ্গীকারাবদ্ধ: নাহিদ
রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দেশে যেন কোনোভাবেই আর ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেন আর ফিরে না আসে, তার সব রাস্তা বন্ধ করতে এনসিপি অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদের নেতৃত্বে এনসিপির আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে অংশ নেন।
এ সময় নাহিদ বলেন, ‘সংস্কার বলতে আমরা মৌলিক সংস্কারকে বুঝি, যেটি রাষ্ট্র কাঠামোর একটি আমূল ও গুণগত পরিবর্তন আনবে।’
আরও পড়ুন: মে’র মাঝামাঝিতে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক আলোচনা শেষ হবে: আলী রীয়াজ
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দলীয়করণ দেখেছি আমরা। এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর বীজ বপন হয়েছিল আমাদের সংবিধানে।’
এ কারণে আগের রাষ্ট্র কাঠামোকে অক্ষুণ্ন রেখে যে দলই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে, তাদের মধ্যেও ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠার প্রবণতা থাকবে বলে মন্তব্য করেন এই এনসিপি নেতা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কেবল ব্যক্তির পরিবর্তন কিংবা একটি দলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল না। বরং রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তন করে, রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক এবং গুণগত সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অধিকার রক্ষা করবে—এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ছিল আামদের।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের কথা বইয়ে পড়েছি, কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষায় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে, সে আকাঙ্ক্ষাগুলো বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতার ফলেই ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চাই, এবারের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়।’
‘জনগণের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এটা জাতির প্রতি আমাদের সবারই অঙ্গীকার। আরেকটি ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেন বাংলাদেশে না আসে, তার সব রাস্তা বন্ধ করেই সামনে এগোতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য যার যার জায়গা থেকে আমাদের কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সাথে এবি পার্টির আলোচনা সোমবার
এ সময় রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের ক্ষেত্রে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থাকে জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান নাহিদ।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো ১৬৬টি সুপারিশে ওপর মতামত দেয় এনসিপি। যার মধ্যে ১১৩টিতে দলটি একমত হয়েছে বলে জানান এই নেতা। বাকি ২৯টিতে আংশিক দ্বিমত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
২২৯ দিন আগে
এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে নাহিদ ইসলামসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন এবং একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথ নিয়ে তারা আলোচনা করেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় হাইকমিশন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির নেতারা। সে সময় দলের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন তারা। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমর্থনের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বৈঠকে দলটির প্রতিনিধিত্ব করেন।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং যে প্রেক্ষাপটে এনসিপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সে সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া এনসিপির প্রস্তাবিত সংস্কার ও বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের কথা বৈঠকে তুলে ধরা হয়।
২৩২ দিন আগে
ডামি, মিডনাইট ইলেকশনের সময় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কোথায় ছিল, প্রশ্ন হাসনাতের
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘যে বাংলাদেশে দুই হাজার শহিদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। সেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপোস হবে না। যে বাংলাদেশে পিলখানা হত্যার বিচার হয় নাই, ভারতবিরোধী আগ্রাসন-হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় নাই, সেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ইনক্লুসিভ ইলেকশন (অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন) দেওয়া হবে না।’
শনিবার (২২ মার্চ) আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে শাহবাগে ঢাকা মহানগর এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, ‘যে বাংলাদেশে আবরার হত্যার বিচার এখনও হয় নাই, জুলাই গণহত্যার বিচার হয় নাই, গুম, খুন, হত্যার বিচার হয় নাই, সে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো নির্বাচন হবে না।’
‘বিএনপিকে ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে রেখে, গণতন্ত্র কাঠামোর বাইরে রেখে ২০১৪ সালে যখন ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, তখন আপনাদের ইনক্লুসিভ ইলেকশন কোথায় ছিল? ২০১৮ সালে যখন মিডনাইট (মধ্যরাতে) ইলেকশন হলো, তখন আপনাদের ইনক্লুসিভ ইলেকশন কোথায় ছিল?’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে এনসিপির অঙ্গীকার
সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাদের যাদের কাজ ক্যান্টনমেন্টে, আপনারা ক্যান্টনমেন্টেই থাকুন। আমরা আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, সম্মান জানাই। দেশের সার্বোভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে আপনাদের যে অবদান রয়েছে, সেটা আমরা অস্বীকার করি নাই।’
‘কিন্তু যত অন্যায় হয়েছে, গুম-খুন হয়েছে, আমরা আপনাদের কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দেখি নাই; কাউকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে দেখি নাই। আমরা আপনাদের আহবান জানাব—আপনারা দূরে আছেন, দূরেই থাকুন।’
এই এনসিপি নেতা আরও বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। আপনারা যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করেছেন, আমরা সংস্কারের মধ্যে দিয়ে সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিতে চাই। আমরা বলতে চাই, এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর কখনও ঢুকতে দেওয়া যাবে না।’
এর আগে, হাসনাত আবদুল্লাহ ২২ মার্চ নিজের ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সমাবেশের ডাক দেন।
২৫৭ দিন আগে
আ.লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে এনসিপির অঙ্গীকার
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় বিচার, অনুশোচনা, পাপমোচন ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে যেকোনো তৎপরতা ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত রূপায়ন টাওয়ারে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণহত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং এই মাফিয়া গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে ফেরানোর যেকোনো প্রচেষ্টাকে এনসিপি প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।’
আরও পড়ুন: ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অবিলম্বে জুলাই গণহত্যাসহ ফ্যাসিবাদী রেজিমির সংঘটিত গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায়। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন— আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। আমরা তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানাই।’
‘আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম, ক্রসফায়ার, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপি মনে করে, বিচারিক কার্যক্রমের পরিণতি দৃশ্যমান হতে হবে। আত্মপ্রকাশের পর থেকে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছি— কৃত অপরাধের বিচার, দায় স্বীকার, অনুশোচনা, পাপ মোচন ব্যতীত আওয়ামী লীগের দল হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকার পক্ষে যেকোনো ধরনের তৎপরতা ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের শামিল। এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমে সংঘটিত অপরাপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চয়তা চায়।’
আরও পড়ুন: ‘পলাতক স্বৈরাচারের’ পুনর্বাসন নিয়ে সরকারকে তারেক রহমানের হুঁশিয়ারি
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আক্তার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
২৫৮ দিন আগে
‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর অস্তিত্ব নেই
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আত্মপ্রকাশের পর ‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির নানা অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখন আর আগের জায়গায় নেই। সেখান থেকে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি হয়েছে।’
তার ভাষ্যে, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে বলে ‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ বলে যে পরিচয়টা, সেটা এখন আর এক্সিস্ট করে না সেই অর্থে।”
“ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ থাকবে, যদি কেউ ‘বৈষম্যবিরোধী’ বা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় ব্যবহার করে অপকর্ম করে, তাহলে তারা তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় এনসিপি
এনসিপির কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন রাজনৈতিক নিবন্ধনের শর্তাবলী নিয়ে মনযোগী হচ্ছি। তৃণমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছি। রোজার পর পুরোদমে শুরু করব। আমরা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করছি। জোট গঠনের বা নির্বাচনের প্রার্থীর বিষয়ে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করতে আরও সময় লাগবে।’
এ সময় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, প্রধান সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারীসহ দলটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২৭২ দিন আগে